![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন নারী, হতে পারে সে , টগবগে যুবতী কিংবা, অষ্টাদশী তরুনী, সদ্য কৈশরে পা দেয়া কোনো কিশোরী বা ত্রিশোর্ধ্ব কোনো গৃহিনী অথবা মধ্য বয়স্কা কোনো চাকুরিজীবি স্বাবলম্বী কোনো নারী----তাকে ভয় দেখানোর সবচেয়ে সহজ পন্থা কী? বা কোন্ কথাটা বললে সে সবচেয়ে বেশি আতংকিত হয়? কোন্ জিনিসটি জনসমক্ষে চলে আসলে সে সবচেয়ে বেশি বিপন্নবোধ করতে থাকে?
উপরের এই প্রশ্ন তিনটের জবাব দেয়ার জন্য খুব ব বেশি বুদ্ধিমান হওয়ার দরকার নেই, নিদেনপক্ষে মস্তিক্ষে সামান্য জ্ঞান গরিমা থাকলেই বলে দেয়া যায়। সেই উত্তরটারই বিশ্লেষন করব আজ, তবে একটু অন্যভাবে। যুক্তি দিয়ে সবাইকে (ছেলে ও মেয়ে উভয়কেই) জানাতে চাই ভ্রান্ত ধারণা লালন করে এবং সেই ধারণার কারনে জীবনভর মাথা নিচু করে অন্যের প্রভুত্ব স্বীকার করে নেয়ার মাঝে কোনো কৃতিত্ব নেই, থাকতে পারে না।
এবার মূল প্রসঙ্গে আসি, ছেলে হলে নিজেকে এই অবস্থানে বসিয়ে একটু চিন্তা করুন, ভেবে দেখুন এই জায়গায় আপনি হলে কি করতেন আর মেয়ে হয়ে থাকলে ভেবে বের করুন কথাটা শোনার পর একজন মেয়ে হিসাবে আপনার মানসিক অবস্থা কি হয় বা হতে পারে? আমি কাউকে নির্দিষ্ট করে বলছিনা তারপরও ভাবুন, ভেবে জবাব দিন, এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ধাপ আজকের লেখার।
কেস ১-- আপনার বর্তমান প্রেমিকাকে আর ভাল লাগছেনা, নতুন গার্লফ্রেন্ড দরকার আপনার তখন কি করতেন আপনি ? কি বলে তার সঙ্গে কাটআপ করতেন? তোমাকে আর ভাল লাগছেনার সঙ্গে সঙ্গে ভবিষ্যতে ব্ল্যাকমেইল করার জন্য পরের বক্তব্য কি হয় সাধারনত?
কেস ২--অফিসে মেয়ে কলিগকে এক্সপ্লয়েট করে অবৈধ সুবিধা নিতে চাওয়ার সময়ই বা কী ভূমিকা পালন করে সবাই?
কেস ৩-- অধীস্থ সেক্রেটারির সঙ্গে দীর্ঘদিন অবৈধ সম্পর্ক রাখবার পর পিছুটান দেয়ার সময় কোন্ মিথ্যার আশ্রয় বেশিরভাগ বসরাই নেয়?
কেস ৪--কিংবা গ্রামের সহজ সরল মেয়েটিকে বিয়ে নামক মিথ্যা প্রলভোন দেখিয়ে তার সাথে শারিরীক সম্পর্কে গড়ে তাকে ছুড়ে ফেলে দেয়ার সময় কি বলে তাকে দমিয়ে রাখা হয়?
কেস ৫-- মেয়েটা আপনার চরম শত্রুর মেয়ে বা বোন জেনে যাওয়ার পর কোন কথা বলে ভয় দেখায় সাধারানত সন্ত্রাসীরা?
