![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]
রাজনৈতিক মিথ্যাচার ও আর্কাইভের দলিলপত্র
ফকির ইলিয়াস
______________________________________________
একজন লোক বারবার লাইমলাইটে আসতে চাইছেন। তিনি তারেক রহমান। থাকেন এখন লন্ডনে। সেখানে নানা সমাবেশে তিনি বাংলাদেশের জাতিসত্তা, জাতির জনক ও মহান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন নির্লজ্জভাবে।
অনালইন ওয়েব পোর্টাল বাংলানিউজটুয়েন্টিফোর ডটকমের একটি রিপোর্ট আমাদের একটি নতুন তথ্য দিয়েছে। সচিত্র ঐ রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২৭ জানুয়ারি ২০০৪ দিবাগত রাতে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর মাজার জিয়ারত করেছিলেন তারেক রহমান। তিনি মাজারের খাদেমকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে ফাতেহা পাঠ করেছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন- আমানউল্লাহ আমান, রুহুল কুদ্দুস দুলু, রশিদুজ্জামান মিল্লাত, সাইফুর রহমান নান্টু, ইমরান সালেহ প্রিন্স প্রমুখ নেতারা। তারেকের সফরসঙ্গীরাই এখন সেই তথ্য দিচ্ছেন। এই তারেক রহমান এখন জাতির জনককে টার্গেট করে মিথ্যাচার শুরু করেছেন। তিনি যা বলছেন, এর সঙ্গে ইতিহাসের কোনো মিল নেই।
তিনি পারপাস সার্ভ করছেন সেসব রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসদের যারা একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার চরম বিরোধিতা করেছিল। বাংলাদেশের রাজাকাররা তাদের ক্ষমতা পরীক্ষা অতীতে করেছে। এখনো করে যাচ্ছে। তা নতুন কিছু নয়। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস পাল্টে দেয়ার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা আছে তাদের। সে লক্ষ্যে তারা কাজ করছে। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক রাজনীতিকদের তারা কাজে লাগিয়েছে নিজেদের প্রয়োজনে। আবার ছুড়ে দিয়েছে। ব্যবহার করে ছুড়ে দেয়াই মওদুদীপন্থীদের হীনকর্ম। যারা ব্যবহৃত হয়েছেন তারা অনেকেই আজ আঁস্তাকুড়ে। তারেক রহমান এই যে মিথ্যা বলছেন, এর কারণ কি? কারণ হলো যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানো। বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীর সংখ্যা বিভিন্ন পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১১ হাজারের মতো। অথচ জনসংখ্যা দেশে ১৬ কোটির ওপরে। এদের তো ‘টুঁ’ শব্দটি করার কোনো উপায় থাকার কথা ছিল না। কিন্তু তারপরও তারা মন্ত্রিত্ব পেয়েছে। যারা সরাসরি একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিল। আর এই কাজটির সহযোগী ছিলেন হাওয়া ভবনের সেই তারেক রহমান। ভাগ-বাটোয়ারা করে ক্ষমতায় যাওয়ার এবং টিকে থাকার জন্যও প্রতিযোগিতার ফল এমনটিই হয়। ভাবতে অবাক লাগে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে, ডিসকাশন গ্রুপে রাজাকারপন্থী কিছু কিছু উত্তরসূরি প্রশ্ন তোলে, ‘একাত্তরে আদৌ ৩০ লাখ বাঙালি শহীদ হয়েছিলেন কিনা। ’ধৃষ্টতা আর কাকে বলে? তারা বলে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা চাননি, পশ্চিমাদের সঙ্গে সমঝোতা করে ক্ষমতায় যেতে চেয়েছিলেন। এমন নানা উদ্ভট তথ্যও হাজির করে মাঝে মাঝে। এসবের উদ্দেশ্য কী? উদ্দেশ্য হচ্ছে জাতিকে বিভ্রান্ত করে নিজেদের রাজাকারী মতবাদ প্রতিষ্ঠা করা। প্রজন্মের ব্রেনওয়াশ করা। এরা কোনো ইতিহাস, কোনো ডকুমেন্টরি মানতে চায় না। বিদেশের বিভিন্ন আর্কাইভে রাখা তথ্য, তত্ত্বগুলো বিশ্বাস করতে চায় না। না বুঝতে চাইলে তাদের বুঝাবে কে? খুব বেদনার কথা, তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি দাবিদার এই তারেক রহমানও ঐ একই পথে হাঁটছেন।
তারেক রহমান লন্ডনে বলেছেন, ‘শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহী মামলা করা প্রয়োজন। কারণ ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি পাকিস্তানি পাসপোর্ট নিয়ে পাকিস্তানি নাগরিক হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরেই তিনি রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন। আইনের দৃষ্টিতে তিনি পাকিস্তানি নাগরিক। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও শেখ মুজিব স্বেচ্ছায় পাকিস্তানের পাসপোর্ট গ্রহণ করেছেন। তিনি বাংলাদেশের অবৈধ রাষ্ট্রপতি।’ কী মিথ্যাচার! বঙ্গবন্ধু একজন বিজয়ী নেতা হিসেবেই সেদিন বাংলাদেশে এসেছিলেন। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত তাকে সেই সনদ দিয়েছিল। আজ তারেক বাঙালিকে আবার রাষ্ট্রদ্রোহীর সংজ্ঞা শেখাচ্ছেন?
