![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
চীনের শেনইয়াং এয়ারক্রাফট করপোরেশন নির্মিত জে-৩৫এ যুদ্ধবিমান পাকিস্তান বিমানবাহিনীর জন্য স্টেলথ প্রযুক্তি ও যুদ্ধ সক্ষমতায় বড় অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। শত্রুর রাডারে ধরা না পড়ার মতো বৈশিষ্ট্য, উন্নত সেন্সর ও বহু ভূমিকার উপযোগী ডিজাইনসহ এই বিমানটি নানা ধরনের মিশনে অংশ নেওয়ার উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে। চীনের গুয়াংডং প্রদেশের ঝুহাই শহরে ২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত চায়না ইন্টারন্যাশনাল এভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস এক্সিবিশন এ প্রদর্শিত একটি একটি জে-৩৫এ স্টেলথ ফাইটার। ছবি: রয়টার্স
বিশ্বের শীর্ষ প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা বিষয়ক প্রকাশনা জেনস নিশ্চিত করেছে, পাকিস্তান শিগগিরই চীনের উন্নত প্রযুক্তির জে-৩৫এ স্টেলথ ফাইটার যুদ্ধবিমান পাচ্ছে। এটি শেনইয়াং নির্মিত এফসি-৩১ 'গায়রফ্যালকন'-এর রপ্তানিযোগ্য সংস্করণ। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এই যুদ্ধবিমান সরবরাহ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে।
জেনসকে এক ঊর্ধ্বতন পাকিস্তানি সরকারি কর্মকর্তা জানান, চীনের পঞ্চম প্রজন্মের এই যুদ্ধবিমান ব্যবহারকারী প্রথম আন্তর্জাতিক বাহিনীগুলোর মধ্যে অন্যতম হবে পাকিস্তান বিমানবাহিনী (পিএএফ)।
ওই কর্মকর্তা বলেন, 'আগামী কয়েক মাসের মধ্যে যুদ্ধবিমানগুলো আসতে শুরু করবে।' তিনি আরও জানান, বর্তমানে পিএএফ-এর পাইলটরা চীনে গিয়ে জে-৩৫এ পরিচালনার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। তবে মোট কতটি বিমান কেনা হচ্ছে কিংবা চুক্তির আর্থিক ও কৌশলগত শর্তাবলি সম্পর্কে এখনো কিছু প্রকাশ করা হয়নি।
শেনইয়াং এয়ারক্রাফট করপোরেশন নির্মিত জে-৩৫এ যুদ্ধবিমান পাকিস্তান বিমানবাহিনীর জন্য স্টেলথ প্রযুক্তি ও যুদ্ধ সক্ষমতায় বড় অগ্রগতি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। শত্রুর রাডারে ধরা না পড়ার মতো বৈশিষ্ট্য, উন্নত সেন্সর ও বহু ভূমিকার উপযোগী ডিজাইনসহ এই বিমানটি নানা ধরনের মিশনে অংশ নেওয়ার উপযোগী করে তৈরি করা হয়েছে।
জেনস ডিফেন্স নিউজের তথ্য অনুযায়ী, এই সংগ্রহ পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা কৌশলে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় নির্দেশ করছে। এর ফলে পাকিস্তান বিশ্বের গোনা কয়েকটি দেশের কাতারে চলে গেল যারা পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান পরিচালনা করছে। এই চুক্তি চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের কৌশলগত প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে আরও সুদৃঢ় করেছে, বিশেষ করে পরবর্তী প্রজন্মের সামরিক ফ্লাইট প্রযুক্তির ক্ষেত্রে।
আঞ্চলিক দেশগুলোর বিমানবাহিনী যখন পঞ্চম প্রজন্মের প্ল্যাটফর্মের দিকে এগোচ্ছে, তখন জে-৩৫এ সংযোজন ভবিষ্যতের আকাশযুদ্ধে পিএএফকে কৌশলগত সুবিধা দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জে-১০সিই-এর কার্যকারিতায় সন্তুষ্ট পাকিস্তান
সাম্প্রতিক সময়ে চীনে উৎপাদিত জে-১০সিই যুদ্ধবিমান নিয়ে পাকিস্তানি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা গভীর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সূত্রগুলো জানিয়েছে, ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক উত্তেজনার সময়ে এই যুদ্ধবিমানটি তার কার্যকারিতা প্রমাণ করেছে। নির্ভুল আঘাত হানার সক্ষমতা ও যুদ্ধক্ষেত্রে বাস্তব সময়ের প্রস্তুতির দিক থেকে জে-১০সিই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
