নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কৃষ্ণচূড়ার ডালে ডালে ভাবনাগুলো আগুন জ্বালে

ফারজানা তণ্বী

আমি ফারজানা ইয়াসমিন সিদ্দিকী তন্বী। আমি নিজে সংক্ষেপে ফারজানা তন্বী লিখি। আমার জন্ম যশোরে। কিন্তু আমি নিজেকে যশোরের মানুষ বলতে পারি না। বাবার চাকরির সূত্রে আমি সারা দেশ ঘুরেছি। পড়াশোনা করেছি সারা দেশের বহু স্কুলে। অনেক জায়গা দেখেছি, অনেক মানুষের সাথে মিশেছি। ছোটবেলা থেকেই বই পড়েই সময় কাটিয়েছি। কলেজে উঠার পর সেটা নেশায় পরিণত হয়। আমার পড়ার বই পড়তে বেশি ভাল লাগে না। এছাড়া আমার বই পড়ায় বাছবিচার নেই।নিজে গল্প লেখার চেষ্টা করি। আশেপাশের দৈনন্দিন বিষয়গুলো নিয়ে ভাবি, নিজের মতামত লেখার চেষ্টা করি। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শেষের পর আমি নিজের একটা ব্যবসা শুরু করেছি। দেশ ঘুরতে আমার খুব ভাল লাগে।

ফারজানা তণ্বী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কালি আমবাগান

০৫ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:১৮


নীলরামপুর গ্রামের শেষে এই যে বটগাছ, তার গা ঘেঁসে এগিয়ে যাওয়া রাস্তাটা ধরে চলতে থাকলে এক বিরাট আমবাগান পড়ে। বাগানের নাম কালি আমবাগান। এই আমবাগানের বয়স ২৫০ বছরের কিছু বেশি বা কম। সেই ইংরেজরা থাকতে তাদেরই এক চাটুকার জমিদারের তৈরি এই বাগান। তা সেই জমিদারের বংশধররা ফূর্তি-টূর্তি করে যখন অর্থকষ্টে পড়েছিল, তখন এই বাগান তখনকার গেরস্থ কৃষক হরিনাথ পালের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল। দিনেদিনে সেই পাল বংশের ডালপালা যেমন ছড়িয়েছে, তেমনি এই বাগানও ভাগীদারদের মধ্যে ভাগ হতে হতে এখন এই বাগানের মালিকও প্রায় নয়জন। বাগানটা কিন্তু একসাথেই আছে, ঠিক শুরুতে যেমন ছিল। বরং বাগানের গাছগুলো সময়ের সাথে সাথে বড় হয়ে এখন এক একটা বিশাল বটগাছ যেন। দৈত্যাকৃতি এইসব গাছগুলো বাগানটাকে যেন দুর্ভেদ্য এক অসীম জঙ্গলে পরিণত করেছে। কত গাছ আছে এখানে ঠিকঠাক কেউ বলতে পারেনা। দিনের আলো ঐ বাগানের গাঢ় রহস্যে ঘেরা অন্ধকার ভেদ করে প্রবেশ করতে পারে না। এখনে দিনের বেলাতেও মানুষ ঢুকতে ভয় পায়। গ্রামের দূরন্ত ডানপিটে ছেলে হোক আর ডাকাবুকা জোয়ান সে যেই হোক না কেন, এবাগানের পাশদিয়েই কেউ যাতায়াত করতে চায় না। শুধু আমের সময় বাগান মালিকরা দলবেঁধে আম পেড়ে আনে। কারও সাহস হয়না কোন গাছ কাটতে। ভয়ে বুঝলে ভয়ে। গ্রামের ছেলে বুড়ো সবাই মানে, সমিহো করে চলে এই বাগানকে। সেই কবে থেকে যে এই ভয় মিশ্রিত সমিহো গ্রামের শিরা-উপশিরা দিয়ে বয়ে চলেছে সে কথা কে জানে। ভয় , কিসের ভয় বুঝলে না ? তেনাদের গো তেনাদের।

