![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সারা জীবন শুধু পথের সন্ধানে ছুটে চলেছি আমি, সত্যের সন্ধান আর মেলেনা। পথ অনেক দূরের। মানুষের দেয়া কষ্টগুলো জমিয়ে এখন ভীষণ একলা চলি আমি। অন্যের কাছে আশা করি না। শুধু বিশ্বাস করি নিজের বাবা-মাকে। পৃথিবীর মানুষগুলো শুধু কষ্ট দেয় আমায়। তাই এখন আর অন্যের ওপর ভরসা না করে নিজের যোগ্যতায় এগিয়ে চলা। আসলেই কি যোগ্য আমি। কোথাও কোন বন্ধু নেই। সহযোগীর চেয়ে শত্রু বেশী। যেখানে যাই শত্রু কুড়াই। কর্মক্ষেত্রে, নিজ জীবনে সব জায়গায়। মানুষের মুখ দেখে মানুষ সত্যি চেনা দায়। মানুষ ক্ষণে ক্ষণে গিরগিটির মতো রং বদলায়। আমি মানুষকে সত্যি বিশ্বাস করতে চাই। কিন্তু বিশ্বাস করা বড়ো দায় হয়ে দাড়ায়। পিছন থেকে ছুরি মারা সদা প্রস্তুত মানুষগুলো বড়ো ভাবায়। একটু আগের সবচেয়ে বড় বন্ধু ক্ষণিকের মাঝে অচেনা হয়ে যায়। সবাই যার যার মতো আখের গোছায়। আর আমি চেয়ে থাকি। নাকি ওরাই ঠিক। আর আমি সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে জানি না। চোখের পলকে নিজের চেহারা পাল্টাতে পারি না। আমি আসলে বোকার দলে। সময় থেকে পিছিয়ে পড়েছি। আমার মধ্যে আজকাল অবিশ্বাস গুলো আনাগোনা করে। অথচ মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ।তারপরও মনে হয় আলোর সন্ধান আমি পাবোই।ফারজানা
একুশে টিভিতে কর্মরত সাংবাদিক নাদিয়া শারমিন ভিকারুন নিসার স্টুডেন্ট ছিলেন, ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। না, আমি কোন ইজমের কথা বলছি না। আমি বলছি, নারীকে অবমাননা আর অপমানের কথা।
নারীকে নাকি আপনারা সবচেয়ে বেশি সম্মান দিয়েছেন? এই তবে সম্মানের নমুনা?
যতদূর জানি, আমাদের বাবা-মায়েরা আমাদের পড়ালেখা করাননি ঘরের মধ্যে বসে থাকার জন্য। আমাদের শিক্ষকরাও আমাদের বারবার মনে করিয়ে দিয়েছেন, পুরুষের পাশাপাশি নিজেদের অবস্থান তৈরী করে নাও, এই পুরুষ শাসিত পৃথিবীতে।
আমরা কোনদিন শিখিনি পুরুষ শাসিত সমাজে আমরা তাল মিলিয়ে চলতে পারবো না। এতই যদি ঘৃণা নারীদের প্রতি, ঘরে ঘরে নারী/ কন্যা সন্তান প্রসব করা বন্ধ করে দিন। কারন, আজ ধর্মের নামে অধর্ম করে নারীদের ঘরে বন্দী করে রাখা যাবে না। নারীর উপর আঘাত করে পুরুষত্ব প্রমাণ করা নঃপুংসকরা, নারী ছাড়া ধরণীতে আশার ক্ষমতা রাখে না, এটাই তারা ভুলে যায়।কারন, আসলে সম্মান কাকে বলে তারা জানেই না। মুখে মুখে নারীকে সম্মানের কথা বলে ভুলিয়ে রাখা যাবে না। নারী তার নিজের অধিকার আদায় করে নেবেই। যুগে যুগে ইতিহাস তার সাক্ষী।
আর হেফাজত বাহিনীকে বলছি, আমরা বাংলার প্রতিটি নারী যদি আজ পথে নেমে আসে, আপনাদের আল্লাহও আপনাদের বাঁচাতে পারবেনা। নারী যেমন জননী, তেমনি সর্বগ্রাসিনী হতে সময় নেবে না। পরিশেষে, ইমরুল হাসানের কবিতা দিয়ে বলছি, নারী শুধু শ্যামল ছায়া নয়, মুহূর্তে নারী সূর্যোদয়। জয় বাংলা!! জয় নারী শক্তির জয় !!
নারী
ইমরুল হাসানের
নারী তুমি পূর্ণিমার মধুময় চন্দ্রিমা
মাতৃস্নেহের সরলতার নিষ্কলঙ্ক প্রতিমা ।
নারী তুমি উন্মুক্ত গগনে ভাসমান
সাদা মেঘের ভেলা
নারী তুমি মেঘলা রাতে সিক্ত শশীর
লুকোচুরি খেলা ।
নারী তুমি শ্যামল ছায়া
সবুজের স্নিগ্ধতার আশ্রয়
তুমি বসন্ত, যেন সদ্য ফোটা ফুল
তুমি নতুন সূর্যোদয় ।
নারী তুমি সমুদ্রের উন্মত্ততা, বিশালতার মাঝে
নিজেকে খুজতে চাওয়া
নারী তুমি অবিরত ছুটে আসা ঢেউ
পরিপূর্ণতার মাঝেও পূর্ণতা না পাওয়া ।
নারী তুমি কালবৈশাখী, শান্ত মনে
সৃষ্ট তোমার অশান্ত ঝড়
তুমি জমে থাকা রক্তক্রন্দন
তুমি বাধ ভাঙ্গা নয়নবারি নিরন্তর ।
নারী তুমি মরুভুমির মাঝে খুঁজে পাওয়া জল
তুমি তৃষ্ণার্ত পুরুষের অম্রিতসুধা
তুমি অপূর্ণতার আধার, সুখের মাঝে তোমার চাঞ্চল্য
চিরসঙ্গী তোমার অতৃপ্ততা ।
নারী তুমি শীতে ঝরা শুকনো পাতা
তুমি চৈত্রের প্রচণ্ড খরতাপ
তুমি কামনার জলন্ত অগ্নিপিণ্ড
সর্বগ্রাসিনী মেঘনার আগ্রাসী প্রতাপ ।
তুমি সৃষ্টির প্রেরনা, অপরূপ রুপে রাঙানো
মনপুরীর নির্ভুল আলপনা
তুমি সমগ্র সৃষ্টির মনোরম সৃষ্টি
আপন ধরণীপটে তাই তুমি নিরুপমা ...
©somewhere in net ltd.