![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]
২১ আগস্টের সেই নারকীয় হত্যাযজ্ঞকে মনে রেখে
ফকির ইলিয়াস
_________________________________________________
২০০৪ সালের ২১ আগস্টের কথা আপনাদের মনে আছে? মনে আছে সেই ভয়াল দিনটির কথা? যে দিনটিকে তুলনা করা যায় একাত্তরের কোনো দিনের সঙ্গে। ২১ আগস্ট, বাংলাদেশের ইতিহাসে বারুদ আর রক্তমাখা বীভৎস রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞের দিন। মৃত্যু-ধ্বংস-রক্তস্রোতের নারকীয় গ্রেনেড হামলার একটি ঘৃণ্য চক্রান্তের দিন এটি। সভ্য জগতের অকল্পনীয় এক নারকীয় হত্যাকা- চালানো হয় ২০০৪ সালের এই দিনে। গ্রেনেডের হিংস্র দানবীয় সন্ত্রাস আক্রান্ত করে মানবতাকে। রক্ত-ঝড়ের প্রচ-তায় মলিন হয়ে গিয়েছিল বাংলা ও বাঙালির মুখ। বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণ এদিন মুহূর্তেই পরিণত হয়েছিল মৃত্যুপুরীতে।
শোকাবহ-রক্তাক্ত আগস্ট মাসেই আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর টার্গেট থেকে ঘাতক হায়েনার দল গ্রেনেড দিয়ে রক্তস্রোতের বন্যা বইয়ে দিয়েছিল বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সমাবেশ স্থলে। টার্গেট ছিল এক ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগকে সম্পূর্ণ নেতৃত্বশূন্য ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করতেই ঘাতকরা চালায় এই দানবীয় হত্যাযজ্ঞ। জাতির সামনে আবারো স্পষ্ট হয়ে ওঠে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির একাত্তরের পরাজয়ের প্রতিশোধস্পৃহা। বিএনপি-জামাত জোট ক্ষমতায় থাকার সময়ই খোদ রাজধানীতে দিনে প্রকাশ্যে চালানো হয়েছিল এই ভয়াল ও বীভৎস গ্রেনেড হামলা। ওই সরকারের মন্ত্রী থেকে শুরু করে অনেকেই যে এই নারকীয় হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল, তা তদন্তে ক্রমশ বেরিয়ে আসছে।
হিংস্র শ্বাপদের ভয়াল ছোবলে সেদিন মানবঢাল রচনা করে নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা করতে পারলেও ওই নৃশংস হামলায় ঝরে পড়েছিল বেগম আইভি রহমানসহ চব্বিশটি তরতাজা প্রাণ। আহত হওয়া পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীর অনেকেই ঘাতক গ্রেনেডের স্পিøন্টারের দুর্বিষহ যন্ত্রণা নিয়েই ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছেন মৃত্যুর দিকে। হাত-পা-চোখসহ দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ হারিয়ে অসংখ্য নেতাকর্মীরা পঙ্গুত্ববরণ করে জীবনধারণ করছে। ঢাকার প্রথম নির্বাচিত মেয়র ও বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ হানিফ মাথায় বিঁধে থাকা স্প্রিন্টারের জীবনযন্ত্রণা ভোগ করেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করতে সেদিন শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল ঘাতক চক্র। ঘাতকের গ্রেনেড হামলায় রীতিমতো রক্তগঙ্গা বইয়ে গিয়েছিল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের প্রাঙ্গণ। সন্ত্রাসবিরোধী আওয়ামী লীগের জনসভাকে ঘিরে কোলাহলপূর্ণ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ মুহূর্তেই পরিণত হয়েছিল বীভৎস মৃত্যুপুরীতে। সুপরিকল্পিত ও ঘৃণ্য এই গ্রেনেড হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত ও শোকাবহ আগস্টে আরেকটি ১৫ আগস্ট সৃষ্টির অপচেষ্টা করেছিল পরাজিত ঘাতক চক্র। তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে হায়েনাদের হামলার ধরনও ছিল রক্তাক্ত ১৫ আগস্টের মতোই।
ভয়াল সেই হামলায় মৃত্যুজাল ছিন্ন করে প্রাণে বেঁচে গেলেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হারিয়েছেন তার দুকানের স্বাভাবিক শ্রবণশক্তি। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানও সেদিন সামান্য আহত হয়েছিলেন। ওইদিন তার প্রিয়পত্নীআইভি রহমানকে হারানোর শোক বয়েই তিনিও আজ পরপারে। বীভৎস এই হামলার ঘটনায় দেশে-বিদেশে গভীর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সৃষ্টি করলেও বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে মামলাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এবং আলামত নষ্ট করার নানা চক্রান্ত চলে। তবে এই ভয়াল ও নারকীয় এই হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকার যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত তা সময়ের ব্যবধানে দেশবাসীর সামনে প্রকাশ পেয়েছে। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে ওই বীভৎস হামলার সঙ্গে জড়িত জোট সরকারের উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ উগ্র জঙ্গিবাদের সশস্ত্র ক্যাডাররা। এই ভয়াল গ্রেনেড হামলার প্রত্যেকটি বার্ষিকীতে নিহতদের পরিবার ও আহতরা এই কাপুরুষোচিত হামলার নায়ক ও নেপথ্যের ম“দাতাদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
