![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধর্ম শব্দটি “ধৃ” ধাতু থেকে আগত। যার অর্থ ধারন করা। ধর্ম বিশ্বাসের উপর প্রতিষ্ঠিত। আর এই বিশ্বাস মানুষের মনে প্রানে ধারন করাই হচ্ছে ধর্ম। ধর্ম মানুষের জীবনের গতিবিধি নির্ধারণ করে দেয়। প্রাচীনকাল থেকে মানব জাতীর মধ্যে ধর্ম ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। ধর্ম পালনে একজন মানুষ পূর্ণাঙ্গ মানুষ হয়ে উঠে। মানুষ মানুষকে চিনতে শিখে, জানতে শিখে। প্রাচীন কালে যেখানে মা-বাবা ও ভাই-বোনের মধ্যে পার্থক্য ছিলনা। ধর্মই রক্তের বন্ধন শিখিয়ে দেয়। ধর্মই পারে একজন মানুষকে পূর্ণাঙ্গ মানবতাবাদী করতে। প্রতিটি ধর্মের বিধান মেনে চললে মানুষ হয়ে উঠে পূর্ণাঙ্গ অসম্প্রদায়িক। তার চিন্তা-চেতনা হবে বৈজ্ঞানিক। আর বর্তমানে শিক্ষিত সমাজ ধর্মহীনতায় পতিত হচ্ছে। এক প্রকার মানুষ ধর্মকে অবজ্ঞা করছে। আর এর সুযোগ নিচ্ছে বক ধার্মিক এক শ্রেণির মানুষ। ধর্ম চলে যাচ্ছে তাদের জীবন চলার হাতিয়ার হিসাবে, রুজি রোজগারের মাধ্যম হিসাবে। বাংলার মানুষ ধর্ম পরায়ণ। এর সুযোগ নিয়ে তারা ধর্মের কথা বলে সাধারণ মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা করছে। ফায়দা লুঠছে ব্যবসায়িক পণ্যের মত। এর প্রধান কারন হচ্ছে শিক্ষিত সমাজের ধর্মহীনতা।
এই ধর্মকে হাতিয়ার করে হাজার লক্ষ মাইল দূরে অবস্থান করেও পূর্ব-বাংলাকে পূর্ব-পাকিস্তান নাম ধারন করতে হল। তারাই আবার আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে শোষণ করেছে। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় হায়েনারা অপব্যাখ্যা করে ধর্ম রক্ষার নামে এদেশের লক্ষ লক্ষ মা-বোন কে ধর্ষণ করেছে। হত্যাকরেছে এদেশের বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, ছাত্র-জনতাকে। দেশ স্বাধীন হল। অতঃপর স্বাধীনতা বিরোধী হায়েনারা আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠল। ধর্মের দোহায় দিয়ে জাতিকে আবার পথভ্রষ্ট করার চেষ্টা শুরু করল। এদেশে জন্ম নিয়েছে শহীদ তিতুমির, হাজী শরিয়তুল্লাহর মত ধর্মপ্রাণ বীর। তারা আজীবন সংগ্রাম করেছে জাতিকে উচ্চশিখরে নিয়ে যেতে। স্বাধীনতার ৪২ বছর পর জাতি যখন রাজাকার হায়েনাদের বিচার শুরু করে, ঠিক তখনই ৭১ এর পরাজিত শক্তি জাতিকে আবার বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু বাংলার ধর্মপ্রাণ মানুষ এদের বিশ্বাস করেনা। তারা হায়েনাদের প্রত্যাখ্যান করে। ৭১এর হায়েনাদের মোকাবেলা করতে হবে ধর্মহীনতা দিয়ে নয়, সত্যিকারের ধর্ম পালন করে। আমাদের ধর্ম গ্রন্থে বলা হয়েছে “হত্যার বদলে হত্যা”। আসুন বাংলার সকল শ্রেণির মানুষ এই বক ধার্মিক, ধর্ম ব্যবসায়ীদের প্রত্যাখ্যান করি। ৭১ এর কসাইদের ফাঁসির দাবিতে সবাই সব অবস্থান থেকে আন্দোলন করি। সবাই এক সুরে গলা মিলিয়ে বলি-“একটাই দাবি, ৭১ এর কসাইদের ফাঁসি”।
©somewhere in net ltd.