নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাত পোহাবার কত দেরী পাঞ্জেরী !

ফাহিম আবু

রাত পোহাবার কত দেরী পাঞ্জেরী !

ফাহিম আবু › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেওক্রাডংএর হাতছানি ও জাদিফাই ঝর্নার হিমশিতল পানি !

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৭

অনেকদিন থেকেই ভাবছিলাম বান্দরবন জয় করার যেখানে আছে বাংলাদেশের সবচেয়ে উচু পাহাডগুলো, পাহাড় বলতে গাড়ি দিয়ে আরাম আয়েশে চলে যাওয়া কোন পাহাড় নয়, যেখানে পাহাডটা মিশে গেছে আকাশের সাথে, সেই পাহাড় যেখান উঠতে হয়পায়ে হেটে , যেখানটায় মেঘ আমাকে ছুয়ে যায়, আকাশ খুব আপন হয়ে উঠে, সকালের কুয়াসা আমার পা ভিজিয়ে দিয়ে আমাকে বরন করে নেয় । সবচেয়ে বড়কথা যেখানে পাহাড়ের মানুষদের জীবন যাপন দেখা যাবে , মেশা যাবে , থাকা যাবে ওদের মতো করে, জানা যাবে সেখানকার জীববৈচিত্র , জানা যাবে তাদের সংস্কৃতি।

শুরুতে অনেকের যাওয়ার কথা থাকলেও , নানান সমস্যায় এবং কেওক্রাডং ট্র্যাকিং করার কথা শুনেও ফিটনেসের ভয়ে হয়ত কেউ কেউ নিজেকে গুটিয়ে নেন । শেষ পর্যন্ত হাসান মহিউদ্দিন, মিনহাজ , এহসান , মাসুদ , মাহফুজ ,আরাফাত আর আমি –এই মোট ৭ জন । আমরা যাত্রার তারিখ ঠিক করলাম ২০, ২১ ও ২২ তারিখ , যেহেতু ২০ ও ২১ তারিখ ছিল , সুতরাং ২২ তারিখ অফিস থেকে ছুটি নিলাম। ২০শে ফেব্রুয়ারী সকালে চট্টগ্রাম, বহদারহাট, বাস টার্মিনাল থেকে থেকে বান্দরবানের বাসে উঠি । বান্দরবানে বাস থেকে নেমে হালকা চা নাস্তা করে টম টম গাডী দিয়ে যাত্রা করলাম রুমা বাজার যাওয়ার বাস স্টেশনে । বাসে করে যখন আমরা পাহাডের বাঁকের পর বাঁক পেরিয়ে রুমা দিগে যাচ্ছিলাম, তখন আশাপাশে রাস্তার দুপাশের সৌন্দর্যে দেখে ভাবলাম আল্লাহ ব্যাতিত আর কারও পক্ষে সম্ভব না পৃথীতিটা এত সুন্দর করে সাজানো ! যত বড নাস্তিক হঊক না কেন সেউ স্বীকার বাধ্য হবে যে আল্লাহই এই বিশ্বমর্মান্ডের সৃষ্টি কর্তা ! মনে হচ্ছিল যেন আমরা মানে আমাদের গাডীটা এই বিশাল সবুজের সমুদ্রের মাঝে ক্ষুদ্র একটি ভেলা

