নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এক্সপ্লোর বাংলাদেশ

এক্সপ্লোর বাংলাদেশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"চর ফ্যাশন (ফ্যাশন স্কায়ার, চর ফ্যাশন ওয়াচ টাওয়ার) এবং চর কুকরি মুকরি"

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩২

ঢাকা সদরঘাট থেকে সন্ধ্যা ৭:৪৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়া ভোলার জেলার সর্ব দক্ষিণের উপজেলা#চর_ফ্যাশনের#বেতুয়া গামী লঞ্চে আরোহণ করতে হবে (ফারহান ৬; ভাড়া ১৫০টাকা + ; সময় ভেদে বাড়তে পারে) প্রায় ১১ ঘন্টা ভ্রমনের পর সকাল ৬ টার দিকে মেঘনা নদীর তীব্র স্রোত ঢিঙ্গিয়ে লঞ্চ নোঙ্গর করবে তার সর্বশেষ গন্তব্য - বেতুয়া লঞ্চঘাটে। সেখান থেকে অটো রিকশা যোগে চলে যাবেন চর ফ্যাশন সদরে (ভাড়া ৪০ টাকা জনপ্রতি) । সদর বাস স্টেশনের কাছাকাছি গেলেই আপনি দেখতে পাবেন আপনার স্বাগত জানাতে মাথা উচু করে দাঁড়িয়ে আছে চর ফ্যাশন ওয়াচ টাওয়ার । ফ্যাশন স্কয়ারের পাশেই স্থাপিত প্রায় ২১৫ ফুট উচু এই ওয়াচ টাওয়ারে স্থাপন করা হয়েছে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বাইনুকুলার, যার সাহায্যে আপনি পূর্বে তেতুলিয়া নদীর শান্ত জলধার, #মেঘনার উত্তার ঢেউ আর দক্ষিণে চর কুকরি-মুকরি সহ #বঙ্গোপসাগরে কিছু অংশের উপভোগ করতে পারবেন। ভাগ্য ভালো থাকলে (খোলা থাকা সাপেক্ষে) আপনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ এই ওয়াচ টাওয়ারে উঠে চারোপাশে এই নয়নাভিরাম সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন


সকালের নাস্তা শেষে আপনি বাসে চড়ে চলে যেতে হবে #দক্ষিণ_আইচা নামক স্থানে। বাস থেকে নেমে আবার অটো রিকশা যোগে চলে যাবেন #চর_কচ্ছপিয়া ঘাটে। চর কচ্ছপিয়া থেকে প্রতিদিন ২ টি বড় ট্রলার (স্থানীয়দের ভাষায় লঞ্চ) ছেড়ে যায়, একটি সকাল ৯ টায় চর কুকরি-মুকরির উদ্দেশে আর অন্যটি সকাল ১১ টায় ঢাল চরের উদ্দেশে। চর কুকরি-মুকরি, #ঢালচর এবং #তারুয়া_সমুদ্র_সৌকত যাওয়ার প্রধান এবং জনপ্রিয় রুট ই হচ্ছে এটি। আপনি/ আপনারা (আমরা ছিলাম ৮জন) যদি আপনার মনের মত সময় ও স্থান নির্বাচন করে ঘুরে দেখতে চান, তাহলে চর কচ্ছপিয়া থেকেই ট্রলার এবং স্পিড বোর্ড চড়ে যেতে পারেন । স্থানীয় বাজারের আপনি ট্রালার/ স্পিড বোর্ডের লোক পেয়ে যাবেন এবং দাম দর করে ঠিক করে নিতে হবে। একটু দ্রুত যেতে চাইলে স্পিড বোর্ড আর তুলানামূলক কম খরচ চাইলে ট্রলার ভাড়া করে নিতে পারে (খরচ ৩৫০০ টাকা+)। সকাল ৯ টার দিকে ট্রলার যোগে চর কচ্ছপিয়া থেকে রওনা দিয়ে, বাংলাদেশের অন্যতম #সাহাবাজপুর_চ্যানেল পাড়ি দিয়ে আপনি প্রায় বেলা ১১ টা নাগাত পৌছে যাবেন অপার নৈসর্গিক সৌন্দর্য ও জীবিবৈচিত্রে ভরপুর চর কুকরি মুকরিতে। ট্রলার থেকেই পথিমধ্যে আপনি দেখতে পাবেন স্থানীয় চরের মানুষের জীবন-জীবিকা, বিস্তৃন্য চরণ ভূমিতে গরু, মহিষের এবং অথিতি পাখির অবাদ বিচরণ।

আপনার ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকলে বনের ভিতরে দেখা হয়ে যেতে পারে #হরিণ, শিয়াল, বানর সহ বন্য অনেক বৈচিত্র্যময় প্রাণির। তাছাড়াও সচরাচরই সাক্ষাৎ পাবেন নানার রং এর পাখির। বনের ভিতরে প্রবেশের সময়, এই বন সম্পকে পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে এমন কাউকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া ভালো,তাতে অন্তত সম্মুখ বিপদ অথবা দিক বির্ভাটের ভয় থাকবে না। আপনি চাইলে বনের বাহিরে অংশও ঘুরে দেখতে পারে সেটাও কম রোমান্সকর না..! তবে সাবধান, যেহেতু চর কুকরি-মুকরিকে #বন্য_প্রাণির_অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়েছে, সেহেতু কোনো কু মতলব নিয়ে বনের ভিতরে প্রবেশ করবেন না। এই বন শুধু বন্য প্রাণিদের আশ্রয় স্থলই নয়। সিডর, আইলা সহ নানান প্রাকৃতিক দুৃর্যোগে এই বন আমাদের ঢাল রূপের কাজ করেছে। তাছাড়া বন এবং বন্য প্রাণি আমাদের দেশের জাতীয় সম্পদ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৩

এক্সপ্লোর বাংলাদেশ বলেছেন: চরফ্যাশন "জ্যাকব টাওয়ার"

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.