![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]
বন্দুকযুদ্ধের আগের যুদ্ধ
ফকির ইলিয়াস
===================================
আমরা সবাই বন্দুকযুদ্ধের কথা জানি। কিন্তু এর আগে আরেকটি যুদ্ধ হয়। তা হলো স্নায়ুযুদ্ধ। একজন আসামিকে ধরা যাবে কি যাবে না, তাকে ধরলে কোথায় রাখতে হবে, হাসপাতালে না কারাগারে, সে কোনো দলের কিনা, কত দিন তাকে ধরে রাখা যাবে- ইত্যাদি অনেকগুলো মনস্তাত্তি¡ক বিষয় কাজ করে এই স্নায়ুযুদ্ধে। কারা এই স্নায়ুযুদ্ধের কুশীলব- তা আমি বলতে চাই না। পাঠক নিজগুণেই দয়া করে বুঝে নেবেন। তবে এটুকু বলে রাখি, এই স্নায়ুযুদ্ধ ক্রমশ দুর্বল করে দিচ্ছে আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থা। সুযোগ পাচ্ছে বিভিন্ন পক্ষ। যারা সুবিধাবাদী। যারা চায় না এ দেশে শান্তি স্থায়ী হোক।
বাংলাদেশে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। গেল কয়েক মাসে বেশ কয়েকজন বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছেন। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এ বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে অবরোধ চলাকালে ৪৭ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৩৩ জন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায়’ চার আর ‘গণপিটুনিতে’ নিহত হন তিনজন। গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া গেছে সাতজনের। একই সময়ে পেট্রলবোমা, আগুন ও ককটেল বিস্ফোরণে মারা গেছেন ৫৭ জন। আর সহিংসতার শুরুর দিকে সংঘর্ষে মারা গেছেন চারজন। ওই সময়টা ছিল টালমাটাল অবস্থা। এরপরও কিন্তু এই হত্যাকাণ্ড থেমে নেই। সবশেষে এসে দেখা যাচ্ছে, সরকারি দলের কিছু কর্মীও ওই বন্দুকযুদ্ধের শিকার হচ্ছেন।
বলার অপেক্ষা রাখে না, সরকারি দলের অনেক নেতাকর্মী টাকাকড়ি বানানোর ধান্ধায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি বাড্ডা, চাঁদপুর, মাগুরা, কুষ্টিয়া ও হাজারীবাগের ঘটনায় ক্ষমতাসীন দলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের নাম আসায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। এসব বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরই মধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি মন্ত্রিসভার বৈঠকে এসব ঘটনায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দেন। অপরাধীদের বিষয়ে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, ছাত্রদল কিংবা অন্য যে কোনো দলেরই সদস্য হোক না কেন, কেউ অপরাধী হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
খবর বেরিয়েছে, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ সরকারি দলের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের তালিকা হচ্ছে। র্যাবের বিশেষ টিমকে এই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। পেশাদার অপরাধী ছাড়াও চাঁদাবাজ, টেন্ডারবাজ, ভূমিদস্যু, অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন স্তরের অপরাধীদের এবার তালিকাভুক্ত করা হচ্ছে। সরকারি দলের নাম ভাঙিয়ে কে কোন এলাকায় সন্ত্রাস করছে, কে কত অবৈধ সম্পদের মালিক এসব বিষয়ও তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা ইতোমধ্যে এ ধরনের একটি তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়েছে। সেখান থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে ওই তালিকা পুলিশ ও র্যাবের কাছে পাঠানো হয়। আর এ তালিকা নিয়েই শুরু হচ্ছে সন্ত্রাস দমন সরকারী একশন। সন্ত্রাস দমনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জিরো টলারেন্সে অবস্থান নিয়েছে।
