নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার চাই

ফারজানা৯৯

সারা জীবন শুধু পথের সন্ধানে ছুটে চলেছি আমি, সত্যের সন্ধান আর মেলেনা। পথ অনেক দূরের। মানুষের দেয়া কষ্টগুলো জমিয়ে এখন ভীষণ একলা চলি আমি। অন্যের কাছে আশা করি না। শুধু বিশ্বাস করি নিজের বাবা-মাকে। পৃথিবীর মানুষগুলো শুধু কষ্ট দেয় আমায়। তাই এখন আর অন্যের ওপর ভরসা না করে নিজের যোগ্যতায় এগিয়ে চলা। আসলেই কি যোগ্য আমি। কোথাও কোন বন্ধু নেই। সহযোগীর চেয়ে শত্রু বেশী। যেখানে যাই শত্রু কুড়াই। কর্মক্ষেত্রে, নিজ জীবনে সব জায়গায়। মানুষের মুখ দেখে মানুষ সত্যি চেনা দায়। মানুষ ক্ষণে ক্ষণে গিরগিটির মতো রং বদলায়। আমি মানুষকে সত্যি বিশ্বাস করতে চাই। কিন্তু বিশ্বাস করা বড়ো দায় হয়ে দাড়ায়। পিছন থেকে ছুরি মারা সদা প্রস্তুত মানুষগুলো বড়ো ভাবায়। একটু আগের সবচেয়ে বড় বন্ধু ক্ষণিকের মাঝে অচেনা হয়ে যায়। সবাই যার যার মতো আখের গোছায়। আর আমি চেয়ে থাকি। নাকি ওরাই ঠিক। আর আমি সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে জানি না। চোখের পলকে নিজের চেহারা পাল্টাতে পারি না। আমি আসলে বোকার দলে। সময় থেকে পিছিয়ে পড়েছি। আমার মধ্যে আজকাল অবিশ্বাস গুলো আনাগোনা করে। অথচ মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ।তারপরও মনে হয় আলোর সন্ধান আমি পাবোই।ফারজানা

ফারজানা৯৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মান্ধতা থেকে মুক্তির উপায়

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৩১

ছোটবেলায় একটা গল্প শুনেছিলাম।



এক গাঁয়ে ফোঁড়া বা পাঁচড়া হলে কেউ ডাক্তারের কাছে যায় না। সবাই যায় এক নাপিতের কাছে। নাপিতের যেহুতু চিকিৎসা বিজ্ঞান সমন্ধে কোন জ্ঞান নেই, তার কাছে গেলেই সে লোকের ফোঁড়া/ পাঁচড়া খুর আর কাঁচি দিয়ে কেটে দিতো। অন্যদিকে গাঁয়ের ডাক্তারদের কাছে

কেউ যেতোই না। কারন, ডাক্তাররা জানতেন, এই ফোড়াটা কেটে দিলে, যেকোন শরীরের যে কোন ক্ষতি হতে পারে, যেকোন শিরা,উপসিরা কেটে মরেও যেতে পারে রোগী। তাই, তারা খুব সহজে এই চিকিৎসা করতেন না। করলেও নানারকম ওষুধপত্র দিতেন। কতরকম খরচা। তাই রোগীরা নাপিতকেই মহা রোগের চিকিৎক ভাবা শুরু করলেন।

ডাক্তাররা পড়লেন মহাবিপদে। একবার, পাঁচ গাঁয়ের বড় ডাক্তার সব ডাক্তারকে জড়ো করে এই সমস্যা থেকে নিরসনের উপায় বের করতে বললেন। তখন এক বুড়ো ডাক্তার বললেন, নাপিতকে ডেকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের জ্ঞান দেয়া হোক। যে বিদ্যার কারনে আমরা মানুষের ফোঁড়া আর পাঁচড়ার চিকিৎসা করতে পারিনে সেই বিদ্যা দেয়া হোক নাপিতকে।

