নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস

এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতিসংঘের স্থায়ী মিশনে আবদুল গাফফার চৌধুরীর ভাষণ

১১ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৮:৪৫






জাতিসংঘের স্থায়ী মিশনে আবদুল গাফফার চৌধুরীর ভাষণ
ফকির ইলিয়াস
--------------------------------------------
আয়োজক ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আমাকে তিনি আগেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এট ছিল ‘স্থায়ী প্রতিনিধি ভাষণ সিরিজ’-এর একটি পর্ব। ৩ জুলাই ২০১৫ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় ছিল এই অনুষ্ঠান। সঙ্গে ইফতারপর্ব। স্থায়ী মিশনের ‘বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে’ আমরা যখন পৌঁছলাম, তখনো আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী এসে পৌঁছাননি। কিছুক্ষণ পরই তিনি এলেন। ড. মোমেনের কাঁধে ভর দিয়েই হাঁটতে হয় তাকে। সাহিত্য-সাংবাদিকতার এক কিংবদন্তি পুরুষ। তার সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হয় ১৯৯২ সালে, লন্ডনে। এরপর অনেক বার দেখা হয়েছে। আড্ডা হয়েছে। তার বয়স এখন ৮১। শুধু হাঁটতে একটু কষ্ট ছাড়া এখনো দেখতে চমৎকার তার সুস্বাস্থ্য।

ড. এ কে আব্দুল মোমেনের ভূমিকা বক্তব্যের পরই তিনি মাইক তুলে দিলেন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর হাতে। কথা বলতে শুরু করলেন তিনি। আলোচনার বিষয়- ‘বাংলাদেশ : অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ।’ বললেন- আমরা একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ চেয়েছিলাম। যে দেশে সব মানুষের মৌলিক স্বাধীনতা থাকবে। আমাদের অতীত ইতিহাস বলে আমরা দাস জাতি। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে একবার স্বৈরাচারী আইয়ুব শাহী এসে বলেছিলেন বাঙালিরা হচ্ছে দাসের জাতি, বুটের তলায় স্পৃষ্ট জাতি। সেই সময় এই স্বৈরশাসকের কেউ বিরোধিতা করেনি। একজন বিরোধিতা করে বলেছিলেন বাঙালি সংগ্রামের জাতি আর পাঞ্জাবিরা হচ্ছে দাসের জাতি। এই কথাটি বলেছিলেন কবি বেগম সুফিয়া কামাল।

তিনি বললেন, অনেক প্রতিক‚লতা পেরিয়ে বাংলাদেশ জন্ম নিয়েছে। বাংলা ভাষার বিবর্তনের বিশদ বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সংস্কৃতি হাজার বছরের পুরনো। কিন্তু আমাদের জাতিসত্তার পরিচয় এনে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির জনকের কারণেই এই জাতিকে চিনেছে বিশ্ববাসী।

আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বলেন, উপমহাদেশে সা¤প্রদায়িক শক্তির বীজ বুনেছে ইংরেজরা। তারা আব্দুল ওয়াহাব নামের একজন এজেন্টকে নিয়োগ করেছিল। যা পরে ওয়াহাবী মতবাদ নামে এই লোকটি চালায়। এই ধারাবাহিকতাই বহন করে মাওলানা আবুল আ’লা মওদুদী। তাই এই গোষ্ঠীর মৌলবাদীরা ‘দ্বীনে মোহাম্মদী’ নয়- ‘দ্বীনে মওদুদী’ এর ঝাণ্ডা উড়ায়। এরাই মূল ফেৎনা তৈরি করেছে। তিনি বলেন মওদুদী ফেৎনায় ৫০ হাজার মুসলমানকে হত্যা করা হয়। মওদুদীবাদী ভ্রান্ত মতবাদ নিয়ে এর আগেও পাক-ভারতে অনেক বিতর্ক হয়েছে। এমন অনেক উদাহরণ আমরা ইতিহাসে পাই। আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী যা বলেছেন তা নতুন কিছু নয়। উপমহাদেশে ইসলামি আক্বিদার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন এই মওদুদী। এর কিছু উদাহরণ এখানে দেয়া যেতে পারে।