র্যাব সদর দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা ও র্যাব গোয়েন্দা সূত্রগুলো মিডিয়াকে জানিয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে দেশব্যাপী র্যাবের সব কয়টি ব্যাটালিয়ন তৎপর রয়েছে। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এবং তা যাছাই-বাছাই করে অপরাধীদের তালিকা অনুয়ায়ী শুরু হয়েছে অভিযান। কোনো দলীয় বিবেচনা নয়, অপরাধীর পরিচয় সে একজন ক্রিমিনাল। এসব ক্রিমিনালদের কারণে সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ হবে তা মেনে নেয়া যায় না। র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান জিয়া মিডিয়াকে জানিয়েছেন, র্যাব বিনা অপরাধে কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করে না। র্যাব এর কর্মকর্তারা সন্ত্রাস দমনে যে উদ্যোগ নিচ্ছেন- তা প্রশংসার দাবি রাখে। কিন্তু লক্ষ্য রাখতে হবে, এই সুযোগে কেউ যেন ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার সাহস ও শক্তি না পায়।
এটা আমরা জানি, সরকারের অনেক সফলতা ঢাকা পড়ে যাচ্ছে, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নামদারি সুবিধাভোগী এসব অপরাধীদের জন্য। তাই এদের কোনোভাবেই ছাড় দেয়া উচিত নয়। তাদের কর্মকাণ্ডে সাধারণ জনগণের মাঝে আওয়ামী লীগের বিষয়ে যে নেতিবাচক ধারণার জন্ম হচ্ছে। এদের ব্যাপারে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী যে উদ্বিগ্ন, তা তার নির্দেশ থেকেই বুঝা যাচ্ছে। এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে জনগণের আস্থা ও সমর্থন ফিরিয়ে আনতে সরকার বদ্ধপরিকর থাকবে বলেই মনে করছেন রাষ্ট্র ও সমাজ বিজ্ঞানীরা। মিডিয়াগুলো লিখছে, সরকার ও দলীয় কাঠামো থেকে দুর্নীতিবাজ এবং বিতর্কিত নেতাদের বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অতীত অভিজ্ঞতা এবং বর্তমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব দলের কিছু লোকের সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিমূলক কার্যকলাপকে একেবারেই বরদাশত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটাই এই মুহ‚র্তে হওয়া উচিত। কারণ দলের মধুলোভীদের প্রধানমন্ত্রী ভালো করেই চেনেন এবং জানেন।
বাংলাদেশের অতীত ইতিহাস সাক্ষী দেয়, বিতর্কিত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে অ্যাকশনে গেলে সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও দলের বিতর্কিত নেতার ভাগ্য বিপর্যয় ঘটতে পারে। যে কজন মন্ত্রী ইতোমধ্যেই নানান বিতর্কে জড়িয়ে সরকারের ভাবমর্যাদা ক্ষুণœ করেছেন, তাদের কপাল পুড়তে পারে। একইভাবে যেসব নেতার বিরুদ্ধে ব্যাপক চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, ভূমি দখল ও সন্ত্রাসের প্রমাণ রয়েছে এবং ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে যারা দলের অভ্যন্তরে বিতর্কিত হয়ে উঠেছেন, সে সব নেতার ভাগ্যে বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। সরকারের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রধানমন্ত্রীর পার্সোনাল উইং আলাদাভাবে বিতর্কিত নেতাদের সম্পর্কে প্রতিবেদন তৈরি করেছে বলে খবর বেরুচ্ছে। এর আগেও আওয়ামী লীগ সরকারের ১৯৯৬ সালের মেয়াদে কয়েকজন নেতার সন্ত্রাস ও দুর্নীতির খেসারত দিতে হয়েছিল চরমভাবে। এসব বিষয়গুলো বিবেচনায় রেখে এগিয়ে যেতে হবে আজকের আওয়ামী লীগকে।
বাংলাদেশে ক্রসফায়ার নিয়ে মানবাধিকার সংস্থাগুলো উদ্বিগ্ন। বিচারবহির্ভূত কোনো হত্যাই মানবতার জন্য শুভ নয়। বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’-এর হিসাব অনুযায়ী, ২০০৪ সাল থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে ১,৬৫৩টি ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটেছে? ২০১৪ সালে ক্রসফয়ারে নিহত হয়েছেন ১১৯ জন আর চলতি বছরের প্রথম চার মাসে ৫৯ জন? আইন ও সালিস কেন্দ্র (আসক)-এর হিসাব অনুয়ায়ী, চলতি বছরের গত সাত মাসে ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটেছে ১১৩টি? আসক-এর পরিচালক নূর খান ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ‘আন্তর্জাতিক মহলের চাপের কারণে ক্রসফায়ারের ঘটনা কিছু কমে এলেও, সাম্প্রতিক সময়ে তা আবার বেড়েছে?’ তিনি বলেন, ‘দেখে-শুনে মনে হচ্ছে ক্রসফায়ার যেন নতুন গতি পেয়েছে।’
