![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক বেদনা নিয়েই আজ লিখতে বসেছি। সেই শের-ই বাংলার সময় থেকে বাপ চাচারা আওয়ামীলীগ এর সাথে অত:প্রত ভাবে জড়িত। পাকিস্তানের সংবিধানে এম এন এ ও ছিলেন উনাদের কয়েকজন বর্তমান সংসদেও আছে ঘনিষ্ট আত্মীয়দের মধ্যে কিছু সাংসদ তবে দু:ক্ষের সাথে আজ সকলকে আমার সিদ্ধান্তটুকু জানানোর প্রয়োজনীয়তা বোধ করছি।
আমি আগামী নির্বাচনে বর্তমান আওয়ামীলীগকে ভোট দেয়া থেকে বিরত থাকবো। ভাবতে পারেন শেয়ার মার্কেট লুণ্ঠন, হলমার্ক, পদ্মা ব্রীজ কেলেংকারী কিংবা সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা কা- এসব কারনেই আমি বীতশ্রদ্ধ হয়ে ভোট থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি? আসলে ঐ সব বিষয় আমার কাছে তেমন কোন গুরুত্ব বহন করেনা। সেনা কর্মকর্তা হত্যা ব্যতিত বাকী বিষয় সমূহ নিয়ে আমাদের অনেক রাজনৈতিক দলকেই প্রতিযোগীতায় লিপ্ত হতে দেখা গিয়েছে।
যেমন, পাচ বৎসরের মধ্যে কে কত অবৈধ টাকা কামাই করতে পারে এবং তা বিদেশে পাচার করতে পারে। তাই এসব নিয়ে আমার কোন দুঃখবোধ কিংবা আনন্দ অনুভূতি কিছুই নেই। নেতা নেতৃদের দুর্নিতির বিষয়টিকে অভাগা জাতির নিয়তি হিসেবে ধরে নেয়া যায়। যে বিষয়টা আমার বিবেক এবং চেতনাকে অহর্নিশি তারিত করছে তা হলো কোরান শরীফ এবং হাদিস শরীফের আলোকে এ মূহুর্তে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর প্রতিটি সদস্য এবং তাদের সমর্থকরা প্রতিষ্ঠিত নাস্তিক ও ইসলাম ধর্ম বিদ্বেষী।
কোরান পাক এর ভাষায় বলা হয়েছে, হে ঈমানদারগণ! “তোমরা ইহুদ্রী ও খ্রিস্টানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না তারা পরস্পরের বন্ধু।” (সূরা মায়িদা-৫১)
আর হাদীসে বলা হয়েছে, “যে জাতি যাদের সাথে মিল রাখবে তাদের হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে”
প্রশ্ন হতে পারে ঐ কোরআন ও হাদীস শরীফের সাথে আওয়ামীলীগ এর কি সম্পর্ক? আসুন সকলে মিলে খোলা মন নিয়ে বিষয়টি যাচাই বাছাই করি।
১। সাড়ে চোদ্দশত বৎসরে বিশ্ব জুরে ইসলাম, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মহান আল্লাহ পাক উনাদের নিয়ে যত নগ্ন বিদ্বেষ পোষন করা হয়েছে, তার চেয়ে একশত গুন বেশী করা হয়েছে এই সরকারের আমলে বাংলা ভাষায় এই দেশে বিভিন্ন ব্লগের মাধ্যমে।
২। গত ৪৩ বৎসরে আমাদের দেশে কোন হিন্দু, মুসলমান একটি মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষনের মত জঘন্য অন্যায় কাজ করতে সাহস করেনি, যা হয়েছে প্রতিনিয়ত বর্তমান সরকারের আমলে।
৩। গত ৪৩ বৎসরে কোন হিন্দু শিক্ষক স্কুল, কলেজ কিংবা ভার্সিটিতে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে কটুক্তি করেনি যা অহরহ এই সরকারের আমলে হয়েছে।
৪। হাই কোর্ট ইসলাম বিদ্বেষী ব্লগারদের বিরুদ্ধে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বললেও এই সরকার তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা নেয়নি।
৫। ব্যবস্থা নেয়নি শুধু তাই না, বরং তাদের নিরাপত্তার জন্য সরকার পুলিশ গানম্যান নিয়োগ করে।
৬। স্কুলের ধর্মীয় বইতে পরিকল্পিত ভাবে ভ্রান্ত বক্তব্য ছাপানো হয় যাতে কোমলমতি বাচ্চারা ইসলাম সম্বন্ধে ভবিষ্যতে বিভ্রান্তিতে পরে।
৭। দেশে ৫% হিন্দু তবে সরকারী অফিস গুলোতে দেখা যাবে সব গুরুত্বপূর্ণ পদের দেশে বিদেশে ৩৫ থেকে ৪০ ভাগ হিন্দুদের দখলে।
৮। ইসলাম বিদ্বেষী সুরঞ্জিতসেন এদেশের হিন্দুদেরকে দিয়ে আওয়ামীলীগকে ডুবিয়েছে যেমনি ভাবে নিজামী জে.এম.বি দ্বারা বি.এন.পিকে ডুবিয়েছিল।
৯। অনেক চেষ্টা করেও এ দেশে হিন্দু/মুসলমান রায়ট ঘটাতে ব্যর্থ হয়েই ঐ সুরঞ্জিত এখন নিজে স্বয়ং আল্লাহ পাককে নিয়ে কটুক্তি করতে শুরু করেছে।
১০। সব শেষে কেন আমি ভোট দিবনা?
ক) আমি এদেশের মুসলমান মা বোনদেরকে হিন্দুদের দ্বারা অপমানিত হতে দিতে পারিনা। কিসের জন্য তবে ৭১ সালে স্বাধীনতা চেয়েছিলাম?
খ) উপরোক্ত কোরআনের আলোকে বর্তমান আওয়ামীলীগকে সমর্থন দেয়া মানেই নিজেকে না বুঝে ইসলাম বিদ্বেষী ঘোষণা করা।
গ) এ দেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য হতে দিতে পারিনা।
ঘ) কেয়ামতের মাঠে মুরতাদ হিসেবে মহান আল্লাহ পাকের সামনে দাড়াতে চাইনা।
সবশেষে সকলের কাছে আমার আকুল আবেদন, বিশ্লেষনটি সম্পূর্ণই আমার ব্যক্তিগত উপলব্ধি কোরান, হাদীসের কষ্টি পাথরে যাচাই বাছাই করেই আমি এই সিদ্ধান্তে উপনিত হয়েছি। মহান আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়তা করুন। আমীন।।
©somewhere in net ltd.