নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস

এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনৈতিক মূর্খতা ও মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক ফসল

২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৮



রাজনৈতিক মূর্খতা ও মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক ফসল
ফকির ইলিয়াস
===========================================

বাংলাদেশ আরো একটি বিজয় দিবস পালন করল। ১৬ ডিসেম্বর ছিল মঙ্গলবার। ওই দিন পাকিস্তানে একটি মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এক জঙ্গি হামলায় মঙ্গলবার পেশোয়ারের একটি বিদ্যালয়ে শতাধিক শিশুসহ অন্তত ১৬০ জন নিহত হয়। স্কুলটি থেকে প্রাণ নিয়ে ফিরতে পেরেছে এমন অনেকেই নিজের লোমহর্ষক অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমকে। এ অমানবিক জঙ্গি হামলায় সামির আলি চোখের পলকেই তার সব বন্ধুকে হারিয়েছে। প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সামিরকে দেখতে হয়েছে একে একে ১০ বন্ধুর মৃত্যু। সামির যখন নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলছিল, ভয়ে- শোকে তার চোখ দুটি ছলছল করছিল। ১০ বন্ধু মিলে করিডোরে বসেছিলাম। তখনই গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেলাম। লুকানোর চেষ্টা করতে ক্লাসরুমের ভেতর আমরা দ্রুত ছুটে গেলাম। কিন্তু জঙ্গিরা আমাদের ঠিকই দেখে ফেলল। সালোয়ার-কামিজ পরা জঙ্গিরা আমাদের শুধু একটা হুকুম দিল : ‘কলেমা পড়ে প্রস্তুত হও’। দীর্ঘশ্বাস ফেলে সামির বলল, কেবল সে-ই বেঁচে আছে।

কী জঘন্য ঘটনা! এ পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ করেই বাংলাদেশ-বাঙালি জাতি স্বাধীন হয়েছিল। এ সেই হায়েনারা, যারা এখনো চরম মৌলবাদী বলে বিশ্বে পরিচিত। পাকিস্তানে যে জঙ্গিবাদ-মৌলবাদ আজ নখর দেখাচ্ছে, একই সমান্তরালে একজন জেনারেল পুত্রও দেখাচ্ছেন তার মূর্খতা। হ্যাঁ, এটাকে আমরা তার রাজনৈতিক মূর্খতা বলতে পারি। তার তারেক রহমান। তিনি এখন ব্রিটেনে থাকেন। গেল ১৫ ডিসেম্বর সোমবার তিনি ব্রিটেনে বিএনপির একটি অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু নিয়ে অর্বাচীনের মতো কথাবার্তা বলেছেন।

তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান যদি ৭ মার্চ সেনাবাহিনীর বাঙালি অফিসারদের নিয়ে যুদ্ধ শুরু করতেন, তাহলে যে ‘সামান্য সংখ্যক’ পাকিস্তানি সৈন্য তখন ছিল, তাদের সহজেই পরাজিত করা যেত; প্রাণহানি ও অর্থনৈতিক ক্ষতি ‘অনেক কমানো’ যেত। তারেক রহমান বলেছেন- ‘এসব কিছু জানার পর এর জন্য আমরা এককভাবে কাকে দায়ী করতে পারি? শেখ মুজিবকে। এবং আমরা তাকে যেভাবে রাজাকার বলেছি, আমরা তথ্যপ্রমাণ সত্য দিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করে তাকে বলেছি- রাজাকার। আমরা সত্য ঘটনাবলির ভিত্তিতে বলেছি সে ছিল পাকবন্ধু।’ লোকটা বলছে কি? তারেক আরো বলেন, ‘আজকে যদি আমরা বলি- এই যে লাখ লাখ মানুষ একাত্তর সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে মারা গেল, এই যে হাজার হাজার মা-বোনের সম্ভ্রম নষ্ট হল, এর জন্য এককভাবে কী শেখ মুজিবকে দায়ী করা যায়? তাহলে এত মানুষের যে হত্যাকারী তাকে এক বাক্যে কী বলা উচিত? যে মানুষ মারে তাকে কি বলা উচিত?’

