নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর।

নিরন্তর যাত্রা

Be a positive thinker..

নিরন্তর যাত্রা › বিস্তারিত পোস্টঃ

“ছোটবেলার” এক টুকরা

২০ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮

১৫ই ডিসেম্বর ১৯৯২ মঙ্গলবার, রাত সাড়ে ৩টা পৃথিবীতে আমার আগমন। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা এর নামের সাথে মিলিয়ে দাদু আমার নাম রেখেছিলেন উমর ফারুক। যদিও পরে নাম পরিবর্তন হয়ে ফারুক আহমদ হয়। ছোটবেলা থেকে একগুয়ো স্বভাবেরই একজন ছিলাম। সব কিছুতে নিজের মতকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করতাম, নিজের পছন্দকে সবার পছন্দ ভাবতাম, নিজকে সর্বেসর্বা একজন ভাবতাম। কারণ দুষ্ট বলে মা-বাবা সব পছন্দের মুল্য দিতেন, তারা ভাবতেন না হয় আমি একটি কাজ করে বসব তা নিয়ে তাদের মাথা ব্যাথ্যা আরও বেশি হবে। যদিও একটি চাওয়া পর বর্তমানে নিজকে কীট মনে হয়। নিজের সব চাওয়াকে মনে হয়, তারাশঙকর বন্দ্যোপাধ্যায় এর “সপ্তপদী” এর এই লাইনে “একটা প্রকাণ্ড উঁচু বাঁধকে টলতে টলতে হেলে ঢলে সশব্দে ভেঙ্গে ভূমিসাৎ হতে কেউ দেখেছে? ঠিক তেমনিভাবে বাঁধ ভেঙ্গে পড়ল আর উন্মত্ত জলস্রোত ঝাঁপিয়ে পড়ার মত জীবনের সকল আবেগ যেন মুহূর্তে মুক্তিলাভ করল”। এখন মনে হয় আগের সব চাওয়া মলিন হয়ে গেল একটি চাওয়ার মধ্যে। দুষ্ট ছেলে ছিলাম বলে প্রতিদিন বাবা-মার কষ্ট ছিল আমাকে নিয়ে। পাড়ার বড়রা আমাকে বদের হাড্ডি বলে জানত। কোনদিন এমনটি ছিলনা কারো না কারো সাথে ঝগড়া করিনি, কারও কিছু ক্ষতি করিনি, কারও সাথে মারামারি করিনি। সন্ধ্যায় ধুরু ধুরু বুকে বাড়ি ফিরে এসে চুপ করে পড়তে বসতাম। যদি আধা ঘণ্টার মধ্যে হাতের শিল্পের ছোঁয়া না লাগত ঐদিন পার পেয়ে যেতাম। তবে সাধারণত খুব কম সময় এমন হত। কিন্তু তার একটা সুবিধা ছিল,তা হল এর একটু পরই ভাল খাবার খেতে দিত। তবে পরে এইটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। মা-বাবা আমাকে দু চোখে সহ্য করতে পারত না তা নয়, আমাকে নিয়ে তারা অনেক স্বপ্ন দেখত। ছেলে যতই দুষ্ট হউক একদিন আমাদের ছেলে মানুষের মত মানুষ হবে। আমার শিক্ষা জীবন ও ছিল বিচিত্র। প্রাথমিক স্তরে গ্রামে এমন কোন স্কুল ছিলনা যাতে আমি পড়িনি। তবে আমি মোটেও খারাপ ছাত্র ছিলাম না। প্রাথমিকে কোন পরীক্ষায় ৩য় স্থান লাভ করিনি। স্কুলের মেধাবী ছাত্র হলেও কোনদিন শিক্ষকদের প্রিয় ছাত্র হতে পারিনি। অবশেষে প্রাথমিক শেষ করে যখন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম। একদিন দুই বন্ধু মিলে একটি ছেলেকে মাথা পাঠিয়ে দেওয়ার কারণে এক স্যারের কাছে এমনভাবে মার খেলাম, যাতে আমার হাত কেটে গিয়েছিল। পরে দুই বন্ধু মিলে গুলতি মেরে সেই স্যারের মাথা পাঠিয়ে দিয়।এইকারণে স্কুল থেকে বহিষ্কার হয়। শেষমেশ জায়গা হল সেজ মামার বাসায়...............।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.