![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রচণ্ড স্যাঁতস্যাঁতে। হয়তো বৃষ্টি অথবা নামে নি কোথাও! আমি খোলা বারান্দায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টির কথা ভাবছিলাম। স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি সেদিনের দেখা স্বপ্নগুলো। কীভাবে বৃষ্টির মত ধুয়ে নিয়ে স্যাঁতস্যাঁতে করে গেল এমন মধুর স্মৃতি গুলোকে। নিচ তলার বাসায় তেলাপোকার অসুবিধা আছে। পায়ের উপর দিয়ে একটা তেলাপোকা হেটে কোমর অবধি পৌছাতেই তখন আমি টের পাই কামসূত্রের মত শরীরটা কেবল বিকিয়ে উঠেছে। হঠাৎ মনে পড়ে গেল ফেলে আসা কিছু দিনের সূত্র। মানুষ সহজে এমন সূত্র ও আত্মস্থ করে নিয়ে গিলে খাই, আর ভুলে যায় নতুন কিছুর আশায়। অথচ একটা তেলাপোকা আমাকে সূত্রের কাছাকাছি নিয়ে গেল। আর............।
চাঁদের হাসতে হাসতে সকাল হবে অথচ সেই সূত্রের গোপন ফাঁদ একটা বিশাল পাথর হয়ে উঠবে। আর আমি প্রতি দিনের মতোই ফ্যাঁকাসে হয়ে থাকবো। কপোত কপোতীদের আর্তনাদে রাতের অন্ধকার ভরে উঠবে গুনগুন শব্দের শব্দে। হঠাৎ বুকের মধ্যে কেমন একটা খামচি লাগতে শুরু করেছে, সেদিন ধা... লেকে আর উ... কত স্মৃতি ভেসে আসতেই। আবছা আবছা একটা মুখ ভেসে আসছে। আমি এর নাম দিয়েছি মতিভ্রম। আজ এতদিন পরও ভুলতে পারিনা সে স্মৃতি। কুঁড়ে খাই আমার সমস্ত সত্তা। বিশ্রী ধরণের গালি দিয়ে যাই নিজের সেই সূত্রের উত্তান কে! কিন্তু অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাইয়িদ সারের কথা মনে পড়তেই একটু হালকা হয়। “ছেলেরা মেয়েদের শরীরের ভেতর দিয়ে তাদের আত্মায় পৌছায় আর মেয়েরা ছেলেদের হৃদয়ের ভেতর দিয়ে তাদের শরীরকে ছোঁয়” (বিস্রস্ত জর্নাল; কোটেশন নং- ৫, পৃষ্ঠা- ১০)। আজকে ১৫ এপ্রিলের এই রাতেও আমি সবার মতোই। এই রাতটা বুঝি কখনও ফুরোবে না, প্রতিবছর এই রাত আমার মাঝে ফিরে আসবে। সবার মতোই আমারও রাত গভীর হতে থাকে। ফ্যাকাসে অন্ধকারে মতিভ্রম মুখ ও একটা আলাদা স্মৃতির খেলা বড্ড পাগল করে দেবে।
আবর্তনে মাঝে পাল্টে যায় পৃথিবী আর উল্টে যায় আপন জন। ঠিক কামসূত্রের মত সতীত্ব যে পুজো পায় - তার যুগল চিহ্ন নিজেকে রক্তাক্ত করে দেয়। সম্পদ, ক্যারিয়ার ও বখাটে কিছু সঙ্গ না হলেই আমি কারো হৃদয়ে বেঁচে থাকতে থাকতে অমর হয়ে যেতাম।
রাত- ৩.৩৫
১৫ই এপ্রিল ২০১৪
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
©somewhere in net ltd.