এ কথার মাধ্যমে মূলত তারেক রহমান মহান মুক্তি সংগ্রামকে পদদলিত করার অপচেষ্টা করেছেন। তিনি অস্বীকার করেছেন লাখো শহীদের রক্তকে। অস্বীকার করেছেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে। আমাদের জানা আছে, তার পিতা তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু সরকারের একজন সৈনিক হিসেবে সেদিন যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। জিয়া তার ‘একটি জাতির জন্ম’ শিরোনামের লেখায় বলেছিলেন- বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ তার জন্য ছিল ‘গ্রিন সিগন্যাল’। আজ কি তাহলে তারেক, নিজ পিতৃবক্তব্যকে অস্বীকার করছেন? পাকিস্তানের জঙ্গিরা যে কাজটি করছে, বাংলাদেশের পাকি তমদ্দুন মার্কা মূর্খরাও একই কাজ করছে। এদের মাঝে আজ কোনো পার্থক্য নেই।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ওই পাকিদের দালাল আর যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে সে জন্য দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেছেন, ‘লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত এ পতাকা নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না। এ পতাকা নিয়ে কোনো শকুনিকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না। দরকার হলে বুকের রক্ত দিয়ে দেব।’ বাংলাদেশের মানুষ তার মনের আবেগ বুঝেন। এটাও জানেন এ দেশে মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি রাষ্ট্র ক্ষমতায় না থাকলে দেশ আবারো ‘বাংলা ভাই’দের ত্রাসে পরিণত হবে।

আমরা জানি মহান মুক্তিযুদ্ধে, সাধারণ মানুষের প্রত্যাশায় কোনো কৃত্রিমতা ছিল না। তারা রক্ত দিয়েই একটি মানচিত্র পাওয়ার জন্য উদগ্রীব ছিলেন। তাই প্রাণের বলিদান, আত্মাহুতি কোনো মুখ্য বিষয় ছিল না। সে সময় রাজনীতিকরাও স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন একটি স্বাধীন ভূমির। একটি বলিয়ান জাতিসত্তার। মানুষ রাজনীতিকদের কথায় আস্থা রেখেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল যুদ্ধে। সে যুদ্ধে তারা বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল। এরপরের দায়িত্বটুকু ছিল জনগণ-রাজনীতিকের সমন্বয় সাধনের। যে কাজটি দ্রুত করতে পারেননি স্বাধীনতা-পরবর্তী রাষ্ট্র শাসকরা। করতে পারলে তাৎক্ষণিক বহুধা বিভক্তির জন্ম হতো না। মানুষও বিভ্রান্ত হতো না। একটি স্থিতিশীলতার পথ দেখত জাতি।

রাষ্ট্রের অবকাঠামো নির্মাণে, সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা সবসময়ই জরুরি ভূমিকা রাখে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সে পরিকল্পনায় ছিলেন ব্যাপক উদার। তার উদারতা তাৎক্ষণিক মহানুভবতার পরিচয় দিলেও পরাজিত পক্ষ সেটা দেখেছিল দুর্বলতা হিসেবে। যার ফলে এখনো তারা বলে কিংবা বলার সাহস দেখায়, শেখ মুজিব ঘাতক-দালালদের সাধারণ ক্ষমা করে দিয়েছিলেন! বঙ্গবন্ধু তেমন কোনো ‘ক্ষমা’ ঘোষণা করেননি। বরং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দিয়েছিলেন। বিভিন্ন ব্যক্তিগত খাতিরের সুযোগ নিয়ে, সামাজিক মুচলেকা দিয়ে তারা পার পাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কেউ কেউ পলায়ন করেছিল পাকিস্তানে। পলাতক মাহমুদ আলী পাকিস্তানে মারা গেলেও, গোলাম আযমরা ফিরে এসেছিল পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে এবং পাখনা মেলেছিল সদলবলে।

