![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফুল ভালবাসার প্রতীক। ফুল দেখলেই মন চাই, একটু ঘ্রাণ নিতে। ইচ্ছে করে ছুঁয়ে দিতে। ইচ্ছে বুকে টেনে নিতে। ইচ্ছে করে আগলিয়ে রাখতে। ফুলের উপর ভ্রমর আসে ভ্রমর যাই। পাপড়িগুলো উপর ভ্রমর সযত্নে হাত বুলিয়ে যায়। এই জগতে কে আছে এমন? যার ইচ্ছে করেনা, ফুলকে দেখলে এতসব ইচ্ছার সমুদ্রের মধ্যে একটুখানি ডুব না দিতে। আমি এক ভ্রমর- যার কোন ফুলের উপর অধিকার নেই। হাটি-হাটি পা পা করে জীবনের কুড়িটি কৃষ্ণচূড়া মাড়িয়ে এসেছি। কাউকে গোলাপ দেওয়া হলেও গোলাপ পাওয়া হয়ে উঠেনি। একদিন কোন এক কারণে এক বৃদ্ধ অভিশাপ দিয়েছিল “ তুমি কোনদিন ফুলের সত্যিকারে সুঘ্রাণ নিতে পারবেনা। যদিও তোমার জীবনে ফুল আসে, তার কাছ থেকে বড়জোর কাগুজে ঘ্রাণ নিতে পারবে”। সেদিন কলেজে আরও একটি ঘটনার জন্ম হয়েছিল। কলেজের রাস্তায় হাটতে গিয়ে একটি গোলাপ পা দিয়ে মাড়িয়ে ছিলাম। এর পরের ঘটনা, একটি মেয়ে আমার পায়ের নিছে গোলাপটি দেখে বলেছিল- “ জীবনে আপনার গোলাপ পাওয়া হবেনা। এবং আপনার পছন্দের কোন আপনজন আপনাকে প্রথম উপহার হিসাবে, কোন জীবন্ত, নিষ্পাপ কোন ফুল দিবে না”। আমি মেয়েটির কথা শুনে হতচকিত হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, আরে এই মেয়েটি কি পাগল! সামান্য দুটাকার গোলাপের জন্য এত কথা। আমি না হয় তাকে এক ডজন কিনে দিলাম! আরে মেয়ে তোমার মত সুন্দরীকে একটা কেন হাজারটা কিনে দিতে পারি। ঘটনাটি কোন নাটকে বা সিনেমার মত হলেও আমার জীবনেরই একটি বাস্তব অংশ।
১৯৯২ সালে যখন আমার জন্ম হয়। তখন থেকে আমার জীবনের প্রতিটি গন্তব্য ছিল উল্টো। প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল আমার জীবনের সাথে বৈসাদৃশ্য। যাকে যত বেশি আপন মনে করেছি, সেই তত বেশি আঘাত করেছে। আমার ছোট ভাই বলত, “তুমি সব কিছু একটু বেশিই বেশিই কর, যা তোমার জন্য শোভনীয় নয়”। অনেক স্বপ্ন, অনেক ত্যাগ, অনেক ভালবাসা, অনেক প্রেম, অনেক সাধনার ধন ছিলে তুমি। তাই তোমার প্রতি আমার দৃষ্টি ছিল অন্যরকম। একদিন তুমি আমার হয়ে গেলে। আর আমি, আমিও খুঁজে পেলাম আমার সেই কাঙ্ক্ষিত ঠিকানা। ২৩ তারিখ, ২০১৩ সালের জুন মাস আমার জীবনের জন্য ছিল শ্রেষ্ঠ একটি অধ্যায়। প্রথম দেখা হল, এক অনন্য বিকাল বেলায়। জীবনের এই দিনটির জন্য অনেক প্রত্যাশা ছিল। অনেক উচ্চাশা নিয়ে হেঁটেছিলাম, সেই দিনটির জন্য জীবনের কুড়িটি অধ্যায়। চাওয়া ছিল পাহাড় সম। কিন্তু চাওয়া আর পাওয়ার মধ্যে বিস্তর তফাৎ। ভাবনা ছিল, প্রথম দিন তোমার কাছে থেকে ফুল পাব। কারণ জীবনের জন্য এই সময়টা ছিল অন্যরকম। কিন্তু প্রত্যাশা মাঠেই মারা গেল। তবুও অনুযোগ ছিলনা। কারণ তুমি না নিলেও সেইদিনটিকে আমি স্মরণীয় করে নিলাম। যা আমার জীবনের জন্য এক স্মরণীয় অধ্যায় হয়ে গেল। যা কোনদিন ভুলে যাওয়ার মত না। বৃদ্ধের দেওয়া অভিশাপ কানে গুঞ্জন করছিল। আর মেয়েটির সেইদিনের কথা, তার নিষ্পাপ চোখের পানি তার অবিভ্যক্তি্র কথা মনে পড়ল।
সবকিছুকে ছেড়ে আজ আমার এই অবস্থান। প্রথম দিন থেকেই আমি হয়ে গেলাম নোংরা ও বিকৃত মনের এক মানুষ। তবুও আমি হেঁটেছি তোমার পানে। এরপর, আসলে আমার এত সামনে না যাওয়ার প্রয়োজন ছিল। তবুও গেলাম। আমার এই বাজে আচরণ আরও বেড়ে গেল। আমার মাত্রাতিরিক্ত আচরণ তোমার কাছে অসহ্যের পর্যায়ে চলে গেল। কিন্তু, এর কারণ না জেনে তুমি প্রতিকার খোঁজা শুরু করলে। তুমি যদি নিজের ইচ্ছায় আমাকে কাছে টেনে নিতে তাহলে আজ এই পর্যায়ে এসে দাঁড়াত না। তুমি সব সময় আমার স্পর্শ, আমার ছোঁয়াকে নিগৃহ করতে। হাত দিয়ে ধরলে ছুড়ে ফেলে দিতে। কাছে টেনে নিলে দূরে ঠেলে দিতে। তাই আজ আমি- এই বেড়ে গেলাম। আমার সব আচরণ ঐচ্ছিক। আর আমি ছেড়ে যাবনা আমার এই আচরণকে। সিদ্ধান্ত তোমার, জীবন তোমার। আমি আছি, আমি থাকব। মরব আমি, ভাঙ্গব না।
©somewhere in net ltd.