নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ফালতু কথা

অালমগীর ৮৫

অতি সাধারণ এক মানুষ অামি । সাদা চোখে সব দেখতে ভালোবাসি।

অালমগীর ৮৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফালতু কথা ৯

০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ২:৫৯

তার কোন লজ্জা নাই।
....................................।
তসলিমা নাসরিনের সাথে আমার পরিচয়, যখন আমি ক্লাস নাইনে পড়ি। সরাসরি কখনো তার সাথে
আমার দেখা হয়নি। পরিচয় হয়েছে তার লেখা লজ্জা বই এর মাধ্যমে। পরে তার লেখা অামার
মেয়ে বেলা, সোধ, আত্মজীবনীসহ এমন কোন বই নেই যে, আমি পড়িনি। প্রথম যখন তার
লেখা "অামার মেয়ে বেলা" পড়ি, আমি সত্যিই মুগ্ধ হয়েছিলাম। এত চমৎকার লেখা,
ভাষা জ্ঞান, প্রতিবাদী সুর সবই আমাকে মুগ্ধ করেছিলো, যার ফলে গো-গ্রাসে সকল
বই সংগ্রহ ও পড়ে ফেলা। সে সময় থেকেই তার প্রতি প্রচন্ড ভালবাসাও অনুভব
করতাম নিজের মধ্যে। "তুমি ভালো থেকো দেশ আমি ভালো নেই" বইটি পড়ার পরে নিজের
মধ্যে ব্যাথার পরিমানটা আরো বেড়ে গিয়েছিলো। সে সময় মনে মনে চিন্তা করেছিলাম তার
সাথে কোন দিন যদি দেখা হয় তাহলে বলবো আমি লজ্জিত যে, আমি পুরুষ। পুরুষ
শাষিত সমাজে নারীরা যে কি অবহেলা,গঞ্জনা আর শোষনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা
আপনার লেখনী না পড়লে জানতে পারতাম না। সেই সমাজের পুরুষ হিসেবে আমি লজ্জিত।

আর সুজোগ থাকলে চেষ্টা করবো তাকে দেশে ফিরিয় আনার। মানবতার খাতিরেই আমার
নিকট মনে হয়েছে যে, একজন মানুষ অন্যায় করতেই পারে। সে জন্য দেশে আইন আছে, আদালত আছে, সেখানেই তার বিচার হতে পারতো। তবুও সে তার মাতৃভুমিতে থাকতে পারতো। তার পরিবার, দেশবাসির সাথে যোগাযোগ করতে পারতো। আইনী পদক্ষেপের মাধ্যমে নিজেকে নির্দোষ প্রমান করার সুযোগটা অন্তত পেতো। পরিবার, গ্রাম, দেশের মানুষ তার পৈতৃক সম্পদ সব কিছু এমন কি দেশ ছেড়ে আজ তাকে ঘুরতে হচ্ছে দেশে দেশে। তাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা এটা অমানবিক। তার সাতে যোগাযোগ করার মানষে ঢাকায় অবস্থতি বেশ কযেকজন প্রকাশেকের সাথেও যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলাম।

