নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

"“প্রচার করো যদি একটি মাত্র আয়াতও হয়”"

অতএব কষ্টের সাথ সফলতা রয়েছে, নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে সফলতা রয়েছে, অতএব যখনই সময় পাও কঠোর পরিশ্রম কর। {আল-ইনশিরাহঃ৫-৭}

ফারহাত৮৮৯

তার কথার চেয়ে আর কার কথা অধিক উত্তম যে মানুষকে নেকের দিকে আহবান করে এবং নিজে সৎ কাজ করে আর বলে আমিতো একজন মুসলিম। সূরা ফুসিলাত আয়াত ৩৩

ফারহাত৮৮৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সারা বিশ্বে একই দিনে ঈদ উদযাপন এবং এই বিষয়ে ডাঃ জাকির নায়েকের মন্তব্য

২৮ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:২৭

প্রশ্নঃ ইসলামি মাস কিভাবে শুরু হয়?



উত্তরঃ ডাঃ জাকির নায়েকঃ ইসলামি মাস শুরু হওায়ার ব্যাপারে আল্লাহ কুরআনে পরিস্কারভাবে বলে দিয়েছেন।



তিনি বলেছেন,



“তোমার নিকট তারা জিজ্ঞেস করে নতুন চাঁদের বিষয়ে। বলে দাও যে এটি মানুষের জন্য সময় নির্ধারণ এবং হজ্বের সময় ঠিক করার মাধ্যম”



[সূরা বাকারা আয়াত ১৮৯]



মুহাম্মাদ (সাঃ) একাধিক সহীহ হাদীসে এ ব্যাপারে বলেছেন, যেমন- “আবু হুরায়রা (রা) বলেছেন, "যখন তোমরা নতুন চাঁদ দেখ তখন রোযা রাখ এবং যখন শাওয়াল চাঁদ দেখ তখন রোযা ভেঙ্গে ফেল আর যদি আকাশ মেঘাছন্ন থাকার কারণে চাঁদ দেখা না যায় তবে রমযানের ত্রিশ দিন পূর্ণ করো একইভাবে শাবানেরও”"



[বুখারী, অধ্যায় রোযা, হাদীস নং ১৯০৯]



আয়েশা (রা) বলেন, "মুহাম্মাদ (সা) শাবানের মাসের দিন গণনার ক্ষেত্রে অতিশয় সাবধানতা অবলম্বন করতেন এবং তিনি যখনই নতুন চাঁদ দেখতে পেতেন তখন রোযা শুরু করতেন। আর যদি নতুন চাঁদ না দেখতে পেতেন তাহলে শাবান মাসের ত্রিশ দিন পূর্ণ করে রোযা রাখতেন"



[আবু দাউদ, হাদীস নং ২৩১৮]



সুতরাং তিনি নির্দিষ্টভাবে বলেন নি যে, কখন রমজান শুরু হয়। চাঁদের প্রত্যক্ষদর্শী সম্পর্কে হাদীসে বলা হয়েছে যে, "যখন দুইজন মুসলিম চাঁদ দেখবে তখন রোযা ভেঙ্গে ফেল অথবা রাখ"



[নাসাঈ, হাদীস নং ২১১৮]



অর্থাৎ চাঁদ উঠেছে কিনা তা জানার জন্য দুইজন মুসলিম প্রত্যক্ষদর্শী প্রয়োজন।



কিছু আলেম বলেন যে, রোযা শুরু করার জন্য একজন প্রত্যক্ষদর্শীই যথেষ্ট।



কারণ হাদীসে আছে, "“আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রা) বলেন, যখন লোকজান রমজানের নতুন চাঁদ দেখার চেষ্টা করেছিলো তখন আমি মুহাম্মাদ (সা) বললাম, আমি নতুন চাঁদ দেখেছি, তখন তিনি রোযা আরম্ভ করলেন এবং সকলকে রোযার জন্য নির্দেশ দিলেন”"



[আবু দাউদ, হাদীস নং ২৩৩৫]



সুতরাং অধিকাংশ আলেম বলেন যে রোযা রাখার জন্য একজন দর্শক হলেই চলবে তবে রোযা ভঙ্গ করার জন্য দুইজন দর্শক প্রয়োজন।



প্রশ্নঃ পৃথিবীতে মুসলমানরা সকলে একই দিনে রোযা রাখা, ইদুল ফিতর এবং ইদুল আযহা পালন করার ব্যাপারে একতাবদ্ধ নয় কেন?



