নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলোর আয়না এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্য নয়।লেখা অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস

এই ব্লগের সকল মৌলিক লেখার স্বত্ত্ব লেখকের।এখান থেকে কোনো লেখা লেখকের অনুমতি ছাড়া অন্য কোথাও প্রকাশ, ছাপা, অনুলিপি করা গ্রহনযোগ্যনয়। তা সৃজনশীল কাজের পরিপন্থী। লেখা অন্য কোথাওপ্রকাশ, ছাপা করতে চাইলে লেখকের সম্মতি নিতে হবে। লেখকের ইমেল - [email protected]

ফকির ইলিয়াস › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের ধারাবাহিক দুঃখগুলো

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৪





আমাদের ধারাবাহিক দুঃখগুলো
ফকির ইলিয়াস
=====================================
দেশের বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী আসমা কিবরিয়া আমাদের ছেড়ে চিরবিদায় নিয়েছেন। বড় দুঃখ নিয়ে চলে গেলেন তিনি। স্বামী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের বিচার তিনি দেখে যেতে পারেননি। এর চেয়ে বড় দুঃখ তাঁর জীবনে কিছুই ছিল না। মনে পড়ছে ২৭ জানুয়ারি ২০০৫ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিউইয়র্কে যখন শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের খবরটি পাই তখন শিউরে উঠেছিলাম আমি। শাহ কিবরিয়ার মতো একজন মানুষকে ওরা এভাবে মেরে ফেলল? তিনি অন্য রাজনীতিকদের মতো শত্রু বেষ্টিত ছিলেন না। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলাম সেদিন।

আমাদের মনে আছে, হবিগঞ্জের জনসভায় বোমা হামলা এবং শাহ কিবরিয়াসহ অন্য ব্যক্তিদের মৃত্যু ও আহততের ঘটনার পর তৎকালীন সরকার গতানুগতিক বিবৃতি দিয়েছিল। দুঃখ প্রকাশ করেছিল। হামলা হওয়ার পর সিলেট-হবিগঞ্জ-ঢাকা সড়কে চেকপয়েন্ট বসিয়ে চেকিং করার মতো হাস্যকর ঘটনাও ঘটিয়েছিল সেই সরকার। খুনিরা কি জানান দিয়ে যায় রাজপথ দিয়ে? তাহলে এমন হাস্যকর পদক্ষেপ কেন? শাহ কিবরিয়াকে হত্যার মধ্য দিয়ে খুনিরা আওয়ামী লীগকে আরেকটি চরম ম্যাসেজ দিয়ে গিয়েছিল। আর ম্যাসেজটি ছিল এই, আহসান উল্লাহ মাস্টার, আইভি রহমান, মঞ্জুরুল ইমাম, মমতাজ উদ্দিন, শাহ কিবরিয়ার মতো ব্যক্তিদের নিধনযজ্ঞ সম্পন্ন করে তারা একদিন আওয়ামী লীগকেই নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল। দেশে তো জনসভা আরো অনেক হয়েছিল সে সময়। অনেকেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বক্তৃতা দিয়েছিলেন। শুধু আওয়ামী লীগের জনসভায় সে সময় বোমা হামলা হচ্ছিল কেন? কারা করছিল? এরকম অনেক প্রশ্ন আমরা এখনো বয়ে বেড়াচ্ছি।