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা শুধু রাষ্ট্রই করতে পারে এ তত্ত্ব বাঙালি জাতিকে নানাভাবে শেখানো হয়েছে। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার কথা বাঙালি ভুলে যায়নি। কিন্তু জাতির স্বাধিকারের প্রশ্নটি যখন জোরালো হয়ে যায় তখন তা দমিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।
তারেক রহমান নিজে কি করে গেছেন তা কি তিনি ভুলে গেছেন? এখন তিনি দীর্ঘদিন বিলাতে আছেন কিভাবে? সেই অর্থ কোথা থেকে আসছে? এ নিয়ে ইংল্যান্ডের মিডিয়াগুলো প্রতি সপ্তাহে সংবাদ ছাপছে। সাপ্তাহিক জনমতের একটি রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ইংল্যান্ড বিএনপি নেতা কমর উদ্দিনের আকস্মিক মৃত্যুর পর স্বাভাবিকভাবেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটে। বর্তমানে তারেক রহমান থাকেন কিংসটনে। এ এলাকার লোকাল অথরিটির তথ্য অনুযায়ী ৩-৪ বেডরুমের এক বাসার মাসিক ভাড়া ১২শ থেকে শুরু করে ৫ হাজার পাউন্ড। সি ব্র্যান্ডের বাসার জন্য কাউন্সিল ট্যাক্স ১৪৭৪ পাউন্ড ৬৭ পেন্স। বিদ্যুৎ গ্যাসসহ ইউটিলিটি বিল ন্যূনতম ১৫০ পাউন্ড। তার পরিবারের ট্রান্সপোর্টেশন খরচ ন্যূনতম ১শ পাউন্ড। এছাড়া লন্ড্রি, পোশাক-আশাক, পত্রপত্রিকা এবং মোবাইল ও টেলিফোনসহ আরো প্রায় ৭-৮শ পাউন্ড খরচ হয়ই। সব মিলিয়ে ৪ হাজার পাউন্ডের নিচে তার মতো লাইফ স্টাইল চালানো সম্ভব হওয়ার কথা নয়। বিশেষত এ এলাকায় আরো রাঘব-বোয়ালরা থাকেন। এ এলাকায় থেকে গেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো। এখনো পাকিস্তানের সাবেক সেনা শাসক পারভেজ মুশাররফ বসবাস করছেন কিংসটনে।
এরই মধ্যে একবার তিনি ২০০৮-এ লন্ডনে এসে বার এট ল’ ডিগ্রি (ব্যারিস্টার) সম্পাদন করবেন বলে মনস্থির করেন। তবে তিনি সুবিধা করতে পারেননি। তারেক যেহেতু বাংলাদেশের গ্র্যাজুয়েট তাই লন্ডনে তাকে প্রথমে একটি ব্যাচেলর ডিগ্রি নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে তিনি এক্সেশন পাননি। সাউথ ব্যাংক ইউনিভার্সিটি ও কুইন মেরি তারেককে সরাসরি রিজেক্ট করে দেয়। পরে তিনি জিডিএল করে শর্টকাটে বার এট ল’ করতে চেয়েও পারেননি। নেই কোনো আয়ের উৎসও।
গত প্রায় ৫ বছর ধরে লন্ডন থাকলেও তারেক রহমান কোনো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি যেমন কোনো কাজে নিয়োজিত হতেও পারেন না। তাকে বাইরে দেখাও যায় না খুব একটা। স্ত্রী জুবাইদা গুলশান আরাও তেমন কোনো কাজ করেন না। উপরন্তু এক মেয়ের লেখাপড়ার খরচও রয়েছে। অতি স¤প্রতি ব্রিটেনে বসবাসের জন্য রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছেন তারেক রহমান। এর সুবাদে ব্রিটেনে অবাধে চলাচলের সুযোগ পেয়েছেন তিনি। তবে কোনো সরকারি অর্থায়ন বা বেনিফিট পাবেন না তারেক। দেশেও তার এবং তার মা নেত্রী খালেদা জিয়ার বেশকটি ব্যাংক একাউন্ট জব্দ করা আছে। তারপরও তারেকের ব্যয়ের এই অর্থ কোথা থেকে আসছে? মাথার ওপর মামলার বোঝা, গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ তারেক রহমানের ওপর ঝুলছে ১৪টি