কিন্তু ইদানিং কালে দেখছি আমার সে আগ্রহতে প্রবলভাবে ভাটা পড়ছে। গত বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে গন-জাগরন মঞ্চের একজন প্রথম সারির কর্মী, সাম্মি হক একটি আহবান করেছিলো, বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে মনের মানুষকে প্রকাশ্যে চুমু খাওয়ার। সেই আহবানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জম্ন দিয়ে ছিলো। এ আলোচনায় তসলিমা নাসরিনও দেখলাম মাত্রা জোগালেন। তিনি লিখেছিলেন, "এখন তো সময় প্রকাশ্যে সেক্স করার।" তার এ স্ট্যাটাস পড়ার পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছি। আসলেই কি তাই? প্রকাশ্যে সেক্স করাটা কি মানুষের দ্বারা সম্ভব? এটা মানুষ এবং মানবিকতার সাথে যায় কি না? পশু-পাখি অন্যান্য ইতর প্রানীরা প্রকাশ্যে সেক্স করে। কিন্তু আমরাও যদি তাই করি তাহলে অামাদের আর পশুর মধ্যে পার্থক্য কোথায়? কিসের ভিত্তিতে আমরা বলতে পারি যে অামরা সভ্য হয়েছি? তারপর থেকে তার লেখিনি নিয়ে ভবিছি। লজ্জা বইখানিতে তিনি মুসলমি উগ্রবাদী কর্তৃক হিন্দুদের ঘর বাড়ি লুট, মন্দির হামলা, হিন্দু মেযেকে নির্যাতন ইত্যাদি বিষয়ে তিনি লজ্জা পেযেছেন। কিন্তু বইয়ের শেষ দৃশ্যে হিন্দু যুবক কর্তৃক প্রতিশোধ স্পৃহা হেতু মুসলিম পতিতাকে বাসায় এনে তাকে রেপ করা আর মনে মনে এই সান্তনা নেওায়া যে আমিও মুসলিমদের রেপ করলাম। এ ঘটনায় তিনি মোটেও লজ্জা পাননি। যেমন প্রকাশ্যে সেক্স করাতেও তিনি লজ্জা পান না বা পেতে চান না। তার মানে হলো লজ্জার মাথা তিনি অনেক আগেই খেয়ে ফেলেছেন, তিনার কোন লজ্জা নাই। নাম কামানো ও শিরোনামে আসার জন্যই মাঝে মাঝে তিনি লজ্জা পান।

তার অনেক লেখার এখনো আমি ঘোরতর সমর্থক। কিন্তু এ বিষয়টি প্রমান করে যে তিনি মানুষিক বিকার গ্রস্থ। হয়তো দীর্ঘ সংগ্রাম, নানা বঞ্চনা, স্বামী সংসার না থাকা, কোথাও আশ্রয় না পাওয়া, পুরুষ দ্বারা প্রতারিত হওয়া, ভবঘুরের মতো দেশে দেশে ঘুরে বেড়ানো, বয়স বেড়ে যাওয়া, সব মলিয়ে তিনি মানুষিক ভাবে হতাশায় ভুগছেন। আর সেই থেকেই মানুষিক ভারসাম্য হারিযে ফেলেছেন। সরকারের উচিত তাকে দেশে এনে মানষিক হাসপাতালে চিকিৎসা করানো। নইলে বিদেশে বসে তিনি এমন আবোল তাবোল কথা বলতেই থাকবেন এবং আমাদের প্রিয় মাতৃভুমীকে আরো লজ্জায় ফেলবেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৪

এইচ এম রাইহান বলেছেন: ভাল লিখেছেন। আমিও তার জীবনী পড়েছি, তাই বুঝতে পারছি এইসব বলার বা লেখার পিছনের কারনটা। প্রতিকূল পরিবেশে বড় হওয়া, নি:সঙ্গ জীবনযাপন, সঠিক নির্দেশনার অভাব ও পুরুষ দ্বারা প্রতারিত হওয়ার জন্যই তিনি এসব বলে যাচ্ছেন। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে মানুষ যা করে। যদিও তার সকল বক্তব্যের সাথে আমি একমত নই।

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৬

তাল পাখা বলেছেন: শাম্মী আক্তারের রুচিবোধ প্রকাশ্যে চুম্মন পর্যন্ত নেমেছে। আর তসলিমার রুচির নিম্নগামীতার শেষ সীমানায়।
মেয়েরা সমাজে অধিকার বঞ্চিতা,নির্যাতিতা, নিষ্পেষিতা। এটা একটা সামাজিক ব্যাধি। এই ব্যাধি দূর করতে ভুক্তভোগীসহ সমাজের প্রত্যেকটি সচেতন মানুষেরই এগিয়ে আআসা উচিৎ।কিন্তু একবার ভেবে দেখেছেন কি সামাজিক এই সমস্যা দূর করতে প্রকাশ্যে চুমু খাওয়া আর সেক্স করার ভূমিকাটা কোথায়? আসলে এগুলো হচ্ছে মানসিক বিকারগ্রস্ত। সমাজ সংস্কারের নামে সমাজকে ধ্বংস করে নিজেদের মতাদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে চায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.