![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]
মানুষ কি এভাবে জিম্মি হতেই থাকবে ?
ফকির ইলিয়াস
========================================
চারদিকে তীব্র শংকার পদধ্বনি। গোটা বিশ্বজুড়ে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যত। আইএস-এর হাতে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে জিম্মি হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কেউ সেবা
দিতে ওই দেশসমূহে গিয়েছিলেন- তারাও রেহাই পাচ্ছেন না।
গেল দুইমাসে বাংলাদেশে কি ঘটেছে, তা সবাই জানেন। মানুষ বাঁচতে চায়। কিন্তু উপায় নেই। কেন নেই ? স্বাধীনতার মাস এই মার্চ। এদেশের মানুষ একটি স্বপ্ন দেখেছিল, তা ছিল শান্তিতে বেঁচে থাকার স্বপ্ন।
আমর দেখছি গোটা বিশ্বে সভ্যতার বিবর্তন ঘটছে। আর তা ঘটছে মানুষের আদিমতা পরিহারের পর থেকেই। মানুষ তার নিজস্ব অভিধায় অভিষিক্ত করছে নিজেকে। এই অভিধা সৃজনের। এই প্রচেষ্টা নতুনকে বরণ করে নেয়ার। এর মাঝে কোনো ধ্বংস নেই। নেই ভাঙনের কোনো জোয়ার। তারপরও যারা রক্তাক্ত মৃত্তিকার ধুলিতে দাঁড়িয়ে উল্লাসে নাচে, এরা আসলে কি চায়? তাদের সুপ্ত ইচ্ছেটি কি? তাদের লক্ষ্যবিন্দুই বা কোথায়?
মানবতার পক্ষে দাঁড়াবে বলে মানুষ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল। প্রতিটি ধর্ম সে চেতনাটি ধারণ করেছে। ‘নরহত্যা মহাপাপ’-তা প্রতিষ্ঠিত যে কোনো ভাষাতেই। যে কোনো ধর্মগ্রন্থে। তাহলে এখন বিশ্বে যে যুদ্ধ চলছে তা কি ধর্ময্দ্ধু? ধর্মপ্রতিষ্ঠার যুদ্ধ? ধর্ম তো শান্তির কথা বলে। শৃঙ্খলার কথা বলে। হত্যা করে, ত্রাস সৃষ্টি করে তবে কি শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। প্রশ্ন উঠছে- এমন অনেক।
একাত্তরে হত্যা করা হয়েছে বাংলাদেশের মেধাবী সন্তানদের। এরা দেশের অগ্রসরমান বীর সন্তান ছিলেন। একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যা ঘটেছিল এই বাংলাদেশে। যারা বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছিল, তাদের পক্ষ সমর্থন করেছে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।ফলে ঘাতকরা মদদ পেয়েছে। পেয়েই যাচ্ছে। নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করছে বারবার।
আমরা ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখবো,ত্রাস, খুন কিংবা হিংসাত্মক অপশক্তির মুখোমুখি দাঁড়াতে হয়েছে উপমহাদেশের রাষ্ট্রনায়কদেরও। ভুট্টোর ফাঁসি হয়েছে।খুনিদের হাতে মুজিব নিহত হয়েছেন স্বপরিবারে। প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, রাজীব গান্ধী, বেনজির ভুট্টো, ইন্দিরা গান্ধী কেউই রেহাই পাননি। কি নৃশংস হত্যাকান্ড ! কেন এমন দানবেরা বারবার হুমড়ি খেয়ে পড়ছে? কি লক্ষ্য তাদের? নতুন কোন সভ্যতা প্রতিষ্ঠা? না, তা ভাবার কোনো অবকাশ নেই। এদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে প্রতিষ্ঠিত সভ্যতাকে বিনষ্ট করা। মানব সমাজের যাপন প্রণালীকে ব্যাহত করা।
উগ্র মৌলবাদ কিংবা জিহাদি জঙ্গি চেতনার বীজ উপমহাদেশে বপন করা হয়েছে বিভিন্নভাবে ব্রিটিশ শাসন থেকে গণতান্ত্রিক উপায়ে। মুক্তির সংগ্রামের পাশাপাশি একটি চক্র সে সময়ই ব্যস্ত ছিল ধর্মীয় উন্মাদনাকে কাজে লাগিয়ে ফয়দা লুটতে। তারা সব সময়ই ছিল দোটানায়। ফলে তারা স্বার্থের প্রয়োজনে সারি পাল্টিয়েছে বিভিন্নভাবে। ‘তাহফীমুল কোরআন’ গ্রন্থের প্রণেতা মওলানা আবুল আলা মওদুদী উপমহাদেশে সেই বীজ বপন করেছেন খুব সূক্ষ্মভাবে। তার এই গ্রন্থটির প্রতিটি খন্ড পড়লেই বোঝা যাবে তিনি ধর্মের নামে জিহাদি জোশের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন কি কৌশলে!