স্বয়ং আল্লাহপাক, তাঁর রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাহাবা কিরাম রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম এবং আউলিয়া কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম, মোদ্দাকথা ইসলামের সব অনুষঙ্গেই মিথ্যা, কুফরি ও জঘন্য সমালোচলার জাল বিস্তার করেছেন এই আবুল আ’লা মওদুদী। তার সেই অসংখ্য কুফরি আক্বিদার মাত্র ৫টি ক্ষুদ্র প্রমাণ নিম্নরূপ : ১। আল্লাহপাক সম্পর্কে কুফরি আক্বিদা : ‘যে ক্ষেত্রে নর-নারীর অবাধ মেলামেশা, সে ক্ষেত্রে যেনার কারণে (আল্লাহপাকের আদেশকৃত) রজম শাস্তি প্রয়োগ করা নিঃসন্দেহে জুলুম।’ (নাউজুবিল্লাহ) (তাফহিমাত, ২য় খণ্ড, ২৮১ পৃষ্ঠা)

২। ফেরেশতা সম্পর্কে কুফরি আক্বিদা : ‘ফেরেশতা প্রায় ওই জিনিস যাকে গ্রিক, ভারত ইত্যাদি দেশের মুশরিকরা দেবী-দেবতা স্থির করেছে।’ (নাউজুবিল্লাহ) (তাজদীদ ও ইহইয়ায়ে দ্বীন, ১০ পৃষ্ঠা)

৩। আম্বিয়া আলাইহিমুছ ছালাত ওয়াস সালাম সম্পর্কে কুফরি আক্বিদা : ‘নবীগণ মাছুম নন। প্রত্যক নবী গুনাহ করেছেন।’ (নাউজুবিল্লাহ) (তাফহিমাত, ২য় খণ্ড, ৪৩ পৃষ্ঠা)

৪। হুজুর পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে কুফরি আক্বিদা : ‘মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানবিক দুর্বলতা থেকে মুক্ত ছিলেন না।’ (নাউজুবিল্লাহ) (তরজমানুস্ সুন্নাহ, ৩য় খণ্ড, ৩০৫ পৃষ্ঠা)

৫। সাহাবা কিরাম রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম সম্পর্কে কুফরি আক্বিদা : ‘সাহাবাদিগকে সত্যের মাপকাঠি জানবে না।’ (নাউজুবিল্লাহ) (দস্তরে জামাতে ইসলামি, ৭ পৃষ্ঠা) বলা দরকার, সব মুফতি-মাওলানাদের ইজমা তথা ঐকমত্যে উপরোক্ত আক্বিদাধারী ব্যক্তি মুসলমান নয় বরং মুরতাদ। উপমহাদেশের আলেম ওলামারা মওদুদীকে সেই নিরিখেই দেখেছেন।

ফিরে আসি আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর ভাষণে। তিনি বলেন, এই মওদুদীর ফাঁসির আদেশ হয়েছিল। আরো আশ্চর্যের বিষয় এই যে, কাদিয়ানিদের বিরুদ্ধে পুস্তিকাটি রচনার দায়ে ১৯৫৩ সালের ৮ মে তারিখে মাওলানা আবুল আ’লা মওদুদীকে পাকিস্তান সামরিক আদালত মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে। পরে সৌদি আরবের হস্তক্ষেপে মওদুদীকে রেহাই দেয়া হয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ হয়েছিল বলেই আজ জঙ্গিরা এই দেশে মাথা তুলতে পারছে না। তারপরও তারা কী না করছে! ৭০০ বছরের পুরনো সম্ভাষণ ‘খোদা হাফেজ’ আজ ‘আল্লাহ হাফেজ’ করে দেয়া হচ্ছে। এটা কারা করছে? কী তাদের পরিচয়- প্রশ্ন রাখেন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী।

