নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৃজন পথিক

খুব ভাল

ইশারা খালী

খুব ভাল

ইশারা খালী › বিস্তারিত পোস্টঃ

উচ্চশিক্ষা ও জাতীয় উন্নয়ন

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৩৮

শুধু মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসকেই আমরা জীবন বলে অভিহিত করতে পারিনা। কেননা, এই জীবনকে উপলদ্ধি ও অর্থবহ করার মানসে একজন মানুষকে কিঝু মৌলিক চাহিদার প্রয়োজন মেচাতে হয়। আমি মনে করি, বর্তমান বিশ্বয়নের যুগে, এসব মৌলিক চাহিদার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল শিক্ষা। আমরা জানি, যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত। এই বাক্যটি কতটুকু সত্য তা আমরা উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর দিকে তাকালে বুঝতে পারি।

কিন্তু, আমাদের সবার প্রিয় বাংলাশে আজ জনসংখ্যার সমস্যায় জর্জরিত এক ভূখন্ড। আমি মনে করি, এই সমস্যার মূলে প্রধানত কাজ করছে অশিক্ষা ও কুসংস্কারের মত বিষয়। তাই, আমাদের সবাইকে জনসংখ্যার প্রবৃদ্ধির দিকে কঠোর নজর দিতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন আসতে পারে, চীন ও ভারত উভয় দেশেই তো অনেক জনসংখ্যা আছে বা উভয় দেশই তো জনবহুল দেশ, কিন্তু জনসংখ্যা তাদের জন্য সমস্যা নয় কেন? উত্তর হতে পারে, উভয় দেশই তাদের জনসংখ্যাকে এমনভাবে তৈরী করছে, যার কারণে এই বিপুল জনসংখ্যা আজ তাদের কাছে অভিশাপ নয় বরং আশীর্বাদ হিসেবে গণ্য হচ্ছে। মূল কথা হচ্ছে, চীন ও ভারত, তাদের এই বিপুল জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে বা মানবসম্পদে তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের বিপুল জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে রূপান্তর করতে হলে, যে জিনিসটি আমাদের আজ বেশি প্রয়োজন বলে মনে করি সেটি হচ্ছে উচ্চশিক্ষা।

আমরা চাইলে আমাদের দেশকে রাতারাতি উন্নত দেশে পরিণত করতে পারব না। কারণ বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে, একটি দেশকে উন্নত হতে গেলে, অন্যান্য দেশের সাথে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত হতে হয়। আমি মনে করি, এই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার মোক্ষম অস্ত্র হতে পারে যুগোপযোগী উচ্চশিক্ষা।

কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, আমাদের জনসংখ্যার তুলনায় খুবই অল্প সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী প্রতিবছর এই উচ্চশিক্ষার সুযোগ পায়। তাই, উচ্চশিক্ষার সুযোগ দেশের সকল স্তরের জনগণের/ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আজ আমাদের দেশের নীতি-নির্ধারকদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

এই চ্যালেঞ্জকে সাফল্যের সাথে অতিক্রম করার অভিপ্রায়ে, আমাদেরকে নি¤েœাক্ত বিষয়ের উপর আরও সুনজর দিতে হবে বলে মনে করিঃ

 শিক্ষায় বাণিজ্যিকরণ বন্ধ করা।

 দেশে উচ্চশিক্ষায় সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে আরও নতুন নতুন উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠান তৈরি করা।

 স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য যুগোপযোগী সিলেবাস তৈরী করা।

 গ্রাম-শহর নির্বিশেষে দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভালো মানের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া।

 মেধা-পাচার রোধকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।

 শিক্ষা উপকরণ সহজলভ্য করা।

 সর্বোপরি, শিক্ষা সম্পর্কে সকল স্তরের মানুয়ের মধ্যে ইতিবাচক সচেতনতা তৈরী করা।

পরিশেষে, যদি আমরা উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি অন্যান্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের মাধ্যমে আমাদের জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে রূপান্তর করতে পারি, তবে আমাদের জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব হবে বলে মনে করি।



