![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]
বাড়ছে শঙ্কা, জাগ্রত হোক মুক্তিযুদ্ধের চেতনা
ফকির ইলিয়াস
===========================================
দেশে বিশ্ব ইজতেমা শুরু হয়েছে। একটা পক্ষ এই ইজতেমাকে ‘পিকনিক’ বলে মন্তব্য করেছে। তাদের কথা হলো, দেশ এখন রাজনৈতিকভাবে তাদের দখলে চাই। কীসের আবার ধর্মকর্ম! কী ধৃষ্টতা তাদের! আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের রাজপথ। কী হবে, কী হতে যাচ্ছে- এমন অনেক কথা। একটি সুবিধাবাদী সন্ত্রাসী গ্রুপ সক্রিয়, এরা মওকা পেলেই হামলে পড়তে পারে দেশের সাধারণ মানুষের ওপর। যারা সড়ক অবরোধ করছে এদের পরিচয় কি? এরা হলো মধ্যস্বত্বভোগী। সরকারের কাছে খবর আছে নাশকতা হতে পারে। তাই তারা বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা জোরদার করেছে। তার অফিসে কিংবা বাড়িতে থাকার নিরাপত্তাও সরকারকে দেয়া দরকার।
দেশ অবরুদ্ধ হয়েছে বিএনপির ডাকে। একটা কথা মনে রাখতে হবে, ১৯৯০ আর ২০১৫ এক সময় নয়। কেউ যদি ওই সময়ে ‘আপসহীন’ বলে খ্যাতি পেয়েও থাকেন এই ২৪/২৫ বছরে বাংলাদেশের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। প্রজন্ম এখন অনেক সচেতন হয়েছে। এখনকার তরুণ প্রজন্মের হাতে হাতে মোবাইল ফোন। মানুষ প্রযুক্তিকে তার দৈনন্দিন জীবনের অংশ হিসেবে বেছে নিয়েছে। মানুষ এখন এসএমএসের চত্বরে হাঁটে। দশ মিনিটে বিশ হাজার এসএমএস বিতরণ করা যায় চক্রবৃদ্ধি ক্রমে। মানুষ এখন আর জ্বালাও-পোড়াও কিংবা মৌলবাদী-জঙ্গিবাদী রাজনীতির দোসর হতে রাজি নয়। আশার কথা এই মানসিকতা আরো বাড়বে। ফলে এ প্রজন্ম সুবিধাবাদী রাজনীতিবিদদের ডাক থেকে দূরে সরে যাবে পর্যায়ক্রমে। মানুষ মান্ধাতার আমলের ওই মানসিকতা পরিত্যাগ করতে শুরু করেছে। তারা এখন রাজনীতির ঢাল না সেজে নিজের জীবন নিয়ে ভাবতে চায়।
যে কোনো গণতান্ত্রিক দেশে কোনো রাজনৈতিক দল ইলেকশনে না গেলে তাকে ধরে বেঁধে ইলেকশনে নেয়া অন্যের দায়িত্ব নয়। কেউ ভোট কেন্দ্রে না গেলে তাকে ওখানে নেয়া কি অন্যের দায়িত্ব? ইউরোপ-আমেরিকার সিংহভাগ মানুষই তো ভোট দিতে যায় না। আমরা দেখেছি, ৫ জানুয়ারি এমন বড় কিছুই বাংলাদেশে হয়নি। যে প্রাণহানি ঘটেছে, তা ও ঘটত না উসকানি না দিলে। বিএনপি নেত্রী ম্যাডাম খালেদা জিয়ার নিরাপত্তাও নিশ্চিত করেছে সরকার। যাতে তিনি কোনো নাশকতার শিকার না হন। ইতোমধ্যে আমাদের সাংবাদিক বন্ধুরা লিখেছেন, গেল রোববার দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ম্যাডাম ঘুমেই ছিলেন। তিনি ক্লান্ত, জানিয়েছেন তার আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন। সেটাই ভালো। মানুষজনও শান্তিতে ঘুমাক। মানুষকে অশান্ত করে তুলে লাভ কি? নিজেদের আখের গোছানো? গেল এক বছর তো মানুষ শান্তিতেই ছিল প্রায়। একটা প্রশ্ন আসতেই পারে বিএনপি যাদের স্বার্থ রক্ষা করে রাজনীতি করছে এরা আসলে কারা? এরা সেই মৌলবাদী শক্তি, যারা একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল। মনে রাখা দরকার, পরাজিত ওই শক্তির হাত ধরেই বাংলাদেশে ডানপন্থী রাজনীতির গোড়াপত্তন করেছিল বিএনপি। গেল কিছুদিন আগে, কথা হচ্ছিল সরকারি দলের একজন প্রভাবশালী সাংসদের সঙ্গে। তিনি বললেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় তাদের সরকার বদ্ধপরিকর। বললেন, এ জন্য নিজ দলীয় কোনো সন্ত্রাসীকেও তারা ছাড় দিচ্ছেন না। তার কথা শুনে আমি হেসে উঠি। বলি, সন্ত্রাসীদের আবার দল হয় নাকি? তিনি জবাব দেন। বলেন, না হয় না। তবে আরো কিছু রাজনৈতিক দল তো প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী পোষে। আমি বলি, জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে বলেই তো আপনাদের রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে নিরঙ্কুশ ভোট দিয়েছিল। হ্যাঁ, দুই-তৃতীয়াংশ ব্রুট মেজরিটি নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল মহাজোট সরকার।
