![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যত্ন করে গোলাপ চারা বড় করলাম। স্বপ্ন দেখলাম গাছ অনেক বড় হবে, আর তখন আমাকে রাশি রাশি ফুল দিবে। শত শত পাপড়ির বন্যায় আমাকে ভাসিয়ে দিবে। বসন্তের মৃদু ছন্দের সৌরভে আমাকে উন্মাদ করে দিবে। আমি হব ফুলের রাজা।
দেখতে দেখতে গাছ বড় হতে লাগল। কাণ্ড প্রসারিত হল। গাছের যৌবন আসল। রাশি রাশি কলি হল। মনে অনেক খুশির আমেজ বিরাজ করছে। গাছের যত্ন নিতে শুরু করলাম। নিজের অজান্তে কলি থেকে একদিন কখন জানি ফুলে পরিণত হল। মৃদু মৃদু গাইতে গাইতে ফুলর কাছে গেলাম।
ফুলের ঘ্রাণে মোহিত হলাম। অজানা ঘ্রাণ আমাকে বদ্ধ উন্মাদ বানিয়ে দিল। মন কেমন জানি ফুলের দিকে বারবার তাড়িত হচ্ছে। নিজেকে শক্ত করলাম। না এমন সুন্দর ফুলকে ধরা যাবেনা, ছোঁয়া যাবেনা। এই ফুল তো আমারই। নিজের অজান্তে হাত বাড়িয়ে দিলাম। অজানা বেদনায় ওহ করে উঠলাম।
ধুর কোন পোকায় বুঝি কামড় দিয়েছে। আবার হাত বাড়িয়ে দিলাম। এবার আর আগের মত অনিচ্ছায় নয়, নিজের ইচ্ছাতেই। আবার ব্যথা পেলাম। এভাবে হাত দিচ্ছি কিন্তু প্রতিবারই ব্যথা পেতে লাগলাম। কি হল, কি হল? ধুর আজ ফুল নিবই না।
মৌমাছি আর ভ্রমরের দল কত যে আনন্দে ফুলের উপর বসে আছে। দিক বেদিক ছুটে বেড়াচ্ছে এ ফুল থেকে ও ফুলে। ভাবলাম তারা বুঝি ব্যথা পেয়ে এক ফুল ছেড়ে অন্য ফুলে যাচ্ছে। “মানুষ এত সহজে হাল ছেড়ে দেয়” মনে মনে ভাবছিলাম। সাহস নিয়ে ফুলকে হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরলাম। না ফুল নেওয়া হল না আবার ব্যথা পেলাম।
না এবার আমাকে দেখতে হবে বারবার ব্যথা পাচ্ছি কেন। শত শত কাঁটা কিন্তু একটি মাত্র ফুল, অবাক হলাম। বারবার ফুল নিব নিব করে কাছে গেছি কিন্তু একবারও কাঁটার কথা ভাবিনি। একটি মাত্র ফুল পেতে কত যে কাঁটার আঘাত সহ্য করতে হয়। শিহরে উঠলাম।
হায়রে পৃথিবী, এত যত্ন করে ছোট চারা থেকে গাছে পরিণত করলাম। তবুও একটি ফুল নিতে এত কষ্ট! কিন্তু কত শত মৌমাছি আর ভ্রমর আনন্দে সুঘ্রাণ নিয়ে যাচ্ছে। হায় তবুও একটা ফুল আমার হলনা। রক্ত ঝরালাম, তবুও ফুল আমাকে চাইনি। বুঝলাম......
ফুল আর সুখ, কাঁটা আর দুখ দুই বৃন্তের এক স্থান।
২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০৩
নিরন্তর যাত্রা বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৯
পাঠক১৯৭১ বলেছেন: বংকিম চন্দ্র, বংকিম চন্দ্র, আমাদের বংকিম ভুত হয়ে ফিরে এসেছে!