নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস

এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাষ্ট্রক্ষমতা চাই, কিন্তু কিভাবে?

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:৩৩




রাষ্ট্রক্ষমতা চাই, কিন্তু কিভাবে?
ফকির ইলিয়াস
======================================

সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের একটি কথা দিয়ে শুরু করতে চাই। তিনি বলেছেন, ‘আমরা সবাই অমানুষ হয়ে গেছি। আমাদের হৃদয় পাথর হয়ে গেছে। যেমন করে হোক ক্ষমতা চাই। মানুষ আমাদের কাছে কিছু না।’

তিনি বলেছেন, ‘আমরা মানুষকে ভালোবাসতে ভুলে গেছি। সংবিধানে বলা হয়েছে সমস্ত ক্ষমতার মালিক এই মানুষই অর্থাৎ জনগণ। কিন্তু আমরা সব ভুলে গেছি। আমরা রাজনীতিবিদরা নিজেকে মনে করি দেশের মালিক। সব সম্পদ আমাদের। দেশের মানুষ আমাদের প্রজা।’

এরশাদ একটা সংলাপের কথা বলছেন। তিনি এ বিষয়ে চিঠিও দিয়েছেন প্রধান দলগুলোকে। আওয়ামী লীগ-বিএনপি এতে সাড়া দেয়নি বলেও তিনি জানিয়েছেন সাংবাদিকদের। দেশ আসলে কোনদিকে যাচ্ছে, তা বলা খুবই কঠিন এই মুহ‚র্তে। বিএনপি খুব ভালো করেই জানে তারা তাদের শেষ শক্তি প্রয়োগ করছে। না হয় তারা এভাবে লাগাতার অবরোধ, এবং প্রায় লাগাতার হরতাল দিতে পারত না কিংবা দিত না। অনেকে বলেন, বিএনপি এক বছর অপেক্ষা করেছে। তারা নির্বাচনে অংশ নেয়নি কেন? তারা বলছে, আওয়ামী লীগের অধীনে তারা নির্বাচনে যাবে না। এটাই যদি শেষ কথা হয়, তাহলে কিভাবে ফয়সালা হতে পারে এই চরম সংকটের?

ক্রমশ মুখথুবড়ে পড়ছে বিভিন্ন সেক্টর। খবর বেরিয়েছে, চলমান রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় পোশাক কারখানা পরিদর্শন এবং সংস্কার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। নিরাপত্তাজনিত সমস্যায় পরিদর্শকরা কারখানায় যেতে পারছেন না বলে জানিয়েছে ইউরোপের ক্রেতাদের জোট অ্যাকর্ড অন ফায়ার এন্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ বা অ্যাকর্ড। এর প্রভাব কতদূর গড়াতে পারে, তা ভাবা দরকার।

চলমান সংকট জিইয়ে রেখে সংলাপ সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এ টি এম শামসুল হুদার প্রেরিত পত্রে সংলাপ শুরুর সম্ভাবনাকে নাকচ করে দিয়েছেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘সংলাপের প্রস্তাব অবাস্তব ও অগ্রহণযোগ্য। যে সব ব্যক্তি সংলাপের জন্য চিঠি দিয়েছেন সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতাকে আড়াল করার জন্যই তারা এটা করেছেন। বিএনপি-জামায়াত জোটের সঙ্গে সরকার ও আওয়ামী লীগকে একই কাতারে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন তারা।’ তিনি বলেন, ‘যারা পেট্রলবোমা মেরে মায়ের কোল খালি করেছে তাদের সঙ্গে সংলাপের প্রশ্নই আসে না। সে ক্ষেত্রে শামসুল হুদা কেন, কারো প্রস্তাবেই কোনো সংলাপ হবে না। সংলাপের কথা যারা বলছে তারা পরোক্ষভাবে জঙ্গি তৎপরতার পক্ষ নিচ্ছে।’ আমরা দেখেছি, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা স¤প্রতি ভারত সফর করে এসেছেন। ভারত সফরকালে গেল ২৬ জানুয়ারি ২০১৫ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সিনিয়র পরিচালক ফিল র‌্যাইনার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরো জানিয়েছেন, এই আলোচনা অব্যাহত আছে।

