![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অনেক সময় দেখা যায় পথ শিশুরা টাকা চাই খুবই বিরক্তিকর ভাবে, এমনকি অনেকের পা ধরে থাকে দুই একটা টাকার জন্য। একটা কাজে ধানমণ্ডি রাইফেলস স্কয়ারে গিয়েছিলাম। গেইটে এক পথ শিশু এক রোমিওকে খুবই বিরক্ত করে দুটা টাকার জন্য আর পিছু নিতে থাকে। সাথের জুলিয়েট আপুটি খুবই ইতস্তবোধ করছিল।
জুলিয়েট আপুর ইতস্তত বেড়ে যাওয়ার রোমিওটি পথ শিশুটিকে একটা থাপ্পড় মারে! আহারে! মানুষ এতটা নির্দয় ও নির্মম হয় কি করে। মানলাম এভাবে টাকা চাওয়াটা বিরক্তিকর। না দিতে ইচ্ছে করলে না দেয় কিন্তু সে তো পেটের তাগিতেই এমনটা করছে। বেঁচে থাকার ন্যূনতম খাবারের জন্যই তো এমনটা করছে। রোমিওর কাছে গিয়ে ছোটখাটো এই শরীর নিয়ে থাপ্পড় বসিয়ে দিলাম। তখন দেখি আমার মত কিছু Mengo People এগিয়ে এসে তাকে উত্তম মাধ্যম দিল।
আজ হয়ত আল্লাহ আমাকে আপনাকে সচ্ছল পরিবারে পাঠিয়েছেন কিন্তু এই ছেলেটা তো আমিও হতে পারতাম। আমার আদরের ছোট ভাই হতে পারতো। ধিক্কার এসব মানুষরূপী নরপশুদের। এরা চোর অর্থ আত্মসাৎকারী। কারণ কুরআনে আছে “আর তাদের সম্পদে গরীব ও বঞ্চিতদের অধিকার রয়েছে”। (সূরা যারিয়াত: ১৯)।
কাল পান্তা ইলিশের নামে শত শত টাকা দিয়ে গার্ল ফ্রেন্ডের পেট ফাঁপিয়ে দিবা! বাঙালীর সংস্কৃতির নাম দিয়ে হিজড়া ফ্যাশন ব্যবসায়ীদের পেট ভরিয়া দিবা! টুসটুসে গালের উপর উল্কি এঁকে ভরিয়ে দিবা! ফুল কিনে খোঁপায় দিয়ে সুন্দরী সাজবা! মঙ্গল যাত্রার নামে দেদারসে টাকা খরচ করবা! কিন্তু দু’টাকা ভিক্ষুকদের দিতে গেলে গায়ে লাগে। আসলে আমরা বাঙালীরাও এখন পশ্চিমাদের মত কর্পোরেট হয়ে গেছি। নোংরা রাষ্ট্র যন্ত্র ভণ্ডামি করে দেদারসে টাকা খরচ করবে কিন্তু এই মানবতা হীন জীবন যাপন কারীদের জন্য কিছুই করেনা। ছি ছি ধিক্কার আমাদের এই সত্তাকে ও নোংরা রাষ্ট্র যন্ত্রকে।
©somewhere in net ltd.