পঁচাত্তরের নির্মম হত্যাযজ্ঞের পর যারা ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার নেশায় মত্ত ছিল তাদের লক্ষ্য ছিল ভিন্ন। দেশের মঙ্গল সাধনের চেয়ে, দেশ থেকে মুজিব এবং তার স্বপ্নের নামাবলি মুছে দেয়ার প্রধান ইজারা নিয়েছিল তারা। দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটানোর চেয়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ লুটপাটকে বেছে নিয়েছিল তারা টিকে থাকার সিঁড়ি হিসেবে। প্রয়োজনীয় গণউন্নয়ন খাতের বাজেটকে সংকুচিত করে তারা মনগড়া অনুন্নয়নশীল খাতে বরাদ্দ করেছিল বেশি রাষ্ট্রীয় অর্থ। সবচেয়ে বেশি অমনোযোগী ছিল শিক্ষা খাতের প্রতি। ভয় ছিল, মানুষ সুশিক্ষিত হয়ে গেলে লুটপাটের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদী হয়ে উঠতে পারে।

একটি জাতি ও রাষ্ট্র গঠনে যে প্রত্যয়টির প্রধানত প্রয়োজন ছিল তা হচ্ছে দেশ গঠনে আন্তরিকতা। সেদিকে না এগিয়ে একটি মহল বন্দুক উঁচিয়ে ক্ষমতা স্থায়ী বন্দোবস্ত নিয়ে ছিল মরিয়া। শেখ মুজিবকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের বিভিন্ন নেতা স্পষ্ট বলেছিলেন, কাল সাপেরা ছোবল দিতে পারে। হ্যাঁ, সেটাই হয়েছিল।

বন্দুকধারীদের সঙ্গে খুব সহজেই যোগ দিয়েছিল পরাজিত রাজাকার চক্র। তাদের মধ্য থেকে শাহ আজিজুর রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করার মাধ্যমে রাজাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল বেশ জোরেশোরে। এ সময়ে দুটি চেষ্টা ছিল প্রকট। একটি হচ্ছে ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করে পলিটিশিয়ানদের জন্য পলিটিক্সকে ডিফিকাল্ট করা। আর অন্যটি হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নামক দলটিকে ক্রমেই নিশ্চিহ্ন করে দেয়া। এ দলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে, অতএব এদেরই নিপাত কর। এমন একটি নেপথ্য চিন্তায় ইন্ধন জুগিয়েছিল পরাজিত ঘাতক আলবদর-রাজাকার চক্র। পাক তমদ্দুনকে কাজে লাগানোর চেষ্টা ছিল ব্যাপক।

একটি রাষ্ট্রের বশ্যতা স্বীকার করে সে রাষ্ট্রের মানুষের জন্য পজিটিভ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করার বিষয়ে বাংলাদেশে পরাজিত চক্রের শুরুতেই ছিল না। তারা খামোশ হয়ে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ছিল ১৯৭৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত। এরপরই সুযোগের সদ্ব্যবহার করেছিল যথার্থই।

বাংলাদেশের উন্নয়ন না হওয়ার পেছনে প্রধান কারণ হচ্ছে, জনগণের প্রতি রাজনীতিকদের আনুগত্য না থাকা। দায়বদ্ধতার অভাব এবং জনগণের সম্পত্তি হরণ করে নেয়ার মানসিকতা। স্বৈরশাসক এরশাদ সে কাজে নতুন মাত্রা যুক্ত করে, মস্তানদের লেলিয়ে দেন প্রতিপক্ষ রাজনীতিকদের ওপর। ফলে দেশের ভেতরে ‘পলিটিক্যাল ফ্রাঙ্কেনস্টাইন’রা প্রবল শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এরা মন্ত্রিত্ব পর্যন্ত পায়। তাদের বাসা থেকে ধৃত হয় গালকাটা কামালের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। রাষ্ট্রপক্ষ, জনগণের ওপর এমন দানব লেলিয়ে দেয়ার ঘটনাগুলো বাংলাদেশের রাজনীতিকে বিষিয়ে তোলে।