সরকারের ভেতরে চরম সন্ত্রাসীরা ঢুকে গিয়ে নানা মতলব হাসিল করার ঘটনা বাংলাদেশে নতুন নয়। পঁচাত্তর-পরবর্তী সময়ে সামরিক শাসকরা যখন বাংলাদেশের গণমানুষের ওপর ঝেঁকে বসে তখনই সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রীয় আশ্রয় পাওয়ার মদদ পায়। রাজাকার, রাষ্ট্রদ্রোহী পেশিশক্তিকে আসকারা দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার অপচেষ্টা করেন ‘হ্যাঁ’ ‘না’ ভোট প্রদানকারী সামরিক জান্তারা। এরপরের ইতিহাস আরো মর্মান্তিক। এক সময়ের যুবমন্ত্রী আবুল কাশেমের বাসায় নিরাপদ আশ্রয় থেকে গ্রেপ্তার করা হয় গালকাটা কামাল, ইমদু প্রভৃতি শীর্ষ সন্ত্রাসীকে। আর সেভাবেই সন্ত্রাস লালনে আরেক ধাপ এগিয়ে এ দেশে দীর্ঘতম সামরিক শাসন কায়েম করেন জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এরশাদের ট্রাক উঠে গিয়েছিল গণমানুষের মিছিলের ওপর। নূর হোসেন, ডা. মিলন, শাহজাহান সিরাজ, রউফুন বসুনিয়া প্রমুখ অনেক মেধাবী নেতাকর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বিশেষ বাহিনী লেলিয়ে দেয়া হয় নিরীহ জনগণের ওপর। বাংলাদেশের মহান সংবিধানকে কারণে-অকারণে সংশোধনের নামে, দলীয় স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করা হয়। বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে একটি সংবিধান প্রণয়ন করা হয়েছিল। সেই সংবিধানে জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে একটি বাঙালির মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছিল। সেই সংবিধানটি হত্যা করেই সামরিক সুবিধাভোগীরা নতুন দল করেন। নতুন জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা সাজেন।
একটি কথা মনে রাখা দরকার, মহান মুক্তিযুদ্ধে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মণিপুরী, গারো, মারমা, হাজং, সাওতাল প্রভৃতি জাতি-উপজাতি, ধর্ম বিশ্বাসী মানুষ, কি চেতনা নিয়ে অস্ত্র হাতে নিয়েছিল? তা ছিল একটি স্বাধীন জন্মভূমি প্রতিষ্ঠা। একটি পরিশুদ্ধ সামাজিক রাষ্ট্র। সেই চেতনাটিকেই ভূলুণ্ঠিত করে রাজাকারদের মদদপুষ্ট সামরিক সরকার। দ্বিজাতিতত্ত্বের ধব্জাধারীরা ‘হিন্দু-মুসলমান’ তত্ত্ব বাধিয়ে যে রায়ট ঘটিয়েছিল, সেই চেতনার ছুরিতে শান দিতে উদ্যত হয় এই প্রতারক দুষ্টচক্র। বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি সেই দ্বিজাতিতত্ত্বের তকমাধারী। তারা যদি প্রকৃত অর্থে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি হিসেবে নিজেদের দাঁড় করাতে পারত, তাহলে বাংলাদেশের রাজনীতির প্রেক্ষাপট আজ ভিন্ন হতো। সেটা বিএনপি করেনি।
মনে পড়ছে, ১৯৯২ সালের ২৬ মার্চ ঢাকায় ঘাতক রাজাকার যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে ‘গণআদালত’ আয়োজনের তথাকথিত অপরাধে শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে ‘দেশদ্রোহী’ ঘোষণা করেছিল তৎকালীন বেগম খালেদা জিয়ার সরকার। সরকারি এ ঘোষণার পর আমার ফোনে কথা হয়েছিল শহীদ জননীর সঙ্গে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটির যুক্তরাষ্ট্র শাখার প্রতিষ্ঠাতা সহকারী সদস্য সচিব হিসেবে শহীদ জননীর ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য পাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। তার প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়ে আমি ফোন করার পর, মা জাহানারা ইমাম হেসে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘বাপু, একটা কথা তোমরা বুঝছো না কেন। আমি যদি দেশদ্রোহী হই তবে সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানও দেশদ্রোহী। কারণ তিনি সেই সময়ের রাষ্ট্র পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিলেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাওয়া সেই মুক্তিযুদ্ধেরই অসমাপ্ত কাজ। আমরা সেটাই চাইছি। তাতে যদি খালেদা জিয়ার সরকার আমাদের দেশদ্রোহী বলে তবে তা তো হাস্যকর ছাড়া কিছু নয়।’ বাংলাদেশে রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব এভাবেই প্রতিষ্ঠা করেছে একটি ডানপন্থী মহল। যারা এখনো জাতীয় ঐক্যের পথে অন্তরায় হয়েই আছে। এখনো তারা নিজেদের স্বার্থের জন্য চরম মিথ্যা আর গুজব ছড়াচ্ছে দেশবাসীর কাছে। ২০০১-২০০৫ সালে কী ঘটেছিল বাংলাদেশে- তা তো দেশের মানুষ ভুলে যায়নি। এই যে চরম শঙ্কা, এই যে ভীষণ হতাশা তা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কী? সেই প্রশ্নটি বারবার উঠছে প্রজন্মের মনে। প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকনের বাণী ধার করে বলি, ‘একটি জাতির আত্মপরিচয়ই সেই জাতিকে বলীয়ান করে তোলে।’
বাঙালি কি সে কথাটি ভুলতে বসেছে? বাঙালি প্রজন্ম কি সেই চেতনা হারাতে চলেছে? একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকার বিরোধী দলের কাজ কী তা কারোরই অজানা নয়। এর আগে যে প্রশ্নটি আসে, তা হচ্ছে কার রাজনীতি? কিসের রাজনীতি? রাজনীতি যদি গণমানুষের জন্য হয়, তবে তাতে সাধারণ মানুষের স্বার্থরক্ষা হবে না কেন? দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সহনশীলতার রাজনীতির স্বরূপ কী, তার সংজ্ঞা বিভিন্নভাবে নিরূপণ করা যায়। তবে শেষ কথা হচ্ছে, জনগণের মতামতকে সম্মান করলে তাদের রাজনৈতিক ইচ্ছা-অনিচ্ছার প্রতিফলনকেও সম্মান জানাতে হয়। আপনি হরতাল ডাকবেন, আমি সড়কে গাড়ি চালাব সেটাই গণতান্ত্রিক অধিকার। আপনি লোহার তীক্ষè পাত তৈরি করে আমার গাড়ির টায়ার পাঞ্চার করবেন কেন? যে অভিযোগ এনেছেন গোয়েন্দারা বিএনপি নেতা গয়েশ্বর রায়ের বিরুদ্ধে। তার ফোনালাপও এখন অনলাইনে।
বাংলাদেশের কতিপয় সুবিধাবাদী রাজনীতিকরা, যারা নৈতিকভাবে একাত্তরে পরাজিত হয়েছিলেন তারা শোধ নেয়ার জন্যই বাহাত্তরের সংবিধানটিকে কাটাছেঁড়া করেছেন নির্মমভাবে। বাংলাদেশের একটি মহল ধর্মের দোহাই দিয়ে সব সময়ই তাদের মতলব হাসিল করার চেষ্টা করে আসছে। সময় এসেছে এই চক্রটির সব অশুভ তৎপরতা রুখে দেয়ার। মনে রাখা দরকার, গেল ছয় বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন কন্তু কম নয়। বিশেষ করে শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন চোখে পড়ার মতো। হ্যাঁ- একটি প্রজন্ম শিক্ষিত হয়ে বেড়ে উঠলে অনেক সমস্যাই কমে যায়- তা কে না জানে।
মনে রাখতে হবে, সরকার যে কোনো সৃজনশীল কাজে হাত দিলেও একটি পক্ষ এর বিরোধিতা করবেই। কিন্তু সব বিরোধিতাকে পাত্তা দিলে তো জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না। দেশের মানুষ আসলেই পরিবর্তন চায়। এই পরিবর্তনের স্বরূপ কি তা সরকারকেই অনুধাবন করতে হবে। দেশের বিরোধী দল ক্রমশ হরতাল-অবরোধ প্রভৃতির হুমকি দেবে। এবং তা করাও শুরু করবে। তাই বিষয়গুলো মাথায় রেখেই সরকারকে সমকালের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অগ্রসর হওয়া উচিত। ১৯৭১ সালে মুক্তি সংগ্রামের যে সূর্যছটা মানুষ দেখেছিল, সেই স্বপ্নের রেশ ধরেই প্রজন্ম খুঁজছে সুখী বাংলাদেশের সুখ। আর এই সুখের প্রধান চাওয়াটি হচ্ছে, জানমালের নিরাপত্তা।