এহহে... কখন থেকে ওই অলক্ষুনে বাগানের কথা বলেই চলেছি, আমার নিজের কথা তো কিছুই বলা হল না। আমি নিধিকান্ত মল্লিক, এই নীলরামপুরেই আমার বাস। বউ বাচ্চা নিয়ে থাকি। এক মহা আকালের সময় নাকি আমার ঠাকুরদাদা এই গ্রামে এসেছিলেন অন্নসন্ধানে, স্বপরিবারে। তখন নাকি সেই জমিদারের পাট চুকেবুকে গেছে । পালমশাইরা গ্রামের হর্তাকর্তা। ভারি সজ্জন মানুষ ছিলেন পালেরা। হরিনাথ পালের তখন যায় যায় অবস্থা। তারপরও তিনি আমার দরিদ্র ঠাকুরদাদাকে ব্রাক্ষ্মণ বলে ঐসময় ফিরিয়ে দেননি। থাকতে দিয়েছিলেন তারই ভীটের পাশে ঘর তুলে। পরে দাদামশাই গ্রামের পাঠশালায় চাকরী পান। তখন থেকেই পালবাড়ীর ছেলেমেয়েদের দাদামশাই আজীবন বিনামূল্যে শিক্ষাদানের প্রতিশ্রুতিতে পড়িয়েছেন। মানে আমার বাবার পর আমি এখনও সে প্রতিশ্রুতি পালন করছি। দাদামশাই যখন এ গ্রামে আসেন তখন বাবা নিতান্ত শিশু। আমার পিসির জন্ম এই গ্রামেই। দাদামশায়ের পর বাবা, আর তারপর আমি এখন পাঠশালায় শিক্ষকতা করছি। ছেলেমেয়ে আর গিন্নিকে নিয়ে আমার সংসার সুখেরই বলা চলে।

