![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মেয়ের পরিবার চিরাচরিত নিয়মে ছেলেকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। ছেলে ও মেয়ের প্রেমের মধ্যে এমনটা হওয়াটা নতুন কিছুই নয়। স্বাভাবিকভাবেই মেয়ের পরিবার মেয়েটাকে বুঝানোর চেষ্টা করে যে, ছেলেটার খুব একটা ব্রাইট ফিউচার নেই, তার সাথে সম্পর্ক রাখাটা বোকামি ছাড়া আর কিছু না।
পরিবারের চাপে পড়ে একদিন মেয়েটা ছেলেটাকে বলে, “আমার প্রতি তোমার ভালোবাসা কতটা গভীর? তুমি একটা কিছু অন্তত করো। তাছাড়া আমাদের সম্পর্ক কেউ মেনে নিবে না।” ছেলেটা কোন উত্তর খুঁজে পায় না। সে চুপ করে থাকে। মেয়েটা রাগ হয়ে চলে যায় তারপর তাদের মাঝে সম্পর্কে ছেদ পড়ে খানিকটা। তারপরেও স্বপ্ন-বিলাসী ছেলেটা তাদের ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে। কিন্তু ............।
ছেলেটা কোন কিছু করার জন্য পাগলের মত ঘুরাঘুরি করতে থাকে। এক সময় সিদ্ধান্ত নেয় বিদেশ চলে যাবে। আগ-মুহূর্তে সে মেয়েটাকে বলে, “আমি হয়তো কথায় খুব একটা পারদর্শী না, কিন্তু আমি জানি যে আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তুমি কি আমার সাথে সারাজীবন কাটাতে রাজি আছ? তাহলে আমার উপর বিশ্বাস রাখ।
মেয়েটা ছেলের দৃঢ়-সংকল্প দেখে রাজি হয়। মেয়েটা পরিবারকে অনেক বুঝিয়ে রাজি করে ফেলে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে ছেলে প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশে ফিরলে তারপর তাদের বিয়ে হবে। এরপর ছেলেটা চলে যায় দেশের বাইরে।
মেয়েটাও জব করা শুরু করে দেয়। এদিকে ছেলেটাও তার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম নিয়ে দেশের বাইরে ব্যস্ত। তারপরেও তারা শত ব্যস্ততার মাঝেও তাদের ভালোবাসার অনুভূতি যতটা সম্ভব আদান-প্রদান করে। একে অপরের প্রতি ভালবাসার সংগ্রামে সাহায্য করে।
একদিন মেয়েটা রোড-এক্সিডেন্ট করে। এক্সিডেন্টে তার মাথায় ভীষণ আগাত লাগে। এবং সেই চিরদিনের জন্য বোবা হয়ে যায়। ডাক্তার জানিয়ে দেয়, সে আর কখনো কথা বলতে পারবেনা।
একসময় মেয়েটা খানিকটা সুস্থ হয়ে বাসায় চলে আসে। এদিকে ছেলেটা তাকে বার বার ফোন করতে থাকে কিন্তু মেয়েটা বোবা বলে তার করার কিছুই থাকে না। মেয়েটা একদিন একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। সে তার কথোপকথন হীন এই জীবনের সাথে ছেলেটাকে আর জড়াতে চায় না।
মেয়েটি একদিন একটা মিথ্যা চিঠিতে লেখে যে সে আর ছেলেটার জন্য অপেক্ষা করতে পারবে না। তারপর মেয়েটা চিঠির সাথে তার এনজেজমেন্ট রিং ছেলেটার ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয়। ছেলেটা মেয়েটাকে হাজার-হাজার ই-মেইল করে কিন্তু তার কোন রিপ্লাই সে পায় না।
