নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর।

নিরন্তর যাত্রা

Be a positive thinker..

নিরন্তর যাত্রা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নষ্টা মেয়ে তুই;

১৪ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৮

তুমি গাড়িতে?

হাঁ, তুমি কি করে জানলে আমি গাড়িতে?

আমিও গাড়িতে আছি, তুমি এখন চৌরাস্তার মোড়ে না?

তুমি আমাকে চিনতে পারছ! কই তোমাকে তো দেখছিনা?

ফেইসবুকে কথা হচ্ছিল দুজনের। সেই অনেকদিন আগের কথা, প্রায় দেড় বছর হবে। ফেইসবুকের কল্যাণে দুজনের জানাশুনা। কোন এক অবেলায় ফেইসবুকে ভুল রিকুয়েস্টের মাধ্যমে তাদের পরিচয়। মেয়েটি প্রথমে রিকুয়েস্টের সাথে ছোট্ট একটি ম্যাসেজ দিয়েছিল, যা থেকে তাদের পরিচয়ের সূত্রপাত। মেয়েটি প্রায় ছয়মাস পর বলে, আমি আমার বিভাগের মনে করে রিকুয়েস্ট দিছিলাম। কিন্তু প্রশ্ন প্রোফাইল পিকচার কি গাছে উঠেছিল দেখেনি? এরপর তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা হত। কিন্তু ছেলেটি লাজুক হওয়াতে দেখার প্রশ্ন আসেনি। তাদের মধ্যে খুব সখ্যতা গড়ে উঠল। একটা মেয়েকে সুন্দরী বলার জন্য যে গুণ থাকা দরকার সবগুলি ওর মধ্যে বিদ্যমান ছিল। ছেলেটি, মেয়েটির প্রেমে পড়ে গেল! ছেলেটির নাম আমি আদর করে “মুটো” ডাকি। আমি ঢাবিতে ভর্তি হয়ে প্রথম যে একজনের সাথে পরিচয়। আমি হলপ করে বলতে পারি, আমার কুড়ি পার করা জীবনে এমন ছেলে আর দেখিনি। আমি যেমন বাজে ছেলে কিন্তু ঠিক ও উল্টো ধরণের। আমার আর তার মধ্যে নাড়ি নক্ষত্র পার্থক্য। তবুও আমাদের খুব জানাশুনা। আমি কোনদিন দেখিনি কাউকে একটা মন্দ কথা বলতে। তবে ওর মধ্যে হাজার গুণের মধ্যে একটা বদগুণ আছে তা হল নিভৃতচারী। মেয়েটির নাম দিয়েছি তার নামের সাথে সঙ্গতি রেখে বিস্মৃতি। কারণ তাকে মনে রাখার ছেয়ে ভুলে যাওয়া ভাল। এবার কাজের কথায় আসি। আমাদের মনে প্রশ্ন আসে আমরা মেয়েদেরকে আগে প্রপোজ করি। আমিও তা মানি, সবাই মানতে বাধ্য। তবে এখানে আমার একটা কথা হল, কোন মেয়েকে একটা ছেলে প্রপোজ করার পেছনে বড় দোষী হল মেয়েটি। অনেকে আমাকে নারী বিদ্বেষী বলতে পারেন। মেয়েটি একদিন হঠাৎ অবাক করা ম্যাসেজ দিল “আমি কি সীট বুক করব নাকি খালি রাখব”। আরও অনেক কিছু যেমন ----------। এটাই থেকেই মুটো বিস্মৃতির প্রতি প্রথম প্রেমে পড়ার কারণ খুঁজে পেল। এবং এটাই মুটোকে ভাবিয়ে তুলল। ইতিমধ্যে তাদের ফোন নাম্বার বিনিময় হল। আমার পীড়াপীড়িতে বিস্মৃতিকে মুটো সেলফোন ম্যাসেজে প্রপোজ করল। তারপর ভুল বুঝাবুঝির অবসান হল, মেয়েটি সাধারণত এই রকম করতে অভ্যস্ত। মেয়েটির ক্যারেক্টার হল, ছেলেদের সাথে বন্ধুত্ব করে প্রেমের অভিনয় করা। আর উপরি পাওনা লাভ করা। বিষয়টি আমি শিওর হলাম কি ভাবে এই প্রশ্ন উঠতে পারে? ভালবাসার বিষয় মুটো একদম ভুলে গেল। যদিও সেই আমাদের সামনে ভুলে গেছে বলে অভিনয় করত। তাকে আমরা অনেক খানি বুঝাতে পেরেছিলাম যে, বিস্মৃতি তুর সাথে নাটক করছে। এরমধ্যে সে আমার কাছ থেকে বিস্মৃতির বিষয়টি গোপন রাখতে শুরু করল। তার মেয়ে বন্ধু তাকে হেল্প করতে চেষ্টা করল। কিন্তু মেয়েটা যে ছলনাময়ী তা শিওর হলাম এই ভাবে- ১। খেতে ইচ্ছে করলে জানানো, আর তার দুর্বলতার সুযোগ গ্রহণ করা। এটাও ছলনাময়ী হওয়ার জন্য যথেষ্ট না, কিন্তু... ২। আমার খুব টিউশনির প্রয়োজন। আরও অনেক কিছু যা বললে খোঁটা হতে পারে। আর এই দিকে বিস্মৃতি টিএসসিতে/উদ্যানে/কলা ভবনে সকাল/বিকাল ছেলেদের মাথায় মাথা, কাঁধে কাঁধ, গলায় হাত রেখে যাওয়া! আর এইদিকে মুটোকে স্বপ্ন দেখানো। দেখেন মেয়েটি যদি ভাল-নাবাসে তাহলে কেন মুটোকে ভালবাসার অভিনয় করবে! তুই এক নষ্টা মেয়ে।



আসলে এদের মত মেয়েদের স্থান হওয়ার দরকার দৌলতদিয়ায়। যেখানে প্রতিদিন সকাল-বিকাল-রাত নতুন নতুন খদ্দের পাওয়া যায়। ভালবাসা এদের কাছে ছেলে “কেলা”। “কেলা” আঞ্চলিক ভাষায় কলা। যখন চাইবে ছিলে খাবে। এদের দরকার কলা। যখন ইচ্ছা ব্যবহার করবে। এরা কারও মা হওয়ার যোগ্যতা রাখে না, এরা বড়জোর জন্মদাত্রী হতে পারে। কারও প্রেয়সী হতে পারেনা, বড়জোর গার্ল ফ্রেন্ড হতে পারে। একদিন এই মেয়েরা বড় গলায় কথা বলে ছেলেদের দোষ ধরবে। তখন এদের গালে গালে জুতা পেটা করা উত্তম। এই রকম অসভ্য মেয়েদের কে মেয়ে না বলে কুত্তী বলা প্রয়োজন। বন্ধু, তুই আজ অনেক সুখী থাক এই চাইব। আমি প্রত্যাশা করি আল্লাহ তোর জন্য এর ছেয়ে ভাল কিছুর রেখেছে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.