নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস

এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন সফল কূটনীতিকের প্রতিকৃতি

২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৫১





একজন সফল কূটনীতিকের প্রতিকৃতি
ফকির ইলিয়াস
======================================
তিনি চলে যাচ্ছেন। চলে যাচ্ছেন বাংলাদেশে। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ৬ বছর ২ মাস নিউইয়র্কে এই দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ৩০ অক্টোবর ২০১৫ তার এই দায়িত্ব শেষ হয়ে যাবে। তিনি তার কর্মসময়ে দেখিয়েছেন অনেক সফলতা। বাংলাদেশকে জাতিপুঞ্জে এনে দিয়েছেন অনেক বিরল সম্মান। তার দায়িত্ব পালনের শেষদিকে এসে গেল জুন-২০১৫তে তিনি জাতিসংঘের এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। জাতিসংঘের এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপের ৫৫টি রাষ্ট্রের মধ্যে নিরঙ্কুশ সমর্থনে তিনি এ পদে অধিষ্ঠিত হন। উল্লেখ্য, পূর্বেও তিনি এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করেছিলেন। এখানে উল্লেখ্য, জাতিসংঘের কাজের সুবিধার্থে ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্রকে ৫টি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে।

গ্রুপগুলো হলো আফ্রিকান, এশিয়া-প্যাসিফিক, ল্যাটিন আমেরিকান, ইস্টার্ন ও ওয়েস্টার্ন ইউরোপ। ওয়েস্টার্ন ইউরোপ গ্রুপের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন ইত্যাদি দেশ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এশিয়া-প্যাসিফিক গ্রুপের রাষ্ট্র সংখ্যা সবচেয়ে বেশি এবং এ গ্রুপের রাষ্ট্রগুলোর জনসংখ্যা, আয়তন ও নীতিনির্ধারণে বৈষম্যও বেশি। এর ফলে এ গ্রুপের ব্যবস্থাপনাও যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে করতে হয়। জাতিসংঘে এই সফল ক‚টনীতিক ছিলেন বাংলাদেশের আপামর মানুষের কণ্ঠস্বর। যখনই বিশ্বে অন্যায় হয়েছে, তিনি এর প্রতিবাদ করেছেন বড় সাহসের সঙ্গে। ৬ আগস্ট ২০১৪ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গাজা বিষয়ে তিনি বলেছিলেন, প্যালেস্টাইনে ইসরায়েলি গণহত্যা ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধীদের জাতিসংঘের বিচারের মুখোমুখি করা উচিত। আলোচনায় অংশ নিয়ে ড. এ কে আব্দুল মোমেন প্যালেস্টাইনে ইসরায়েলি গণহত্যায় মানবিক বিপর্যয়ে বিশ্ব নেতৃত্বের উদাসীনতার কথা স্পষ্ট করে বলেছিলেন সেদিন। তিনি বলেছিলেন, ১৮৫০ জন প্যালেস্টাইনি ও ৩ জন ইসরায়েলি সিভিলিয়ান নিহত হওয়ার বিষয়টি সত্যিই দুঃখজনক, অমানবিক এবং যুদ্ধ বিষয়ক আন্তর্জাতিক আইন ও জেনেভা কনভেনশন বিরোধী। এভাবে নির্বিচারে নারী, শিশু ও বেসামরিক সাধারণ মানুষ হত্যা সভ্যতা বিরোধীও বটে। কোনো অজুহাতেই ইসরায়েল গাজায় সুসজ্জিত সামরিক আক্রমণের দায় এড়াতে পারে না।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন আরো বলেছিলেন, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র ইসরায়েল কর্তৃক আন্তর্জাতিক সব বিধিনিষেধ অমান্য করে ফিলিস্তিনিদের ওপর অমানবিক ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। জাতিসংঘ নির্মম এই হত্যাযজ্ঞ ও আগ্রাসী তৎপরতাকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে গণ্য করে সময়োপযোগী কাজ করেছে। তিনি প্যালেস্টাইনিদের প্রতি বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও অকুণ্ঠ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছিলেন আবারো সেদিন। ড. এ কে আব্দুল মোমেন তার বক্তব্যে নিরীহ প্যালেস্টাইনিদের ওপর ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নিরাপত্তা পরিষদ ও বিশ্ব নেতৃত্বকে জোর অনুরোধ জানিয়ে বলেছিলেন, দরিদ্র ও নিরস্ত্র প্যালেস্টাইনিদের এবং একইসঙ্গে ইসরায়েলিদের সমভাবে, স্বাধীনভাবে ও নিরাপদে বাঁচার অধিকার রয়েছে। বিশ্ব জনমত কখনই কোনো ধরনের আগ্রাসী তৎপরতা সমর্থন করে না, যা ইসরায়েল গাজার ওপর চালিয়ে যাচ্ছিল। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছিলেন, নিরাপত্তা পরিষদ প্যালেস্টাইনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধে এবং ইসরায়েল-প্যালেস্টাইন সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের জন্য নিরপেক্ষ মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করবে, যাতে করে ইসরায়েল ও প্যালেস্টাইন দুটি স্বাধীন দেশ হিসেবে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করতে পারে। এতে জাতিসংঘের প্রতি বিশ্ববাসীর বিশ্বাস ও আস্থা দৃঢ় থেকে দৃঢ়তর হবে। এই যে কথাগুলো মাননীয় স্থায়ী প্রতিনিধি বলেছিলেন, তা ছিল গোটা বাংলাদেশের, গোটা বাঙালি মজলুম মানুষের কণ্ঠস্বর। তা তিনি এখানে সেদিন বড় জোর দিয়ে বলে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটিকে সম্মানিত করেছিলেন। তার এই সাহস জাতি চিরদিন মনে রাখবে।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন একজন বিরলপ্রজ মানুষ। ধ্যান ও মননে তিনি একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক। তা তিনি তার প্রতিটি কাজেই প্রমাণ করেছেন। এক সময় তিনি বোস্টনে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতির অধ্যাপক ছিলেন। ছিলেন সৌদি আরবের প্রয়াত বাদশা ফাহদের ইকোনমিক এডভাইজার। যুক্তরাষ্ট্রের ফারিংহাম ইউনিভার্সিটির বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন ও ইকোনমিকস ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবেও কাজ দুর্লভ গৌরবের অধিকারী ড. মোমেন। পালন করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল ক্যান্ডিডেট মাইকেল ডুকাকিসের সাউথ এশিয়া বিষয়ক এডভাইজারের দায়িত্বেও। ২০১১-২০১২ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘ জেনারেল এসেম্বলির সেকেন্ড কমিটির চেয়ার ছিলেন। পরে তিনি ইউএন জেনারেল এসেম্বলির ভাইস চেয়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১০ সালে তিনি ইউএন কাউন্টার টেরোরিজমের ফেসিলিটেটর হিসেবেও কাজ করেছেন। উল্লেখ করা দরকার, প্রবাসীদের দ্বারা ওয়েজ আর্নার্স স্কিম যা ১৯৭৩ সালে ড. মোমেন ব্রিটেনে কমার্স মিনিস্ট্রিতে থাকাকালে প্রবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে খসড়া তৈরি করে ঢাকায় পাঠালে বঙ্গবন্ধুর সরকার সেই প্রস্তাবটি ১৯৭৪ সালে আইনে পরিণত করেন। আমাদের মনে আছে, তার সময়েই মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল অর্জন করেছে বাংলাদেশ। পি আর লেকচার (স্থায়ী প্রতিনিধি আয়োজিত ভাষণ সিরিজ) সিরিজে সে কথাটি মার্কিনি প্রফেসর জ্যাফরি ডেভিড সাকস বলেছিলন খুব গুরুত্বের সঙ্গে। ডেভিড সাকস তার বক্তব্যে বলেন, বিশ্বব্যাপী বৈষম্য নিরসন করা না গেলে মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল পুরোমাত্রায় অর্জন করা কঠিন। তিনি বলেন, জাতিসংঘ স্বীকৃত ৪৯টি স্বল্পোন্নত দেশ আজ বিশ্ব বাণিজ্যে প্রান্তিক অবস্থানে রয়েছে এবং তাদের উন্নয়নের জন্য উন্নত বিশ্বের দেশগুলোকে সুনির্দিষ্ট সহায়তা পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। অভিবাসী বাঙালিদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন এই সফল ক‚টনীতিক। প্রবাসীদের প্রতি তার মমতা সব সময়ই ছিল অসীম।

তিনি তার ভাষণে প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে বারবারই বলেছেন, আপনারা প্রবাসীরা সবচয়ে অগ্রবর্তী এবং নতুন নতুন চিন্তা ও ডায়নামিক ব্যবসায়িক প্রস্তাবনা নিয়ে সামনে এগিয়ে আসেন। আপনারা প্রবাসীরাই দেশের রেমিট্যান্সে গতি সঞ্চার করে রাখছেন। তিনি বলেছিলেন, এক তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে দেশে ৮১ লাখ হেক্টর চাষযোগ্য জমি অনাবাদি রয়ে আছে, যার মধ্যে ৮০ ভাগ আপনাদের প্রবাসীদের। আপনারা উদ্যোগী হয়ে নতুন নতুন ইনোভেশন ব্যবসায়িক প্রস্তাবনা নিয়ে আসেন। কারণ আপনাদের দ্বারাই সম্ভব। কিন্তু কিভাবে করবেন আমি এই মুহ‚র্তে জানি না, আপনারা আমাকে পরামর্শ দিন কিভাবে করা যায়। যদিও দেশের ব্যুরোক্রেসি এ ক্ষেত্রে প্রধান বাধা- সেই সঙ্গে আছে করাপশন। তবে একবার যদি সেই বাধা অতিক্রম করে দাঁড়িয়ে যান তাহলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না। নিজের অভিজ্ঞতা তিনি শেয়ার করেছেন তার বিভিন্ন বক্তব্যে। তিনি বলেছেন তার জীবনের গল্প। যা একেকজন প্রাবাসীরই রোজনামচা বলা যায়।