মামলার খড়গ। ২০০৭ সালের ওয়ান-ইলেভেনের পর তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা করা হলেও ২০০৯ সালে একটি মামলা প্রত্যাহার করা হয়। অন্য মামলাগুলোর মধ্যে ৪টি মামলা উচ্চ আদালতের নির্দেশে স্থগিত রয়েছে। জীবনে আর রাজনীতি করবেন না- এমন মুচলেকা দিয়ে তারেক রহমান চিকিৎসাসেবা গ্রহণের জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে লন্ডন চলে আসার পর তা বাতিল করে বর্তমান সরকার। পরবর্তীতে বাংলাদেশে দীর্ঘ অনুপস্থিতিতে পলাতক বিবেচনায় একাধিক মামলায় তারেক রহমানের জামিন বাতিল করে আদালত। এছাড়াও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে যে ২৫টি মামলা ঝুলছে সেগুলোর মধ্যে ২৩টি মামলাই তত্ত্বাবধায়ক আমলে দায়ের করা।
এসব মাথায় নিয়েই তারেক পাগলের প্রলাপ বকছেন। বাঁচাতে চাইছেন আল-বদর রাজাকারদের। প্রশ্ন হলো তারেক কেন একাত্তরের ইতিহাস পড়ছেন না?
কারা একাত্তরে গণহত্যা, বুদ্ধিজীবী হত্যার জন্য পাকিদের শলাপরামর্শ দিয়েছিল, তা কিছুই লুকানো নয়। এসব বিষয়ে সে সময়ের দলিলপত্র দেশে-বিদেশে এখনো সংরক্ষিত আছে। কথা হচ্ছে, নানা রাজনৈতিক ছলচাতুরী সুবিধাভোগের ফন্দিফিকিরের নামে রাজনীতিকরা বেহুঁশ থাকায় ঘাতক-দালালদের বিচার করা যায়নি। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে এদের বিচার কোনোদিনই করা যাবে না। কিংবা কেউ করতে পারবে না।
তারেক আজ যে এজেন্ডা নিয়ে নেমেছেন, তা জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠার এজেন্ডা। কারণ তার দলের জন্মই হয়েছিল কালো পথ দিয়ে হেঁটে। যারা যুদ্ধ চলাকালে সুস্থ মস্তিষ্কে গণহত্যা করে কিংবা মদদ জোগায়, তারাই যুদ্ধাপরাধী। এসব যুদ্ধাপরাধীর অবস্থান একাত্তরে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের বিপক্ষে ছিল তীব্রভাবে। তাই এই ‘বাংলাদেশ’ নামক রাষ্ট্রটিকেই বিচার চেয়ে বাদী হয়েছে আজ। বিশ্বের অন্যান্য দেশে যুগে যুগে যেমনটি বিচার চাওয়া হয়েছে। এবং রাষ্ট্র সেসব বিচারের ব্যবস্থাও করেছে। একটি কথা আমাদের মনে রাখতে হবে সত্যের পক্ষে মানুষ যে কোনো সময়, যে কোনো দেশে দাঁড়াতে পারে।
একটি কথা খুব গুরুত্বের সঙ্গে বলতে চাই। আর তা হচ্ছে, বাংলাদেশে যদি কোনোভাবে রাজাকারদের পক্ষপাত করা হয়, তবে কারো রাজনৈতিক ভবিষ্যৎই শুভ হবে না। কারণ রাজাকাররা এমন এক অশুভ শক্তি, যারা সময় সুযোগ পেলেই ছোবল দেয়। অতীতে দিয়েছে।
ভবিষ্যতেও দেবে। দেশের আপামর জনগণ জানেন এরা কতো জঘন্য মানসিকতা সম্পন্ন। তাই এদের বিচার আজ রাষ্ট্রীয় দাবি। অথচ বিএনপি আজ মুখে কুলুপ দিয়ে বসেছে। তারা ফাঁসির রায় হওয়ার পরও একটিবার রাষ্ট্রকে সাধুবাদ দিচ্ছে না। আর্কাইভে মুক্তিযুদ্ধের দলিলপত্রগুলো সংরক্ষিত আছে। রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ই-আর্কাইভ। এই প্রজন্ম অনেক কাজ করছে। করছে অনেক গবেষণা। তাই কোনো অর্বাচীন মিথ্যা কথা বলে এই প্রজন্মের ব্রেনওয়াশ করতে পারবে না। যারা নিজেরাই হাজার কোটি টাকা চুরি-পাচারের জন্য অভিযুক্ত, তারা আবার জাতিকে নীতিবাক্য কি শোনাবে?