পাচটি কেসের উদাহরন দিলাম, চাইলে আরও বেশি দেয়া যায়, চাচ্ছিনা কিন্তু না চাইলেও অনুল্লিখিত সবগুলোসহ জবাব একটাই আসবে। হ্যা, আমি ভুল বলছিনা, এই সকল চাহিদা পূরনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে যে অস্ত্রটি অবলীলায় ব্যবহৃত হয় সেটি হল মেয়েদের সম্ভ্রম। আপাত দৃষ্টিতে যা লুটিয়ে পড়লে আর সহজে তোলা যায়না; একবার লুন্ঠিত হলে আর কিছুতেই উদ্ধার হয়না।
সত্যিই তো কত ঠুনকোই না এই সম্ভ্রম! যে কেউ কেড়ে নিতে চাইলেই ইহা কেড়ে নেয়া যায়। যে কেউ অন্যের সম্ভ্রম নিয়ে টানাটানি করতে পারে। শাড়ির আচল ধরে একটু টান দিলেই সম্ভ্রমহানি হয়ে যাওয়ার আশংকায় ভীত হয়ে যেতে হয়!
তোমার ভিডিও, ছবি কিংবা আমাদের শারিরীর সম্পর্কের ভিডিও আমার কাছে আছে, তুমি যদি একটু উল্টাপাল্টা কিছু কর তাহলেই পরদিন বাজারে নিজের ভিডিও/ডিভিড/সিডি দেখতে পাবে, ইন্টারনেটে ছেড়ে দিব সব কিংবা আর যদি একটা কিছু করিস তোর বোনকে উঠিয়ে নিয়ে আসব-- ছেলেদের জন্য খুব সাধারনভাবে উচ্চারিত এই একটি বাক্য একটা পরিবারে কতটা ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। কেউ তো বলার সময় ভাবে না যে মেয়েটার উপর কি পরিমান ভয়ংকর শীতলতার পরশ বুলিয়ে যায় এমন একটি হুমকি।
কারণ নগ্ন মেয়ের ছবি বা ভিডিও পাবলিক গ্রোগ্রাসে গিলে। সুতরাং এই একটা স্পর্শকাতর জায়গায়ই আঘাত দাওয়াই সবচেয়ে কার্যকর। সেই আঘাতে জর্জরিত হয়ে যাক সামনে দরজায় দাড়ানো কোনো নারী তাতে কারও কিছু এসে যায়না। এবং এই অসহায়ত্বের মাধ্যমেই হলি খেলার জয়োৎসবে মাতোয়ারা হওয়া যায়, ফাসির দড়িতে ঝুলবার প্রতিও আহবান জানানোর কাজটাও করা যায়। ফলে প্রতিশোধ, প্রতিহত করবার জন্য এরচেয়ে উন্নত অস্ত্র আর কি হতে পারে? দিস ইজ দি বেস্ট উইপেন টু অ্যাটাক এ গার্ল, সো হিট হার, ইফ পসিবল দেন রেপ হার।
আজকে আমি এই শিহরিত অনুভূতিরই ব্যাখ্যা চাই, নিজেও করতে চাই। আরও নিদির্ষ্ট করে বললে একটু অন্যভাবেই করতে চাই।
