![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সারা জীবন শুধু পথের সন্ধানে ছুটে চলেছি আমি, সত্যের সন্ধান আর মেলেনা। পথ অনেক দূরের। মানুষের দেয়া কষ্টগুলো জমিয়ে এখন ভীষণ একলা চলি আমি। অন্যের কাছে আশা করি না। শুধু বিশ্বাস করি নিজের বাবা-মাকে। পৃথিবীর মানুষগুলো শুধু কষ্ট দেয় আমায়। তাই এখন আর অন্যের ওপর ভরসা না করে নিজের যোগ্যতায় এগিয়ে চলা। আসলেই কি যোগ্য আমি। কোথাও কোন বন্ধু নেই। সহযোগীর চেয়ে শত্রু বেশী। যেখানে যাই শত্রু কুড়াই। কর্মক্ষেত্রে, নিজ জীবনে সব জায়গায়। মানুষের মুখ দেখে মানুষ সত্যি চেনা দায়। মানুষ ক্ষণে ক্ষণে গিরগিটির মতো রং বদলায়। আমি মানুষকে সত্যি বিশ্বাস করতে চাই। কিন্তু বিশ্বাস করা বড়ো দায় হয়ে দাড়ায়। পিছন থেকে ছুরি মারা সদা প্রস্তুত মানুষগুলো বড়ো ভাবায়। একটু আগের সবচেয়ে বড় বন্ধু ক্ষণিকের মাঝে অচেনা হয়ে যায়। সবাই যার যার মতো আখের গোছায়। আর আমি চেয়ে থাকি। নাকি ওরাই ঠিক। আর আমি সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে জানি না। চোখের পলকে নিজের চেহারা পাল্টাতে পারি না। আমি আসলে বোকার দলে। সময় থেকে পিছিয়ে পড়েছি। আমার মধ্যে আজকাল অবিশ্বাস গুলো আনাগোনা করে। অথচ মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ।তারপরও মনে হয় আলোর সন্ধান আমি পাবোই।ফারজানা
আজ পুরোনো এক বন্ধুর সঙ্গে কথা হলো। সে আমার ফেসবুক স্ট্যাটাস নাকি নিয়মিত ফলো করে। সে আমার বন্ধুলিষ্টের কেউ নন এবং আমার ফলোয়ারও নন। তার সঙ্গে আমার কথপোকথনের কিছু অংশ তুলে ধরলাম:
পুরোনো বন্ধু: বাংলাদেশ কি কোন স্বাধীন দেশ? বাংলাদেশ কোন স্বাধীন দেশও না। আর কোন গণতান্ত্রিক দেশ না।
আমি: মনে মনে ভাবলাম আজ ২৬শে মার্চে বাংলাদেশের জন্মদিনে বাংলাদেশকে এভাবে অপমান না করলেও পারতো। ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তে রন্জ্ঞিত বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে আজ অন্য একটি দেশের পাসপোর্ট গ্রহণ করলেই কি বাংলাদেশ আর তার স্বাধীনতাকে এত সহজে অস্বীকার করা যায়? বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র । বাংলাদেশের একটি আলাদা মানচিত্র আছে এই পৃথিবীতে।তবে হ্যা, আমাদের এই মহান স্বাধীনতার মহৎ উদ্দেশ্য গুলো পূরণ হয়নি এখনো।
পুরোনো বন্ধু : ফেসবুকে এত লিখো কেন? লিখে কি বাংলাদেশকে বদলানো যাবে? যাবে না। তুমি আর আমি বেঁচে থাকতে বাংলাদেশের উন্নতি দেখে যেতে পারবো না। এত লিখে কোন লাভ নেই। বাংলাদেশ পঁচে গেছে।
আমি: বাংলাদেশ একটাই। বাংলাদেশ কারো বাবা, বর বা চাচার সম্পত্তি না যে বাংলাদেশ ঠিক হবে না।বাংলাদেশ আমাদের সবার। বাংলাদেশ ঠিক করে ছাড়বো এবং ছাড়বোই।
আমিও তোমার মতো স্বপ্ন হারা ছিলাম। কিন্তু ২০১৩ প্রজন্ম চত্বর আমাকে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছে। আর এটাও জানি,
আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে, তোমার ছেলে উঠলে পরে রাত ফুরাবে তবে।
পুরোনো বন্ধু : সব ঠিক আছে। জামাতে ইসলামক কেন রাজনীতি করতে পারবেনা? স্বাধীন আর গণতান্ত্রিক দেশ যদি হয় তাহলে জামাতে ইসলামের অধিকার থাকবে না কেন?
আমি : স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বকে যারা স্বীকার করে না তার নাম জামাতে ইসলাম। যারা মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা করেছিল, লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যা করেছিল, মা-বোনদের মান-সম্মান নষ্ট করা থেকে শুরু করে লুটপাট রাহাজানি আর ধর্মের নামে অধর্ম করেছিলো এবং এখন পর্যন্ত করে যাচ্ছে তার নাম জামাতে ইসলাম। তাদের স্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই। আর জামাতে ইসলাম কোন গণতন্ত্রে বিশ্বাসী দলের নাম না।তাদের দলীয় গঠন তন্ত্র স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে।
পুরোনো বন্ধু : দেখবো নে কি করতে পারো? পরে আমার কথা মনে করবা আর কাঁদবা। বলবা ভালো পরামর্শ দিয়েছিলো।
আমি: শোন এত কিছু জানিনা। শুধু জানি এবার যদি না হয় তাহলে কোনদিন হবে না। আমাকে কোন দল বা রাজনৈতিক দলের নীতির সঙ্গে না জড়িয়ে বাংলাদেশের একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে দেখো তাহলে বুঝতে পারবে আমার মত কোটি কোটি বাঙালীর আজ একটাই স্বপ্ন। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি আর রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশের। জামাত শিবিরের রাজনীতি বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ হতেই হবে। এ লড়াই বাঁচার লড়াই। এ লড়াই জিততে হবে।আজ ৩০০ মাইল হেটেও মানুষ রাজাকারের বিচার চায়। আগে কোনদিন দেখেছো এমন কিছু? আরো বলি শোন, আমি খুব ভালো করে জানি সরকারের সঙ্গে আতাত করে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়না এটা প্রজন্ম চত্বরের কিছু দালাল ছাড়া সবাই জানে। তাই শুরু হবে আমাদের নতুন করে পথ চলা।
আজ আমরা নতুন শপথ গ্রহণ করবো। এত সহজে আমরা হাল ছাড়বো না।
আর শাহবাগের উদ্দেশ্যে বলছি,
ছেড়েছোতো অনেক কিছুই পুরোনো অভ্যেস,
অসুখ বিসুখ হবার পরে জিলিপী সন্দেশ।
ছেড়োছো তো অনেক কিছুই পুরোনো বোলচাল,
পুরোনো ঘর, পুরোনো ঘাড়, কুড়োনো জন্জ্ঞাল।
হাল ছেড়োনা,
হাল ছেড়োনা বন্ধু বরং কন্ঠ ছাড়ো জোরে
দেখা হবে তোমায় আমায় অন্য গানের ভোরে.............
©somewhere in net ltd.