![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রথম আলো পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল’ শিরোনামে নিবন্ধ আকারে একটি সম্পাদকীয় চোখে পড়লো। স্বভাবত চোখ বুলাতে গিয়ে চমকে উঠি। পুরো নিবন্ধনটি বর্তমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর একচ্ছত্র ক্ষমতাধর ও পেশি বহুল ছাত্র রাজনীতির ধারক ছাত্র সংগঠনটি নিয়ে। জানিনা সাধারণ মানুষ বা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রগুলো এই সম্পাদকীয়টির উপর পুরো আস্থা রাখবে কিনা! কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান একজন ছাত্র ও সংবাদ কর্মী হিসাবে বলবো, প্রথম আলোর এই নিবন্ধনটিতে কোন মিথ্যা ও অবাস্তব কিছুই নেই। এটি ঢাবির একটি খণ্ড চিত্র মাত্র। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো চলে হীরক রাজার রাজ্যের মত। এখানে, বর্তমানে পড়াশুনা বা গবেষণার চেয়ে বেশী চর্চা হয় “রাজনীতি” নিয়ে। ভাইয়ের তেল মারতে বা তেল দিতে পারলেই হয়। পুরো হলের একচ্ছত্র ক্ষমতার কেন্দ্রে ছাত্র সংগঠন। একজন ছাত্র হলে থাকা না থাকার পুরো দ্বায়-দায়িত্ব এখন তাদের প্রধান কাজ। গেস্ট রুমে অকথ্য ভাষায় গালাগালি, এমনকি মারধরও করা হয়। বিনা নোটিশে হাত পা ভেঙে সত্য বা মিথ্যা অজুহাতে হল থেকে বের করে দেওয়ার দায়িত্ব ছাত্র সংগঠনের। হলে থাকতে হলে ১ম বা ২য় বর্ষের ছাত্রদের নৈতিক ও ফরজীয় দায়িত্ব হল প্রোগ্রামে যাওয়া ও গেস্ট রুমে উপস্থিত হওয়া। এখানে হলের প্রাধক্ষ্যের দায়িত্ব হচ্ছে ভর্তির কাজ সম্পন্ন করা ও বছর বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় পত্রে Signature করা। আর হলে মারামারি বা কোন অপ্রীতিকর কিছু সংগঠিত হলে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়া হল প্রক্টরের কাজ। হলের বাকি সব কাজ হয়ে থাকে ফরজীয় উত্তরাধিকার সংগঠনটির কাছে।
পুরো সম্পাদকীয় ও মন্তব্যগুলো খুব যত্ন সহকারে পড়লাম। যেহেতু আমি এখনো ছাত্র তাই অতীতের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে অনবগত ছিলাম, নিবন্ধনটি পড়ে তারও একটু জ্ঞান হল। আমি ঢালাও ভাবে বর্তমান ছাত্র সংগঠনকে দোষারোপ করবো না কারণ এটা একটা চলমান প্রক্রিয়ার-ই ধারা। আজ এই ছাত্র সংগঠন কাল ঐ ছাত্র সংগঠন। সম্পাদকীয়ের মন্তব্যের ঘরে অনেকে নিবন্ধটিকে মিথ্যা ও বানোয়াট হিসাবে উল্লেখ করেছেন, আবার অনেকে ঢালাওভাবে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। সবাই ভূত সুযোগ পেলে গাড় মটকাবে। আমরা সাধারণ ছাত্র বা সাধারণ মানুষ চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুস্থ পরিবেশ। হলে থাকার একটা সুন্দর ব্যবস্থা। জানিনা কবে মুক্ত হবে এই দৈন্যদশা থেকে। তবুও আশায় বুক বেঁধে বসে আছি। আমার প্রিয় বিশ্ববিদ্যালয়, প্রিয় ক্যাম্পাস মুক্ত হবে রাহুর গ্রাস থেকে।
প্রথম আলোর নিবন্ধটিঃ http://goo.gl/QFR6fE
২৫ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১২:৪২
নিরন্তর যাত্রা বলেছেন: থ্যাংকস, আপনার মন্তব্যের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ১০:২৬
মুহাই বলেছেন: সেটাই।।।।