তা যা বলছিলাম, এই কালি আমবাগানের কথা। আমি নিজেও খুব সমঝে চলি এই বাগানটাকে। ছোটবেলায় দেখা এক দৃশ্য আমার রক্তে এই আদিম ভয়কে মিশিয়ে দিয়েছিল খুব ভাল করে। সেটা বলতে গেলে কিছু কথা বলে নিতে হয়। তখন আমি বছর দুই হল পাঠশালায় যাচ্ছি, পন্ডিত মশাইদের মার-পিটে একেবারে জেরবার। নতুন একজন বন্ধু জুটেছে, সেই হরিনাথপালের ছোটছেলের ছেলে অরুপ। আমরা ভীষণ বন্ধু ছিলাম, মানে আছি এখনও। ও বিলেতে পড়ার পর সেখানে চাকরী নিয়েছে, ওখানেই থাকে তাই যোগাযোগটা আর আগের মত নেই। শহরের মেয়ে বিয়ে করে বিলেতেই তার বাস। ছেলেমেয়ে নিয়ে ওখানেই থাকে,দু পাঁচ বছরে এক আধবার আসে কি আসে না। আসলে দেখা হয়, প্রাণ ভরে কথা হয়। ছোটবেলাতে একসাথে আমরা কত খেলেছি, মানুষের গাছের ফল চুরি করেছি, কালি আমবাগানে ঢিল ছুঁড়েছি ,সেই অপরাধে মায়ের কাছে মার খেয়েছি।সে এক সময় ছিল বটে।দূরন্ত শৈশব, দারুণ রঙিন সেসব দিন। ওইসময় আমাদের গ্রামে হারান গোয়ালার শ্বশুরবাড়ি থেকে প্রথমবার তার বৌয়ের ছেলে হবার খবর এল। খবর নিয়ে এলো তার বড় কুটুম্ব। বড় কুটুম্বকে নিয়ে যখন হারান কাকা পাশের গ্রামের শ্বশুরবাড়ির উদ্দ্যেশে রওনা দিল তখন সন্ধ্যা লাগেনি। কালি আম বাগানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল তারা। বাগানের পুবদিকের রাস্তার পাশে বাঁশঝাড় ছিল ওই সময়। কিছুদূর যেতেই তারা দেখল কিছু বাঁশ পড়ে আছে। যাওয়ার জন্য যেই না বাঁশ ডিঙ্গিয়েছে ,অমনি বাঁশ হারানকাকাকে নিয়ে আবার সোজা হয়ে গেল। আর তার বড়কুটুম্ব এক দৌড়ে পালেদের উঠানে। পরে হারান কাকাকে গ্রামের লোকজন গিয়ে নামিয়ে আনে বাঁশের মাথা থেকে আধমরা অবস্থায়। এরপর কিছুদিন গ্রামে খুব হাঁকডাক চলে। একদিন শুনলাম এক তান্ত্রিক আমবাগানে এক রাত কাটিয়েছে। সে নাকি গাছের সাথে পেত্নী বেঁধেছে। আমরা দুইবন্ধু গিয়েছিলাম পেত্নী দেখতে বড়দের চোখ এড়িয়ে। গিয়ে দেখি গাছের সাথে ভীষণ ঘন এক গাছা চুল বাঁধা, কেউ যেন ভীষণ শক্তিতে সে চুল ছিঁড়ে পালিয়েছে। আমি এক দৃষ্টিতে সে চুলের দিকে তাকিয়ে ছিলাম ,ওই সময় আমার মনে যে ভয় ঢুকেছিলো ,ওই একগ্রাম মানুষের সাথে দাঁড়িয়ে তা এখনো একই রকম আছে। অবশ্য অরূপ কিন্তু বিশ্বাস করেনি, বলেছিল ধাপ্পা, সত্যি হলে পেত্নী কই? খুব হেসেছিল আমার অবস্থা দেখে। তান্ত্রিক নিজে দাঁড়িয়ে সে বাঁশঝাড় কাটিয়েছিলেন, আর বাগানের সীমানার ভেতর বেঁধে দিয়েছিলেন পেত্নীদের। তারা নাকি বহু আদি নিবাসী, তাদের তাড়ানো সম্ভব নয়। তবে তারা আর কখনো কারোর ক্ষতি করবে না বলে কথা দিয়েছে তান্ত্রিককে। কথা দিলেই হল, ভয় কি আর কাটে বাপু!

আজ এই বটতলায় বসে পুরনো দিনের কত কথা মনে পড়ে যায়। না বাবা, স্বাদ করে গপ্পো করার জন্য আমি এখানে বসে নেই। আজ অরুপ আসছে, তার বৌ ছেলেপুলে নিয়ে সেই বিলেত থেকে। আমি বসে আছি আমার ছোটবেলার বন্ধুর অপেক্ষায়। আমি একা বসে নেই কিছু দূরে গরুর গাড়ি, একজন গাড়োয়ান, দুইজন কামলা, অরুপের বড় ভাইয়ের ছেলে আর তার এক বন্ধুও আছে। এখনো দুপুর পার হয়নি। অরূপ জানে বিকেল পার হলেই তাদের নিতে আসার লোক পাওয়া কঠিন, তাই সে দুপুরের আগেই পৌঁছে যাবে।
হলও তাই, ওরা পৌঁছে গেল। বহুদিন পর দুই বন্ধুর দেখা হল, অরূপকে দেখে আমার খুশিতে চোখে পানি চলে এলো। আমি দূরে বটতলাতেই দাঁড়িয়ে রইলাম। অরূপ তার ভাইয়ের ছেলের সাথে সে কথা বলছে, কামলাদেরকে মালপত্র বুঝিয়ে দিচ্ছে। এখানে গরুর গাড়ি বদলানো হবে। নিজেদের গরুর গাড়ি আছে তাই ভাড়া গাড়ী আর নিয়ে যাওয়া হবে না। একসময় ধীরে ধীরে অরূপ আমার দিকে এগিয়ে এল, আমার মনের অবস্থাটা বোধ হয় ও বুঝতে পেরেছে, তাই পরিবেশটা স্বাভাবিক করার জন্য বলল, কিরে ক্যাবলার মত দাঁড়িয়ে আছিস কেন? কথা বলবি না? বলতে বলতে অরূপ আমাকে জড়িয়ে ধরলো। আমি বোকার মত চোখের পানি ফেলতে শুরু করেছি কে জানে, দেখলাম অরূপের চোখও আর্দ্র। এরপর ছেলেমেয়ের সাথে পরিচয় করিয়ে দিল, বৌকে আগেই চিনতাম। বুঝতে পারলাম ওর কাছেও আমাদের বন্ধুত্ব ম্লান হয়ে যায়নি।