২০০৪ সালে র্যাব প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বাংলাদেশে ক্রসফায়ারের বিষয়টি আলোচনায় আসে? এখন র্যাব ছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য ইউনিটের বিরুদ্ধেও ক্রসফায়ারের অভিযোগ বাড়তে থাকে? র্যাব-এর ‘বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’ নিয়ে বারবার সরকারকে বিপাকে পড়তে হয়েছে? আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো একাধিকবার র্যাব-এর কার্যক্রম বন্ধ অথবা পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও র্যাব-এর এই ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধের কথা বলেছে, তবে তাতে তেমন কাজ হয়নি? র্যাব-এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান ডয়চে ভেলের কাছে বলেছেন, ‘এ ধরনের প্রতিটি ঘটনারই তদন্ত হয় এবং কোনো র্যাব সদস্যের দায় পাওয়া গেলে তা আমলে নেয়া হয়।’
বাংলাদেশে একদিকে চলছে ‘বন্দুকযুদ্ধ’। আর অন্যদিকে মৌলবাদীরা তাদের চাপাতির আঘাত হানছে লেখকদের ওপর। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক পরিচালক মিনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে মতো প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর একের পর এক হামলা আর গ্রেপ্তারের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। একই সঙ্গে সংকট সমাধানের জন্য দ্রুত কার্যধারায় পরিবর্তন, আন্তর্জাতিক মান চালু করা এবং সাংবিধানিক স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার সুপারিশ করেছেন তিনি। হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ সুপারিশ করেন মিনাক্ষী। মিনাক্ষী বলেন, বাংলাদেশে মুক্তবুদ্ধি চর্চার ওপর এমন হামলা এর আগে এতটা হয়নি।
নিবন্ধে বলা হয়, চলতি বছর ধর্মীয় চরমপন্থীরা চারজন ব্লুগারকে হত্যা করেছে। চলতি মাসের শুরুতে ব্লুগার নিলয় নীলকে হত্যার ঘটনার উল্লেখ করেন মিনাক্ষী। আলকায়েদা সংশ্লিষ্ট আনসার আল ইসলাম হত্যার দায় স্বীকার করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আল্লাহর হুকুম’ মেনে নিলয়কে হত্যা করা হয়েছে এবং এরকম আরো হত্যা করা হবে বলে সে সময় হুমকি দেয় সশস্ত্র সংগঠনটি। নিলয় নীল এবং অন্য ব্লুগারদের হত্যার হুমকির কথা জানার পরও পুলিশ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে উদ্বেগ জানান মিনাক্ষী।
হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার বদলে বাংলাদেশের পুলিশের আইজি এ কে এম শহীদুল হক উল্টো স্ব-সেন্সরশিপের বিষয়ে মুক্তবুদ্ধি চর্চাকারীদের আহ্বান জানিয়েছেন বলে ক্ষোভ জানান মিনাক্ষী। তিনি বলেন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানাকে অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করেছেন আইজি। অবশ্য বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ যখন মত প্রকাশের স্বাধীনতার ওপর ধরপাকড় চালাচ্ছে, সে ক্ষেত্রে পুলিশ প্রধানের ওই মন্তব্য চমকিত হওয়ার মতো কিছু নয় বলে মন্তব্য করেন মিনাক্ষী। আর সেইসব দমন-পীড়নের দৃষ্টান্ত দিতে গিয়ে সম্প্রতি সাংবাদিক প্রবীর সিকদারকে গ্রেপ্তারের ঘটনার কথা তুলে ধরে নিন্দা জানান তিনি।
বাংলাদেশে বন্দুকযুদ্ধের আগের যুদ্ধটিকে সামাল দিতে হবে। যারা অপরাধী, তাদের আইনের আওতায় আনা সরকারের দায়িত্ব। এই দেশ, বিজয় ছিনিয়ে এনেছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়। এরপর আর কোনো খণ্ড খণ্ড যুদ্ধ এ দেশে হওয়ার কথা নয়। আইন পরিচালনা করবে সরকার। তৎপর থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গোয়েন্দারা দেখবেন, জানবেন কোথায় কী হচ্ছে। যেভাবে গোটা বিশ্বে রাষ্ট্র ও সমাজ পরিচালিত হয়। একটি ক্ষমতাবান শ্রেণি সব সময় অপরাধীদের বাঁচাতে চায়। এরা কারা, তা সরকারের শীর্ষ মহলকে জানতে হবে। বাংলাদেশে রাজনৈতিক শান্তি প্রতিষ্ঠার অন্যতম শর্ত হচ্ছে, জনগণের জীবনের নিরাপত্তা প্রদান করা। আর এ জন্য সরকারকে ন্যায্যভাবে যা যা করা দরকার সবকিছুই করতে হবে।
------------------------------------------
দৈনিক ভোরের কাগজ ॥ ঢাকা ॥ মঙ্গলবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৫ প্রকাশিত
©somewhere in net ltd.