![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
আমিষের চাহিদা মিটাতে দৈনিক অসংখ্য অবলা প্রাণীকে হত্যা করা হয়। সুতরাং কোরবানীতে অবলা প্রাণীর জন্য দরদ উথলে উঠার দরকার নাই।কোরবানীতে তাদের হত্যা করা না হলে অন্য সময় কি তাদেরকে হত্যা করা হবে না? কোরবানী মানে ত্যাগ।কোরবানী যারা দেয় তারা এর কিছু অংশ অব্যশ্যই আত্মীয় ও গরীবদের জন্য ত্যাগ করে। যারা কোরবানী দিচ্ছে না তাদের উদ্দেশ্যে আমরা কিছু অংশ ত্যাগ করার পরিকল্পনা এর মধ্যে করে রেখেছি। একটা অবলা জীবকে হত্যা করে এভাবেই কোরবানী (ত্যাগ) করা হয়। অন্য সময় বাজার থেকে পশুর যে মাংস ক্রয় করা হয় তার থেকে সাধারণত কোন অংশ ত্যাগ করা হয় না। এ জন্য সেটা কোরবানী নয়। কতিপয় লোক এমন সহজ বিষয় কেন বুঝে না সেটা বোধহম্য নয়।
কোরবানীর যারা বিরোধীতা করে তারা অন্য সময় অবলা জীব কে হত্যা করা বন্ধ করুক। বন্ধ করুক বড় মাছের ছোট মাছকে জ্যান্ত গিলে ফেলা।এটা প্রকৃতির নিয়ম যে এক প্রাণী অন্য প্রাণীকে খেয়ে বেঁচে থাকুক। আর মাছ কি জীব নয়? সেগুলো কি আমরা মেরে খাই না? তো সেই একই কাজ কোরবানীতে করলে দোষটা কোথায়? মাছদের কি দোষ? আমরা ওদেরকে মেরে খাই কেন? সুতরাং কোরবানী উপলক্ষ্যে যারা বেকুবী কথা বলে তাদের কথা শুনার দরকার নাই।
বিকেলেই গরীবরা আসবে কোরবানীর গোস্ত নিতে। তাদেরকে গোস্ত দিয়ে খুশী করতে পারলে আমাদেরও খুশী লাগবে। নিজের টাকায় পশু কিনে অন্যকে এর গোস্ত দিয়ে দেওয়া, এটাই কোরবানী। নিজে খেলেও নিজের রুহকে দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যদেরকে খেতে দিলে সেটাও দান। অন্তত একদিন ত্যাগের প্রাকটিস করা হয়, এরপর এভাবে সারা বছর ত্যাগের প্রাকটিস চলে। তবে কিছু লোক প্রা্ণীদেরকে না খেলে অন্যদের ভাগে বেশী পড়ে, এটাও মন্দ না।
মানুষ অনেক অর্থহীন কথা বলে থাকে। কোরবানীর বিরোধীতা সেরকম অর্থহীন কথা। কারণ কোরবানীতে পশু পালক আর্থিকভাবে লাভবান হয়। আপনি যখন ঔষধ খান তখন আপনি রোগ জীবানুদেরকে হত্যা করেন। সুতরাং নিরামিষ ভোজীরাও হত্যাকারীর তালিকা থেকে বাদ পড়ে না। নিজের উপকারে এভাবে মানুষ প্রতিনিয়ত হত্যা করে। মশাদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ওরাতো ওদের খাবার খেতে যায়। তাহলে কোন অপরাধে তাদেরকে হত্যা করা হয়?
