![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনের চেয়ে বেশী ভালবেসেছি, বিশ্বাস ছিল একদিন পৃথিবী আমারই হবে!! এই বিশ্বাসটুকু নিয়ে নিরন্তর ছুটে চলতাম! কখন যে সময়টা বয়ে গেল জীবনের এক অমসৃণ পথে আজ নিজের প্রতি ঘৃণা হচ্ছে!!! ভাবতে অবাক লাগছে কিভাবে পছন্দের মূল্যায়ন-হীন এক মেয়ের পেছনে জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় ব্যয় করেছি!! প্রথম দিন থেকে জগত প্রভুর কাছে প্রার্থনা করেছি তাকে পাব বলে!! জীবনের কুড়িটি বছর পার করেছি- যখন থেকে নিজেকে চিনতে শিখেছি, জানতে শিখেছি, বুঝতে পেরেছি প্রার্থনা ছিল এমন একজনকে জীবন সঙ্গিনী হিসাবে গ্রহণ করব সেই হবে খুব চঞ্চলা-চপলা, মায়াবতী-মায়াবিনী, দস্যি-দুরন্তপনা, তেমন সুন্দরী হিসাবে গণ্য হবেনা কোন জগত রূপ সাধকের কাছে।। আমিই শুধু তার রূপ সুধার অমীয় বাণী পান করব। তার রূপ সুধা পান করে তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকব। তার দিকে তাকিয়েই তন্দ্রা ছুটে যাব। তার সাথে সুখের ভাগাভাগি করব। তার দিকে তাকিয়ে জীবনের দুঃখ ভুলে যাব। যাকে পূজা দিয়ে/চুমু খেয়ে ছুটে যাব কোন চির চেনা গন্তব্যে। যার কথা ভাবতে ভাবতে অলস দুপুরে ঘুমিয়ে পড়ব কোন হুট খোলা চায়ের বেঞ্চিতে, বা কোন অফিসের চেয়ারে। তার হাতের ছোঁয়ার আলতো স্পর্শে লাফিয়ে উঠবো। সরি বলে আবার ছুটে যাব সেই গন্তব্যে। যিনি আমাকে গ্রহণ করে তার হৃদয়ে স্থান দেবে জগত পরম কর্তার আসনে। যিনি আমাকে মায়ের মমতার মত অবিকল এক মমতা দিয়ে বেঁচে থাকার প্রেরণা যোগাবে। সেই প্রথম দিনের পছন্দের মূল্যায়ন ও বিকাল বেলার রূপ সুধা পান করার পর থেকে জীবনের একটি মুহূর্তও ভুলে যেতে পারিনি। এক মুহূর্তও নিজেকে নিয়ে ভাবতে পারিনি। সকল কারণে তোমার পছন্দের মূল্যায়ন দিতে গিয়ে হাজার খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করার চেষ্টা করেছি। তাতে সফল হয়েছি কিনা জানিনা কিন্তু নিজে বুঝতে পেরেছি অনেক বাজে বিষয় ত্যাগ করেছি।। তার কারণ তুমি বলেছিলে ভালবাসার মানুষের মূল্যায়ন করতে হয়।। আর তুমি মেয়ে!!!! ছি এখন নিজের প্রতি ঘৃণা হচ্ছে আমি কত নিচ তাই আমার কোন পছন্দের মূল্যায়ন হতে পারেনা।। নিজের মুখে নিজে থুঃথুঃ ছাড়া আর কিছু দেওয়ার উপযুক্ত আমি কিছু খুঁজে পাচ্ছিনা। নিজেকে চাবুক পেটাতে ইচ্ছে করছে। আমি তোমাকে মূল্যায়ন করতে পারলেও তুমি কি পেরেছিলি।। প্রথম নেইল পালিশ- তাতে অজুহাত, দ্বিতীয় বোরকা- তাতে অজুহাত ও মনের পবিত্রতার ফুটানি, তৃতীয় “অ” ও “ম” অধ্যক্ষর- তাতে কেয়ার ও বন্ধুত্বের অজুহাত। চতুর্থ.....................................। পঞ্চম ছেলেদের সাথে হাতাহাতি- এতদিন দিনে ছিল অথচ আজ রাতে তোমার অমর্যাদা। আজ তোমার এত নিচুতা দেখে নিজের বিবেকের কাছে অপরাধী হয়ে গেছি। ভালবাসা এমন ব্যাপার তাতে প্রথম প্রশ্নটা হয় মর্যাদার ও মূল্যায়নের। একে অপরের পছন্দের মূল্যায়ন দিতে হবে- তবে তার মানে এই না যে পরাধীন হয়ে যাওয়া। সবার বন্ধু তাকে কিন্তু তাদের জন্য একটা ক্রস থাকা চাই, তাদের জন্য স্থান থাকা চাই। সবার কাছে নিজেকে সমান ভাবে বিলিয়ে দেওয়া যায়না। একটা বিন্দুতে থামা চাই...........................!!!!!
©somewhere in net ltd.