![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অন্যদিগন্ত: www.bishorgo.com ভালবাসতে চাই মানুষকে, পৃথিবীকে, ভালবাসিও, কিন্তু যখনি দেখি অপচ্ছায়া ঢেকে ফেলছে আমার ভালবাসাকে, তখনি যেন নিজেকে আর খুঁজে পাই না নিজের মাঝেই,,, এই না পাওয়ার প্রকাশই আমার কথা, কাজ, কাব্য, গদ্য, নীরবতা, আক্রোশ, এটাই পৃথিবীতে আমার প্রকাশ, আমার ভূমিকা। ভালবাসতে চাই মানুষকে, পৃথিবীকে, ভালবাসিও, কিন্তু যখনি দেখি অপচ্ছায়া ঢেকে ফেলছে আমার ভালবাসাকে, তখনি যেন নিজেকে আর খুঁজে পাই না নিজের মাঝেই,,, এই না পাওয়ার প্রকাশই আমার কথা, কাজ, কাব্য, গদ্য, নীরবতা, আক্রোশ, এটাই পৃথিবীতে আমার প্রকাশ, আমার ভূমিকা।
তাওহীদ, যার অর্থ একত্ববাদ। অর্থাৎ, মানুষ তার স্রষ্টা, প্রতিপালক ও মা'বূদকে এক এবং অদ্বিতীয় বলে অন্তরে, মুখে ও কর্মে বিশ্বাস, স্বীকার ও এ স্বীকৃতির বাস্তবায়ন করবে। এ কারণেই তাওহীদ মানব বিশ্বাস ও জীবনাচরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি। এর ব্যতিক্রমে মানুষের চিন্তাধারা, কর্মকাণ্ড এবং জীবনপদ্ধতিতে বিশাল কিংবা পুরোপুরি পরিবর্তন নির্ভরশীল। ইসলামে ঈমানের ছয়টি বিষয়ের মধ্যে সর্ব প্রথম ও সর্ব প্রধান বিষয় হচ্ছে আল্লাহর উপর ঈমান আনা। আর আল্লাহর উপর ঈমান আনার অর্থ হচ্ছে তাঁর প্রভুত্বে, ইবাদাতে এবং নাম ও গুণসমূহের বিশ্বাসে একত্ববাদ প্রতিষ্ঠা করা। অতএব আল্লাহর উপর ঈমান আনার ভিত্তি দাঁড়াচ্ছে তিনটি। অর্থাৎ, আল্লাহ্ তাঁর সৃষ্টিতে, প্রতিপালনে, রাজত্বে এক ও অদ্বিতীয়, ইবাদাত পাওয়ার একমাত্র যোগ্য সত্তা হিসেবেও তিনিই অদ্বিতীয় এবং স্বীয় সত্তা, নাম ও গুণাবলীতেও তাঁর সমকক্ষ আর কেউ নেই।
নবী-রাসূলগণের মাধ্যমে যুগে যুগে তাওহীদের যে সংবাদ পৌঁছেছে দুনিয়াবাসীর নিকট, তার তিন ভাগে বিভক্ত-
এক) তাওহীদুর্ রুবুবিয়্যাহ্ বা প্রভুত্বে একত্ববাদ।
দুই) তাওহীদুল্ উলুহিয়্যাহ্ বা ইবাদাতে একত্ববাদ।
তিন) তাওহীদুল আসমা ওয়াস্ সিফাত বা নাম ও গুণাবলীতে একত্ববাদ।
এক) তাওহীদুর্ রুবুবিয়্যাহ্ বা প্রভুত্বে একত্ববাদ: আল্লাহকেই একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, প্রভু, মালিক, রিয্কদাতা, উপকার ও ক্ষতিসাধনকারী, বিপদ দানকারী ও বিপদ থেকে উদ্ধারকারী, যাবতীয় কল্যাণ তাঁর হাতেই নিবদ্ধ, তাঁর নিকটই সবকিছুর প্রত্যাবর্তন, তিনিই জীবনদাতা এবং তিনিই মৃত্যুদাতা, তিনি ছাড়া আর কেউই এসকল বিষয়ের মালিকানা রাখে না। তাঁর কোন শরীক বা অংশীদার নেই।