একদিন মেয়েটার পরিবার বাসা বদল করে অন্য কোন এলাকায় নতুন কোন একটা পরিবেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় যাতে করে মেয়েটা কিছুটা হলেও এই দুঃস্মৃতি ভুলে যায় এবং সুখে থাকে।
নতুন পরিবেশে মেয়েটা “সাইন-ল্যাংগুয়েজ” শেখে এবং নতুন জীবন শুরু করে। বছর দুয়েক পর একদিন মেয়েটার এক বান্ধবী এখানে চলে আসে এবং মেয়েটাকে বলে যে ছেলেটা দেশে ব্যাক করেছে। মেয়েটা তার বান্ধবীকে রিকুয়েস্ট করে যাতে ছেলেটা কোনভাবেই যেন তার এই অবস্থার কথা জানতে না পারে। তারপর কয়েকদিন পর মেয়েটার বান্ধবী চলে যায়।
কিছুদিন পর মেয়েটার বান্ধবী মেয়েটার কাছে একটা ইনভাইটেশন কার্ড নিয়ে চলে আসে। মেয়েটা কার্ড খুলে দেখতে পায় যে এটা ছেলেটার বিয়ের ইনভাইটেশন কার্ড। মেয়েটা অবাক হয়ে যায় যখন পাত্রীর জায়গায় তার নিজের নাম দেখতে পায়। মেয়েটা যখন তার বান্ধবীর কাছে এ সম্পর্কে কিছু জানতে চাইবে তখন সে দেখতে পায় যে ছেলেটা তার সামনে দাঁড়িয়ে। ছেলেটা তখন “সাইন ল্যাংগুয়েজ” ব্যবহার করে মেয়েটাকে বলে, “I’ve spent a year’s time to learn sign language. Just to let you know that I’ve not forgotten our promise. Let me have the chance to be your voice. I Love You.” এই বলে ছেলেটা আবার সেই এনগেজমেন্ট রিং মেয়েটাকে পড়িয়ে দেয়। কয়েক বছর পর মেয়েটা আবার হেসে উঠে। এ যেন এক নীরব হাসি।
(বন্ধুর কাছ থেকে শুনা গল্প)
মেয়ের পরিবার চিরাচরিত নিয়মে ছেলেকে গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। ছেলে ও মেয়ের প্রেমের মধ্যে এমনটা হওয়াটা নতুন কিছুই নয়। স্বাভাবিকভাবেই মেয়ের পরিবার মেয়েটাকে বুঝানোর চেষ্টা করে যে, ছেলেটার খুব একটা ব্রাইট ফিউচার নেই, তার সাথে সম্পর্ক রাখাটা বোকামি ছাড়া আর কিছু না।
পরিবারের চাপে পড়ে একদিন মেয়েটা ছেলেটাকে বলে, “আমার প্রতি তোমার ভালোবাসা কতটা গভীর? তুমি একটা কিছু অন্তত করো। তাছাড়া আমাদের সম্পর্ক কেউ মেনে নিবে না।” ছেলেটা কোন উত্তর খুঁজে পায় না। সে চুপ করে থাকে। মেয়েটা রাগ হয়ে চলে যায় তারপর তাদের মাঝে সম্পর্কে ছেদ পড়ে খানিকটা। তারপরেও স্বপ্ন-বিলাসী ছেলেটা তাদের ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখে। কিন্তু ............।
ছেলেটা কোন কিছু করার জন্য পাগলের মত ঘুরাঘুরি করতে থাকে। এক সময় সিদ্ধান্ত নেয় বিদেশ চলে যাবে। আগ-মুহূর্তে সে মেয়েটাকে বলে, “আমি হয়তো কথায় খুব একটা পারদর্শী না, কিন্তু আমি জানি যে আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি। তুমি কি আমার সাথে সারাজীবন কাটাতে রাজি আছ? তাহলে আমার উপর বিশ্বাস রাখ।
মেয়েটা ছেলের দৃঢ়-সংকল্প দেখে রাজি হয়। মেয়েটা পরিবারকে অনেক বুঝিয়ে রাজি করে ফেলে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে ছেলে প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশে ফিরলে তারপর তাদের বিয়ে হবে। এরপর ছেলেটা চলে যায় দেশের বাইরে।