যেই কথা সেই কাজ। ডাকা হলো নাপিতকে। বড় বড় বিদ্যানেরা বসে নাপিতকে দিতে শুরু করলেন চিকিৎসা শাস্ত্রের জ্ঞান। নাপিতও বেশ পড়তে শুরু করলো, মনে মনে ভাবলো নিজের পায়ে কুড়োল মারা বুঝি একেই বলে। শেখাও বিদ্যা, এখনতো শুধু ফোঁড়া কাটি; ভবিষ্যতে সব রোগের চিকিৎসা আমিই করবো। এভাবে একদিন শেষ হলো নাপিতের বিদ্যা শিক্ষাগ্রহণ। সময় এলো, নাপিতের জ্ঞানকে কার্যে প্রয়োগ করার দিন। ডাকা হলো ফোঁড়ার যন্ত্রণায় কাতর এক রোগীকে। নাপিতকে বলা হলো, কাটো এই ফোঁড়া। নাপিতও ছুরি,চাকু যন্ত্রপাতি সব নিয়ে হাজির। বেশ একখান ফোঁড়া, এই ধর আর কাট। কিন্তু একি কেঁপে উঠলো নাপিতের হাত। নাপিত ফোঁড়া কাটতে গিয়ে দেখতে পেল ধমনী শিরা, যা কেটে গেলে মরে যেতে পারে সামনের এই রোগীটি। নাপিতের ফোড়া কাটা বন্ধ হলো।



কেন এতক্ষণ ধরে এই গল্প বললাম, এখন তার ব্যাখ্যা দেয়া প্রয়োজন। পত্রিকায় দেখলাম, আমাদের প্রধানমন্ত্রী মাদ্রাসা শিক্ষা খাতে ১০০ কোটি টাকার অনুদান দিয়েছেন। দিয়েছেন, খুবই ভালো কথা। কিন্তু আমাদের দাবী হলো, এসব মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বাধ্য করতে হবে, কোরানকে বাংলায় পাঠ করতে। আর সেই সঙ্গে তাদের জন্য ইংরেজী ভাষা এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক পড়ালেখা বাধ্যতামূলক করা হোক।তাদেরকে শেখানো হোক, বিবর্তন বাদ। তাদেরকে জানানো হোক পৃথিবী গালিচার মতো চারকোনা নয় বরং গোল। তাদেরকে শিখানো হোক চাঁদ কি আর কেন চাঁদে সাঈদীকে দেখা যাবেনা। তাদেরকে দেখানো হোক, এই যে প্রযুক্তি তারা ব্যবহার করছে তা কাফেরদের তৈরী। কাফেরদের তৈরী ওষুধ খেয়েই তারা অসুখে পড়লে সুস্থ হয়ে ওঠে; এই ওষুধ হুজুরের পড়া পানির চেয়ে অনেক অনেক বেশি কার্যকর। তাদের কো এডুকেশনের ব্যবস্থা করুন, দেখবেন নারীর প্রতি লোভ আর ক্ষোভ দুটোই কমে গেছে। তারাও তখন বুঝতে পারবে সামনের নারীটিও কারো বোন অথবা কারও জননী।

দেখবেন, একদিন এই মাদ্রাসার ছাত্ররা আর ব্লগারদের ফাঁসি দাবী করবেনা। বরং তারা ধর্মের যৌক্তিক সমালোচনা করবে, সঙ্গে বাংলাদেশকে মুক্তি দেবে ধর্মান্ধতার অভিশাপ থেকে।



ফারজানা কবীর খান (স্নিগ্ধা)

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:০৮

কলাবাগান১ বলেছেন: আর সেই সঙ্গে তাদের জন্য ইংরেজী ভাষা এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক পড়ালেখা বাধ্যতামূলক করা হোক।

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:১৩

মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: :)

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:২৯

itzprohor বলেছেন:

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২৩

দিশার বলেছেন: সুন্দর প্রস্তাব আপু . কিন্তু বিবর্তন বাদ পরবে কোন মাদ্রাসায়? বিবর্তন মেনে নিলে কি ওদের ধর্ম ঠিক থাকবে ? ধর্মের মুলা না ঝুলাইলে এরা তাজা হবে কি বেচে ?

৫| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৫০

শিহাবুর রহমান বলেছেন: Khub thik kotha bolechen...
Ekebare moner kotha :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.