অবস্থা এখন এমন, গুগল সার্চ দিয়েই পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন রাষ্ট্রভাণ্ডার কর্তৃক অবমুক্ত ডকুমেন্টস, যা বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষী। এসব সাক্ষীকে অস্বীকার করতে চান তারেক রহমান? না- প্রজন্ম তার ঐ মিথ্যার বেসাতি মার্কা লন্ডন-ভাষণ মোটেই মেনে নেবে না। নিতে পারে না।
----------------------------------------------------
দৈনিক ভোরের কাগজ ॥ ঢাকা ॥ শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৪ প্রকাশিত
২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪১
হরিপদ কেরাণী বলেছেন: তারেকের আমলে মানুষ গুম হয় নাই। এখন মানুষ গুম হয়।
৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:৫২
মুকতোআকাশ বলেছেন: বাংলা দেশের মানুষ এখন আওয়ামী লেখক দের চেনে। এখন ১৯৭০ সাল না যে যা বুঝাবে মানুষ তাই বুঝবে। মানুষ সত্য মিথ্যার, ভুল শুদ্ধের পার্থক্য করতে শিখেছে। শুধু আগরতলা মামলার ইতিহাস দেখলেই বুঝা যায় প্রোপ্যাগান্ডায় আওয়ামিরা কত সিদ্ধহস্ত। জনগণ এখন ভালই বোঝে কে কি বলছে আর কেন বলছে।
৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫২
সামুরাই_কাতানা বলেছেন: আওয়ামী লিগ যে কি চিজ মানুষ এখন ভাল করে জানে। এরা গিরগিটির মতো সহজেই নিজের রুপ পাল্টাতে পারে।ক্ষমতায় থাকার জন্য এরা যা ইচ্ছে তাই করতে পারে।তার প্রমান ১৯৯৬, এর পর ২০০৯, এর পর ২০১৪। ১৯১৬ তে এসে এরা জামায়েতের সাথে হাত হাত মিলিয়ে তারা ক্ষমতায় যায়, যখন দেখলো যে জামাত বিনপির সাথে হাত মিলালো তখন জামাতকে যুদ্ধপরাধী দল বানিয়ে তাদের বিচার করার আশ্বাস দিয়ে ক্ষমতায় গেলো। এরপর এবার যখন দেখলো যে ক্ষমতায় আসা যাবে না তখন স্বৈর শাসক এরশাদের সাথে হাত মিলিয়ে ক্ষমতায় আসলো।
প্রশ্ন: ভবিষ্যৎতে আওয়ামী লিগ ক্ষমতায় আসতে আপনাকে কি দেখাতে পারে?
উত্তর: ভবিষ্যৎতে যদি এরশাদ পল্টি মারে তাহলে স্বৈর শাসন আমলে এরশাদ যা কুকর্ম করেছে তার বিচারের আশ্বাস দিয়ে ক্ষমতায় আসবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৭
মিতক্ষরা বলেছেন: তারিক খারাপ লোক বুঝলাম। কিন্তু তার কথাগুলো মিথ্যা হলে সরকার তার বিরুদ্ধে মান হানির মামলা করছে না কেন?