রুমা বাজার পৌছে দুপুরের খাবারের জন্য সবার আকুতি টের পাই, রুমা বাজার গিয়ে দুপুরের ভাত খেয়ে নিলাম ,আমরা ভাত খেলাম মিনহাজ ভাইয়ের পরিচিত এক আমিরাবাদের দোকানে। তারপর ঠিক করলাম আমাদের গাইড চনুমং । চনুমং ও আমরা সেনাবাহীনীর ক্যাম্পে গিয়ে আমাদের নাম এন্ট্রি করলাম । তারপর আমরা চাঁদের গাডি ঠিক করলাম বগা লেক যাওয়ার উদ্যেস ! রুমা বাজার আর্মি ক্যাম্পে রিপোর্টে শেষ করে বাজার পেরিয়ে পুলিশ ফাঁড়িতেও রিপোর্ট করতে হয় , এই সময় এসে ব্যাপারটা খুবই বিরক্তকর লাগে তবে এই বাইরে যাওয়ার তো উপায় নেই। বগা লেক যাওয়ার আগে ২বার এবং বগা লেকে ১বার সর্বমোট ৩বার নাম, ঠিকানা সহ রিপোর্ট করতে হয়েছে । যাইহোক বগা লেকের পথে শেষ পর্যন্ত আমাদের চাঁদের গাড়ি ছুটে চলা শুরু করে ।চাঁদের গাড়িতে উঠেই উঁচু নিচু পাহাড়ি পথের সৌন্দর্যে মগ্ন সবাই হৈ হল্লা করতে করতে ঘন্টা খানেকের মধ্যে পৌছে যাই । ১১ মাইল নামক জায়গায় গিয়ে চাঁদের গাড়ির একসেস শেষ হয়ে গেলে পাহাড়ে প্রথমবারের মতো হাটা শুরু হয় আমাদের ।তখন প্রায়ই বিকাল বেলা । আমরা ৭ জন রাস্তা থেকে ৭টি লাঠি কুড়িয়ে নিয়ে পাহাড় বাওয়া শুরু করি , উঠতে হবে ঘন্টাখানেক – প্রায় ৫টা কি সাডে ৫ টা নাগাদ বগা লেক পৌছে ওইদিনই আর্মি ক্যাম্পে রিপোর্ট করি ।

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার স্বাদু পানির একটি হ্রদ বা লেক। আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ কিংবা মহাশূন্য থেকে উল্কাপিণ্ডের পতনের ফলে সৃষ্টি হয়েছে ।এই লেকে আমরা লারামদাঁ’র কটেজে থাকার সিন্ধান্ত নিলাম , আমদের ব্যাগগুলো কটেজে রেখে গেলাম গোসল করতে বগা লেকে । লেকের সচ্ছ জলে গা ভিজিয়ে ক্লান্ত দেহকে সতেজ করতে লেগে যায়, সাতার কেটে গোসল করলাম , কিন্তু ঘরে এসে দেখি মিনহাজ ভাই ও এহসান ভাই এর মানি ব্যাগ থেকে ১০০০ করে ২০০০ টাকা চুরি হয়ে গেছে, আমরা বুঝতে পারলাম যে কাজটা কে করেছে ,কিন্তু ট্যুরটা ভালভাবে শেষ করার জন্য, এই নিয়ে আমরা বেশি দূর আগাই নাই ।
সন্ধায় ফ্রেস হয়ে সবাই দলবদ্ধ ভাবে বগালেকের বিভিন্ন পাডায় যেমন মারমা পাডা, বম পাডা ঘুরলাম ! দেখলাম ওদের জীবনধারা , ওদের উপসনালয় ! রাতের খাবার শেষে সবাই ম্যারাথন আড্ডা আর পাহাড়ের অমৃত সুধা পান করতে বসে যাই, উম্মাথাল রাত্রী কেটে যায় বাঁধনহীন আনন্দ উল্লাস , মজার বিড়ম্বরা আর হাস্যরসে । ঘুমাতে যাওয়ার আগে মাহফুজ ভাই কোথায় থেকে যেন অনেকগুলো পেপে নিয়ে আসল খাওয়ার জন্য, সেগুলো শেষ করলাম ! তারপর একটু ঘোরাঘরি করে ঘুমাই গেলাম !