তিনি বলেছেন, ‘১৯৭৩ সালে আমি যখন লন্ডনে আসি, তখন আপনারা এই প্রবাসীরা আমাকে বুদ্ধি দিয়েছিলেন, যার ফলে আপনাদের পরামর্শেই আমি ১৯৭৪-৭৫ সর্বপ্রথম ওয়েজ আর্নার স্কিম চালুর ব্যবস্থা করেছিলাম। এবারো পরামর্শ দিন এই অনাবাদী বিশাল জমি কিভাবে দেশের জন্য কাজে লাগানো যায়। এতে আপনারা নিজেরা, পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন এবং একই সঙ্গে দেশ উপকৃত হবে।’ মাটি ও মানুষ নিয়ে এই সৃজনশীল ভাবনা তাকে আসলেই মহৎ করে তুলেছিল- প্রবাসে, কাজে ও ভাবনায়। ড. মোমেন বিশ্বপরিবেশ নিয়েছিলেন সব সময়ই সোচ্চার। তিনি প্রবাসীদের অনুরোধ করে বলেছিলেন ক্লাইমেট চেইঞ্জের বিপদ থেকে গরিব দেশগুলোকে রক্ষার জন্য আপনারা ক্যাম্পেইন শুরু করতে পারেন সচেতনতা ও ধনী দেশগুলোর নজর কাড়া এবং সেই সঙ্গে ক্লাইমেট চ্যাঞ্জের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে তহবিল যথাযথভাবে প্রদানের জন্য। জাতিসংঘের ‘বঙ্গবন্ধু মিলনায়তন’ তার কারণেই ছিল গেল ছয় বছর অনুষ্ঠানমুখর। জাতীয় সব অনুষ্ঠানই ঘটা করে পালিত হয়েছে এই মিলনায়তনে। অত্যন্ত নান্দনিক মানের অধিকারী এই ক‚টনীতিক সব সময়ই ছিলেন প্রবাসীদের মধ্যমণি।

মনে পড়ছে, কয়েক বছর আগে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র যুক্তরাষ্ট্র শাখা ও কুইনন্স পাবলিক লাইব্রেরির উদ্যোগে একটি কবিতাপাঠের আয়োজন করা হয়েছিল নিউইয়র্কে। আমি ছিলাম সেই অনুষ্ঠানে একজন ফিচারড পোয়েট। বোস্টন থেকে কবিতা শুনতে নিউইয়র্কে চলে এসেছিলেন এই কাব্যপ্রেমী। আমাকে পাশে বসে বলেছিলেন- ‘শুধু কবিতা শুনতে চলে এসেছি- ইলিয়াস।’ যাওয়ার প্রাক্কালে তিনি ভেবেছেন বাাংলাদেশ নিয়েই। জানিয়েছেন তার শঙ্কার কথা। বলেছেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনসহ ইউরোপের অনেক দেশ সৈন্য পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। ফলে ভবিষ্যতে শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের সদস্য সংখ্যা বা অংশ নেয়া কমে যেতে পারে। এই বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ গভীরভাবে ভাববে বলেই আশা করব আমরা।

তিনি চলে যাচ্ছেন। যাচ্ছেন বাংলাদেশে। নিউইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘তাকে বাংলাদেশে নিয়ে যাচ্ছি দেশের জন্য আরো বেশি কাজ করার জন্য।’ গেল ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ প্রবাসীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের এ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া সবাই এ সময় বিপুল করতালিতে শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। ড. এ কে আব্দুল মোমেন একজন প্রকৃত রাষ্ট্রসেবক। তিনি কাজ করতে চান মানুষকে নিয়ে। গণমানুষের উন্নয়ন নিয়ে। তার এই স্বপ্ন সফল হোক। আমরা যারা বিভিন্ন সময়ে তার স্নেহধন্য হয়েছি- তারা তাকে খুব বেশি মিস করব। তবু তিনি যে দেশমাতৃকার সেবা করার জন্য যাচ্ছেন- সেই আগামী শান্তিময়, বর্ণিল হোক। এটাই প্রত্যাশা মনে প্রাণে।
--------------------------------------------------------------------------------------------------------
দৈনিক ভোরের কাগজ ॥ ঢাকা ॥ শনিবার, ২৪ অক্টোবর ২০১৫ প্রকাশিত

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:২০

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: উনি না কি মাল মুহিতে ভাই? কথা কি সত্য? যদি সত্যই হয়, তাহলে স্বজনপ্রীতি করেই তো উনার নিয়োগ হয়েছিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.