উত্তরঃ ডাঃ জাকির নায়েকঃ এই ব্যাপারে আলিমদের মধ্যে মতভেদ আছে। একদল বলেন, সারা বিশ্বের মুসলমানদের মক্কার সময় অনুসরণ করা উচিত। অন্য দলের আলেমগণ বলেন, এই সময়টি বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় সময়ে হওয়া উচিৎ।



আল্লাহ কুরআনে ইরশাদ করেছেন,



“রমযান মাসই হল সে মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে কোরআন, যা মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুষ্পষ্ট পথ নির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে লোক এ মাসটি পাবে, সে এ মাসের রোযা রাখবে। আর যে লোক অসুস্থ কিংবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজ করতে চান; তোমাদের জন্য জটিলতা কামনা করেন না যাতে তোমরা গণনা পূরণ কর”"



[বাকারা আয়াত ১৮৫]



মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন, "“তোমরা যখন নতুন চাঁদ দেখ তখন রোযা রাখ এবং নতুন চাঁদ দেখলে রোযা ভেঙ্গে ফেল"



[বুখারী, হাদীস নং ১৯০৭ ও ১৯০৯]



সুতরাং এই হাদীসটির উপর ভিত্তি করে ইবনে তাইমিয়াহ (রহ) বলেন যে, সারা বিশ্বের সব জায়গা থেকে একই দিনে রমজানের চাঁদ দেখা অসম্ভব। সুতুরাং মক্কার সময়টি সারা বিশ্বে একযোগে অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।



"মুহাম্মাদ (সাঃ) আরো বলেছেন, “ঐ দিন রোযা আরম্ভ হবে যেদিন সকলে রোযা রাখবে, রোযা ভাঙ্গতে হবে ঐ দিন যেদিন সবাই রোযা ভাঙ্গে আর কুরবানি করতে হবে ঐ দিন যে দিন সকলে কুরবানী করে"



[তিরমিযী, হাদীস নং ৬৯৭]



কুরআনে বলা হয়েছে যে,



“"আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত"



[বাকারাঃ ১৮৭]



কিন্তু সূর্যদয় সারা বিশ্বে একই সময়ে হয় না বরং একেক দেশে একেক সময়ে হয়। সুতরাং রোযা পালনে স্থানীয় সময় অনুসরণ করতে হবে।



প্রশ্নঃ যে শহরে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে রমযান এবং ঈদ পালন করা হয় সেই শহরের লোকদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত কী ?



উত্তরঃ ডাঃ জাকির নায়েকঃ এই ব্যাপারে হাদীসে পরিস্কার বলা হয়েছে।



যেমন,

"ঐ দিন রোযা আরম্ভ হবে যেদিন সকলে রোযা রাখবে, রোযা ভাঙ্গতে হবে ঐ দিন যেদিন সবাই রোযা ভাঙ্গে আর কুরবানি করতে হবে ঐ দিন যে দিন সকলে কুরবানী করে”"



[তিরমিযী, হাদীস নং ৬৯৭]



সুতরাং একই শহরের লোকদের একই সাথে রোযা এবং ঈদ পালন করা উচিৎ।



কারণ এমন কোন বড় শহর নেই যেখানে একই দিনে চাঁদ দেখতে পাওয়া যায়না। সুতরাং তাদের এক সাথে রোযা পালন করা উচিৎ।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:৩০

মো: আবু জাফর বলেছেন: কারণ এমন কোন বড় শহর নেই যেখানে একই দিনে চাঁদ দেখতে পাওয়া যায়না। সুতরাং তাদের এক সাথে রোযা পালন করা উচিৎ।১০০% সহমত

২৯ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:০৭

ফারহাত৮৮৯ বলেছেন: হুম।

২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:৫৭

নািহদুল বলেছেন: ভালো লাগলো

২৯ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:০৮

ফারহাত৮৮৯ বলেছেন: আবার আসবেন।

৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:২৪

ছালেক আজাদ বলেছেন: কিন্তু সূর্যদয় সারা বিশ্বে একই সময়ে হয় না বরং একেক দেশে একেক সময়ে হয়। সুতরাং রোযা পালনে স্থায়ী সময় অনুসরণ করতে হবে।

স্থানীয় হবে?