হত্যা যখন শুধু নিজে খাওয়ার জন্য না হয়ে অপরকে দেওয়ার জন্যও হয়ে থাকে তখন সেটা কোরবানী বা ত্যাগ। অন্যকে দিয়ে খাওয়ার এ রীতিতে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন। অবোধ লোকেরা এসব বুঝে না। তাদের কথায় অন্যরা নিরবে হাসে। কারণ তাদের বোকামী দেখে তারা লজ্জা পায়।
আজ কোরবানের ঈদ। সবাইকে অগ্রিম ঈদের শুভেচ্ছা। কোরবানীর যারা বিরোধীতা করে তারা মূলত অবোধ লোক। তাদের কথায় উত্তেজিত হওয়ার কিছু নাই। কারণ রোগ থেকে বাঁচতে তারাও অবলা জীব রোগ জীবানু হত্যা করে। এ লোক গুলো নিজে হত্যাকারী হয়ে অন্যের হত্যার দোষ ধরে। এসব লোকের কথা শুনা হলো সময়ের অপচয়।
০৭ ই জুন, ২০২৫ ভোর ৫:১৭
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কোরবানীর উদ্দেশ্য হলো আবেগ ত্যাগ করে দায়িত্ব পালনকে গুরুত্ব প্রদান করা। হত্যা হিসাবে এটাকে মন্দ কাজ বলা হলে বলতে হয় হত্যা থেকে বিরত থাকা আসলে অসম্ভব। রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও বাজায় রাখতে হত্যা করতেই হয়। সুতরাং হত্যার বিরোধীতা অসম্ভব কাজ।
২| ০৭ ই জুন, ২০২৫ রাত ২:১৬
লুধুয়া বলেছেন: এখানে বিরোধিতা করা হয় হাইপোক্রিসির জন্য মাংস খাওয়ার জন্য নয়।যারা আমিষের জন্য মাংস খায় তারা মাংসের জন্যই খাই কোনো স্যাক্রিফাইস/আত্মত্যাগ নাম করে খায়না।কোরবানি তে লোক গরুর মাংসের ওজন নিয়ে কিনে। মাংস কতো এবং কেমন হবে জেনেই কিনে।আলটিমটেলি খাওয়ার জন্য কোরবানি দেওয়া হয়। কিন্তু যখন কোরবানি কে বলে স্যাক্রিফাইস/ ত্যাগ এ নামে চালিয়ে দেই ।সেটা hypocrisi।
০৭ ই জুন, ২০২৫ ভোর ৫:২৩
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কোরবানী হলো আবেগের স্যাক্রিফাইস করে দায়িত্ব পালন। এরমানে আমার থেকে আল্লাহ যা চান আমি অবশ্যই সেটা করব। আমার কাজে আবেগ বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। আমার কাজে কারো বিরোধীতাও বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। যে যা বলে বলুক তার পরোয়া নাই, আল্লাহর ইচ্ছাটাই সবচেয়ে বড় কথা। সবার বিবেচনায় সব কিছু এক রকম না।
৩| ০৭ ই জুন, ২০২৫ ভোর ৪:০২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
নবী ইব্রাহিম অনেক জ্ঞানী লোক ছিলেন।
স্বপ্নে দেখেই বুঝে গেলেন সব।
তার নিজের প্রাণ তাঁর কাছে সব চেয়ে প্রিয় ছিলা না।
০৭ ই জুন, ২০২৫ ভোর ৫:২৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: হযরত ইব্রাহীমের (আ) অনুসারীই এখন বিশ্বের সবচেয়ে বেশী মানুষ। আর মানুষ হলো মতভেদের বাসা। একজন যা বলে অন্য জন বলে তার উল্টা। এ নিয়ে অনন্ত কাল ঝগড়া করলেও ঝগড়া শেষ হবে না। কিন্তু ঝগড়া ছাড়াও আমাদের আরো পাঁচ কাজ আছে। সুতরাং কারো বিরোধীতায় কোরবানী বন্ধ হবে না।
৪| ০৭ ই জুন, ২০২৫ ভোর ৪:৩৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
নবী ইব্রাহিমের স্বপ্ন ছিল বড়ই আচানক স্বপ্ন।
সেই স্বপ্নের ধাক্কায় আজ মুসলিম জাতি হাজারে হাজারে পশু হত্যার নেশায় মেতে উঠে।
০৭ ই জুন, ২০২৫ ভোর ৫:২৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মুসলিম জাতি হাজারে হাজারে পশু হত্যার নেশায় মেতে উঠে অন্যরা কোটি কেটি মানুষ হত্যা করে। হত্যা থেকে কারা বিরত আছে?