এই লোমহর্ষক গ্রেনেড হামলার ঘটনা ধামাচাপা, ভিন্ন খাতে প্রবাহিত ও আলামত নষ্টসহ হেন কোনো কাজ নেই যা করে যায়নি বিএনপি-জামাত জোট সরকার। হাওয়া ভবনে বসে তখন জজ মিয়ার নাটক সাজানোর ঘটনা এখন দেশবাসীর মুখে মুখে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, এই হামলায় ব্যবহৃত গ্রেনেডের উৎসের সন্ধান পেয়েছে তারা। তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকারের অনেক রাঘব-বোয়ালদের জড়িত থাকার প্রমাণ হাতে পেয়েছে তারা। বিভিন্ন সূত্র বলছে, এ মামলার অধিকতর সুষ্ঠু তদন্তে তৎকালীন রাজপ্রসাদের ষড়যন্ত্রকারী কেউ কেউ ফেসে যেতে পারেন। এ মামলার পুনর্তদন্তে বিগত চারদলীয় জোট সরকারের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টু, হরকত-উল-জিহাদের সাবেক আমির ও ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক মওলানা আবদুস সালাম, বিএনপির ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল হক আরিফসহ প্রায় এক ডজন ব্যক্তিকে আসামি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সেদিনটি ছিল শনিবার। বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সন্ত্রাস ও বোমা হামলার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সমাবেশ। এতে প্রধান অতিথি তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। হাজার হাজার মানুষের স্রোত সমাবেশটিতে। সমাবেশ শেষে সন্ত্রাসবিরোধী মিছিল হওয়ার কথা। তাই মঞ্চ নির্মাণ না করে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে একটি ট্রাককে মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সমাবেশে অন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্যের পর শেখ হাসিনা বক্তব্য দিতে শুরু করেন। সময় তখন বিকেল ৫টা ২২ মিনিট। ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে বক্তৃতা শেষ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার হাতে থাকা একটি কাগজ ভাঁজ করতে করতে এগুতে থাকলেন ট্রাক থেকে নামার সিঁড়ির কাছে। মুহূর্তেই শুরু হলো নারকীয় গ্রেনেড হামলা। বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হতে লাগলো একের পর এক গ্রেনেড। আর জীবন্ত বঙ্গবন্ধু এভিনিউ মুহূর্তেই পরিণত হলো মৃত্যুপুরীতে। শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে খই ফোটার মতো একের পর এক গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায় ঘাতকরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ১৩টি গ্রেনেড হামলার বীভৎসতায় মুহূর্তেই রক্ত-মাংসের স্তূপে পরিণত হয় সমাবেশ স্থল। রক্তগঙ্গা বইয়ে যায় এলাকাজুড়ে।
ঘাতকদের প্রধান লক্ষ্য ছিল শেখ হাসিনা। পরিস্থিতির তাৎপর্য বুঝতে ট্রাকে অবস্থানরত নেতৃবৃন্দ ও শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তারা মানবঢাল রচনা করে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেন বঙ্গবন্ধুর এই কন্যাকে। নেতা ও দেহরক্ষীদের আত্মত্যাগ ও পরম করুণাময়ের অশেষ রহমতে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরেকটি রক্তাক্ত ১৫ আগস্ট ঘটাতে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে উপর্যুপরি ১৩টি গ্রেনেড মেরেই ক্ষান্ত হয়নি ঘাতকরা। গ্রেনেডের আঘাতে পরাস্ত করতে না পেরে ওইদিন শেখ হাসিনার গাড়িতে ঘাতকরা ছুড়েছিল বৃষ্টির মতো গুলি। একেবারে পরিকল্পিত ও টার্গেট করা ঘাতকদের নিক্ষিপ্ত গুলি ভেদ করতে পারেনি শেখ হাসিনাকে বহনকারী বুলেটপ্রুফ গাড়ির কাচ। শেখ হাসিনাকে আড়াল করে বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে জীবন বিলিয়ে দেন তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মী ল্যান্স কর্পোরাল (অব.) মাহবুবুর রশীদ। পরিকল্পিত হামলায় মৃত্যুর দুয়ার থেকে শেখ হাসিনা ফিরে এলেও ওইদিন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় পুরো এলাকা।