২৮ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:৩৮

ফারহাত৮৮৯ বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৫:২৭

মোহাইমিনুল ইসলাম বাঁধন বলেছেন: বিভেদ টা কি? স্পষ্ট করে কি বলা হচ্ছে, এক সাথে কি ঈদ করা যাবে?

২৯ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫১

ফারহাত৮৮৯ বলেছেন: "সারা বিশ্বে একই দিনে রোযা রাখাটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। এবং অবৈজ্ঞানিক”"

[ডাঃ জাকির নায়েক]

৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০২

মন্জুরুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার, যারা সারা বিশ্বে একসাথে ঈদ পালন করতে চায় সেইসব বুদ্ধিজীবিদের জন্য >> হা হা হা
প্রিয়তে।

৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৪

জারনো বলেছেন:
কারণ এমন কোন বড় শহর নেই যেখানে একই দিনে চাঁদ দেখতে পাওয়া যায়না। সুতরাং তাদের এক সাথে রোযা পালন করা উচিৎ।


কথাটি ঠিক নয়। সৌদি আরবে সেদিন যেদিন চাঁদ দেখা যাবে, ঢাকাতে সেদিন চাঁদ দেখা অসম্ভব। তাই সৌদি আরবে আমাদের থেকে একদিন আগে রোজা শুরু হয়। সুতরাং একই দিনে রোজা রাখা এবং ঈদ করা সম্ভব নয়।


মুহাম্মাদ (সাঃ) বলেছেন, "“তোমরা যখন নতুন চাঁদ দেখ তখন রোযা রাখ এবং নতুন চাঁদ দেখলে রোযা ভেঙ্গে ফেল"

[বুখারী, হাদীস নং ১৯০৭ ও ১৯০৯]

সুতরাং এই হাদীসটির উপর ভিত্তি করে ইবনে তাইমিয়াহ (রহ) বলেন যে, সারা বিশ্বের সব জায়গা থেকে একই দিনে রমজানের চাঁদ দেখা অসম্ভব। সুতুরাং মক্কার সময়টি সারা বিশ্বে একযোগে অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

৭| ১১ ই মার্চ, ২০১২ সকাল ১০:৪৭

মুহম্মদ তুষার খান বলেছেন: জাকির নায়েকঃ নতুন এক ফিৎনা

৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১২ সকাল ৮:৫৪

আজমল হক (আজম) বলেছেন: বিশ্বের মুসলিম উম্মাহ’র সকল ইবাদত একই দিনে

আস্‌সালামু আলাইকুম ওয়া রাহ্‌মাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু ওয়া মাগফিরাতুহ ।

বিষয়টি সমসাময়িক সময়ে খুবই জরুরী, গুরুত্বপূর্ণ যা প্রত্যেক মুসলিমকে চিন্তা ভাবনা করার ঈমানী দায়িত্ব । আল্লাহপাক বলেন-

‘জ্ঞানীরাই চিন্তা-ভাবনা করে’ (সূরা ইব্রাহীম-৫২)

এ যাবত অনেক ইসলামিক চিন্তাবিদ একই দিনে সিয়াম ঈদ পালনের জন্য লেকচার, বইয়ের মাধ্যমে প্রচারনা করে আসছে ।

অনেকে সৌদির সাথে এক হওয়ার কথা বলছেন……ইত্যাদি । কিন্তু সময়ের ব্যবধান কোন দেশে সন্ধ্যা, একই সময়ে অন্য দেশে সুবহে সাদিক!! …… ইত্যদি নানা সমস্যা আছে । এগুলোর সমাধান জন্য শরিয়া কি বলে বা কিভাবে সমাধান হবে ?