রাতে ঘুমাতে দেরি হলেও প্রায় সবারই খুব সকালেই ঘুম ভেঙ্গে যায়, পাহাড়ের সতেজ বাতাস বোধহয় শরীর মনের ক্লান্তি টের পেতে দেয় না। সকালের নাস্তা সেরে সবাই বেরিয়ে পড়ি , সোজা কেওক্রাডং’র পথে আমাদের হাঁটা শুরু হয় । যাওয়ার পথে আমরা দেখব কাঁকড়া ঝর্না আর চিংড়ি ঝর্না । সবার মনে কাজ করছিলো উত্তেজনা , পাহাড় দেখার সীমাহীন আগ্রহ এবং অবশ্যই কিছুটা হলেও ভয় । বগা লেক থেকে হাঁটা শুরু করে আমরা সাইকত পাহাড় হয়ে যাত্রা করি কেওক্রাডং’র পথ ধরে , ৩০ মিনিট হাঁটার পরই সবার সবার শরীর থেকে প্রচুর নোনাপানি বের হয়ে গেলে একটু বিশ্রামের প্রয়োজন হয়, চনুমং আভাস দেন সামনে কাঁকড়া ঝর্ণা , ওখানেই কিছুটা জলপানের বিরতি নেয়া যায় । কাঁকড়া ঝর্ণা এমনিতে খুব বড় নয়, তার উপর বর্ষাকাল বিগত হয়ে যাওয়ায় পানি কমে গেছে , কিন্তু যতটুকু জলের ধারা অবশিষ্ট ছিল তা আমাদের ক্লান্তি দূর করতে যথেষ্ট ছিলো । কাঁকাড়া ঝর্নায় মিনিট তিরিশ বিরতীর পর আমাদের ম্যারাথন হাটা আবারও শুরু হয় , পরবর্তী গন্তব্য চিংড়ি ঝর্ণার আগে আর কোন বিরতি দিতে রাজি নন চনুমং, যদিও খাড়া পথ পাড়ি দিতে কারও কারও হাঁটার গতি খুব শ্লথ হয়ে আসছিলো , কেউ কেউ আবার বেশ কিছুটা সামনে এগিয়ে যাচ্ছিলেন । বিশেষ করে এহসান ভাই মাহফুজ ভাইএর সাথে তাল মেলানো কঠিন হয়ে যাচ্ছিলো অনেকের । এহসান ভাই সম্ভবত আমাদের এই দলের সবচেয়ে ফিট অভিযাত্রী ।

আমি , হাসান ভাই আর মিনহাজ ভাই পিছিয়ে পডছিলাম । কেউ অবিরাব হেঁটে , কেউ থেমে থেমে উঠছি তো উঠছিই , একটা সময় ঝর্নার আওয়াজ পাওয়া গেল ...ঝমঝম করে পড়ছে জল নিরবধি । এইরকম দুর্গোম পাহাড়ি পথে পথিকের ক্লান্তি দূর করার জন্যই যেন ঝর্নাগুলো দাঁড়িয়ে আছে , চনুমং তারই ইঙ্গিত দিলেন সামনেই চিংড়ি ঝর্না । অবশ্য ঝর্নার মূল স্রোতে উঠতে বেশ কিছুটা পিচ্ছিল পথ পাড়ি দিতে হয়েছিলো, কে যেন ডাক দিল- “এটা দোতলা ঝর্না চলে এসো সবাই” । চিংড়ি ঝর্নায় মগ্ন হয়ে কতক্ষন ছিলাম , মনে নেই। তবে এই শীতল জলে গা ভেজানো অনেকদিন মনে থাকবে । আবারও হাঁটা শুরু । পাহাড়ের কিছু জায়গা বেশ জঙ্গল মতন, পাহাড়ি অরন্যে দিয়ে হাঁটার সময় তিনি ।
চিংড়ি ঝর্না থেকে যাত্রী ছাওনি’র আগ পর্যন্ত আমাদের কোন অফিসিয়াল বিরতি নেই, তবে কারও কারো বিরতি চলছিলই । ফটোগ্রাফার এহসান ভাই বারবার থামতে হচ্ছিলো , এত এত ছবি তোলার সাবজেক্টের লোভ কোনভাবেই এড়ানো যাচ্ছিলো না যে, আবার ভাবতে হচ্ছিলো ব্যাটারিরি চার্জের কথাও!