বাঙালি জাতির গর্বিত সন্তান হিসেবে যে ক’জন জ্ঞানী, গুণী মানুষ ছিলেন, শাহ কিবরিয়া ছিলেন তাদের একজন। রাষ্ট্রদূত, সচিব, জাতিসংঘ কর্মকর্তা, এসকাপের পরিচালক, রাজনীতিক, মন্ত্রী হিসেবে তিনি যতটা পরিচিত ছিলেন, তার চেয়েও তার বড় পরিচয় ছিল তিনি ছিলেন একজন মানবদরদি মানুষ। তাঁর মহাপ্রয়াণের পর তারই সহধর্মিণী খ্যাতিমান শিল্পী আসমা কিবরিয়া যে কথাগুলো বলেছিলেন এর জবাব দেয়ার শক্তি কি আমাদের এখনো আছে? শ্রদ্ধাভাজন আসমা কিবরিয়া বলেছিলেন, ‘গ্রেনেড হামলায় এমনভাবে নির্মম মৃত্যুর জন্য বিদেশ ছেড়ে স্বদেশে এসেছিলাম?’ শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে কিবরিয়া পরিবার কয়েক বছর শান্তির সপক্ষে নীরব প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছিলেন। ‘শান্তির সপক্ষে নীলিমা’ নামে ইতোমধ্যে দেশব্যাপী পরিচিতি পাওয়া এই অভিনব কর্মসূচি ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিল। সপ্তাহে প্রতি বৃহস্পতিবার বেদনার রঙ নীল বস্ত্র পরিধান করে কিংবা নীল কোনো কিছু নিয়ে তার পরিবার সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়েছেন।