বর্তমান সময়ে ধৃত বিভিন্ন জঙ্গিদের কাছে যেসব পুস্তকাদি পাওয়া যায় বা যাচ্ছে সেগুলোতে এসব জিহাদি চেতনাকেই বিতরণ করা হয়ে থাকে। এর শিকড় কোথায় তা বুঝতে অসুবিধা থাকার তো আর কোনো কারণ নেই।
অতিসম্প্রতি একটি সংবাদ অনেককে ভাবিয়ে তুলেছে। ইরাক ও সিরিয়ার জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস-এর প্রতি আনুগত্যের স্বীকার করেছে নাইজেরিয়ার জঙ্গিগোষ্ঠী বোকো হারাম। ইন্টারনেটে অডিও বার্তায় বোকো হারামের নেতা আবুবকর শেকাউ পরিচয়ে এক ব্যাক্তি এ ঘোষণা দেন। সেখানে ‘মুসলিমদের খলিফা ইব্রাহিম ইবনে আওয়াদ ইবনে ইব্রাহিম আল-হুসেইনি আল কুরেশি’র প্রতি বোকো হারামের আনুগত্যের ঘোষণা দেয়া হয়। সিএনএন ও বিবিসি খবরটি ফলাও করে প্রচার করেছে। তবে অডিও বার্তাটি কতটুকু আসল, তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খবর সত্যি হলে আইএস ও বোকো হারাম উভয়ই লাভবান হবে। সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর কার্যক্রম সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ জ্যাকম যেন বলেন, অডিও বার্তাটি সঠিক বলেই মনে হচ্ছে। অন্যান্য বার্তা ভুয়া প্রমাণিত হলেও, এখানে শেকাউ নিজেই কথা বলছিল। তিনি বলেন, এর ফলে বোকো হারাম একটি ‘বৈধতা’ পাবে। যার ফলে সদস্য নিয়োগ, তহবিল ও রসদের ব্যাপারে সাহায্য পাবে বোকো হারাম। এছাড়া পশ্চিম আফ্রিকায়ও নিজেদের জঙ্গি রাজত্ব কায়েমের ব্যাপারে গণমাধ্যমে ও অন্যান্য মাধম্যে প্রচারণা চালানোর ব্যাপারে আইএস-এর সহযোগীতা পাবে। এর আগে বোকো হারাম বৈশ্বিক জঙ্গি সম্প্রদায়গুলোতে অনেকটা নির্বাসিত ছিল।
এর পরের সংবাদে জানা গেছে, নাইজেরিয়ার কট্টর ইসলামপন্থী জঙ্গি সংগঠন বোকো হারামের আনুগত্যতা গ্রহণ করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
প্রকাশিত এক অডিও বার্তায় নিজেকে আইএসের মুখপাত্র দাবি করা মুহাম্মদ আল-আদনানি বলেন, খিলাফত প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য এখন পশ্চিম আফ্রিকা পর্যন্ত বিস্তৃত হলো। তিনি পশ্চিম আফ্রিকার সংগঠনেও মুসলমানদের যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান। তবে ওই ভিডিওটি আসল কি না, তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
বোকো হারামের প্রতি সমর্থন বজায় রাখার কথা জানান আল-আদনানি। পাশাপাশি ওই অডিও বার্তায় সিরিয়া ও ইরাকে আইএস নিয়ন্ত্রিত বেশ কিছু এলাকা ইরাকি বাহিনীর পুনর্দখলের খবর অস্বীকার করা হয়।
সার্বিক পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াব হতার দিকে যাচ্ছে, তা বলাে অপেক্ষা রাখে না।এর সমাধান কি ? কীভাবে মানুষ দাঁড়াবে শান্তির ছায়াতলে ?
