নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস

এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচন ও বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির আলো

১৬ ই মে, ২০১৫ সকাল ৯:০২




ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচন ও বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির আলো
ফকির ইলিয়াস
=============================================

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নির্বাচন শেষ হয়েছে। কনজারভেটিভ পার্টি আবারো সে দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসছে। সেটাই অনুমান করেছিলেন পশ্চিমা বিশ্লেষকরা। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যখন ডেমোক্রেটরা ক্ষমতায় থাকে, তখন তারা পারতপক্ষে চায় ব্রিটেনে লেবার পার্টি ক্ষমতায় না আসুক! না কথাটা আমার নয়। তা একজন মার্কিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানী আমাকে বলেছিলেন। কারণ তখন আমেরিকার ‘চেক এন্ড ব্যালেন্স’ বিষয়টি নাকি সুবিধার হয়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করেছেন ব্রিটিশরা। বিজয়ের পর হাস্যোজ্জ্বল ক্যামেরন তার ভাষণে এ বিজয়কে সবার জন্য ‘মধুরতম বিজয়’ বলে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আমরা এক জাতি, এক দেশ, অখণ্ড ব্রিটেন চাই। নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর ক্যামেরনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে দেখা করে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন ক্যামেরন।

অন্যদিকে ব্রিটিশ লেবার পার্টিতে নেমে এসেছে হতাশার ছায়া। লেবার পার্টির নেতা এড মিলব্যান্ড পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি গভীর দুঃখ প্রকাশ ও হতাশা ব্যক্ত করে দলীয় প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগ করেছেন লিব-ডেম নেতা ও উপ-প্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগ ও ইউকিপ নেতা নাইজেল ফারাজও।

নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর ৬৫০টি আসনের মধ্যে কনজারভেটিভ পার্টি সবাইকে অবাক করে দিয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ ৩৩১টি আসন পেয়েছে। সরকার গঠনে তাদের প্রয়োজন ৩২৬ আসন। ২০১০ সালের নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টি ৩০৭ আসন পেয়েছিল। অন্যদিকে লেবার পার্টি ২০১০ সালে ২৫৮টি আসন পেলেও এবার ২৩২টি আসন পেয়েছে। অন্যদিকে কনজারভেটিভদের জোটসঙ্গী উপ-প্রধানমন্ত্রী নিক ক্লেগের লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (লিব-ডেম) শোচনীয় পরাজয় বরণ করেছে। ২০১০ সালে তারা ৫৭টি আসনে জয় পেলেও এবার মাত্র ৮টি আসন পেয়েছে তারা। ওই নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন না পাওয়ায় লিব-ডেমের সঙ্গে জোট বেঁধে কনজারভেটিভ পার্টি জোট সরকার গঠন করে।

ভোটের হিসাবে কনজারভেটিভরা ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে। লেবার পার্টি পেয়েছে ৩০ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট। এ ক্ষেত্রে দুই দলেরই ভোটের পরিমাণ বেড়েছে। লিবারেল ডেমোক্রেট ২০১০ সালের তুলনায় ১৫ শতাংশ কম মাত্র ৭ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে। নির্বাচনে মোট ৬৬ দশমিক এক শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। লিবারেল ডেমোক্রেটদের বেশিরভাগ ভোট কনজারভেটিভদের বাক্সে পড়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। দল হিসেবে লেবার পার্টি হেরে গেছে। এই দলের বেশ কিছু দক্ষ এমপি পাস করেছেন। পাস করেছেন বাংলাদেশি ব্রিটিশ তিনজন এমপি। রোশনারা আলী, রূপা হক ও টিউলিপ সিদ্দিকী। এরা সবাই ব্রিটেনে বিশ্বমানবতার পক্ষে কাজ করবেন সেটাই আমাদের ভরসা। এবারের ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি টিউলিপ সিদ্দিকীর অংশগ্রহণ ছিল একটি আলোচিত ঘটনা। তিনি যখন নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রচার শুরু করেন তখনই একটি পক্ষ নানা ধরনের অপপ্রচারে হামলে পড়ে।

শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানা ও শফিক সিদ্দিকীর মেয়ে টিউলিপ লন্ডনের মিচামে জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব কেটেছে বাংলাদেশ, ভারত এবং সিঙ্গাপুরে। ১৫ বছর বয়স থেকে তিনি হ্যাম্পস্ট্যাড এন্ড কিলবার্নে বসবাস করছেন। এই এলাকায় স্কুলে পড়েছেন ও কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে পলিটিক্স, পলিসি ও গভর্মেন্ট বিষয়ে তার স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে।

মাত্র ১৬ বছর বয়সে লেবার পার্টির সদস্য হওয়া টিউলিপ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল গ্রেটার লন্ডন অথরিটি এবং সেইভ দ্য চিলড্রেনের সঙ্গেও কাজ করেছেন। ২০১০ সালে ক্যামডেন কাউন্সিলে প্রথম বাঙালি নারী কাউন্সিলর নির্বাচিত হন তিনি। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর এ বিষয়ে মিডিয়ায় কথা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ভাই রেদোয়ান সিদ্দিক ববিসহ স্থানীয় লেবার পার্টির নেতারা। আর এমন নোংরামি-অপপ্রচারের কারণে খোদ টিউলিপের প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থীও বিব্রত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা।

শেখ রেহানা, রেদোয়ান সিদ্দিক ববি, লেবার পার্টির নেতা ও টিউলিপের নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, টিউলিপের বিজয় ঠেকাতে নিন্দনীয়ভাবে সক্রিয় ছিল বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী একটি চক্র। তারা এমনই অপপ্রচার ও নোংরামির আশ্রয় নিয়েছে যে- টিউলিপের প্রতিদ্ব›দ্বী টোরি দলীয় প্রার্থী সায়মন মারকাজকেও বিব্রত হতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর এই উত্তরসূরির বিরুদ্ধে কেবল অপপ্রচারই নয়, তাকে ভোট না দিতে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ভোটারদের হুমকি-ধামকিও দিয়েছে ওই চক্র।

তাদের অভিযোগ, নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই বিএনপি-জামায়াতের একটি বিশাল চক্র টিউলিপের আসন হ্যামস্টেড ও কিলবার্নের ভোটারদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার শুরু করে। এসব অপপ্রচারের মধ্যে ছিল- টিউলিপের খালা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাশিয়া সফর ও দেশটির প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনসহ নেতাদের সঙ্গে একটি গ্রুপ ছবি নিয়ে নেতিবাচক সংবাদ প্রচার। ওই ছবি ব্যবহার করে ব্রিটিশ মূলধারার ডানপন্থী পত্রিকা ডেইলি মেইলে নেতিবাচক সংবাদ প্রচার করা হয়। তার পেছনে রসদ সরবরাহে চক্রটি সক্রিয় ছিল। এ নিয়ে ইংল্যান্ড থেকে বিশিষ্ট সাংবাদিক সৈয়দ আনাস পাশার পাঠানো রিপোর্ট বিভিন্ন মিডিয়ায় আলোচিত হচ্ছে। সবচেয়ে দুঃখজনক কথা হচ্ছে, বিলাতের স্থানীয় বাংলা সাংবাদ মাধ্যমে বুক ফুলিয়ে চক্রটির কেউ কেউ এমন প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করেন যে, তারা নিজেরা লেবারের সমর্থক। কিন্তু একমাত্র টিউলিপের বিজয় রুখতেই হ্যামস্টেড ও কিলবার্ন এলাকায় টোরি প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় নেমেছেন। নির্বাচনের দিন নিজ নিজ উদ্যোগে গাড়ি দিয়ে টোরি সমর্থক অনেক ভোটারকে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যেতে দেখা গেছে এদের অনেককে।