জে-১০সিই'র সফলতা পাকিস্তানে চীনের মহাকাশ প্রযুক্তির ওপর আস্থা আরও জোরদার করেছে বলে জানা গেছে। এর ধারাবাহিকতায় পাকিস্তান আরও উন্নত যুদ্ধবিমান, বিশেষ করে জে-৩৫এ অধিগ্রহণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
জে-৩৫এ নিজেদের বহরে যুক্ত করতে চলেছে পাকিস্তান, যা থেকে স্পষ্ট—পাকিস্তান বিমানবাহিনী (পিএএফ) অঞ্চলের আধুনিক পঞ্চম প্রজন্মের আকাশযুদ্ধ পরিস্থিতিতে নিজেদের শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।
বিশের আর যেসব দেশ স্টেলথ ফাইটার ব্যবহার করে
বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদনের অনুযায়ী, ২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের লকহিড মার্টিনের এফ-২২ র্যাপ্টর স্টেলথ ফাইটার প্রথম আকাশে ওড়ার পর থেকেই পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানগুলো আকাশপথের একচ্ছত্র অধিপতি হয়ে উঠেছে।
এই অত্যাধুনিক ফাইটারগুলোতে থাকে উচ্চ পর্যায়ের ম্যানুভারিং ক্ষমতা, উন্নত ইলেকট্রনিক্স সিস্টেম, সুপারক্রুজের সক্ষমতা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণভাবে—শত্রুর রাডারে ধরা না পড়ার বিশেষ বৈশিষ্ট্য। একাধিক দিক থেকে ভয় জাগানো ও প্রশংসিত এসব বিমান বিশ্বের সেরা বিমানবাহিনীর চাহিদার শীর্ষে রয়েছে।
এ পর্যন্ত মাত্র চারটি বিমানকে 'পঞ্চম প্রজন্মের' মর্যাদা দেওয়া হয়েছে—লকহিড মার্টিন নির্মিত যুক্তরাষ্ট্রের এফ-২২ ও এফ-৩৫, চীনের জে-২০ এবং রাশিয়ার সু-৫৭। বর্তমানে ১২টি দেশ এই চারটি মডেলের যেকোনো একটির অপারেটর। তবে ২০৩০ সালের মধ্যে এই তালিকায় আরও আটটি দেশ যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, ভারতের সংগ্রহে স্টেলথ ফাইটার না থাকলেও ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস'-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটি নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে পঞ্চম প্রজন্মের স্টেলথ ফাইটার জেট 'এএমসিএ' (অ্যাডভান্সড মিডিয়াম কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট) নির্মাণের অনুমোদন দিয়েছে। আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের অগ্রগতি ঠেকানোর লক্ষ্যেই এই জেটের নকশা করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫, রাশিয়ার এসইউ-৫৭ এবং চীনের জে-২০-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার ক্ষমতা রাখবে এএমসিএ।
০৬ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:০৫
শাহ আজিজ বলেছেন: এরাই মানবতার বড় বন্ধু ।
২| ০৬ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:৩৫
কামাল১৮ বলেছেন: কিনে সামাল দেয়া যাবে না।দেখতে হবে বানাতে পারে কিনা।সেই সক্ষমতা আছে কিনা।
০৬ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:৪১
শাহ আজিজ বলেছেন: চীনারা এখন অস্ত্র বানানোর দিকে ঝুকেছে , পতনের শুরু ।
৩| ০৬ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:৩৯
ফেনিক্স বলেছেন:
পাকিস্তান কি কেহ দখল করে নিচ্ছে?
আপনি কি মনে করেন, পাকিস্তান এসব কেনা কি স্বাভাবিক বলে মনে হয়?
০৬ ই জুন, ২০২৫ রাত ১০:০০
শাহ আজিজ বলেছেন: পাকিস্তান লড়াইবাজ রাষ্ট্র ।
৪| ০৭ ই জুন, ২০২৫ রাত ২:১৯
লুধুয়া বলেছেন: ৬০% জনগণ কে অপষ্টি রেখে সেনাবাহিনী নিজেদের জন্য খেলনা কিনছে
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৪
নাহল তরকারি বলেছেন: ডিফেন্স এর পিছনে বিনিয়োগ।