![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে বিষয়গুলো পালনীয় ......
♦ বন্ধুত্বের পথটা চিরমসৃণ রাখতে হলে সবার
আগে যে বিষয়টি মনে রাখতে হবে তা হলো বন্ধুদের
সাথে যোগাযোগটা সব সময় বজায় রাখা। বন্ধুদের
জন্য কিছুটা সময় বের করে তাদের সাথে মন
খুলে আড্ডা দেয়া। এর মাধ্যমে বন্ধুত্বের সম্পর্ক
ক্রমেই আরও গাঢ় হবে।
♦ সম্পর্কে কখনই প্রেম-ভালবাসার
বিষয়টি আনবেন না। আর যদি কাউকে ভালোবেসেই
থাকেন তবে প্রথমেই সরাসরি বলে ফেলুন। বন্ধুর
মতামতকে সহজভাবে নিন এবং শ্রদ্ধা প্রদর্শন
করুন। ক্লাসের পড়াশোনা, হ্যান্ডনোট
ইত্যাদি সহজভাবে শেয়ার করুন। প্রাণখুলে সবার
সাথে গল্প করুন।
♦ বন্ধুর কাছে মন খুলে সবকিছু বলার
ক্ষমতা আপনাকে অর্জন করতে হবে।
এক্ষেত্রে আপনাকে অনেক বেশি উদার হতে হবে।
কোনোরকম লুকোচুরি করা যাবে না।
বন্ধুকে প্রতিযোগী নয়,
বরং সহযোগী হিসেবে দেখুন। কাছের বন্ধুটির
সাফল্যে আনন্দিত হওয়ার চেষ্টা করুন,
তাকে উৎসাহিত করুন। বন্ধুর সাফল্যকে নিজের জন্য
অনুপ্রেরণা হিসেবে গ্রহণ করুণ।
♦ বন্ধুর আনন্দের দিনগুলোতে যেমন তার
পাশে ছিলেন তেমনিভাবে তার দুঃখ বা বিপদের
মুহূর্তগুলোতে আরও বেশি করে বন্ধুর
সাহচর্যে থাকার চেষ্টা করুন। স্বার্থ যেন
বন্ধুত্বে বাধা হয়ে না দাঁড়ায় সেদিকে সব সময় সতর্ক
দৃষ্টি রাখা দরকার। বন্ধুর প্রতি আন্তরিকতার
প্রকাশ ঘটান নানাভাবে।
♦ কোনো কিছু আলোচনার সময় সব কথা নিজেই
বলার চেষ্টা করবেন না,
এমনকি কথা কাটাকাটি বা মনোমালিন্য চলার
সময়ও তার কথা শুনুন এবং বলুন আপনি কেনো রাগ
করেছেন বা আপনি এটা পছন্দ করেন নাই।
অপরকে কথা বলতে সুযোগ দিন এবং আপনার
যুক্তি উপস্থাপন করুন।
♦ সমস্ত জীবনের জন্য প্রকৃত কয়েকজন বন্ধুই
যথেষ্ট। যে বন্ধু অহঙ্কার আর সব রকমের
স্বার্থপরতার ঊর্ধ্বে থাকে, সে রকম বন্ধুই কাম্য
হওয়া উচিত। তবে বন্ধু যেমন আশীর্বাদ হতে পারে,
তেমনি তা ভয়ানক অভিশাপ হতে পারে।
হতে পারে জীবন অনিষ্টকারী অকৃতজ্ঞ। ভাল্লুকের
গল্পটা মনে আছে নিশ্চয়ই। তাই বন্ধু
নির্বাচনে অবশ্যই সচেতন হতে হবে...
©somewhere in net ltd.