বুকে হাত দিয়ে কোনো প্রেমিকা তথা কোনো নারী কি আজ বলতে পারবে যে প্রেমিকের সঙ্গে মর্মান্তিকভাবে বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর (আমি কোনোভাবেই চাইনা কোনো প্রেমিকজুটির বিচ্ছেদ হোক তারপরও বলছি) প্রথম যে চিন্তাটা তাদের মাথায় এসেছিল বা সামনে আসবে সেটায় এত দিন ধরে লালন করে আসা ঘর বাধার স্বপ্নভঙ্গের বেদনা যতটুকু না নাড়া দেয়, তারচেয়ে বেশি কাজ করে ছেলেটির দ্বারা কোনো রকম ক্ষতি হওয়ার আশংকা আছে কিনা সেই দুশ্চিন্তা, আমার কোনো ছবি ওর কাছে নেই তো এমন দুর্ভাবনা।
একসময়কার বেড়াতে গিয়ে নিশ্চিন্ত মনে তোলা ছবি সেসময় আর কোনোক্রমেই সুখস্মৃতির চিহ্ন হয়ে থাকে না। পরিণত হয়ে যায় বিভীষিকাময় কোনো এক প্রমানে। যে প্রমান যেকোনো মুহুর্তে মেয়েটির জীবনে নিয়ে আসতে পারে আকষ্মিক ঘূর্নিঝড় কিংবা একশ ত্রিশ ফুট উচ্চতাবিশিষ্ট কোনো জলোচ্ছাস।
অথচ সমাজে পূর্ণ বয়স্ক যেকোনো একজন মানুষের নিজের ব্যক্তি স্বাধীনতা রক্ষার অধিকার তার আছে। সেটা ওই প্রেমিকপ্রবরের যেমন আছে একই পরিমানভাবে মেয়েটারও আছে। বিচ্ছেদ হওয়ার দায়ভার ও কষ্ট এবং মর্ম যাতনা নিয়েকেবল মেয়েটাকেই সম্ভ্রম হারানোর ভয়ে চুপ করে থাকতে হবে, পুরোনো স্মৃতিকে বুকের গভীরে এক দীর্ঘশ্বাসের পরিনতি হিসাবে মনে রাখতে হবে এ কেমন ধারণা? এটা হওয়া উচিত নয়। কিছুতেই নয়।
আরও সবচেয়ে দুঃখজনক হল প্রাক্তন প্রেমিকের কাছ থেকে পাওয়া ‘যদি তুমি কিছু করতে চাও তাহলে তোমার ভিডিও আমি বাজারে ছেড়ে দিব,’ এই হুমকি। বিশ্বাসের মর্যাদা হানি হয়েছে সেই মূল্য না দিয়ে উল্টো হুমকি দেয়ার মাঝে কোনো বীরত্বের মহিমা নেই, এটা কাপুরুষতারই পরিচয় বহন করে।
কিন্তু এই ব্যাপারটা কেন যেন ছেলেদের মাথায় কাজ করে না। এসব ক্ষেত্রে পরিবারের বয়স্করা সাধারানত প্রথমেই বিষয়টা সম্পর্কে অবহিত থাকেন না। নেহায়েত ঠেকায় না পরলে জানানোও হয় না। এবং অভিভাবক পর্যায়ে জানানো হলে অতি সহজেই তাদের কাছ থেকে বক্তব্য আসে, কেন তোমোর কি কোনো বুদ্ধি বিবেচনা কাজ করেনি? আবেগের বশবর্তী হয়ে এতটা বোকা কিভাবে হয়ে যাও, কোন্ সাহসে তুমি মিথ্যা বলে বাসা থেকে বেরিয়ে ছিল?
এই কথাগুলোও কিন্তু সেসময় মেয়েটির জন্য চরম অপমানজনক। এক সময় যে বিশ্বাসে মেয়েটি প্রেমিকের বাড়ানো হাত নিশ্চিন্ত মনে ধরে বাইরে বেড়াতে গিয়েছিল সে হাত পরক্ষনেই যে হন্তাকারক হিসাবে আবির্ভূত হবে সেটা নিশ্চয়ই আগে থেকে তার পক্ষে জানা সম্ভব ছিল না!