মেয়েটাও জব করা শুরু করে দেয়। এদিকে ছেলেটাও তার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম নিয়ে দেশের বাইরে ব্যস্ত। তারপরেও তারা শত ব্যস্ততার মাঝেও তাদের ভালোবাসার অনুভূতি যতটা সম্ভব আদান-প্রদান করে। একে অপরের প্রতি ভালবাসার সংগ্রামে সাহায্য করে।
একদিন মেয়েটা রোড-এক্সিডেন্ট করে। এক্সিডেন্টে তার মাথায় ভীষণ আগাত লাগে। এবং সেই চিরদিনের জন্য বোবা হয়ে যায়। ডাক্তার জানিয়ে দেয়, সে আর কখনো কথা বলতে পারবেনা।
একসময় মেয়েটা খানিকটা সুস্থ হয়ে বাসায় চলে আসে। এদিকে ছেলেটা তাকে বার বার ফোন করতে থাকে কিন্তু মেয়েটা বোবা বলে তার করার কিছুই থাকে না। মেয়েটা একদিন একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। সে তার কথোপকথন হীন এই জীবনের সাথে ছেলেটাকে আর জড়াতে চায় না।
মেয়েটি একদিন একটা মিথ্যা চিঠিতে লেখে যে সে আর ছেলেটার জন্য অপেক্ষা করতে পারবে না। তারপর মেয়েটা চিঠির সাথে তার এনজেজমেন্ট রিং ছেলেটার ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয়। ছেলেটা মেয়েটাকে হাজার-হাজার ই-মেইল করে কিন্তু তার কোন রিপ্লাই সে পায় না।
একদিন মেয়েটার পরিবার বাসা বদল করে অন্য কোন এলাকায় নতুন কোন একটা পরিবেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় যাতে করে মেয়েটা কিছুটা হলেও এই দুঃস্মৃতি ভুলে যায় এবং সুখে থাকে।
নতুন পরিবেশে মেয়েটা “সাইন-ল্যাংগুয়েজ” শেখে এবং নতুন জীবন শুরু করে। বছর দুয়েক পর একদিন মেয়েটার এক বান্ধবী এখানে চলে আসে এবং মেয়েটাকে বলে যে ছেলেটা দেশে ব্যাক করেছে। মেয়েটা তার বান্ধবীকে রিকুয়েস্ট করে যাতে ছেলেটা কোনভাবেই যেন তার এই অবস্থার কথা জানতে না পারে। তারপর কয়েকদিন পর মেয়েটার বান্ধবী চলে যায়।
কিছুদিন পর মেয়েটার বান্ধবী মেয়েটার কাছে একটা ইনভাইটেশন কার্ড নিয়ে চলে আসে। মেয়েটা কার্ড খুলে দেখতে পায় যে এটা ছেলেটার বিয়ের ইনভাইটেশন কার্ড। মেয়েটা অবাক হয়ে যায় যখন পাত্রীর জায়গায় তার নিজের নাম দেখতে পায়। মেয়েটা যখন তার বান্ধবীর কাছে এ সম্পর্কে কিছু জানতে চাইবে তখন সে দেখতে পায় যে ছেলেটা তার সামনে দাঁড়িয়ে। ছেলেটা তখন “সাইন ল্যাংগুয়েজ” ব্যবহার করে মেয়েটাকে বলে, “I’ve spent a year’s time to learn sign language. Just to let you know that I’ve not forgotten our promise. Let me have the chance to be your voice. I Love You.” এই বলে ছেলেটা আবার সেই এনগেজমেন্ট রিং মেয়েটাকে পড়িয়ে দেয়। কয়েক বছর পর মেয়েটা আবার হেসে উঠে। এ যেন এক নীরব হাসি।
(বন্ধুর কাছ থেকে শুনা গল্প)
©somewhere in net ltd.