নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর।

নিরন্তর যাত্রা

Be a positive thinker..

নিরন্তর যাত্রা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিরন্তর পথে যাত্রা

১৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫

ছোটবেলা থেকে একগুয়ে স্বভাবেরই একজন ছিলাম। সব কিছুতে নিজের মতকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করতাম। একজন দুষ্ট ছেলে ছিলাম বলে প্রতিদিন সন্ধ্যাই বাবা-মার মাথা ব্যথা ছিল আমাকে নিয়ে। পাড়ার বড়রা আমাকে পাজি ছেলে বলে ডাকত। কোনদিন এমনটি ছিলনা কারো না কারো সাথে ঝগড়া করিনি, কারও কিছু ক্ষতি করিনি, কারও সাথে মারামারি করিনি। সন্ধ্যায় ধুরু ধুরু বুকে বাড়ি ফিরে এসে চুপ করে পড়তে বসতাম। যদি আধা ঘণ্টার মধ্যে হাতের শিল্পের ছোঁয়া না লাগত ঐদিন পার পেয়ে যেতাম। তবে সাধারণত খুব কম সময় এমনই হত। কিন্তু তার একটা সুবিধা ছিল,তা হল এর একটু পরই ভাল খাবার খেতে দিত।



মা-বাবা আমাকে দু চোখে সহ্য করতে পারত না তা নয়, আমাকে নিয়ে তারা অনেক স্বপ্ন দেখত। ছেলে যতই দুষ্ট হউক একদিন আমাদের মানুষের মত মানুষ হবে। আমার শিক্ষা জীবন ও ছিল বিচিত্র। প্রাথমিকে থাকতে গ্রামে এমন কোন স্কুল নাই যাতে আমি পড়িনি। তবেও আমি মোটেও খারাপ ছাত্র ছিলাম না। প্রাথমিকে কোন পরীক্ষায় ৩য় স্থান লাভ করিনি। শিক্ষকদের মেধাবী ছাত্র হলেও কোনদিন তাদের প্রিয় ছাত্র হতে পারিনি। অবশেষে প্রাথমিক শেষ করে যখন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম।



একদিন দুই বন্ধু মিলে একটি ছেলেকে মাথা পাঠিয়ে দেওয়ার কারণে এক সারের কাছে মার খেলাম, পরে দুই বন্ধু মিলে গুলতি মেরে সেই সারের মাথা পাঠিয়ে দিয়। এই কারণে স্কুল থেকে বহিষ্কার হয়।এবং মামার বাসায় এসে লেখাপড়া শুরু করি অবশেষে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এস এস সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আমার উপজেলার প্রথম গোল্ডেন জিপিএ ৫ পাই।



জীবনে প্রথম বাবা-মায়ের আনন্দ ও হাসোজ্জল চেহারা দেখলাম। পরে চট্টগ্রাম বিভাগের সেরা কলেজে ভর্তি হলাম। অধঃপতন, কলেজে এসে আড্ডা, কম্পিউটারের গেমস আর ঘুরাঘুরি। পরিণামে এইচ এস সি তে রেজাল্ট নেমে ৪.৬০। এডমিশন টেস্টের প্রস্তুতি ও মোটেই ভাল ছিলনা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তি হলাম কিন্তু বাবা-মায়ের ইচ্ছা ছিল এলএলবি পড়ব। তাই বাংলা ছেড়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এলএলবি তে ভর্তি হলাম। কিছুদিন ক্লাস করার পর নার্সারির মত ধরাবাঁধা পড়া ভাল না লাগায় সেখানে ফুলস্টপ দিয়ে লেখাপড়া মাচায় তুলে রাখি।



কিছুদিন পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগে ভর্তি হয়। জীবনে এমন কোন চাওয়া ছিলনা যা আমার পূরণ হয়নি। তারও অবশ্যই কারণ আছে, এমন কিছু চাইনি যা স্বাদ ও সাধ্যের বাহিরে। হয়ত এই কারণে সব চাওয়া পূরণ হওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। পছন্দের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হব জীবনে সব সময় এই চাওয়াই ছিল প্রধান। তবে পরে........................। তবে আমার অপূর্ণতা ছিল একটা বেশি বন্ধু বানাতে পারিনি। কারণ এরিস্টটলের মতে “ A friend to all is a friend to none” ,।



আর বর্তমানে এমন একটা চাওয়া যা পূর্ণ হওয়ার মত না কারণ বামন হয়ে কখনো চাঁদ ছোঁয়ার আশা করা যায়না। তবে তোমাকে যে আমি কত ভালবাসি একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেনা। জানি আমার মত এই বিকৃত চেহারা ও বাজে শারীরিক অবয়বের মানুষের সাথে শুধু তুমি কেন কেউ জীবন নষ্ট করার রিস্ক নিবে না। এই পাপীকে কেউ আপন করে নিতে পারেনা। তোমার কোন দোষ নেই সব দোষ আমার, আমি তোমার পিছনে ছায়া হয়ে আছি। হয়তো আমার কারণে তোমার স্বাভাবিক জীবন যাপন ও অসম্ভব হয়ে আসছে। মানতে হবে আমি কারো কোনদিন যোগ্য হতে পারিনা আর হতেও পারবনা। আমার গন্তব্য নিরন্তর পথে যাত্রা............।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.