তার কোন সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা তাদের প্রচারনায় পাওয়া যায় না!!

আমি যথাসাধ্য কুরআন-হাদিসের রেফারেন্স, বিভিন্ন লেকচার, বই ঘেটে সকল সমস্যা সমাধানের সামান্য চেষ্টা করেছি ।

এটা গ্রহনযোগ্য কিনা তা জানার জন্য আপনারদের শরিয়া দলিল বা ব্যক্তিগত মত, প্রশ্ন, বা আরও কোন সমস্যা থাকলে জানানোর অনুরোধ জানাচ্ছি ।

আপনাদের সকলকে আমি আন্তরিকভাবে আমার সংগ্রহটি ১ম অংশ থেকে ৮ম অংশ (শেষ) পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে সম্পূর্ণ পড়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি ।

অনেক ব্যস্ততার মধ্যে আপনাদের মূল্যবান সময়ের জন্য এবং বার্তার কোন ভাষায় কষ্ট পেলে আমাকে আল্লাহ’র ওয়াস্তে ক্ষমা করবেন ।

বিস্তারিত দেখার জন্য অনুগ্রহ করে নীচের লিঙ্কগুলো ক্লিক করুন ।

১ম অংশ- Click This Link

১ম অংশে পাবেন- নামায কিভাবে একই দিনে হয় ? এর কিছু দলিল ।

২য় অংশ- Click This Link

২য় অংশে চাঁদ দেখার স্বাক্ষী কয়জন, কোথাকার তার দলিল পাবেন ।

৩য় অংশ- Click This Link

৩য় অংশে বিশ্বে চাঁদ দেখার বিভিন্নতা এবং একই ইবাদতের দিন দেশ অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হয় । এর কিছু তথ্য পাবেন ।

৪র্থ অংশ- Click This Link

৪র্থ অংশে প্রথম চাঁদ কোনটা গ্রহনযোগ্য এ নিয়ে বিশ্ব বরেণ্য ফেকাহ বিদ ও উল্লেখযোগ্য আলেমেদ্বীন্দের কিছু ফতোয়া ও দলিল পাবেন ।

৫ম অংশ- Click This Link

৫ম অংশে ৪ মাযহাবের ইমামদের ফতোয়া, দলিল এবং কেন তারা বাস্তবায়ন করতে পারেননি তার কিছু কথা পাবেন ।

৬ষ্ঠ অংশ- Click This Link

৬ষ্ঠ অংশে পূর্বে চাঁদ দেখার খবর কিভাবে পৌঁছানো হত এবং আধুনিক প্রচার মাধ্যম ব্যবহার করা যায় কিনা ? সৌদির সাথে এক করা কুরআন হাদিস অনুযায়ী কিনা এর কিছু সমাধানের দলিল পাবেন ।

৭ম অংশ- Click This Link

৭ম অংশে মক্কায় যখন সন্ধ্যা তক্ষণাৎ ১ম চাঁদের খবর প্রচার করা হলে অন্য দেশে তখন সুবহে সাদিক হবে । রমযানের তারাবী, সেহেরী, নিয়ত ঐ দেশের লোকেরা কিভাবে করবে ? এর কিছু সমসধানের দলিল পাবেন ।

৮ম অংশ- Click This Link

৮ম অংশে শেষ কথা ও (OIC) ও. আই. সি’র. কিছু তথ্য পাবেন ।

আল-কুরআন- তোমরা দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত কর এবং তাতে অনৈক্য সৃষ্টি কর না (আশ শুরা আয়াত ১৫);

তোমাদের নিকট যে জ্ঞান পৌঁছেছে তারপরও যদি তোমরা তাদের (কুরআন-হাদিস বহির্ভূত কারো কথা) মনের ইচ্ছা ও বাসনার (দলিল বিহীন মতবাদ) অনুসরণ কর তাহলে নিশ্চিত রুপে তোমরা যালিমদের মধ্যে গণ্য হবে (বাক্বারা আয়াত ১৪৫);

লেখাটি গ্রহনযোগ্য হলে প্রচার প্রকাশের জন্য আন্তরিকভাবে বিশেষ অনুরোধ করচ্ছি ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.