উগ্র মৌলবাদের প্রথম লক্ষ্যবিন্দুই হচ্ছে রাষ্ট্রের ভিতকে নড়বড়ে করে তোলা। তারা সেটাই করছে। ক্রমশ বিস্তৃত হচ্ছে তাদের বলয়। এটা মারাত্মক শঙ্কার কারণ! এদের দমনের যে পথগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে তা কি যথার্থ? প্রশ্ন আছে তা নিয়েও।
পাকিস্তানের লাল মসজিদে সেনা অভিযান কি সে দেশে জঙ্গি দমন করতে পেরেছে? পারেনি। পাকিস্তানে কয়েকবছর আগে আক্রান্ত হয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট খেলোয়াড়রা। কি জঘন্য মানসিকতা। এই সেই বিষধর জঙ্গিবাদ যারা খেলোয়াড়কে খেলতে দেবে না, গায়ককে গাইতে দেবে না, শিল্পীকে আঁকতে দেবে না, লেখককে লিখতে দেবে না। তারপরও মানুষ কি হাত গুটিয়ে বসে থাকবে? কিছুই করবে না- করতে পারবে না এদের বিরুদ্ধে?
পারতে হবে। না পেরে উপর নেই। এই অপশক্তি সমাজে আস্কারা পেলে মানবিকতা হারিয়ে যাবে চিরতরে। এরা জ্ঞানবিজ্ঞানের উৎকর্ষকে শুধু অস্বীকারই করছে না, বরং শিল্প সংস্কৃতির মননও মেধাকে বিনাসের মাঠে থেমেছে। তারা হাঁকছে ‘সুশান্তি’ ‘সুশাসন’ প্রতিষ্ঠার বুলি। কিন্তু নিরপরাধ মানুষ হত্যা করে কি শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব?
তাদের আরেকটি হাতিয়ার আছে। তা হচ্ছে সামন্তবাদের বিরুদ্ধে তাদের বক্তব্য। তারা বলতে চাইছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বে যে সাম্রাজ্যবাদ প্রতিষ্ঠা করেছে, তা ভাঙতেই ‘জিহাদ’ করছে তারা। এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা এলেই আমার মনে পড়ে মধ্যপ্রাচ্যের বাদশাহী প্রথার কথা। মধ্যপ্রাচ্যের ‘কিং’ সম্প্রদায়, যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের ক্ষমতার চাকা হিসেবে ব্যবহার করছেন। তারা জানের যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সমর্থন ছাড়া তাদের বাদশাহী অচল হয়ে পড়তে পারে। দেশের জনগণ বিদ্রোহ করতে পারে। গণতন্ত্র চাইতে পারে। সেই সুযোগে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিজস্ব সেনা স্থাপনা নির্মাণ করে রেখেছে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন শহরে। এই সুযোগে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের ফায়দাও হাসিল করছে। বাদশাহীকে নিরাপত্তা দেশের নামে অর্থনৈতিক মুনাফা লাভ। স্বার্থটা দ্বিপাক্ষিক। তাই তা নিয়ে বেশি কথা বলে লাভ কি?
না, মধ্যপ্রাচ্যের ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য মৌলবাদী জঙ্গিরা সংগ্রাম করছে না। তাদের মতলব ভিন্ন। তাদের ইসলামের ঝাণ্ডা মওদুদীবাদী চেতনায় শানিত! আর সেজন্যই বিন লাদেনের প্রধান আস্তানাই ছিল পাক-আফগান সীমান্ত। সেখান থেকেই এখন পরিচালিত হচ্ছে বিশ্বে ইসলামী মৌলবাদের প্রধান তত্ত্বকর্ম, এমন কথাই মিডিয়ায় আসছে বার বার। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলো থেকেও তরুণ-তরুণীদের সংগঠিত করা হচ্ছে, যে মৌলবাদী শক্তির ছায়াতলে, ইসলাম ধর্মের প্রকৃত চেতনা- কখনোই তাকে স্বীকৃতি দেয়নি।
ধর্মীয় তমদ্ডুনের কথা বলে প্রকৃত লক্ষ্য হচ্ছে, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে বিপন্ন করে তোলা। কিন্তু এই যে বিকল্প সভ্যতার পথ খোঁজা হচ্ছে- তা কি শান্তি এনে দিতে পারবে?