মানুষ ঐক্য চায়। বাংলাদেশে জাতীয় ঐক্যের রাজনীতির কথা এলেই সামনে চলে আসে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। দেশের ডানপন্থী একটি পক্ষ তরুণ প্রজন্মকে নানাভাবে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তারা প্রয়োজনে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে কিছু নেই’- এমন তত্ত্বও শোনাচ্ছে যত্রতত্র। যারা একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যার নায়ক ছিল, যারা একাত্তরে এ দেশের মা-বোনদের সম্ভ্রম লুণ্ঠন করেছিল, আজ তাদেরই মুক্তিত্রাতা হিসেবে সাজানোর আলোচনা চলছে! জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ-ভারত একযোগে কাজ করবে- এ ঘোষণা অনেকের গাত্রদাহের কারণ হতেই পারে। শীর্ষ সন্ত্রাসী বিনিময় চুক্তি কারো কারো তীব্র ক্ষোভের কারণ হতে পারে। কারণ শীর্ষ বন্দি সন্ত্রাসী এবং তাদের গ্রুপকে কাজে লাগিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে অশান্ত করার দীর্ঘতর চেষ্টা কাদের, তা বিভিন্ন ঘটনায় ইতোমধ্যেই বেরিয়ে পড়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সহনশীলতার রাজনীতি প্রতিষ্ঠা বাংলাদেশে খুব সহজ কাজ নয়। অথচ জাতীয় উন্নয়নে সেটাই প্রধান রক্ষাকবচ। যারা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, তাদের এখনো মনে আছে কী চেতনা বুকে নিয়ে তারা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। সেই শাণিত শক্তির আজ খুব বেশি প্রয়োজন। এ প্রজন্ম ৩০ লাখ শহীদকে ভুলে যায়নি। এ প্রজন্ম বাঙালি জাতিসত্তাকে বলীয়ান করেই বিশ্বে দাঁড়াতে চায়। একই স্বপ্ন অভিবাসী বাঙালি প্রজন্মের মননেও। এ সুযোগের দরজা অবারিত করে দিতে হবে। কারা এর প্রতিপক্ষ, তাদেরও চিহ্নিত করতে হবে। কারণ সত্যের প্রতিপক্ষ যে মিথ্যা, তা তো সবারই জানা। এই প্রজন্ম জানুক, দেখুক- কী স্বপ্ন বুকে নিয়ে তাদের পূর্বসূরিরা মহান মুক্তিসংগ্রাম করেছিলেন।
------------------------------------------------
দৈনিক ভোরের কাগজ ॥ ঢাকা ॥ শনিবার, ১০ জানুয়ারি ২০১৫ প্রকাশিত
২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:২৯
হরিসূধন বলেছেন: ফকিরের এই সব পুরান ফকিরি কথাবার্বতা !!!!!!
৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:০১
রাফা বলেছেন: শেখ হাসিনাকে দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যেতে হবে।কঠোর থেকে কঠোরতর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।বঙ্গবন্ধু যা করতে চেয়েছিলেন তার পুরোটাই করতে হবে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে।
পরাজিত শক্তি আর যাতে ক্ষমতায় এসে না বলতে পারে আঃ লীগ ক্ষমতায় ছিলো তারা কেনো এটা করেনি সেটা করেনি।সব কিছুর সফল পরিসমাপ্তি দেখতে চায় বর্তমান প্রজন্ম।
৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৪৪
কলাবাগান১ বলেছেন: ১১টি নতুন মেডিকেল কলেজ হচ্ছে... তাতে প্রথম আলো খুব অখুশী.......কিভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায় তার নানা ফাক ফোকর খুজে খুজে ১০ পয়েন্টের হেড লাইন করল যে কোন প্রস্তুতি ছাড়া মেডিকেল কলেজ চালু!!!!!!
অন্যদিকে মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের সই জাল করা বিবৃতি ছাপিয়েও কোন বিকার নাই তাদের উপরন্তু বিজেপি প্রধানের ফোন নিয়ে 'বিভ্রান্তি' বলেই নিজের দায় খালাস করার হীন্য প্রচেস্টা প্রথম আলোর.....
৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৪৫
নিলু বলেছেন: লিখে যান
৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৫৮
দ্যা আহমেদ মামুন বলেছেন: আপনিতো শোলআনাই ফকির।
৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ২:৫৮
হাসানুর বলেছেন: ফকিররাও মানুষ ! জামাত-বি এন পি জনগণকে সব সময় ফকিরই ভেবে এসেছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:০৪
খেলাঘর বলেছেন:
খালেদা জিয়া ব্যতিত বিএনপি চালালে কিছুটা সফলতা আসবে।