নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আগুনমুখার চোখে জল

ওই যে নদী যায়রে বইয়া...

মু. ইশরাত হোসেন লিপটন

মু. ইশরাত হোসেন লিপটন › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোমান্টিক কারাদণ্ড (সংগৃহীত)

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৩

কেউ কথা রাখেনি, বেয়াল্লিশ বছর কাটল, কেউ কথা রাখেনি।

সিমলা চুক্তিতে ভুট্টোর বাচ্চা তার চুট্টামি হঠাত্‍ থামিয়ে বলেছিল --

পাকিস্তানই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবে।

তারপর কত ভুট্টো এলো-মরল কিন্তু সেই বিচার আর হলো না,

বেয়াল্লিশ বছর অপেক্ষায় আছি!



টুঙ্গিপাড়ার মাঝি হাসু আপা বলেছিল -- ভোট দাও দাদাঠাকুর,

তোমাদেরকে আমি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দেখাব,

সেখানে নাজিমুদ্দিন রোডে নিজামি আর সাইদি খেলা করে!



হাসু আপা, আমরা আর কত ভোট দেব?

আমাদের সতেরো কোটি মাথা ঐ জামাত-শিবির ছেঁচে দিলে তারপর তুমি আমাদেরকে বিচার দেখাবে?



একটাও বুলেট-গুলি ছুঁড়তে দাওনি পুলিশকে,

লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে পুলিশকে তক্তা করেছে শিবিরের বাচ্চারা,

অসহায়ের মতোন পল্টনের মোড়ে দাঁড়িয়ে দেখেছি শিবিরের ইট-উত্‍সব,

অজস্র চটি পেজের মধ্যে ছাইয়া আইডিওয়ালা শিবিরছানারা কত রকম আমোদে লেদিয়েছে,

আমাদেরকে তারা তোয়াক্কাই করেনি!



গুণ দা আমার হাত ছুঁয়ে বলেছিলেন -- দেইখো, একদিন বিচার হইবই...।

গুণ দা এখন স্তব্ধ, আমাদের দেখা হয়েছে সব কিছুই;

সেই পল্লব, সেই মেহেরুন্নেসা, সেই কাদের মোল্লা;

শাস্তি -- পনেরো বছরের রোমান্টিক কারাদণ্ড!



হাতের মধ্যে গোলাপি রুমাল নাচিয়ে খালেদা বলেছিল,

যেদিন সত্যিকারের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে,

সেদিন আমার হাতের তারায় বটগাছ গজাবে, এএএনশা আল্লাহ্!



বিচারের জন্য আমরা হাসু আপাকে ভোট দিয়েছি,

ধূর্ত শিবিরের চোখে হয়েছি চক্ষুশূল,

বিচারমঞ্চে বজ্রগলায় জনতাকে শুনিয়েছি ১০৮টা দ্রোহীকাব্য।



তবু কথা রাখেনি হাসিনা;

খালেদার মুখে কেবলই রাজাকারি গন্ধ,

কেউ কথা রাখেনি, বেয়াল্লিশ বছর কাটল,

কেউ কথা রাখে না!

Collected from Akhtaruzzaman Azad

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪১

*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: মজার

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.