পারবে না। পারার কথাও নয়। বরং সামাজিক হিংস্রতা বাড়াবে। বাড়াবে নিরাপত্তাহীনতা। তা দমনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সরকারি সমন্বিত উদ্যোগ দরকার।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সাম্প্রদায়িক শক্তির দাপট প্রকট রূপ লাভ করছে।
যদি তা এভাবে বাড়তে থাকে তবে পরমাণু শক্তিধর পাক-ভারতের নাকের ডগার ওপর মার্কিনী স্থাপনার আধিপত্য দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে।
রক্তাক্ত জেহাদের মাধ্যমে মানুষকে যারা মুক্তির পথ দেখাতে চাইছে তারা নিজেরাই ভ্রান্ত মতবাদী। বিষয়টি সবাইকে অনুধাবন করতে হবে।
বারাক ওবামার জঙ্গীদমন নীতি যতটা সমালোচিত হচ্ছে আজ বিশ্বে, সেই সাথে মানুষ
এটাও খুঁজছে বিশ্বশান্তির অন্তরায় কারা ।
একটি সংবাদ অনেকেরই নজরে এসেছে।
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গড়ে উঠতে দেবেননা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।
তিনি স্পষ্ট করেই বলেছেন যে এবার পুন:নির্বাচিত হলে তিনি কিংবা তিনি ক্ষমতায় থাকতে কখনো ফিলিস্তিন নামে রাষ্ট্র গড়ে উঠতে দেয়া হবে না। ইসরাইলের সাধারণ নির্বাচনের আগের সন্ধ্যায় তিনি এই বক্তব্য দেন। এটা কিসের লক্ষণ ?
গত কিছুদিন আগে, মধ্যপ্রাচ্যে ইসলামিক স্টেট (আইএস) বিরোধী লড়াই ও ইরানের পরমাণু কর্মসূচি প্রতিহত করার প্রত্যয় নিয়ে নতুন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসবিরোধী বিমান হামলায় মার্কিন নেতৃত্বে অংশ নিয়েছে সৌদি আরব।
ভারত সফর শেষ করে ২৯ সদস্যের বিশাল এক প্রতিনিধি দল নিয়ে সৌদি পৌঁছান ওবামা। সে দেশের মরহুম বাদশাহ আবদুল্লাহর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন এবং নতুন বাদশাহর সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতেই এ সফরে গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এই সফরের জন্য ভারতে নির্ধারিত সফর সংক্ষিপ্ত করেন।
ওবামার সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেন বাদশাহ সালমান। পরে দুই নেতা এক ঘণ্টার বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে ইসলামী স্টেটের বিরুদ্ধে পরিচালিত মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের সামরিক অভিযান নিয়ে আলাপ করেন দুই নেতা। পশ্চিমা এবং আরব দেশগুলোকে নিয়ে গঠিত এই সামরিক জোটের অন্যতম সদস্য হচ্ছে সৌদি আরব। গত কয়েক মাস ধরে ইরাক ও সিরিয়ায় আইএসের যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা চালাচ্ছে এই জোট। তবে রিয়াদের সন্দেহ যুক্তরাষ্ট্র এ অঞ্চলের সংঘাত বন্ধ ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধে প্রয়োজনীয় ভূমিকা রাখছে না। এছাড়া বৈঠকে ইয়েমেনের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এবং বিশ্ব তেল বাজারে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার বিষয়েও আলাপ করেন তারা। মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি আরও জানায়, ওবামা দেশটিতে মানবাধিকার লংঘনের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এই উদ্বেগের শেষ কোথায়? বিশ্বের মানুষ দখলের যে ত্রাস দেখছে- তা আদৌ বন্ধ
হবে কি ? যদি না হয়, তাহলে শান্তির মুখ কিভাবে দেখবে বিশ্বের মজলুম মানুষ ?
বিশ্বের প্রায় সর্বত্রই মানুষ আজ জিম্মি। এমন কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও সাধারণ মানুষকে শংকা বুকে নিয়ে চলতে হচ্ছে। এর স্থায়ী সমাধান কি ? মানুষ যদি চিত্তের
স্বাধীনতা না পায়, তাহলে নিজেকে সৃজনের পথে গড়ে তুলবে কিভাবে ?
-----------------------------------------------------------------
দৈনিক ভোরের কাগজ ॥ ঢাকা ॥ রোববার ২২ মার্চ ২০১৫ প্রকাশিত
©somewhere in net ltd.