আধুনিক অফিসের তরুণ নির্বাহী থেকে শুরু করে কাওরান বাজারের কিশোর কুলি এক লাইনে দাঁড়িয়ে হাতে হাত রেখে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন আর জানান দিয়েছিলেন জনগণের শক্তির এবং ততকালীন ধর্মাশ্রয়ী জঙ্গিবান্ধব সরকারের বিরুদ্ধে নিরীহ সাধারণ মানুষের নীরব প্রতিবাদ! ‘শান্তির সপক্ষে নীলিমা’ ছিল শাহ কিবরিয়ার পক্ষ থেকে গৃহীত শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের ভাষা। তারপরও তাঁর হত্যাকাণ্ডের বিচারটি আজো হলো না। এই দুঃখ আমাদের আর কত বইতে হবে? শাহ কিবরিয়া আজীবন বিদেশে সুখে শান্তিতে থাকতে পারতেন। কিন্তু স্বদেশ, স্বমাটি, স্বজাতিকে ভালোবেসে তিনি দেশে স্থায়ী নিবাস গড়েছিলেন। রাজনীতির মাধ্যমে জনসেবা করতে চেয়েছিলেন। সাদামাটা এই মানুষটি ছিলেন বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী। তিনি কল্পনাও করতে পারেননি হবিগঞ্জের মাটিতে তাকে এমনভাবে রক্তাক্ত মৃত্যুবরণ করতে হবে। তাঁর শবদেহের পোস্টমর্টেম করতে বাধা দিয়েছিলেন সহধর্মিণী। কিসের পোস্টমর্টেম? কেন পোস্টমর্টেম? গোটা দেশবাসীই তো দেখল তার রক্তাক্ত নিথর মৃত্যু। তারপরও তা নিশ্চিত করতে হবে সরকারি নিবন্ধনের মাধ্যমে? আর কত আত্মপ্রতারণার আশ্রয় নেব আমরা? আর কত রক্ত দিয়ে ঢাকব জীবনের স্বপ্ন আলো? শিল্পী আসমা কিবরিয়া আরো কিছু স্পষ্ট কথা বলেছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগ নেতাদের কে বলেছিলেন ‘এ পর্যন্ত কি করতে পেরেছেন আপনারা? একুশে আগস্টের বোমা হামলার বিচার করতে সরকারকে বাধ্য করতে পারলে আজ এমনটি হতো না।’ তাঁর কথাটি সহস্রভাগ সত্য। ঘাতকদের লোলুপ দৃষ্টি আজো সুদূরপ্রসারী। অথচ সেই সময়ে আক্রান্ত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা যেন আজ নিষ্ক্রিয়তার স্থায়ী আসন নিয়েছেন। আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যাকাণ্ড, একুশে আগস্টের বোমা হামলার কি সুরাহা করা গেছে আজো? যদি যেত- তাহলে দেশে আজ এভাবে ধারাবাহিক লাশের কাফেলা আমাদের দেখতে হতো না। ২৮ অক্টোবর ২০১৫ পর্যন্ত সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলায় পর্যাপ্ত আসামি আদালতে হাজির না হওয়ায় বুধবার সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। পূর্ব নির্ধারিত তারিখ থাকায় সাক্ষী দিতে আদালতে উপস্থিত হন আবদুর রউফ ও এরফান আলী। সিলেট বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান নতুন তারিখ ধার্য করায় সাক্ষ্য না দিয়েই তাদের ফিরে যেতে হয়। দেশের মানুষজন জানতে চান- এই বিচার কবে শেষ হবে? কবে ঘাতকরা শাস্তি পাবে? একটা সময় ছিল যখন মেধাবী বাঙালিরা দেশে ফিরে গিয়ে তাদের মেধার বিনিয়োগ করতে চাইতেন। আর এখন দেশের সুশীলরাই নিচ্ছেন বিদেশের পাসপোর্ট। এমনই একটি তথ্য দিয়েছেন স¤প্রতি নিউইয়র্কে দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারাকাত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান এবং লেখক ড. আবুল বারাকাত বলেছেন, ‘সুশীল ও বুদ্ধিজীবী শ্রেণির ১৭ জনের সবারই বাংলাদেশ ছাড়াও বিদেশি আরেকটি দেশের পাসপোর্ট রয়েছে। গুলশান-বনানীতে আলিশান বাড়িও আছে। প্রত্যেকের সন্তানরাই বিদেশে লেখাপড়া করছে। এই ১৭ জনকেই দেখা যায় বাংলাদেশের প্রধান দুই নেত্রীকে পরামর্শ প্রদান করতে। এদের মধ্যে যাকে সবচেয়ে বড়মাপের সুশীল বলে বিবেচনা করা হয়, সেই ভদ্রলোকটি ১৯৭৮ সালে গুলশানে ১০ কাঠার একটি প্লট পান। ১৯৮২ সালে সেখানে বাড়ি নির্মাণ করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই ভবনের ট্যাক্স প্রদান করেননি। যদিও হরহামেশা তার মুখে বিভিন্ন সেক্টরের আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়া হয়। স্বচ্ছতা-জবাবদিহিদার কথা উচ্চারিত হয়।’ নিউইয়র্কে নিজের লেখা সর্বশেষ গ্রন্থ ‘বঙ্গবন্ধু-সমতা-সাম্রাজ্যবাদ’ এর প্রকাশনা উৎসবে ড. বারাকাত আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের ধনীরা আরো ধনী হচ্ছেন অন্যের সম্পদ ছিনিয়ে। একইভাবে বাংলাদেশের ব্যাংকে যারা অর্থ সঞ্চয় করেন তার মাত্র ৪% হলেন এই ধনীরা। যদিও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক থেকে যত ঋণ নেয়া হচ্ছে তার ১%ও সাধারণ মানুষরা পাচ্ছেন না। জনা পঞ্চাশেক লোকের কাছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের বিপুল অর্থ পড়ে আছে। শুধু তাই নয়, ঋণের এ অর্থ তারা বিনিয়োগ করেছেন প্রাইভেট সেক্টরে ব্যাংক-বিমা প্রতিষ্ঠায়। অর্থাৎ রাষ্ট্রের অর্থ ঋণ নিয়ে হিসেবে তারা ব্যাংক-বিমাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মালিক হয়েছেন।’

জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং পরবর্তী গতিপ্রকৃতি নিয়ে গবেষণারত আবুল বারাকাত বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জীবনের নিরাপত্তা আজ বিপন্ন। আমার জন্য দোয়া করবেন। যুক্তরাষ্ট্র আলকায়েদা-আইএসের পেছনে ধাওয়া করছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, যুক্তরাষ্ট্র যেদিকে তাকাচ্ছে, আলকায়েদাও সেদিকেই ধাবিত হচ্ছে। তাই বাংলাদেশিদের সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে। এখন সময় হচ্ছে ঘুরে দাঁড়ানোর। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কথাগুলো তিনি বলেছেন তা হলো- ‘আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ বাঙালি শহীদ হয়েছেন। এর মধ্যে ২৫ লাখই গ্রামবাংলার। কিন্তু সে চিত্র ইতিহাসে লিপিবদ্ধ হয়নি। কারণ যারা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে লেখালেখি করেছেন বা করছেন তারা সবাই শহুরে। যদিও একাত্তরে তারাও গ্রামেই আশ্রয় নিয়েছিলেন।’ তিনি বলেন- ‘পাক হায়েনার দল দুলাখ নারীর সম্ভ্রমহানি ঘটিয়েছে বলে সবাই দাবি করলেও প্রকৃত অর্থে তা ১০ লাখের বেশি হবে। তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গে একটি এলাকায় জরিপ চালিয়ে আমার এ ধারণা সৃষ্টি হয়েছে। আমি গণজাগরণ মঞ্চে বক্তৃতার সময় বলেছিলাম, নারীদের বীরঙ্গনা বলা হচ্ছে কেন? তাদের নারী মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেয়া উচিত। তাহলে সবাই তালিকাভুক্ত হতেন এবং সঠিক সংখ্যা জানা সহজ হতো। আমার এ বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিষয়টি আলোচিত হয় এবং সর্বশেষ সম্ভ্রম হারানো আমাদের মা-বোনদের নারী মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেয়া হলো।’

এমন অনেক ধারাবাহিক দুঃখ নিয়ে চলছে বাংলাদেশ। এই দেশে ড. হুমায়ুন আজাদকে নারকীয় কায়দায় কোপানো হয়েছে। এই দেশে কবি শামসুর রাহমানের বাসায় গিয়ে আক্রমণ করার চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশে মূলত ১৯৯৯ সাল থেকেই জঙ্গিরা তৎপরতা দেখাতে শুরু করে। তারও আগে, ১৯৯৭ সালের ৩০ জানুয়ারি গোপালগঞ্জে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পনগরীর ৭ নম্বর প্লটে চার হাজার ৫০০ বর্গফুট জমি বরাদ্দ দেয়া হয়। এই জমিতেই তৈরি করা হয় সেই সাবান কারখানা। তবে এই সাবান কারখানার ছিল বোমা তৈরির কারখানা। যেখানে পাওয়া গিয়েছিল মুফতি হান্নানের বিশালাকৃতির বোমা তৈরির উপাদান ও সরঞ্জাম। ২০০০ সালের ২০ ও ২৩ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গোপালগঞ্জে সভাস্থলে দুই দফা অভিযান চালিয়ে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা উদ্ধার করা হয়। এরপরের অনেক ঘটনাই আমাদের মনে আছে। যা লিখতে গেলে শুধুই লেখার পরিধি বাড়ানো হবে মাত্র। কথা হচ্ছে- এই যে পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ, এর সুবিচার বাংলাদেশে হয়েছে কি? না হয়নি। শেষ হয়নি। কেন হয়নি- কেন হচ্ছে না? বাঙালির ধারাবাহিক দুঃখগুলো দীর্ঘায়িত হচ্ছে। আমরা শিরদাঁড়া উঁচু করে দাঁড়াতে পারছি না। যারা এই জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে চাইছে- তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে পারছি না। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ক্ষমতাসীন মহলকে বিষয়গুলো ভাবা দরকার। এর সুরাহা করা দরকার। তা না করা গেলে, বাঙালির অনেক অর্জনই ব্যর্থতায় পর্যবষিত হতে পারে।
-------------------------------------------------------------------------------------------------
দৈনিক ভোরের কাগজ ॥ ঢাকা ॥ শনিবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৫

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১২

বেঙ্গল রিপন বলেছেন: আজ সকালেই পড়লাম দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকায় :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.