এরশাদের পতনের পর তারা নতুন আঙ্গিকে প্রধান দুদল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ওপর ভর করে। তারা শুরু করে নতুন নতুন অপচেষ্টা। এই যে দুই প্রধান দলের ভেতরের লুটেরা শ্রেণি, তারা যে এরশাদের সৃষ্টি তা খুঁজে দেখলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। এদের দেখাদেখি প্রধান দুই দলে আরো কিছু নেতা এ পথ অনুসরণ করেছে ’৯০-এর গণআন্দোলনের পরে।

প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার পর দেশে ডানপন্থী মোর্চাটি বেপরোয়া হয়ে উঠতে থাকে। এই যে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথা’ সেটাও কিন্তু রাজনীতিকদের পারস্পরিক অবিশ্বাসের ফসল। রাজনীতিকদের যে ন্যূনতম দায়বদ্ধতা জনগণের প্রতি নেই তার প্রমাণও এই তত্ত্বাবধায়ক প্রথাটি। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতেও এত চমৎকার গণতান্ত্রিক সৌহার্দ্যতা থাকার পরও বাংলাদেশ তা অনুসরণ করতে পারেনি তা চরম বেদনাদায়ক এবং লজ্জাজনকও বটে।

বিএনপির ব্যর্থতার কারণে ’৯৬-এর নির্বাচনে জিতে আসে আওয়ামী লীগ। কিন্তু এ সময়ে আওয়ামী নেতারা আরো দাম্ভিক, অহমিকাপূর্ণ আচরণ শুরু করেন গণমানুষের প্রতি। দুর্নীতিতে তারাও সমান পারদর্শিতা দেখান। মানুষ দাঁড়ানোর পথ খুঁজে না পেয়ে ২০০১ সালের নির্বাচনে আবার বিএনপি জোটের হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়। সে সঙ্গে মন্ত্রিত্ব পায় একাত্তরের আলবদর বাহিনীর দুই খুনি ও তাদের প্রেতাত্মা।

দেশে জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদ লালনে স্বীকৃত রাজনীতিকদের কি ভূমিকা ছিল তা আজো অজ্ঞাত। শায়খ রহমান কিংবা বাংলাভাই কখনই দেশে প্রধান কোনো নায়ক ছিল না। প্রধান নায়করা নেপথ্যে ছিল এবং এখনো আছে। ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের মূল্য যারা এখনো স্বীকার করতে চায় না, তারা অন্যভাবে ক্ষমতার মসনদ চায়। আর তা হচ্ছে জঙ্গিবাদ। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জরিপ, সমীক্ষার মতে বাংলাদেশ জঙ্গিবাদের উর্বর ভূমি হতে চলেছিল সে সময়। সে কথা আমরা গেল এর প্রায় এক দশক থেকেই শুনে আসছিলাম। যা রাষ্ট্রের জন্য, মানুষের জন্য ভয়ানক শঙ্কার কারণ ছিল।

পাকিস্তানের জঙ্গি মানসিকতা আর তারেক রহমানের মূর্খতার রাজনীতি বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক ফসল ও চেতনাকে ম্লান করতে পারবে না। কারণ এই শাণিত প্রজন্ম যে রক্তঢেউ বহন করছে- তা মুক্তিপাগল একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধার। মানুষকে ভাবতে হবে। একাত্তরে যে জাতি বিজয়ী হয়েছিল- তারা ২০১৪ তে এসে পরাজিত হতে পারে না- নৈতিকতার কাছে। ক্ষুদ্রস্বার্থ নয়, দেশপ্রেমের আলো চাই আজ বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে। চাই বিবেকের বিজয়।
----------------------------------------------
দৈনিক ভোরের কাগজ ॥ ঢাকা ॥ শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০১৪ প্রকাশিত

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:২১

নিলু বলেছেন: অপপ্রচারে কোন দল জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারে না তবে তর্ক যুদ্ধ শুরু করা যায় তাও সাময়িক এর জন্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.