যাত্রী ছাউনির বিরতির সময় এগিয়ে যাওয়াদের সাথে পিছিয়ে পড়াদের ফের মেলবন্ধন ঘটে । কিন্তু এখানে চনুমং এর তাড়াতে বেশিক্ষন থামা গেল না , পরবর্তী স্টপেজ দার্জিলিং পাড়ার আগে আর কোন থামাথামি নাই , আমাদের প্ল্যান সকাল ১২টার ভিতরে কেওক্রাডং’র চূড়ায় উঠব , তারপর যাব যাদিপাই ঝর্নাতে । ১১ টা ৫০ শে আমরা পৌছে যাই দার্জিলিং পাড়ায় , এক দোকানে চা-বিস্কুট আর কলা খেয়ে চাঙ্গা হয়ে নেই, সাথে সাথে অবশ্যয় আমরা সেলাইনের পানি খাচ্ছিলাম । দার্জিলিং পাড়ায় মিনিট বিশেকের যাত্রা বিরতির পর আবারও হাঁটা শুরু ।

এবারের হাঁটাপথে আমরা কেওক্রাডং এর বেশ কাছের পাহাড়ে চলে এসেছি, এদিকটার পাহাড়ের লেয়ারগুলো খুব সুন্দর ,হাঁটার পথটাও বেশ ভালো। একটার পেছনে আরেকটা পাহাড় যেন সিরিয়ালি দাঁড়িয়ে আছে। উপরে সচ্ছ নীল আকাশের বিচ্ছিন্ন শুভ্র মেঘ যেন ভীষন রকম ছন্দ আর রঙের কম্বিনেশন মানিয়ে চলছে পাহাড়ের সাথে , এইরকম প্রকৃতিতে নিজেকে খুব উদার ভাবতে ইচ্ছে করে। আমাদের কয়েকজনের প্রকৃতিপ্রেমে মগ্ন হয়ে হেলেদুলে হাঁটার বদৌলতে, তখন কয়েকজন চূড়ায় উঠে তারা রীতিমত নাচানাচি করছে ।

জাদিফাই ঝর্ণা'র পথে:
জাদিফাই ঝর্না, প্রায় নতুন আবিষ্কৃত এই ঝর্নায় এখনও খুব বেশি মানুষ যান না । যেতে কেওক্রাডোং থেকে প্রায় ২০০০ ফুট নামতে হবে । উঠে এসে কেওক্রাডং হয়েই আবার বগা লেক। তাই লালা’র ওখানেই দুপুরের খাবার খেয়ে আমরা বেরিয়ে পড়ি বেলা ২ টায় জাদিফাই ঝর্ণা'র পথে । যথারিতী গতি তারতম্যের কারনে কেউ বেশ এগিয়ে , কেউ পিছিয়ে চলতে থাকি। যেতে যেতে পথে পড়ে কেওক্রাডং বম পাড়া, কেনান পাড়া, আর দেশের সবচেয়ে উচ্চতায় অবস্থিত স্কুল- কেনান রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল । সেদিন ছিল ২১ শে ফেব্রুয়ারী , তাই আমরা সেখানে আগে থেকে রাখা ফুলগুলো নিয়ে আমরা একুশের শ্রদ্ধা জানাই ।পাহাড়ে কমলা, পেঁপে,কলা – এই ধরনের ফলগুলো খুবই সস্তা এবং সুস্বাদু। কেওক্রাডং থেকে জাদিফাই ঝর্ণা’র কাছাকাছি পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তা কষ্ট হলেও জাদিফাই ঝর্নায় মুখ থেকে খাড়া খাদের কিনারায় গিয়ে তো আমাদের চক্ষু ছানাবড়া! একদম খাড়া আর ঝুরি পাথরের জন্য পা রাখাই অসম্ভব হয়ে যাচ্ছিলো। এইপথে নামতে হবে ভাবতে বুঁক কেঁপে উঠে। লাঠির ভরসায় নামতে শুরু করি এতটা পথ এসে জাদিফাই ঝর্না না দেখে ফিরে যাওয়াও তো যায় না। অনেকটা সময় নিয়ে, বুকের কাঁপুনি আর পায়ের কাঁপুনিকে জয় করে শেষ পর্যন্ত আমরা সবাই বিপুল সৌন্দর্যের হাতছানিতে নেমে পড়ি। বিগত হয়ে যাওয়া বর্ষার পরও এতটা জলের ধারা প্রশস্ততম এই জলপ্রপাতে নেমে আসতে দেখে মনে হল – অত্যাধিক সৌন্দর্য আর ভয়ংকরতা বোধসহ সহোদোর কিংবা সহদোরা । গা ভেজানো শেষ করে কেওক্রাডোং ফিরে আসতে আমাদের সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার মতন বেজে যায় । আসার পথে অনেক খুজেছি বারবিকিউ করার জন্য মুরগী ,কিন্তু পাই নাই , পথে একটা দোকানে ঢুকে সবাই মিলে নাস্তা করলাম ! তারপর ফিরে আসলাম কটেজে !!

