![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২১ শে ফেব্রুয়ারী, খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে রেডী হয়ে গেলাম। সকাল ৬.০০ আমাদের যাত্রা শুরু হল থানচির উদ্যেশ্যে। যাত্রা শুরু হওয়ার কিছুক্ষন পরেই বান্দরবন-থানচির রোডের ভয়ংকর সুন্দর যত সব ইউটার্ন (বাক)। সেই সব ভয়ানক টেকের মোডের কথা স্মরণ করলে এখনও গা ছম ছম করে উঠে।কারন সে সব পয়েন্টে গাডীর গতি একটু ১৯-২০ হলেই কি ঘটবে, তা ভাবতেই ভয় লাগে। যাক এসবের ভিতর দিয়েই আমাদের গাডী এগিয়ে চলল। এরই মধ্যে আমরা শৈলপ্রপাত সহ আরও কয়েকটা পর্যটন এলাকা ক্রস করে এলাম।আমাদের মধ্যে রাসেদ ভাই ক্যানের বোতলের সাউন্ড বক্সের মাধ্যমে মোবাইলে গান চালিয়ে দিল এবং এই কাজে রাশেদকে হেল্প করল সোহেল ভাই।এরই মাঝে কেউ বা নিজেই গান গাইছিল, আর কেউবা চুরুট টানছে, আর তা দেখেই অন্য একজন তাতে কয়েক টান দেওয়ার জন্য "1st booking " কিংবা "2nd booking" দিয়ে রাখছে। আর এটাই ছিল এই ট্যুরের দেখারমত এক দৃশ্য। আর আমি আশেপাশের প্রকৃতি দেখেই সময় পাস করছি। একে একে আমরা চিম্বুক পাহাড, নীলগীরিসহ আর অনেকগুলো পর্যটন স্পট অতিক্রম করলাম।আমি দেখেছি ইন্ডিয়া ভুটান ইত্যাদি বিভিন্ন জায়গায় পাহাডের খাজ বরাবর রাস্তা হতে, কিন্তু পাহাডের একদম চূডা দিয়ে রাস্তা দেখলাম বান্দরবন-থানচি রোড। এভাবেই অনেকগুলো পথ পাডি দিয়ে "বলি" পাডায় পৌছলাম।
উপরের ছবিটি বলি পাডায় রিপোর্টিং এর সময় তোলা ছবি !!
ঐখানে গিয়ে বিজিবি ক্যাম্পে রিপোর্টিং করতে হল। রিপোর্টিং শেষে আবার যাত্রা শুরু হল। যাওয়ার পথে একটা জিনিস খেয়াল করলাম, সেটা হল নীলগিরি পার হওয়ার পর শীত যেন ক্রমেই বেডে তীব্র আকার ধারন করছে, পরে অবশ্যয় বুঝতে পারলাম সামনে ছিল বিশাল একটা পাহাড যেটি ঠিক হিমালয়ের মত দাঁডিয়েছিল, যার ধরুন শীত বেশি লাগছিল। যাক, প্রায় ২.৩০ ঘন্টা থেকে ৩ ঘন্টা জার্নির পরে থানচি এসে পডলাম। এসেই গাইড ঠিক করে তারপর ভাল করে নাস্তা করলাম, কারন সারাদিন এটা খেয়েই কাটাতে হবে।গাইড হল সেই নুরু যাকে নিয়ে গতবছর আমরা তাজিংডং গিয়েছিলাম।
সবাই মিলে পুলিশ কেম্পের সামনে সেলফি নিলাম।।
পুলিশ এবং বিজিবি এর অনুমতি পর্ব শেষ করে রিমাক্রি যাওয়ার প্রস্তুতি শুরু।
নৌকাতে উঠার ঠিক আগ মুহুর্তে তোলা ছবি ।
আমরা ১২ জনের জন্য তিনটা নৌকা ভাডা করা হল এবং যথাক্রমে চার জন করে উঠে গেলাম। সাংগু নদী পথে এগিয়ে চলল আমাদের নৌকা, অবশ্যয় এটাকে নৌকা না বলে আফ্রিকান ক্যানু বলাই ভাল, কারন এগুলো অনেকটা ভেলার মত, যেটা পুরা একটা গাছকে কেটে খোলের মত করে বানানো।নৌকা ভ্রমনের মত এত আনন্দ ও রোমাঞ্চ আগে কখনো পাইনি!
অসাধারণ সেই অনুভুতি যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নই, তাই ঐ মূহুর্তের অনেকগুলো ছবি নিচে দিলাম । প্রকাশ
[img|http://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/Fahimabu/Fahimabu-1494337004-26419a8_xlarge.jpg
চারদিকে অবারিত সবুজের মেলা, নদীর তীরে বিভিন্ন ধরনের ক্ষেত খামার, তার বেশির ভাগই হল তামাক চাষ।আর এভাবেই আমরা পদ্মঝিরির মুখে পৌঁছে গেলাম। ঐখানে নেমেই আমরা হালকা নাস্তা পানি খেয়ে নিলাম।এর পরই শুরু আমাদের আসল ট্রেকিং।
পদ্মঝিরির পথ ধরে --------
এখান থেকেই মূলত শুরু হল আমাদের পাহাড, ঝিরি পথে হাটা। ঝিরির পথে হাটতে ভালই লাগছিল,কেউ বা আগে আর পিছে, মাঝে মাঝে প্রকৃতি ছবিও তুলছিলাম। প্রায় ঘন্টা দুয়েক হাটার পর ঝিরির পথে একটা জায়গায় দেখলাম, এক লোক চা বিক্রি করছে। সেখানে বসে আমরা চা, বিস্কিট এবং কলা খাইলাম এবং সবাই মিলে একটা অল্ফি( সেল্ফি) ও নিলাম। তারপর আবার হাটা শুরু যথারীতি।
©somewhere in net ltd.