বাংলাদেশ ভারতের প্রতিবেশী দেশ। আর ভারত আমেরিকার চলতি সময়ের প্রধান মিত্র। আমেরিকার ব্যবসা-বাণিজ্যের অন্যতম ঘাঁটিও এখন ভারত। বিশেষ করে প্রযুক্তির একটা বড় মার্কেট করে নিয়েছে আমেরিকা ভারতে। যেহেতু আইটি ফিল্ডের শ্রম ভারতে সস্তা, তাই ভারত তাদের অন্যতম টার্গেট। অতএব সেই হিসেব থেকে যুক্তরাষ্ট্র কোনোমতেই চাইবে না- ভারতের প্রতিবেশী বাংলাদেশে একটা মৌলবাদী, জঙ্গিবাদী শক্তির উত্থান ঘটুক। বাংলাদেশের জঙ্গিবাদের শঙ্কা নিয়ে ভারত দীর্ঘদিন থেকেই উদ্বিগ্ন। সেই হিসেবে, যারা বাংলাদেশে এই জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডের মদদ দিচ্ছে, তাদের ব্যাপারেও ভারত বেশ সজাগ। কথা হচ্ছে, এই যে চিহ্নিত মহল- এরা বাংলাদেশকে বারবার পিছু টানছে কেন?

কেন তারা বাংলাদেশের উন্নয়ন, রাজনৈতিক প্রজ্ঞার স্বীকৃতি দিয়ে প্রকৃত রাজনীতিকের মতো আচরণ করছে না? সদ্য প্রকাশিত সংবাদে আমরা দেখেছি, উপক‚লরক্ষী বাহিনীর জন্য বাংলাদেশ থেকে জাহাজ কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে মালদ্বীপ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতে জাহাজ কেনার আগ্রহের কথা জানান মালদ্বীপের চিফ অফ ডিফেন্স ফোর্স মেজর জেনারেল আহমেদ সিয়াম। আরেকটি আশাপ্রদ খবর হচ্ছে সৌদি আরবে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগের বাজারটি উন্মুক্ত হওয়া। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল তেলসমৃদ্ধ দেশ সৌদি আরব, যা এ বছর তুলে নেয়া হয়।

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার গৃহকর্মী নিতে চুক্তি করেছে সৌদি আরব। প্রবাসী কল্যাণ সচিব মো. ইফতেখার হায়দার ও সৌদি আরবের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপমন্ত্রী আহমেদ আল ফাহাদ এই সমঝোতা স্মারকে সই করেছেন ইতোমধ্যেই। এই যে ক‚টনৈতিক সফলতা, এর দাবিদার তো বর্তমান সরকারই।

তারপরও বাংলাদেশকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে চরম বর্বরতার দিকে। মানুষকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। ঘৃণ্য আদিমতা ঘিরে রাখছে আজকের বাংলাদেশের প্রতিটি সকাল। ভোরে জেগেই এ দেশের মানুষ শুনছে- দেশের কোথাও না কোথাও সহিংসতার কথা। চরম রক্তপাতের কথা। পুড়িয়ে খুন করা হচ্ছে। খুনিরা দায় অস্বীকার করে বিবৃতি দিচ্ছে। কি নগ্ন রাজনীতি বাংলাদেশের চারপাশে।