গাড়িতে মালপত্র তোলার পর অন্যদের রওনা করিয়ে দিয়ে অরূপ বলল, চল গোপাল ময়রার দোকানে যাই। আমি অবাক হয়ে বললাম, আমাদের সেখানে কি কাজ! ময়রার দোকানে বলা আছে, সে দুমণ মিষ্টি তোদের বাড়ী দিয়ে যাবে। গ্রামসুদ্ধ মানুষ খাওয়ানোর জন্য মিষ্টি, সে তো আর আমরা বয়ে আনতে পারবো না! অরূপ বলল, গ্রামে ঢুকলেই সবাই ঘিরে ধরবে, মিষ্টির আগে আমি গ্রামে কিছুতেই ঢুকবো না। তার চেয়ে চল বিলের পাড় দিয়ে ঘুরে আসি, মিষ্টির দোকানে না হয় পরে যাবো।

এতদিন পর দেখা ,বন্ধুর কথা তাই ফেলতে পারলাম না। বললাম, বিকেলের আগেই কিন্তু গ্রামে পৌঁছাতে হবে। সে আমার কথায় মাথা নেড়ে সায় দিল। আমরা বাল্যকালের স্মৃতিমন্থনে বেরিয়ে পড়লাম। বিলের পাড় দিয়ে ঘুরে যখন ময়রার দোকানে পৌছালাম ,তখন বিকেল প্রায়। জানা গেল মিষ্টি ততক্ষণে বাড়ী পৌঁছে গেছে। আমরা গ্রামের দিকে রওনা দিলাম। আমার সাথে সাইকেল আছে কিন্তু অরূপ কিছুতেই সাইকেলে উঠবে না। অগত্যা হাঁটতে শুরু করলাম। কথা বলতে বলতে দাঁড়িয়ে যাচ্ছি কখনও, কখনও হাঁটার গতি কমে যাচ্ছে। কথাবার্তায় আমাদের মনযোগ খুব বেশি তাই চারপাশের সবকিছু প্রায় ভুলেই গল্প করে চলেছি আমরা। আমাদের এই একাগ্রতা ভাঙলো নারী কণ্ঠের ঝগড়া শুনে। কি ভয়ানোক ঝগড়া সে! খেয়াল করলাম আমরা কালি আম বাগানের পুবদিকের রাস্তায় দাঁড়িয়ে, সন্ধ্যা হয়নি বটে তবে হব হব করছে। এই সময় কার বাড়ির মেয়ে বৌ এখানে ঝগড়া করতে লেগেছে! অরূপ বলল, মহিলা দুজনের কান্ড দেখেছিস! এমন সময় এখানে ঝগড়া লাগিয়ে দিয়েছে। চল গিয়ে ছাড়াই, সাথে করে না নিয়ে গেলে একটু পর ভয়ে মরে পড়ে থাকবে। আমরা এগিয়ে গেলাম। একটু আগে মনে হচ্ছিল রাস্তার উপরেই আছে ওরা। এখন বুঝলাম বাগানের ভেতরের দুটো গাছের আড়ালেই দাঁড়িয়ে আছে ওরা। আমি অরূপকে একবার দেখে নিলাম। সন্ধ্যা এখনও হয়নি , মাত্র দুটো গাছই তো , ওকে কিছু বলার দরকার নেই, আমাকে ভীতু ভাববে। অরূপ রাস্তায় দাঁড়িয়ে ডাকাডাকি করছে কিন্তু মহিলাদুটোর কোন হেলদোল নেই, আগের মতই ঝগড়া করছে, কিযে বলছে ভাল বোঝা যাচ্ছে না ছাই! আমরা এগিয়ে গেলাম , দেখলাম আমাদের ধারণা ভুল। ঝগড়াটে দুটো আরও ভেতরে চলে গেছে। এরা এই গ্রামের মানুষ না নাকি, জানেনা এখানে এই সময় কেউ আসে! অন্য গ্রামের হয় যদি,না যেনে কি বিপদেই না পড়বে। নাহ, এদেরকে না নিয়ে তো যাওয়া ঠিক হবে না। আমরা আর একটু এগিয়ে গেলাম। এভাবে যতই এগোই মনে হয় এইতো একটু সামনে এখনই ধরে ফেলব। কিন্তু ওরা আমাদের কিছুটা আগে রয়েই যাচ্ছে। এভাবে এগুতে এগুতে সন্ধ্যা নেমে এল। হঠাৎ আমি হোঁচট খেলাম একটা গাছের গুঁড়ির সাথে। সাথে সাথে যেন আমার তন্দ্রা ছুটে গেল।আমি খপ করে অরূপের হাত চেপে ধরলাম।অরূপও যেন ঘোর কেটে আমার দিকে তাকালো। আমাদের বোঝা হয়ে গেল কি ভীষণ বিপদে পড়েছি আমরা। লোহা ওরা ভয় পায়, কাপড়ে গিট থাকলেও কাছে আসে না। আমরা আর কোন কথা বললাম না। অরূপ সাথে সাথে ওর শার্টের দুপ্রান্ত একসাথে গিট দিল। আমার ধুতিতে গিট আগে থেকেই আছে। আমি অরূপকে ইশারায় সাইকেলটা ধরতে বললাম। সাথে সাথে দুজনে সাইকেলটা ঘাড়ে নিয়ে রাস্তার দিকে হাটা শুরু করলাম।