শুধু মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসকেই আমরা জীবন বলে অভিহিত করতে পারিনা। কেননা, এই জীবনকে উপলদ্ধি ও অর্থবহ করার মানসে একজন মানুষকে কিঝু মৌলিক চাহিদার প্রয়োজন মেচাতে হয়। আমি মনে করি, বর্তমান বিশ্বয়নের যুগে, এসব মৌলিক চাহিদার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল শিক্ষা। আমরা জানি, যে জাতি যত শিক্ষিত সে জাতি তত উন্নত। এই বাক্যটি কতটুকু সত্য তা আমরা উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর দিকে তাকালে বুঝতে পারি।

কিন্তু, আমাদের সবার প্রিয় বাংলাশে আজ জনসংখ্যার সমস্যায় জর্জরিত এক ভূখন্ড। আমি মনে করি, এই সমস্যার মূলে প্রধানত কাজ করছে অশিক্ষা ও কুসংস্কারের মত বিষয়। তাই, আমাদের সবাইকে জনসংখ্যার প্রবৃদ্ধির দিকে কঠোর নজর দিতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন আসতে পারে, চীন ও ভারত উভয় দেশেই তো অনেক জনসংখ্যা আছে বা উভয় দেশই তো জনবহুল দেশ, কিন্তু জনসংখ্যা তাদের জন্য সমস্যা নয় কেন? উত্তর হতে পারে, উভয় দেশই তাদের জনসংখ্যাকে এমনভাবে তৈরী করছে, যার কারণে এই বিপুল জনসংখ্যা আজ তাদের কাছে অভিশাপ নয় বরং আশীর্বাদ হিসেবে গণ্য হচ্ছে। মূল কথা হচ্ছে, চীন ও ভারত, তাদের এই বিপুল জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে বা মানবসম্পদে তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের বিপুল জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে রূপান্তর করতে হলে, যে জিনিসটি আমাদের আজ বেশি প্রয়োজন বলে মনে করি সেটি হচ্ছে উচ্চশিক্ষা।

আমরা চাইলে আমাদের দেশকে রাতারাতি উন্নত দেশে পরিণত করতে পারব না। কারণ বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে, একটি দেশকে উন্নত হতে গেলে, অন্যান্য দেশের সাথে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত হতে হয়। আমি মনে করি, এই প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার মোক্ষম অস্ত্র হতে পারে যুগোপযোগী উচ্চশিক্ষা।

কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এই যে, আমাদের জনসংখ্যার তুলনায় খুবই অল্প সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী প্রতিবছর এই উচ্চশিক্ষার সুযোগ পায়। তাই, উচ্চশিক্ষার সুযোগ দেশের সকল স্তরের জনগণের/ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আজ আমাদের দেশের নীতি-নির্ধারকদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

এই চ্যালেঞ্জকে সাফল্যের সাথে অতিক্রম করার অভিপ্রায়ে, আমাদেরকে নি¤েœাক্ত বিষয়ের উপর আরও সুনজর দিতে হবে বলে মনে করিঃ

 শিক্ষায় বাণিজ্যিকরণ বন্ধ করা।

 দেশে উচ্চশিক্ষায় সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে আরও নতুন নতুন উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠান তৈরি করা।

 স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য যুগোপযোগী সিলেবাস তৈরী করা।

 গ্রাম-শহর নির্বিশেষে দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভালো মানের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া।

 মেধা-পাচার রোধকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ।

 শিক্ষা উপকরণ সহজলভ্য করা।

 সর্বোপরি, শিক্ষা সম্পর্কে সকল স্তরের মানুয়ের মধ্যে ইতিবাচক সচেতনতা তৈরী করা।

পরিশেষে, যদি আমরা উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি অন্যান্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের মাধ্যমে আমাদের জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে রূপান্তর করতে পারি, তবে আমাদের জাতীয় উন্নয়ন সম্ভব হবে বলে মনে করি।

(সংকলিত)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০৫

বাগসবানি বলেছেন: ভাই শিক্ষাই নাই উচা নিচা দিয়ে কি করব?

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:০২

জজ সাহেব বলেছেন: ????????????

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.