এবার তথাকথিত সেই সব প্রেমিকগনের হুমকির গভীরতা একটু বিশ্লেষন করি। আচ্ছা ভেবে দেখুন তো সত্যিই যদি কারও এমন ভিডিও বাজারে চলে আসে কিংবা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়া হয় তাহলে আদতে কি কোনো ক্ষতি হয়? আমার মতে হয়না। কিছুতেই কিছু হয়না।
আজকের এই ডিজিটাল যুগে, তথ্য প্রবাহের অবাধ যুগে এসব কি কোনো দু®প্রাপ্য কোনো জিনিস? বাজারেও কি বৈধ বা অবৈধ উপায়ে এগুলো হর হামেশাই পাওয়া যায়না? না চাইতেই যখন পাওয়া যাচ্ছে এবং সেগুলোর কোয়ালিটি এই গোপনে ভিডিও করা টেপের চেয়ে অনেক উন্নত মানের তখন কোনো নির্দিষ্ট ভিডিও নিয়ে কারও আগ্রহ থাকার কথা নয়। ফলে এমন একটা কিছু ছেড়ে দেয়া হলেই যে সম্ভ্রমের সর্বস্ব লুট হয় যাবে এমন ভাবার কোনো অবকাশ নেই।
আবার ইন্টারনেটে যেসব মেয়েদেরকে দেখানো হয় তাদের পরিচয় কি কিংবা তারা কে কি করে সেগুলো জানার জন্য যদি কেউ কি বসে থাকে? আর যদি থেকেও থাকে তাহলেও বা কি এমন যায় আসে? বড়জোর দুই একদিন সমস্যা হতে পারে, সেই ভয়াবহ সত্য মুখোমুখি হওয়ার মত সাহস থাকা খুবই জরুরি। এখানে একবার ভয় পাওয়া মানে হেরে যাওয়া, শত্রুকে বারবার ক্ষতি করার সুযোগ করে দেয়া। তাকে উচ্চস্বরে আরও বলা যে হ্যা এটা আমার দূর্বলতা, তুমি এমন করলেই আমি ক্ষতিগ্রস্ত হব।
কথা হল ইচ্ছা করে নিজেকে এতটা বোকা ভাবতে দেয়ার সুযোগ করার কি প্রয়োজন আছে? তারচেয়ে বিপদের সময় শান্ত হয়ে চিন্তা করা উচিত যে কেউ যদি এমন করেই থাকে তাহলে নেতিবাচক ফলাফল সর্বোচ্চ কি হতে পারে? কিংবা কি করলে পরে এই ভয়ংকর সমস্যা থেকে মুক্ত হওয়া যাবে?
এমন কারও ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া হলে খুব বেশি হলে কতটুকু ক্ষতি হতে পারে বা কি হবে?
প্রথমতঃ চেনা দশজন মানুষের কাছে মেয়েটি ’ওপেন বুক’ বলে আখ্যায়িত হবে? হলোই বা..... তাতে কি সমস্যা? খুজলে দেখা যাবে যাদের কাছে সে ‘ওপেন বুক’ তারাও সুযোগের অপেক্ষায় ছিল কোনদিন একটা চান্স নেয়া যাবে এই চিন্তায়।
দ্বিতীয়তঃ একটা ব্যাপার মনে রাখা দরকার যে যে সময় ওই ভিডিওটি করা তখন কিন্তু দু পক্ষেরই সম্মতি ছিল। এজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ নিজের ইচ্ছানুযায়ী দেশের আইনশৃক্সক্ষলার অবনতি না ঘটিয়ে, জানমালের ক্ষতি না করে যা খুশি তাই করতে পারে। ওই সময়ে যদি মেয়েটির সম্মতি থেকে থাকে তাহলে তো অভিভাবকদের জেরার মুখে অবলীলায় আরও বলে দেয়া যায়, হ্যা আমি অমুক ছেলের প্ররোচনায় পড়ে কাজটি করেছিলাম। এটার পরিনতি যে এত ভয়াবহ হবে সেটা ভাবিনি, ‘ সো আই অ্যাম নট অ্যাশেমড অফ মাইসেল্ফ’।