তিনি বলেন, ভাষাই সংস্কৃতিকে ডমিনেট করে। উদাহরণ দিয়ে বলেন, আল্লাহর যে ৯৯টি প্রশংসাসূচক নাম তা কিন্তু ইসলাম ধর্ম আসার আগেই প্রচলিত ছিল। ওই নামগুলোই পরে ইসলামে গৃহীত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, আবু বকর শব্দের অর্থ- ছাগলের পিতা। আবু হোরায়রা অর্থ বিড়ালের পিতা। আবু হুরায়রা বিড়াল পোষতেন। তাই মহানবী (সাঃ) তাঁকে আদর করে আবু হুরায়রা খ্যাতি দিয়েছিলেন। তিনি নিজে হজ করার অভিজ্ঞতা বিষয়ে বলেন, সৌদি আরবে আমি নিজে লেখা দেখে এসেছি- মারহাবা ইয়া রাসুলে সালাম। এটা নেহেরুকে উদ্দেশ্য করে লিখেছিলেন বাদশাহ আব্দুল আজিজ সৌদ। এর অর্থ- স্বাগতম হে শান্তির দূত। রাসুল শব্দের অর্থ দূত। রাসুল আল্লাহ অর্থ আল্লাহর রাসুল। আমরা এখন রাসুল শব্দ ব্যবহার করলেই এর ভিন্ন অর্থ খোঁজা হয়। ভুল ব্যাখ্যা দেয়া হয়। তিনি বলেন, মাথায় হিজাব পরা হবে আর পাশাপাশি সব অকর্ম-কুকর্ম করা হবে, তা তো গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আমাদের মানবিক, বৈশ্বিক শান্তির পথ খুঁজতে হবে। তিনি বলেন, আবু বকর, ওমর সব খলিফার নামই তাদের বিধর্মী মা-বাবা রেখেছিলেন। তাদের নাম পরিবর্তন করা হয়নি- ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর। তিনি আরো বলেন, আমি প্রথমে বাঙালি। তারপর মুসলমান। যে কেউ তার ধর্ম পরিবর্তন করতে পারে। কিন্তু তার বাঙালিত্ব সে মুছে ফেলতে পারবে না।

অমর একুশের গানের রচয়িতা বলেন, যতদিন বাংলা ভাষা, রবীন্দ্রনাথ ও বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকবেন ততদিন আমাদের সুরক্ষা প্রাচীর সুনিশ্চিত থাকবে। আমি জানি না আমি কতদিন বাঁচবো। তবে বলে যাচ্ছি, বিশ্বে ইসরায়েল ও পাকিস্তান এই দুটি দেশের নাম নিশানা থাকবে না।

তিনি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে বলেন, আপনারা লিখে রাখুন- আমি জিয়াউর রহমানকে ঘৃণা করি। কারণ তাকে আমি দেখেছি যুদ্ধের সময়। সাবুরা সেক্টরে আমি তার সঙ্গে ছিলাম। সে সারাক্ষণ মাথার চুল চিরুনি দিয়ে আঁচড়াতো আর খবর নিত কোনো রাষ্ট্রদূত আসছে কিনা? এখন কিনা তাকেই বলা হচ্ছে স্বাধীনতার ঘোষক। অথচ সে একটি মাত্র বাণী পাঠ করেছিল। জিয়া কোনো যুদ্ধ করেনি। তার কারণেই ‘জেড’ ফোর্স ভেঙে দেয়া হয়েছিল।

তিনি শেখ হাসিনার কর্মনীতির প্রশংসা করে বলেন, শেখ হাসিনা ষোলো কোটি বাঙালির আশার প্রদীপ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। তাকে যেভাবে আক্রমণ করা হয়েছে- অন্য কেউ হলে বিদেশে পালিয়ে যেত। তিনি বাঙালির জন্য মশাল হাতে এগিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, এই বেগম খালেদা জিয়ার সংসার রক্ষা করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু। খালেদা জিয়া শেখ মুজিবকে ধর্মের বাবা ডেকেছিলেন। সেই খালেদার মুখে কি বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে বাজে কথা শোভা পায়! আমি অনুরোধ করব- তিনি যেন একটি কট‚ক্তিও না করেন।

