![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বপ্ন-ধারক যন্ত্র চাই শিরোনামে আমি একটি ব্লগ লিখেছিলাম ২০১১ সালের
১২ ডিসেম্বর, সকাল ৯ টা ৫০ মিনিটে।
(পাঠকের সুবিধার জন্য লেখাটি আবারো পোস্ট দেওয়া হল। পাশাপাশি প্রথম আলোয়ে ৭ এপ্রিল ২০১৩ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের লিঙকও দেওয়া হল)।
স্বপ্ন-ধারক যন্ত্র চাই
আমার এক প্রতিবেশী স্বপ্ন দেখেতেন। প্রতি রাতেই স্বপ্ন দেখতেন। বিভৎষ সব স্বপ্ন দেখতেন তিনি। স্বপ্ন দেখে হাউমাউ করে চিৎকার করে উঠতেন। কিন্তু তিনি তাঁর স্বপ্নের কথা কিছুতেই মনে রাখতে পারতেন না। তিনি এভাবে স্বপ্ন দেখতে দেখতে অসুস্থ হয়ে পড়েন । দীর্ঘদিন চিকিৎসা করানো হয় একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে। তার পরও সুস্থ হতে পারেননি। মনোরোগ বিশেষজ্ঞের মতে, রোগী কী স্বপ্ন দেখছেন সেটা জানা গেলে তবে তাকে সুস্থ করা যেত।
আমার একজন সহপাঠীর কথা বলি- সে ও সপ্ন দেখে প্রতি রাতে। সে স্বপ্ন দেখে আর স্বপ্নের ঘোরেই খিল-খিল করে হাসে। ওর স্বপ্নগুলো হয়তো সুখকর কোনো স্বপ্ন | কিন্তু জেগে ওঠার পর কিছুই মনে থাকে না তার। কোনো দিন কোনো স্বপ্নের কথাই সে মনে রাখতে পারেনি।
স্বপ্ন নিয়ে মানুষের যত ভাবনা, যত চিন্তা। এ এমন নতুন কিছু নয়। সৃষ্টির শুরু থেকেই মানুয় তার অবচেতন মনের স্বপ্ন নিয়ে খুব বেশি বেশি ভাবছে। বাস্তবে মানুষ যা করতে পারেন না, স্বপ্নে সেটা করতে পারেন অনায়াশে। স্বপ্ন নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। কবি সাহিত্যিকরা লিখেছেন অনেক কবিতা, গল্প, উপন্যাস। বিজ্ঞানীরাও থেমে থাকেন নি, করেছেন অনেক গবেষণা। কিন্তু এ বিষয়ে কেউই খুব একটা এগুতে পারেন নি।স্বপ্ন বিষয়ক অনেক প্রশ্নই এখন পর্যন্ত অমিমাংসিত।
কেউ কি এমন একটা যন্ত্র তৈরি করবেন, যেটার নাম হতে পারে স্বপ্ন-ধারক? যেটা শুধু স্বপ্ন বিলাসীদের জন্যই নয়, যারা স্বপ্ন দেখেন, স্বপ্ন গড়েন, স্বপ্নে পাওয়াদের নিয়ে কাজ করেন, তাঁদের সকলের কাজে আসবে। একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ, যিনি স্বপ্নে পাওয়া রোগীদের চিকিৎসা করতে হিমশিম খান, তাঁর জন্য এটা খুবই উপকারী হবে। স্বপ্ন বিলাসীদের ক্ষেত্রে তো কথাই নেই! এ যন্ত্র যেকোনো ব্যক্তির দেখা স্বপ্ন ধারণ করে রাখতে সক্ষম হবে।
যারা রাতের দেখা স্বপ্ন ভুলে যান, তাঁদের জন্য এ যন্ত্রটি ভীষণ কার্যকর হবে। রাতের দেখা সব সপ্ন ধারণ করে রাখবে এ যন্ত্রটি। এ যন্ত্র সহযেই স্মরণ করিয়ে দেবে ভুলে যাওয়া স্বপ্ন | কেউ চাইলে যন্ত্রের মনিটরেও তাঁর স্বপ্নটি দেখতে পারবেন। যন্ত্রটি থেকে ইউএসবি কর্ড অথবা ব্লু-টুথের মাধ্যমে কম্পিউটারের পর্দায়ও তা দেখা যাবে।
এ যন্ত্রে থাকবে একটি মনিটর, দুটি ডিজিটাল স্টেরিও স্পিকার, একটি কী বোর্ড এবং স্বচ্ছ্ব ক্রিস্টলের প্যাড। কী বোর্ডের মাধ্যমে যন্ত্রটি অপারেটিং করতে হবে। তবে অপারেটিং সিস্টেম হতে হবে খুবই সহজ। কেউ যদি মোবাইল ফোন চালাতে পারেন তাহলে এটিও চালাতে পারবেন। এটির সঙ্গে থকবে ডিভাইস যুক্ত আলাদা দুটো স্লিম বেল্ট, যা রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহারকারীর হাত পড়ে নিতে হবে।
যন্ত্রটি ব্যবহারকারী যখন কোনো স্বপ্ন দেখবেন তখন ডিভাইস যুক্ত বেল্ট তাঁর নাড়ির স্পন্দন কাউন্ট করে ব্লু-টুথের মাধ্যমে মূল যন্ত্রের সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিটে পাঠাবে। যন্ত্রটির মেমোরি স্ক্যানার ব্যবহারকারীর নাড়ির স্পন্দন এনালাইজিংয়ের মাধ্যমে তাঁর দেখা স্বপ্নটি পড়ে নিয়ে তা ধারণ করে রাখবে। তবে হ্যাঁ, ব্যবহারকারী যতক্ষণ জেগে থাকবেন ততক্ষণ যন্ত্রাট তাঁর কোনো কর্মকাণ্ড ধারণ করবে না। কেন না, এটি শুধু অবচেতন ও অর্ধচেতন মনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে সক্ষম একটা যন্ত্র, সচেতন মনের সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক থাকবে না।
কেউ যখন ধারণকৃত কোনো স্বপ্ন দেখতে চাইবেন তখন যন্ত্রটি চালু করে কী প্যাডের স্ক্রল কী-এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট স্বপ্নটি প্লে করতে হবে। ডিজিটাল সাউন্ডসহ মনিটরে দেখা যাবে পুরো স্বপ্নটি।
স্বপ্নধারক যন্ত্র নিয়ে আমার আগের লেখা ব্লগ
স্বপ্নধারক নিয়ে প্রথম আলোয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন
২০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২১
মু. ইশরাত হোসেন লিপটন বলেছেন: ভালোই আছি।
২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:১৮
জাহাঙ্গীর জান বলেছেন: সেটা হলে আমি আকাশে উড়তে পারব । প্রায় স্বপ্ন দেখি আমি আকাশে উড়ছি ।
২০ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:২২
মু. ইশরাত হোসেন লিপটন বলেছেন: হুম। অনেক দিন পর সামুতে এলাম।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:৩০
খারাপ লোক বলেছেন: আপনার ব্লগ এই প্রথম পড়লাম।আপনিতো খুব সুন্দর ব্লগও লেখেন। আমি আপনার নিউজ পরেছি এবং আমি আপনাকে ব্যাক্তিগত ভাবে চিনি। ভালো আছেন আশা করি??