![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষের জীবনে কিছু কিছু কথা থাক,কিছু কিছু চাওয়া থাকে, কিছু কিছু আবেগ মাখা দুঃখ থাকে। যা কখনো সে কোনও মানুষকে জানায় না, জানতে দিতে চাইনা, পারলে আড়াল থেকেও সেইসব কথা, সেই সব চাওয়া, সেই সব দুঃখকে আড়াল করে সে। কিন্তু জীবনের একটি মুহূর্তে এসে - সেই বলতে থাকে, চাইতে থাকে, দুঃখ প্রকাশ করে - তার কাছে থেকে খুব কাছের আপন মানুষকে, তার জীবন সঙ্গীকে, তার ভালবাসার চাঁদকে, নিজের সত্তাকে নিজেই।
সেই আকাশ পানে হারাতে চাই নিজেকে ধারণ করার মাধ্যমে। যদি প্রকাশ না করে, এই কঠোর কষ্ট গোপন পন্থা তার ব্যক্তিত্বকে টিকিয়ে রাখে হয়তো কিন্তু তার ভেতরটা ধীরে ধীরে মরে যায়। সেই হারিয়ে যায় অতল গহ্বর দেশে। নষ্ট হয়ে যায় তার স্বাভাবিক জীবন যাত্রা। আবার কিছু মানুষ নিজেকে প্রকাশ করেনা। হয়তো এজন্যই বেশীরভাগ ব্যক্তিত্ব-বান মানুষের মৃদুভাষী ও একাকীত্ব পছন্দ করে। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ হারিয়ে যায়।
ভুল করে কোনও ফুল যদি সামনে এসে পড়ে এবং তিনি যদি সেটাকে উপদ্রব বলে মনে করেন, তাহলে ফুলের পক্ষে প্রায়শ্চিত্ত হচ্ছে তখনি কারুর পায়ের তলায় পড়ে আত্মহত্যা করা, কিন্তু আমার মত সাধারণের চেয়ে সাধারণ মানুষরা হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে পাগলের প্রলাপ বা স্বাভাবিক সুস্থ মানুষ হয়ে অসুস্থ আচরণ করে। তখন সেই সুস্থ মানুষের পক্ষে জীবন ধারণ করা সম্ভব হয়না, কারণ সে যে কথাটি দিয়েছিল তা সেই রক্ষা করতে পারেনি! তাইতো নজরুল বলেছেন- “ভিখে যদি কেউ তোমার কাছে চাইতেই আসে অদৃষ্টের বিড়ম্বনায়, তাহলে তাকে ভিক্ষা নাই দাও কুকুর লেলিয়ে দিও না। আঘাত করবার একটা সীমা আছে। সেটাকে অতিক্রম করলে আঘাত অসুন্দর হয়ে আসে। আর তক্ষুনি তার নাম হয় অবমাননা!”
আমি তোমার কাছে ভালবাসা যা চাই( ১ঘণ্টায় ফোন করে কথা বলা, বিদায় বেলার নিয়ম মানা, জানিয়ে কোন কাজ করা, চাওয়া গুলি পূর্ণ করা ও নিষেধ গুলি মানা—যদিও তা ভালবাসার কোন চিহ্ন না কিন্তু তা শ্রদ্ধা হিসাবে দেখা হয়), তুমি আমাকে ভালবাসা না দাও আমার ভিতরের কুকুরটাকে লেলিয়ে দিওনা। আমার ভিতর ঘুমন্ত হিংস্র পশুটাকে জাগিয়ে দিওনা। আমাকে স্বাভাবিক থাকতে দিও। তোমার পায়ের কাছে হাত জোড় করে এই মিনতি। আমি কথা দিচ্ছি আমি সুস্থ মানুষ হয়ে থাকতে পারব যদি তুমি নিজে আমাকে অসুস্থ বানিয়ে না দাও। তখন আমার কোন মুখ থাকবেনা, সুস্থ মানুষ হয়েও অসুস্থ আচরণের জন্য সরি বলার।
কষ্টাহত মানুষরা বিভ্রতবোধ করে না, তারা খোলসে কুঁকড়ে যায়। একদিন তারা আবেগটাকে শক্ত করে নিয়ে আড়ালে চলে যায় সকল বৈপরীত্যের, কষ্ট আর কতই বা পোহানো যায়। বড় নির্মম এই পৃথিবী, বড় নিষ্ঠুর তার নিয়ম। অনিয়মকে তো আর নিজের স্বার্থে নিয়মে রূপ দেয়া যায় না, সবাই তার নিজ অবস্থানে থেকেই পৃথিবী কে দেখে। কেউ একবারের জন্যেও ভাবে না যে, জায়গা বদল হলে রূপক ধরার এই একই চিত্রটাও ভিন্ন রূপে দেখা যায়।
আহ্ বড় নির্মম এই জীবন চাদরের মোহ…
©somewhere in net ltd.