বিশ্বে বেশ কিছু বিষয় আছে যা খুবই সংবেদনশীল সবসময়ই ছিল। এখনো আছে। এর প্রধান বিষয়টি হচ্ছে ধর্ম। ধর্মের কথা শুনলেই আমাদের অনেকেরই বুক কেঁপে ওঠে। আমরা ক্রমশ ঋজু হয়ে যাই একটি নীতিমালার কাছে। নিবন্ধনের কাছে। খোঁজ করলে দেখা যাবে, প্রতিটি ধর্মের মৌলিক চেতনা কিন্তু এক। সব অসত্য, সব দীনতা, সব অন্যায়ের বিরুদ্ধেই কথা বলেছে প্রতিটি ধর্মগ্রন্থ। কিন্তু ধর্মীয় চেতনাকে সৃজনশীলতার আলোকে কাজে না লাগিয়ে তাকে মৌলবাদী চেতনায় কাজে লাগালে এর ফল কি দাঁড়াতে পারে? এর উদাহরণ আমরা এখন প্রায়ই দেখছি।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেশ কিছু মুখোশধারী মানুষ আছে, যারা পোশাক-পরিচ্ছদে আধুনিক দাবি করলেও মূলত ধারণ করে হীন আদিমতা। এরা নিজেরা ধর্ম পালন করে না। কিন্তু অন্যকে ধর্মীয় উসকানি দিতে আরামবোধ করে। এভাবেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে দখল নিয়েছে শঠতা। ভেবে অবাক হই, বাংলাদেশের এক ধরনের স্বঘোষিত শিক্ষিত শ্রেণি এই গোঁড়ামি, জাহেলিয়াতের পরোক্ষ পৃষ্ঠপোষক। রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের প্রয়োজনে তারা অনৈতিক-অন্যায় কাজগুলোর পক্ষেও তালিয়া বাজাচ্ছেন। আর তাদের সামনেই ধ্বংস হচ্ছে একটি প্রজন্ম। অথচ তাদের সন্তানরা পড়ছে ইউরোপ-আমেরিকায়। নিদেনপক্ষে ভারতের কোনো ইংলিশ স্কুলে। হিপোক্র্যাসি আর কাকে বলে!

আর একটি শ্রেণি আছে, যারা মনের অজান্তেই লালন করে বর্বরতা। তারা ধর্মের নামে নৃশংসতার বিরুদ্ধে কথা বলা কে পাপের শামিল মনে করে। গণতান্ত্রিক দেশের মানুষদের এই বিষয়টি গভীরভাবে অনুধাবন করতে হবে। কোনো ধরনের ভণ্ডামিই সমাজ নির্মাণে কল্যাণকর ভূমিকা রাখতে পারে না। অতীতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না। কামানের বিরুদ্ধে ঢিল ছোড়া যাবে। কিন্তু তাতে লাভ হবে কি? শোষণটা সাম্রাজ্যবাদের হোক, আর মৌলবাদের হোক- এর স্বরূপ, গতিপ্রকৃতি এক এবং অভিন্ন। কোনো আধিপত্যবাদই মানুষের অগ্রসরমানতার প্রয়োজনে দরকারি নয়। সুশিক্ষা মানুষের মনের প্রখর জানালা খুলে দেয়। আর সে জন্যই প্রকৃত শিক্ষিত হয়ে গড়ে ওঠার কোনো বিকল্প নেই। আমার বেশ হাসি পায়, যখন দেখি কোনো কোনো অর্বাচীন জেনে বুঝেই বর্বরতাকে সাপোর্ট দেয়। বাংলাদেশের আজকের অবরোধ-হরতালের এলিট-সাপোর্টাররা সেই দলেরই অন্তর্ভুক্ত। না হয় তারা একটিবার ১৫ লাখ পরীক্ষার্থীর পক্ষে একটি কথাও বলছে না কেন? বিএনপি-জামায়াত জোট রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে চায়। এর উপায় কি? সহিংসতা? যে তারেক রহমান ইংল্যান্ড থেকে কলকাঠি নাড়ছেন, তার অতীত কি ভুলে গেছে বাংলাদেশের মানুষ? তিনি তো দলটিকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালিত করতে পারতেন। করেননি কেন? করেননি এ জন্য, বাংলাদেশে মৌলবাদী রাজনীতির পা না চাটলে ভোট করা যাবে না। বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। এর অর্থ এই নয়, এ দেশে জঙ্গিবাদী রাজনীতি কায়েম করা যাবে।