কেওক্রাডোং’র রাতঃ
কেওক্রাডোং, সুমদ্রপিষ্ট থেকে ৩১৭২(মতান্তরে ৩২৭২) ফুট উচ্চতায় অফিসিয়ালি দেশের সর্বোচ্চ শিখর । চূড়ার কয়েকফুট নিচেই আমাদের বাশ ও কাঠের কটেজ। এইরকম পাহাড়ি কাঠের বাড়িতে থাকার ইচ্ছা দীর্ঘদিনের, লাল মুন থান লালার মালিকানাধীন কটেজগুলো দেখেই তাই সকল ক্লান্তি দূর হয়ে গেল । সন্ধ্যার পর পরই পাহাড়ে শীত নামতে শুরু করে, আমাদের আড্ডাও। মনে হয় ঐদিনের প্রথম অভিযাত্রি হলাম আমরা । পেটের ক্ষিদে তখন মগজ অবধি ভর করেছে, লালা’র বাড়িতে ডিম ভাজি , ডাল আর আলু ভর্তার অমৃত স্বাদ নেয়ার পর ঘুম চোখ বন্ধ হয়ে আসছে ! তারপরও রাতের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য অনেক রাত অবধি বাইরে তারার আলোয় সবাই মিলে গল্প করলাম !!

কেওক্রাডং’এ আমাদের আথিতিয়েতা দিয়ে মুগ্ধ করেছেন লালা মুন থন লালা পরিবার , তাঁর স্ত্রী ও ছেলের বউ’র হাতের রান্না করা খাবার অনেকদিন মনে থাকবে।

২১ ফেব্রুয়ারী ২০১৫ , বিদায় পাহাড়

২১ শে ফেব্রুয়ারী ভোরে ঘুম থেকে উঠে প্রস্তুতি নিতে শুরু ফিরতি যাত্রা করতে !!
এদিন আর কোন কর্মসূচি নেই, ফিরতে হবে নিজভূমে । যদিও মানুষের নিজের বলতে কি আসলেই নির্দিষ্ট কিছুকে বোঝায় সারা জীবন? এই পাহাড়ের সময়টা পাহাড়কেই তো কত নিজের মনে হচ্ছিলো । পাহাড় ছেড়ে যাবার জন্য তাই কিছুটা মন খারাপ হয়। অনেকে পাহাড়ের চিহ্ন রাখতে টুকটাক কেনাকাটা সেরে নেন , বেরিয়ে পড়ি আমরা । রুমা বাজার পর্যন্ত আমাদের সাথে ছিল চনুমং ।
ফেলে আসি পাহাড়, ফেলে আসি সাদা মেঘ , নীল আকাশ আর সবুজ পাহাড়ের বিশালত্ব । ফেরাপথে আবার সেই চাঁদের গাড়ি !

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.