৫| ০৭ ই জুন, ২০২৫ ভোর ৪:৩৭
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
নবী ইব্রাহিম অনেক জ্ঞানী লোক ছিলেন।
স্বপ্নে দেখেই বুঝে গেলেন সব।
তার নিজের প্রাণ তাঁর কাছে সব চেয়ে প্রিয় ছিলা না।
নবী ইব্রাহিমের স্বপ্ন ছিল বড়ই আচানক স্বপ্ন।
সেই স্বপ্নের ধাক্কায় আজ মুসলিম জাতি হাজারে হাজারে পশু হত্যার নেশায় মেতে উঠে।
০৭ ই জুন, ২০২৫ ভোর ৫:৩১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: নিজের প্রাণ বেশী প্রিয় হলেও আত্মহত্যা মহাপাপ। কিন্তু বদ লোক হত্যা খুবই উপকারী। কোরবানীতে হত্যার অভ্যাস তৈরী হয়। এরপর বদ লোক হত্যা করা গেলে সবার মঙ্গল হয়।
৬| ০৭ ই জুন, ২০২৫ ভোর ৬:০৪
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
লেখক বলেছেন: নিজের প্রাণ বেশী প্রিয় হলেও আত্মহত্যা মহাপাপ। কিন্তু বদ লোক হত্যা খুবই উপকারী। কোরবানীতে হত্যার অভ্যাস তৈরী হয়। এরপর বদ লোক হত্যা করা গেলে সবার মঙ্গল হয়।
১১/১২ বছরের বালক ইসমাইল কি বদ লোক ছিল যে ইব্রাহিম নবী উহাকে হত্যা করতে উদ্যত হয়েছিল?
০৭ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৭:০৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তিনি সেটা করতে গেছেন আল্লাহর ইচ্ছার নিকট নিজের ইচ্ছা কোরবান করার জন্য। আল্লাহর ইচ্ছা এমন বিষয় যাতে কোন প্রশ্ন তুলতে হয় না। কারণ আল্লাহর ইচ্ছা এমন যে হত্যা না করলেও কারো মৃত্যূ হয়ে যেতে পারে। আল্লাহর ইচ্ছায় গেদা বাচ্চারও মৃত্যূ হয়।
৭| ০৭ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৭:৩৭
রাসেল বলেছেন: যারা কোরবানির বিরোধিতা করে, তারা খুব ভালো করেই জানে এখানে অমানবিকতার কিছু নাই। পরোক্ষে ইসলামের বিরোধিতা করা লক্ষ্য। তারা কি আমিষ ভোজন করে না? তারা কি পশু বলি দেখে না? তবে, রাস্তা ঘাটে কোরবানি করা উচিত নয় আমার দৃষ্টিতে।
০৭ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:২১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সহমত
৮| ০৭ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৩৬
আমি নই বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ, কোরবানী করেছি এবং বরাবরের মতই এবারো কোরবানীর মাংসের একটা অংশ দুঃস্থদের মাঝে বিতরন করা হবে ইনশাআল্লাহ।
অবলা জীব কে হত্যা করা বা এ জাতীয় কথা যারা বলেন এনারা পিউর ইসলাম বিদ্বেষি, যদিও আমার ধারনা ব্লাকফ্রাইডেতে পরিমানে বেশি টার্কি হত্যা করা হয় শুধুমাত্র খাওয়ার জন্য, (খাওয়া ছারা আর কোনো আউটকাম নেই) কিন্তু এই সকল সো কল্ড সিজনাল পশু প্রেমিদের কখনই এ ব্যপারে কথা বলতে দেখবেন না।
কোরবানীতে লক্ষ লক্ষ মানুষ মাংস খেতে পারে (এমন মানুষ আছে যারা বছরে একদিনও মাংস কিনে খাওয়ার সামর্থ রাখেনা), অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখে, অনেক মানুষের জীবিকার পথ সৃষ্টি হয়, যেগুলো এই হিপোক্রেটদের চোখে কখনই পরেনা।
