![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাড়ি যাচ্ছি, সত্যিই বাড়ির সবাই
তাকিয়ে আছে আমার বাড়ি যাওয়ার
কথা শুনে. টিকেট কাটতে যাব, সে
টিকেট নামের সোনার হরিণ ও হা
করে বসে আছে আমার জন্য. সে
বাড়ি যেতে চাই, আমিও রাজি হয়ে
গেলাম মহা খুশি. শেষমেশ ২৬ তারিখ
সকাল বেলায় বাড়ির যাওয়ার জন্য
প্রস্তুত হয়ে অপেক্ষায় বসে আছি
খুশিতেই. আনন্দ হাসিতে আর
বাধা নিয়ে বাধ্য ছেলের মত ট্রেন
স্টেশনের প্লাটফর্মে দাড়িয়ে থাকা
পারাবত ট্রেন ধরলাম, হঠাৎ দেখি
সামান্য বাধ সাধল মন,যাবেনা সে
বাড়িতে, নিজেই নিজের জীবন
সাথীর দু ফোটা অশ্রুজলে নেমে
আসা গালের দৃশ্য দেখলাম. তখনই
বুঝে ছিলাম সর্বনাশ তো একটা
হয়ে গেছে! আমি কিভাবে থাকবো
এই দৃশ্য দেখে, যা কেউ আমার জন্য
কোনদিন করবে ভাবনাতেই ছিলনা .
বাড়ি আসার মাঝপথে ছোট আপুর
পিড়াপিড়িতে তার কাছে আসলাম.
তার আদর, যত্নের পাহাড়ি ঢলের
বন্যায় ও নিজেকে কেমন জানি অস্তির
লাগছে, কোথায় কি যেন হারিয়ে
ফেলেছি, কে যেন ডাকছে বারবার.
ফিরে গিয়েছিলাম মাত্র ৪৮ ঘন্টা
আগের পৃথিবীতে, মনে পড়ছিল
হাজারো ফেলে আসা সময়ের
একগুচ্ছ ভান্ডার. অদ্ভুত এক ব্যাপার
আমার জীবনে এত অল্প সময়ে
এত কিছু পাওয়া হবে, এত কিছুর
অফুরন্ত ভান্ডার জমা হবে কারও
ভাবনায় ও আসবেনা. সারাদিন
সারাক্ষণ, এই টিনের চালে বৃষ্টির
মিষ্টি শব্দটি ও আমার জীবনের
একটি বাস্তব গল্পের মহাকাব্য
রচিত হতে পারে.. সারাদিনের
রোজার শেষে ইফতারের জন্য
শসা,পেয়াজ, মরিচ, আম, ডালিম,
পেয়ারা, আনারস, লেবু, মোচাম্বি
(দেখতে কমলার মত), ও আপেল
কাটার অভিনব দৃশ্য. একটু সামান্য
খুনসুটিতে রাগ, পরক্ষণেই পানি.
পেয়াজু, আলুর চপ, বেগুনি, ডিম
চপ, সবজির চপ, জিলাপী ভাঙার
জন্য ঝগড়া .. ছোলা মাখানো, বিশেষ
করে তার কাচা লবণ খাওয়া নিয়ে
রাগারাগি .. খিচুড়ী সাজানোর আলপনা
দেখে হেসে ভেঙছি মারার দৃশ্য সবই
আজ চোখের সামনে .. মনেপড়ে দেরীতে
আসলে চোখ রাঙ্গানোর সময় তার মুখের
অবস্থা .. আজ সবই ফিতে বন্দী ফাইলে
আটকানো কোন মহাকাব্য ,কোন অপ্রকাশিত
গল্পগুচ্ছ.. সবই রংতুলিতে নিয়ে আচড়ে
দিচ্ছি, যেন একখানা ক্যানভাস .. হঠাৎ
সেলফোনের স্কিনের আলো সমম্বিত
ফিরিয়ে দিল... স্কিনে লেখা #নিরন্তর_যাত্রা
সবই আবার হারিয়ে ফেললাম, কিন্তু
সে সজীব, সে জীবন্ত, সে আমার, সে
আমার ভালবাসায় মগ্ন .......
©somewhere in net ltd.