২১ আগস্টের সেই রক্তাক্ত ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন ১৬ জন। নারী নেত্রী আইভি রহমান ৫৮ ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ২৪ আগস্ট মারা যান। আহত হওয়ার পর প্রায় দেড় বছর মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হেরে যান আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা ও প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ। রক্তাক্ত-বীভৎস ওই ভয়াল গ্রেনেড হামলায় নিহত অন্যরা হলেন- শেখ হাসিনার দেহরক্ষী ল্যান্স কর্পোরাল (অব.) মাহবুবুর রহমান, হাসিনা মমতাজ, রিজিয়া বেগম, রফিকুল ইসলাম (সবার প্রিয় আদা চাচা), রতন শিকদার, মোহাম্মদ হানিফ ওরফে মুক্তিযোদ্ধা হানিফ, মোশতাক আহমেদ, লিটন মুনশি, আবদুল কুদ্দুছ পাটোয়ারী, বিল্লাল হোসেন, আব্বাছ উদ্দিন শিকদার, আতিক সরকার, মামুন মৃধা, নাসিরউদ্দিন, আবুল কাসেম, আবুল কালাম আজাদ, আবদুর রহিম, আমিনুল ইসলাম, জাহেদ আলী, মোতালেব ও সুফিয়া বেগম।
এই ঘটনা বাঙালি জাতি কোনো দিনই ভুলতে পারবে না। ’৭১-এর পরাজিত শক্তিরা মুছে দিতে চেয়েছে বারবার মুক্তিযুদ্ধের স্তম্ভগুলো। ২১ আগস্টও ছিল সেই প্রচেষ্টা। আমরা মিডিয়ায় দেখছি- গুরুত্ব বিবেচনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নারকীয় ২১ আগস্টে হত্যাযজ্ঞের বিচার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে নিতে সব সংকট দূর করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে অভিযোগপত্রের সব সাক্ষীর সাক্ষ্য নাও নেয়া হতে পারে। মামলার অভিযোগ প্রমাণে যতোজন প্রয়োজন, ততোজনের সাক্ষ্য নেয়া হবে। আর এ সংখ্যা ২৫ থেকে ৩০ জন হতে পারে। এ ছাড়া এ মামলার আসামির বিরুদ্ধে অন্য জেলায় ভিন্ন কোনো মামলা থাকলে ওই জেলার সঙ্গে সমন্বয় করে মামলার তারিখ নির্ধারণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। যাতে ২১ আগস্টের মামলার নির্ধারিত দিনে অন্য কোনো মামলার তারিখ না থাকে। তাহলে আসামিকে অন্য জেলায় যেতে হবে না। এমন পরিস্থিতিতে মামলার বিচার প্রক্রিয়া খুব শিগগিরই শেষ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে বলে আশা মামলা সংশ্লিষ্টদের।
জানা গেছে, জঘন্যতম ঘটনার ইতিহাস সৃষ্টিকারী এই গ্রেনেড হামলার বিচার গত বছর শেষ করার ইচ্ছা থাকলেও নানামুখী সংকটের কারণে তা করতে পারেনি তৎকালীন মহাজোট সরকার। ধীরগতিতে মামলার প্রক্রিয়া এগোতে থাকায় বিচারকাজের অগ্রগতি হয় সামান্যই। এতে বিচারের প্রতীক্ষায় থাকা আহত ও নিহতদের পরিবারের স্বজনদের মাঝে এ নিয়ে ছিল শুধু হতাশা। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চার্জশিটে অতিরিক্ত সাক্ষীর নাম উল্লেখ থাকায় মামলার বিচার প্রক্রিয়া ধীরগতিতে চলে। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির (অপরাধ তদন্ত বিভাগ) বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহ্হার আকন্দ বলেছেন, প্রসিকিউশন আইনজীবী কোনো সাক্ষীকে গুরুত্বহীন মনে করলে তার সাক্ষ্য নাও নিতে পারেন। এ ক্ষমতা তার রয়েছে। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিশেষ এজলাসে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার চলছে। অতিরিক্ত সাক্ষী এবং আসামিদের অন্য মামলায় বিভিন্ন জেলায় নিয়ে যাওয়ার কারণে ২১ আগস্ট মামলার বিচার প্রক্রিয়া চলছিল ধীরগতিতে। সরকার পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, এ মামলায় যারা আসামি তারা সারা দেশে বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি। কাজেই দেশের অন্যান্য আদালতেও আসামিদের নেয়া হয়। ফলে ২১ আগস্ট হামলার বিচারিক ট্রাইব্যুনালের পক্ষে টানা বিচারকাজ চালানো সম্ভব হয়নি।
বাংলার মাটি থেকে এসব চক্রান্তকারীদের সমূলে বিনাশ করতেই হবে। কারণ এরা সুযোগ পেলেই মুছে দিতে তৎপর হবে আমাদের রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের ধারাবাহিক অগ্রযাত্রা। প্রজন্মকে বিষয়গুলো বুঝতে হবে, কেন পেছন দুয়ার দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার সুযোগ খোঁজা হয়। কেন ওরা ’৭১ কে বলে ‘গন্ডগোলের বছর’।
দেশে আইনি শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে এসব বিচার কাজ শেষ করতেই হবে। এর নেপথ্যে কারা ছিল- তা বের করে আনতে হবে। দাবিটি গোটা বাঙালি জাতির। যারা বুকে একাত্তরকে লালন করেন।
----------------------------------------------------
দৈনিক ভোরের কাগজ ॥ ঢাকা ॥: ২৩/আগস্ট/২০১৪ শনিবার প্রকাশিত
©somewhere in net ltd.