৯| ০৭ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৩৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কুরবানী নিয়ে যাদের চুলকানি তাদের উচিত ঈদের দিন উপোস থাকা। গোরুর মাংস কি খায় না মানুষ? যা কসাইখানায় জবেহ দেয় ঈদের সময় বাসা বাড়িতে কুরবানী দেয়। কুরবানের সাথে সিজনাল ব্যবসা জড়িত আছে। আবার যারা ধর্মীয় রীতি মেনে কুরবানী দেয় তারা গরীব মানুষকে মাংস দেয়। এভাবে দেশের সবার একদিন মাংস খাওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
১০| ০৭ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:০২
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: গোরু জবাই প্রকাশ্যে না করে স্লোটার হাউসে তাদের কে অচেতন করে করা উচিৎ । এই ভাবে প্রকাশ্যে সবার সামনে তাকে ফেলে দিয়ে জবাই করা এবং তার ছটপটানি দেখা এবং রক্তের স্রোত বইয়ে দেয়া অনেক মানুষের পক্ষে সহ্য করা অসম্ভভ এবং এটা দেখে মানুষ মারা অভ্যাস হয়ে যেতে পারে।
১১| ০৭ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:২৯
আমি নই বলেছেন: এইচ এন নার্গিস বলেছেন: গোরু জবাই প্রকাশ্যে না করে স্লোটার হাউসে তাদের কে অচেতন করে করা উচিৎ । এই ভাবে প্রকাশ্যে সবার সামনে তাকে ফেলে দিয়ে জবাই করা এবং তার ছটপটানি দেখা এবং রক্তের স্রোত বইয়ে দেয়া অনেক মানুষের পক্ষে সহ্য করা অসম্ভভ
যার পক্ষে সহ্য করা অসম্ভভ তার দেখতে যাওয়ার দরকার কি?
এবং এটা দেখে মানুষ মারা অভ্যাস হয়ে যেতে পারে।
আপনি কি মংগল গ্রহ থেকে আজকেই নামলেন? আপনার হয়ত জানা নেই, মুসলিমরা ১৪০০+ বছর থেকেই কোরবানী দেয় আর এই কোরবানী দেয়ার কারনে কারো মানুষ মারা অভ্যাস হয়েছে বলে কেউ জানে না। সো নিশ্চিত থাকেন এবং নিজের চরকায় তেল দ্যান।
১২| ০৭ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৯
কথামৃত বলেছেন: আজকের দিন আমার খুবই পছন্দের দিন, কেননা আজ বাংলাদেশের সকল মুসলিমের ঘরে এই টুকরো মাংস হলেও আছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জুন, ২০২৫ রাত ২:০৭
নিমো বলেছেন: কুরবানির উদ্দেশ্য কি মাংস খাওয়া? তাহলে মাংস খাওয়ার উদাহরণের সাথে এর তুলনা কেন? কৃত্রিম মাংসের গবেষণা এখন যথেষ্ঠ অগ্রসর। আগামী দিনেও যথেষ্ঠ সম্ভাবনা আছে নূতন ধরণের খাদ্যের যাতে হয়তো আর প্রাণী হত্যা করতে হবে না। মধ্যযুগে সম্পদ বলতে পশুই বোঝাত। যুদ্ধে ঘোড়া, বাণিজ্যে উট। দু্ম্বা যুদ্ধেও লাগে না, বাণিজ্যেও লাগে না। কৃষি প্রধান অঞ্চলে গরুই সম্পদ ছিল। জাপান এক সময় তাই গরু খেত না। পরে আংকল স্যামের প্রভাবে এখন খায়। এসব নিয়ে নির্বোধের তর্ক কেন? আজকের যুগে ইসলাম এলে হয়তো আইফোন কুরবানির দ্রব্য হতো। কারণ এখন পশু আদৌ কৃষক ছাড়া আর কারও জন্য জরুরি না। পরিবেশের জন্যই আমাদের খাদ্য পরিবর্তন দরকার।