কতটা এসেছি কে জানে।যতটা সম্ভব দ্রুত হাঁটতে লাগলাম, এক পর্যায়ে দৌড় শুরু করলাম। পথ যেন কিছুতেই শেষ হয় না। আমরা যত যাচ্ছি ঝগড়ার শব্দটা ততো আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে!কিছুতেই যেন দূরত্ব বাড়াতে পারছিনা ওটার সাথে! দিশেহারা হয়ে আমরা ছুটতে লাগলাম। ঝগড়ার শব্দ এখন বদলে গেছে, একটু আগে তা ছিল ফিসফিস, এখন যেন চাপা হাসি!! ওটাও আমাদের সাথে সমান তালে ছুটছে!! আমরা যেন এমনভাবে অনন্তকাল ধরে ছুটছি, আমাদের পেছনে আদিম বুনো এক পৈশাচিক আতংক। যেন আমাদের এখনই গিলে খাবে, কিন্তু খাচ্ছে না। শিকারের উদ্ভ্রান্ত আতঙ্ককে তরিয়ে তরিয়ে উপভোগ করছে ওটা, নাকি ওরা!!
কিভাবে আমরা রাস্তায় এসে পড়েছিলাম, কিভাবে আমাদের অজ্ঞান অবস্থায় গ্রামের লোক পাঠশালার মাঠে পায় তা জিজ্ঞেস করবেন না দয়া করে ,বলতে পারবো না। মনে নেই আমার বা অরূপের। প্রাণে বেঁচেছি তাই যথেষ্ট নয় কি?? কি বলেন আপনারা??

কালি আমবাগান কিন্তু সত্যিই আছে, আপনারা চাইলে ঘুরে আসতে পারেন। কি যাবেন নাকি?? ঠিকানা চায়??

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.