প্রজন্মের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের আশার প্রদীপ আছে। সাহসের কেন্দ্র আছে। সেদিকে তাকাতে হবে। একটি প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের অনেক ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে। তারপরেও বাংলাদেশ শেখ হাসিনার মতো ইস্পাতরূপী নেত্রী পেয়েছে। যিনি কী না মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সাহস নিয়ে লড়াই করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন যে বিরোধী দল রয়েছে এটাকে গণতান্ত্রিক বিরোধী দল বলা যায় না, এটা হচ্ছে প্রয়োজনের বিরোধী দল। কিন্তু বিএনপি নির্বাচনে না এলে কে কী করতে পারে? হিসেবে যে বিএনপি ভুল করেছে তা তারা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। তিনি বিএনপির শাসনামল ও আওয়ামী লীগের শাসনামলের তুলনা করে বলেন, ওরা হাওয়া ভবনে বসে রোবট সরকার চালাত। ফলেই দেশ ধ্বংস হওয়ার উপক্রম ছিল। এখন একটি রক্ত-মাংসের সরকার দেশে আছে। এই পার্থক্য অনেক বিরাট। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জন্ম নেয়ায় আমাদের শির উঁচু হয়েছে। তা না হলে এতদিন আমাদের দেশে ড্রোন হামলা হতো। মাদ্রাসা এবং মসজিদগুলো তালেবানরা দখল করে নিত। আমাদের সৌভাগ্য হচ্ছে আমরা আগে বাঙালি তারপরে মুসলমান। যে কারণেই বাংলাদেশ ধ্বংস হবে না, বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের এখন প্রধান সমস্যা হলো দুর্নীতি। দুর্নীতিবাজদের চীনের মতো বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচার করতে হবে। এদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। কিংবদন্তি এই সাংবাদিক বলেন, আমরা সোশ্যাল রেভ্যুলুশন চাই। সামাজিক বিপ্লব ছাড়া একটি জাতি দীর্ঘ মেয়াদে দাঁড়াতে পারে না। এই কাজটি অগ্রসরমান প্রজন্ম করবে- এই বিশ্বাস আমি রেখে যাচ্ছি। এরা ধর্মীয় সব গোঁড়ামির বিরুদ্ধে শক্ত হাতে দাঁড়াবেই। প্রায় ৪৫ মিনিটের এই সিরিজ ভাষণে প্রবীণ সাংবাদিক ছিলেন খুবই আশাবাদী। তিনি সব অপসভ্যতা, অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা বলেছেন। অনুষ্ঠানে একমাত্র বক্তা ছিলেন তিনি। হলভর্তি সুধীজন দাঁড়িয়ে সম্মান জানান এই বিশিষ্ট বাঙালি সন্তানকে। তাঁকে আজীবন সম্মাননা স্মারক তুলে দেন স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

পাদটীকা : আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর এই ভাষণটি নিয়ে খণ্ডিত, অর্ধসত্য সংবাদ ছাপছে, প্রচার করছে অনেকগুলো মিডিয়া। তারা উসকে দিতে চাইছে ধর্মীয় উন্মাদনা। আর নিউজের ভেতরে না গিয়েই ইন্টারনেটে কামান দাগাতে চাইছে কেউ কেউ। আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ধর্ম ও ভাষার ইতিবৃত্ত বলতে গিয়েই উদাহরণ এনেছেন। এখানে অতিরিক্ত কিছুই বলেননি। তারপরও যারা এটাকে অতিরঞ্জিত করতে চাইছে- তাদের মতলব কী, তা জ্ঞানী পাঠক-পাঠিকাকে ভাবতে হবে। আমরা চারপাশে দেখছি, ধর্মের দোহাই দিয়ে অনেকেই সামাজিক কলহ, দাঙ্গা, অশান্তি ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। মূলত এরাই রাষ্ট্রের শান্তি বিনষ্টকারী। এদের বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। ইসলাম শান্তির ধর্ম। নিজ গৃহ ফেলে বিলাতের সেই পরিবারটি কোন শান্তির খোঁজে আজ সিরিয়ায় গিয়ে স্বেচ্ছাজিম্মি (!) জীবন বেছে নিয়েছে তা সবাইকে ভাবতে হবে। প্রজন্মের মননে ছড়াতে হবে নিজ সাহিত্য-সভ্যতা-কৃষ্টি-ঐতিহ্যের আলো।
---------------------------------------------------------------------------------------
দৈনিক ভোরের কাগজ ॥ ঢাকা ॥ শনিবার, ১১ জুলাই ২০১৫ প্রকাশিত

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:০৩

কেডি সিদ্দিকী বলেছেন: আবদুল গাফফার চৌধুরী কে কুকুরের বাচ্চা বললে কুকুরকে অপমান করা হবে ।

২| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:০৮

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: আব্দুল গাফফার চৌধুরীর প্রথম বক্তব্য

ঐ বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আবারও তিনি ইসলাম অবমাননা করেন এই বক্তব্যে।

৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৫ সকাল ৯:১০

শেখ এম উদ্‌দীন বলেছেন: ইসলামিক জ্ঞানের স্বল্পতার কারনে কিংবা অন্য কোন উদ্দ্যেশ্যে তিনি কয়েকটি পয়েন্টে ইসলাম কে অবমাননা করেছেন।
ঐ অংশ টুকুন নিয়ে তোঁ কিছু লিখলেন না ভাই।

এক জন মানুষ তার জ্ঞানের স্বল্পতার জন্য বেফাস কথা বলবে আর তাকে সবাই মিলে সেভ করতে হবে এমন বর্বর ইতিহাস তো কখনো ছিল না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.