কেবল তাই নয়, স্থানীয় বাংলাদেশি ভোটারদের ঘরে ঘরে গিয়ে টিউলিপ জিতলে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার ‘ইসলামবিরোধী অপশাসন’ দীর্ঘস্থায়ী হবে বলেও অপপ্রচারও চালায় চক্রটি। এমনকি একজন বয়স্ক বাঙালি নারীর ঘরে ঢুকে টিউলিপকে ভোট না দিতে এমনভাবে শাসানো হয় যে, ওই নারীর এক কিশোরী মেয়ে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে বলেও বাংলানিউজের কাছে অভিযোগ করেন শেখ রেহানা। এই ঘটনায় টিউলিপের প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী সায়মনও বিব্রত বলে জানান তিনি। এর কারণ কি? শুধু তাই নয়- খবর বেরিয়েছে ব্রিটেনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকতে পূর্ব লন্ডনে মৌলবাদী ও ধর্মীয় নেতারা হুমকি দিয়েছেন। এ কথা জানিয়েছেন সেখানকার মুসলিম ভোটাররা। ওখানে মৌলবাদীদের প্রচারপত্র বিলি করা হয়েছে। ওই সব প্রচারপত্রে বলা হয়, ভোট দেয়ার অর্থ হলো আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করা, ভোট দিও না মুসলিম থাক। মৌলবাদীরা প্রচার করে ভোট দেয়া হারাম। ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাঙালি অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটসে জনগণকে ভোট না দেয়ার আহ্বান সংবলিত কিছু প্রচারপত্র পাওয়া গেছে। ভোটের দিন টাওয়ার হ্যামলেটসে দুই ধরনের প্রচারপত্র বিলি করা হয়। একটি লিফলেটে লেখা ছিল, ‘ভোট দিও না’ এবং ‘মুসলমান থাকো, ভোট দিও না’। এতে আরো বলা হয়, ‘আল্লাহ ছাড়া আর কারো শাসন করার অধিকার নেই।’ আরেকটিতে বলা হয়, ‘সতর্কতা! মানবসৃষ্ট আইনের জন্য ভোট দেয়া আল্লাহর সঙ্গে শিরক।’ টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের শুরুর দিকে একই ধরনের পোস্টার দেখা যায় ওয়েলসের গেঞ্জটাউনে, যেখানকার অধিবাসীদের মধ্যে একটা বড় অংশ মুসলমান। মৌলবাদী ধর্ম প্রচারক আনজেম চৌধুরী নামের একজন অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে ভোটবিরোধী প্রচারণা চালিয়েছেন। টাওয়ার হ্যামলেটসের একটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের আইএসের লোগো সংবলিত একটি লিফলেট দেয়া হয়, যাতে ‘গণতন্ত্র প্রত্যাখ্যান করো’, ‘মুসলমান থাকো’ এবং ‘ভোট দিও না’ লেখা ছিল। টাওয়ার হ্যামলেটসের লেবার পার্টির কাউন্সিলর দারোস উল্লাহ বলেছেন, ‘এই এলাকার ছোট একটি গোষ্ঠী’ গণতন্ত্র ও সভ্য দুনিয়ার প্রতিষ্ঠিত মূল্যবোধের বিপরীতে অবস্থান নিয়ে পুরো মুসলিম জনগোষ্ঠীর বদনাম করছে।

একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, একটি পরাজিত শক্তি সক্রিয় সর্বত্র। এর বেশ কিছু কারণ আছে। বিশেষ করে জাতির জনক শেখ মুজিব এসব অপশক্তির টার্গেট হন সেই ১৯৭২ সালেই। তিন বছরের মাথায় তাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। বেঁচে যান তার দুকন্যা, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। ঘাতকরা ধরে নিয়েছিল, বঙ্গবন্ধু মুজিবের আদর্শ এই দুনিয়া থেকে তারা মুছে ফেলেছে। কিন্তু বাস্তবতা আজ ভিন্ন বড় পরিসরে। কথায় আছে- রাখে আল্লাহ-মারে কে! বাংলাদেশের রাজনীতিতে মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির উজ্জ্বল মুখ যারা, তারা আজ বেশ সপ্রতিভ। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ শাসন করছেন। তার অন্য মেয়ে শেখ রেহানা কাজ করছেন সামাজিক বিভিন্ন সেক্টরে। শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় কাজ করছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে। বাংলাদেশ ও এই প্রজন্মের কাছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আলো ছড়িয়ে দিতে তিনি কাজ করছন নিরলসভাবে।