আরো সাবধানতার জন্য চাইলে কয়দিনের জন্য চুলের কাটিং বদলে ফেলতে পারেন, যারা চশমা পরেন না তারা জিরো পাওয়ারের চশমা ব্যবহার করতে পারেন, আর যারা পরেন তারা কণ্টাক্ট লেন্স নিয়ে নিতে পারেন ---অন্তত এই কয়টি কাজ করলেই আপনাকে চেনার খুব সহজ পদ্ধতি থাকবেনা। আপনিও কিছুটা নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন।
দয়া করে কেউ ভাববেন না যে আমি সবাইকে বেপরোয়া হয়ে চলতে বলছি। শুধু এরকম বিব্রতকর পরিস্থিতির উদ্ভব হলে সেসব থেকে উত্তরনের কিছু পথই বলার চেষ্টা করছি। অন্তত আমার সীমিত বুদ্ধিতে যেটুকু কুলোয়।
বরং এক্ষেত্রে আমি তো মনে করি হুমকি প্রদানকারীকেও কঠিনভাবে মুখের উপর বলে দেয়া দরকার, হ্যা ভিডিও যদি থেকে থাক ইন্টারনেটে ছাড়, পারলে বাজারে সিডি আকারে বিক্রি কর বা যা ইচ্ছা তোমার তুমি তাই কর, আমি ভয় পাচ্ছি না।
তারেচেয়ে যত তাড়াতাড়ি পার ছাড়, আমিও দেখব আমাকে কেমন লাগে, পারলে তুলে নিয়ে যাও। সেটাতে কিন্তু আমারও লাভ। মেরে ফেললে তো মরেই গেলাম। সব ঝামেলা ওখানেই শেষ। তুমি যে একটা দুষ্কৃতিকারী সেটাও তখন আরও নগ্নভাবে প্রমানিত হয়ে যাবে! ফোনে যে আমি তোমার ভয়েস রেকর্ড করছিনা সে গ্যারান্টি আছে তোমার কাছে? আমিও কিন্তু সেটা চাইলে নেটে ছাড়তে পারি, ফোন নাম্বারের প্রুফ সহ! তোমার পরিচিত জনদের কাছে তখন তুমিও আর সম্মানের স্থানে থাকবে না।
কোনো ছেলে যদি মেয়েটিকে ব্যাবহার করে এমন জঘন্য কাজ করতে পারে এবং করার হুমকি দিতে পারে তাহলে মেয়েটিরও পাল্টা হুমকি দিতে অসুবিধা কোথায়? তাদের এও বোঝানো দরকার যে এসব নোংরা কাজ করলে আমরা মেয়েরা আসলে ভয় পাই না।
অনেকে এ ধরনের ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার হয়ে দেশের বাইরে চলে গেছেন, তাতে প্রকারান্তের বেশি লাভবান হয়েছে যারা প্রতিনিয়ত মেয়েটিকে হুমকি দিয়ে গেছেন তারাই। অন্য কোনো শিকার অন্য কোনো মেয়েকে ব্ল্যাক মেইল করার আশায় নতুন করে বড়শীর টোপ ফেলেছে।দেশরে আইননে সাজা হবে না জেনে মামলামোকদ্দমাও করতে চান নি অনেকে। তাদের জন্য কষ্টই হচ্ছে। সারা জীবন এই দুঃসহ বেদনা বহন করার শক্তি যেন তাদের থাকে।
আর একটা বিষয়, এখন মোবাইলে উন্নততর প্রযুক্তির কল্যানে যে কেউ রাস্তাঘাটে মেয়েদের ছবি তুলে সামান্য ফটোশপে কাজ করে সেই ছবির অপব্যবহার করতে পারে, এটা প্রতিরোধে কীই বা এমন করার আছে আমাদের বা এই সমাজের।
উপায় একটাই শক্ত থাকতে হবে। ভয় পাওয়া চলবেনা। মেয়েদের সাহসী হতে হবে। এটা যুগের দাবী। সময়ের প্রয়োজন।
তৃতীয়তঃ মেয়েরা ভাবতে পারে, এ ধরনের একটা ঘটনা মানে জীবনভরের জন্য কালিমা, বিয়ে হবে না আর কখনো। না হলে না হবে, তাতে সমস্যা কি? একা থাকা খুব বেশি কঠিন কিছু না। যে সমাজ এই সাধারান সত্য উপলব্ধি করতে পারেনা, সহ্য করতে পারে না সেই সমাজেরই কাউকে জীবন সঙ্গি করার কোনো যুক্তি নেই। এর চেয়ে একা জীবন যাপন করা শ্রেয়তর।
