নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার চাই

ফারজানা৯৯

সারা জীবন শুধু পথের সন্ধানে ছুটে চলেছি আমি, সত্যের সন্ধান আর মেলেনা। পথ অনেক দূরের। মানুষের দেয়া কষ্টগুলো জমিয়ে এখন ভীষণ একলা চলি আমি। অন্যের কাছে আশা করি না। শুধু বিশ্বাস করি নিজের বাবা-মাকে। পৃথিবীর মানুষগুলো শুধু কষ্ট দেয় আমায়। তাই এখন আর অন্যের ওপর ভরসা না করে নিজের যোগ্যতায় এগিয়ে চলা। আসলেই কি যোগ্য আমি। কোথাও কোন বন্ধু নেই। সহযোগীর চেয়ে শত্রু বেশী। যেখানে যাই শত্রু কুড়াই। কর্মক্ষেত্রে, নিজ জীবনে সব জায়গায়। মানুষের মুখ দেখে মানুষ সত্যি চেনা দায়। মানুষ ক্ষণে ক্ষণে গিরগিটির মতো রং বদলায়। আমি মানুষকে সত্যি বিশ্বাস করতে চাই। কিন্তু বিশ্বাস করা বড়ো দায় হয়ে দাড়ায়। পিছন থেকে ছুরি মারা সদা প্রস্তুত মানুষগুলো বড়ো ভাবায়। একটু আগের সবচেয়ে বড় বন্ধু ক্ষণিকের মাঝে অচেনা হয়ে যায়। সবাই যার যার মতো আখের গোছায়। আর আমি চেয়ে থাকি। নাকি ওরাই ঠিক। আর আমি সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে জানি না। চোখের পলকে নিজের চেহারা পাল্টাতে পারি না। আমি আসলে বোকার দলে। সময় থেকে পিছিয়ে পড়েছি। আমার মধ্যে আজকাল অবিশ্বাস গুলো আনাগোনা করে। অথচ মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ।তারপরও মনে হয় আলোর সন্ধান আমি পাবোই।ফারজানা

ফারজানা৯৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাকিস্তানের মিথ্যা ও ১৯৭১

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২২

সময় ১৯৭১, পাকিস্তান জাতিসংঘের অনুমোদন, আন্তর্জাতিক যুদ্ধনীতি এবং মানবাধিকার নীতির তোয়াক্কা না করেই বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) মানুষের উপর অতর্কিত ও বর্বরোচিত হামলা শুরু করে। বাংলাদেশ নিজেকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করে। লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশী জীবন বাঁচাতে ভারতের দিকে ছুটছে,অগণিত মানুষ মরছে, নারী-রাপুরুষেরা অমানবিক ভাবে পাকিস্তানী হানাদার কর্তৃক নির্যাতিত হচ্ছে। সে সময়ে পাকিস্তান বিশ্ববাসীর কাছে বাংলাদেশী নাগরিকদের উপর তাদের এই অত্যাচার ও গণহত্যার খবর গোপন করার ষড়যন্ত্রেও লিপ্ত ছিল। আর এই যুদ্ধের ভয়াবহতাকে কাজে লাগিয়ে ফায়দা লুটে কিছু পাকিস্তানী মানুষ। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বিশাল সংখ্যক পাকিস্তানীরা তাদের নিজেদের স্বার্থে ও উন্নত জীবনের খোঁজে ছুটছিল ইউরোপের বিভিন্ন দেশের দিকে; তাদের মূল লক্ষ্য ছিল স্ক্যান্ডেনেভিয়া, বিশেষ করে নরওয়ে। ১৯৭১ এ পাকিস্তানীরা নরওয়ে সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে শুরু করে। হাজার হাজার পাকিস্তানী সে সময় নিজেদের যুদ্ধবিদ্ধস্থ বাংলাদেশী বলে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে ইউরোপে রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়ে যায়; এবং ধীরে ধীরে এক সময় তারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নাগরিকত্বও গ্রহণ করে। আমি নিজে এমন কিছু পাকিস্তানীকে দেখেছি, যারা এই মিথ্যা কথাটা বলে ইউরোপে দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী ভাবে বসবাস করছে। অথচ এই পাকিস্তানীদের যদি এখন আপনি ১৯৭১ সমন্ধে জিজ্ঞ্যেস করেন, তখন তারা ইতিহাস না জানার ভান করবে। বলবে ঐ সময় দুই পাকিস্তানের মধ্যে আসলে কি হয়েছিল তারা তা জানেই না। কেনই বা পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তান থেকে আলাদা হলো, কিভাবে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে নিজেকে বিশ্বের মানচিত্রে প্রতিষ্ঠিত করলো, এসবের কিছুই তারা জানেনা। আর এরা হলো পাকিস্তানী। তারা নিজেরাই মানবাধিকারের তোয়াক্কা করেনা, মনের মধ্যে সন্ত্রাস আর মৌলবাদ লালন করে, সন্ত্রাস আর মৌলবাদের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে, আবার সুযোগ বুঝে মানবাধিকারের কথা বলে, নিজেরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তা বেঁচে খায়। আমাদের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে নিজেদের দোসর, রাজাকাদের বাঁচাবার বেলায় বাংলাদেশের আভ্যন্তরিক বিষয়ে নাক গলায়, এমনকি সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাস করে। অথচ নিজেরাই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস গোপন করে। এমনকি নিজেদের দেশের পাঠ্য পুস্তকে ইতিহাস বিকৃত করে ভুল ব্যাখ্যা দেয়, তাদের তরুণ প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানা থেকে সুকৌশলে দূরে রাখে, নিজেরা ইতিহাস না জানার ভান করে, আবার আমাদের মুক্তিযুদ্ধ নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগায়। আমাদের সঙ্গে দেখা হলে এরা বলতে ভুলে না ''হামলোগ তো ভাই হে না''; কিন্তু কে না জানে বিশ্বে এরাই সবচেয়ে প্রতারক জাতি হিসেবে পরিচিত।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩২

বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: আগ্রিড

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৫১

ফারজানা৯৯ বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৩৪

হাতীর ডিম বলেছেন: পাকিস্তান আবার দেশ নাকি??? ওইটা তো জাহান্নামের টুকরা

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:৫২

ফারজানা৯৯ বলেছেন: পৃথিবীর কলঙ্ক পাকিস্তান

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.