প্রধানমন্ত্রী কন্যা সায়েমা হোসেন তার কাজের সেক্টর হিসেবে এমন একটি বিষয় বেছে নিয়েছেন, যা এই সময়ে বিশ্বে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ‘অটিজম’ নিয়ে আন্দোলন করছেন তিনি। স¤প্রতি তিনি জাতিসংঘে বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় না থাকলেও বাংলাদেশের অটিস্টিক শিশুদের জন্য সবসময় কাজ করে যাবো। উল্লেখ্য, তিনি বাংলাদেশের অটিজম বিষয়ক জাতীয় এডভাইজরি কমিটির চেয়ারপারসন এবং বিশিষ্ট মনোবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ।

স¤প্রতি জাতিসংঘে বাংলাদেশ ও কাতার স্থায়ী মিশন এবং অটিজম গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘অটিজম স্পিকস’র যৌথ উদ্যোগে জাতিসংঘে আয়েজিত আলোচনা সভায় ‘বিশ্ব অটিজম স¤প্রদায়ের জন্য বিজ্ঞান, সহযোগিতা ও উত্তর’ শীর্ষক মূল প্রতিপাদ্য বিষয়ে বক্তব্য দেন সায়মা হোসেন। তিনি তার বক্তব্যে অটিজম মোকাবেলায় বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরে তার বক্তব্য দেন। তিনি একে একে বিভিন্ন পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে অটিজমের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের এ যাবৎকালের সব উদ্যোগ এবং সাফল্য তুলে ধরেন।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন বলেন, উন্নয়নশীল বিশ্বে অটিজম মোকাবেলায় গোঁড়ামি ও কুসংস্কার, সীমিত সেবা, সেবাদানকারীদের মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণের অভাব এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিচ্ছিন্নতাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। বঙ্গবন্ধু পরিবারের বেশ কিছু তরুণ সদস্য এখন রাজনীতিতে। ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস তাদেরই একজন। তার ওপরও আক্রমণ করেছিল ঘাতক চক্র। যে কথাটি না বললেই নয়, জাতির জনকের রাজনীতির চেতনা আলোকিত হচ্ছে আজ বিশ্বব্যাপী।

একটি বিষয় নিয়ে লিখেই লেখাটা শেষ করব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি খুব জরুরি কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত ৪০ বছর ধরে ‘গোলামির চুক্তির’ বিষয়টি ছিল অপপ্রচার। এখন সবাই উপলব্ধি করছে, কত বড় মিথ্যা ছিল এটি। আজ বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক চুক্তির পথ ধরেই বাংলাদেশে বড় অর্জন এসেছে। এ চুক্তির ফলে বাংলাদেশ যে লাভবান হয়েছে, তা আজ প্রমাণিত। সীমান্ত বিষয়ক বিলে ভারতের একজন সংসদ সদস্যও সীমান্ত বিলে আপত্তি করেনি। সর্বসম্মতিক্রমে এ বিলটি ভারতের লোকসভায় পাস হয়েছে। এটা বাংলাদেশের জন্য একটা ঐতিহাসিক ঘটনা। সবাই এক হয়ে বাংলাদেশের পক্ষে ভোট দিয়েছে- এটিও একটি বিরল দৃষ্টান্ত। ১৯৭৪ সালের ওই চুক্তির সমালোচনা করে এলেও ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত সব সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশের অন্য দলগুলোর সরকারের উদ্যোগহীনতার কথাও বলেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। আজ বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের মানচিত্র। সেই বীজ বপণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। হ্যাঁ- জাতির জনকের রাজনীতির চেতনা আজ বিশ্বে আলো ছড়াচ্ছে। প্রতিপক্ষ কে কী বললো তাতে কিছুই যায় আসে না। কারণ কোনো সূর্যকে ঢেকে রাখা যায় না।
-------------------------------------------------------------------------------
দৈনিক ভোরের কাগজ ॥ ঢাকা ॥ শনিবার, ১৬ মে ২০১৫ প্রকাশিত

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:০৮

sdfsdfsdsdfsdfssdfeq বলেছেন: সবই সত্য কথা। এবং টিউলিপ যে এই আসনে জিতবো সেইটা ছিলো বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন! সেইটা কি কোন রাজাকার ঠেকাইতে পারে?

২| ১৬ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:৫৪

শান্তনু চৌধুরী শান্তু বলেছেন: ওস্তাদের মাইর ফোয়াইত্তা

৩| ১৬ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:২৪

সুমন কর বলেছেন: শুভেচ্ছা রইলো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.