স¤প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক জন এম ওউয়েন, তার ‘কনফ্রন্টিং ইসলাম : সিক্স লেসেনস ফ্রম দ্য ওয়েস্ট’স পাস্ট’ বইতে পশ্চিমা বিশ্ব কিভাবে রাজনৈতিক ইসলামকে মোকাবেলা করবে, এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বইটি নিয়ে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে লেখক জন ওউয়েন তুলে ধরেন বইতে উল্লেখ করা বিভিন্ন বিষয়।

তিনি বলেছেন, ‘আমি শুরু করতে চাই এই বলে যে ইসলামি জঙ্গিবাদ হচ্ছে বিস্তৃত একটি বিষয় যেমনটি আমরা অতীতের পশ্চিমা ইতিহাসেও দেখেছি- যাকে আমি বলি বহুজাতিক আদর্শগত সংঘাত-সমাজকে নেতৃত্বদানের প্রতিযোগিতা’। তিনি আরো বলেন, ‘১৯২৮ সালে মিসরে হাসান আল বানা প্রতিষ্ঠা করেন মুসলিম ব্রাদারহুড। তারা কুরআন ও সুন্নাহ অনুযায়ী সমাজ চলবে বলে ঘোষণা করে। ইরানেও একই রকমভাবে চরম ইসলামপন্থী গোষ্ঠীর অভ্যুদয় ঘটে। শুরু হয় ইসলামপন্থী ও ধর্মনিরপেক্ষ গোষ্ঠীর দ্ব›দ্ব। গত কয়েক দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যে এ দ্ব›দ্ব চরম আকার রূপ নেয় যাতে ধর্মনিরপেক্ষদের চেয়ে ইসলামপন্থী উগ্র জঙ্গিবাদীরা শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এক সময় তাদের নিজেদের মধ্যেকার বিভিন্ন দলের মধ্যে শুরু হয় অন্তর্কলহ যা চলছে এখনো’।

তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান অবস্থা পশ্চিম ইউরোপের অতীতের অস্থিতিশীল অবস্থার পুনরাবৃত্তি নয় কিন্তু মিল রয়েছে। ইউরোপে যেমন সংগ্রাম, বিদ্রোহ বিদেশি হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটেছিল যার ঠিক পুনরাবৃত্তি নয় কিন্তু অনুরূপ চিত্র দেখা যাচ্ছে গত কয়েক দশক ধরে মধ্যপ্রাচ্যে’।

তিনি বলেন, বৈধতার সংকট, আদর্শের সংগ্রাম, বিদেশি হস্তক্ষেপ, নেতৃত্বের দ্ব›দ্ব, বহুজাতিক আদর্শগত দ্ব›দ্ব বিদ্রোহ, এর সবই চলছে মধ্যপ্রাচ্যের বহু দেশে; যার শুরু চরমপন্থী ধর্মীয় গোষ্ঠী আর ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির সংঘাতের মধ্য দিয়ে।

অধ্যাপক জন এম ওউয়েন বলেন, ‘এভাবেই একবিংশ শতাব্দীতে ইসলামি মৌলবাদ আর ধর্মনিরপেক্ষ গোষ্ঠীর সংঘাত শুরু হয় যার ফলে মধ্যপ্রাচ্যে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি দুর্বল হয় এবং ইসলামপন্থী জঙ্গিবাদী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে’।

দক্ষিণ এশিয়ায়, বিশেষ করে বাংলাদেশে ইসলামি জঙ্গিবাদের উত্থানের কোনো সম্ভাবনা আছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তিনি আশা করেন জঙ্গিবাদ বিরোধী শক্তির কাছে তারা টিকতে পারবে না।

তিনি যুক্ত করেন, ‘আমি আশা রাখি বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ বিরোধী শক্তি ইসলামি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেবে। আমার একই আশাবাদ পুরো দক্ষিণ এশিয়ার বেলাতেও’। বাংলাদেশের মানুষ আশাবাদী। তারা জানেন, এই আঁধার থাকবে না। আলো উঠবেই। থামবেই সব কালোশক্তির থাবা।
---------------------------------------------------------------
দৈনিক ভোরের কাগজ ॥ ঢাকা ॥ শনিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ প্রকাশিত

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.