বিপরীতে এও বলা যায় ছেলেরাও কিন্তু ধোয়া তুলসীপাতা নয় । তারাই এসব কাজ করে এবং ভাবে যে তারা সবাই এক একজন একটা করে হাস। চাইলেই যে কেউ গা থেকে পানি ঝাড়া দিয়ে ফেলতে পারে। তাদের মনে রাখতে হবে এবং মনে রাখা উচিত যে ভিডিও টেপ বা ইন্টারনেটে কিন্তু ছেলেটাও থাকে, মেয়েটা যদি পাপী হয় তাহলে ছেলেটাও কোনোভাবেই সেই পাপের কম বড় অংশীদার নয়।
সবশেষে বলতে চাই, আজকে এত কথা বলার পেছনে উদ্দেশ্য ছিল একটাই। যে ভয় দেখিয়ে আমার রাতের ঘুম নষ্ট করতে চাইল, তাকেই ভয় দেখানো, বোঝানো যে সম্ভ্রম নিয়ে আঘাত করা এত সহজলভ্য নয় । যতোই চেষ্টা করা হোক কেউ চাইলেই সেটা হরন করতে পারেনা। অর্থ্যাৎ কাটা দিয়েই কাটা তোলার পরামর্শ দেয়া। কারণ কাটা ব্যবহার না করে সেটা কোমল নরম হাত দিয়ে তোলার চেষ্টা করলে কাটা আরও শক্ত হয়ে বসে।। তখন কিছুতেই তুলতে পারা যায়না।
ছেলেদের অবলম্বন করা এই কৌশলটা এ কারনেই কাজে লাগে কারণ তারা ভাবে হাতগুলো খুবই নরম।
অবশ্য ইচ্ছা করে ভয় পেয়ে নরম করে রাখলে হাত আরও নরমই হয়ে যাবে, শক্ত হওয়ার কোনো সুযোগই পাবে না।
২| ২১ শে মার্চ, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৭
রাজন রুহানি বলেছেন: আপনার লেখা পড়ে শুধু এই কথাটিই স্মরণে এসেছে:
পাঁজরের হাড় দিয়ে যে হাওয়ার সৃষ্টি, তা মিথ্যে। প্রকৃতির নিয়মেই সৃষ্ট লিঙ্গযুগল পরস্পর পরিপূরক। নারীই তো সৃষ্টির আঁধার...। সম-অধিকার যেন সমপরিমান হয় আপনার চেতনায়। নারী-পুরুষের মিলিত হাত যেন দূর করে পৃথিবীর কলুষতা, সকল বৈষম্য।
এগিয়ে যান আপনার স্বতন্ত্রতায়...
৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:০০
রিফাত হোসেন বলেছেন: পুরান চাল ভাতে বাড়ে ।
৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ৩:২৮
নিয়াজ মোর্শেদ চৌধুরী বলেছেন: ভালো লেগেছে। কিন্তু আর লেখা নেই কেন? আপনার লেখনী অনেক চমৎকার। লিখতে থাকুন।
৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:০৫
ভাস্কর চৌধুরী বলেছেন:
মহাকালে মিলিয়ে গেল আরো একটি বছর। বাঙালীর আনন্দ-বেদনায় ১৪১৫ সাল। ১৪১৬- এর নতুন সূর্যকে বরণ করতে আজ বাঙালীর ঘুম ভেঙেছে নতুন স্বপ্ন, নতুন আশা নিয়ে। নিজ সংস্কৃতির আবহে আমরা স্বাগত জানাব নতুন বছরকে। আজ সবার কণ্ঠে বেজে উঠবে আবাহনের সুর ' এসো এ বৈশাখ, এসো এসো......।'
নতুন বছরের প্রতিটি দিন যেন হোক বর্নিল, আনন্দময় এবং উচ্ছ্বাসে পরিপূর্ণ।
আপনার সুস্বাস্থ্য কামনায়---------------------------------
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে মার্চ, ২০০৯ ভোর ৫:০৭
খোমেনী ইহসান বলেছেন: নারীবাদী পোস্ট????????