দুই) তাওহীদুল্ উলুহিয়্যাহ্ বা ইবাদাতে একত্ববাদ: সকল ও সর্বোচ্চ ভালবাসা, প্রশংসা, শ্রদ্ধা, বিনয়, নম্রতা, রুকূ', সিজদা, নযর, মানত ইত্যাদি যাবতীয় ইবাদাত কেবলমাত্র আল্লাহর জন্যই নির্দিষ্ট করা। ইবাদাতের ক্ষেত্রেও আল্লাহর কোন শরীক বা অংশীদার নেই।
তিন) তাওহীদুল আসমা ওয়াস্ সিফাত বা নাম ও গুণাবলীতে একত্ববাদ: আল্লাহ্ তাঁর বাণী আল-কুরআন ও তাঁর রাসূলের (সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ভাষায় তাঁর যেসব সুমহান নাম সম্পর্কে আমাদেরকে অবহিত করেছেন, সেসবকে শুধুমাত্র তাঁর জন্যই সাব্যস্ত করা। আল্লাহ্ তাআলার সত্তাগত নাম হলো "আল্লাহ্" এ ছাড়াও কুরআন ও হাদীসে তাঁর আরো নিরানব্বইটি কিংবা ততোধিক নামের বর্ণনা এসেছে। বান্দা আল্লাহর প্রতি তার বিশ্বাসকে যাবতীয় দোষ-ত্রুটি ও সৃষ্টির সাথে আল্লাহর বৈশিষ্ট্যের তুলনা থেকে মুক্ত রাখবে। সাথে সাথে স্বীকৃতি প্রদান করবে যে, আল্লাহ্ সবকিছুর উপর ক্ষমতাবান, চিরঞ্জীব, ধারক, নিদ্রা ও তন্দ্রার স্পর্শ থেকে মুক্ত, সর্বজ্ঞাত, সর্বশ্রোতা, সর্বদ্রষ্টা, তাঁর কুদরত তাঁর সমগ্র সৃষ্টকে বেষ্টন করে রয়েছে এবং তিনি রয়েছেন সপ্তাকাশের উপর আরশে আযীমে। তাঁর যাবতীয় গুণবাচক নামকে যথাযথ রূপে বুঝে সেসবে বিশ্বাস স্থাপন করা জরুরী।
আল্লাহ্ তা'আলা আমাদেরকে তৌফিক দান করুন তাঁর একত্ববাদে পরিপূর্ণ ও খাঁটি রূপে বিশ্বাস স্থাপন করার, জীবনকে সে আলোকে, সে আদর্শে গঠন করে নশ্বর জীবনকে সুন্দর ও সাফল্যমণ্ডিত করে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করার এবং আখেরাতে মুক্তি ও সর্বোচ্চ সফলতা অর্জন করার। আমীন।
৩১.১০.২০০৭, মদীনা মুনাওয়ারা, সৌদি আরব।
كتاب أصول الإيمان في ضوء الكتاب والسنة -এর ছায়া অবলম্বনে।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:১৭
ফজলে এলাহি বলেছেন: চতুরভূজ-
জাযাকাল্লাহ্/জাযাকিল্লাহ্। আল্লাহ্ আপনার দো'আ কবূল করুন। আমীন।
২| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৭ সন্ধ্যা ৬:১৪
মারুফ হায়দার নিপু বলেছেন: Keep up the good works.
Give us some example from real life situation.
Happy and Bold Blogging brother
৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০০৭ সকাল ৯:১৬
আওরঙ্গজেব বলেছেন: সালাম,
ভাল লেখার জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে অক্টোবর, ২০০৭ বিকাল ৫:৩০
চতুরভূজ বলেছেন: প্রথমেই ৫
সুন্দর লিখেছেন ফজলে এলাহি ভাই।
আল্লাহ্ তা'আলা আমাদেরকে তৌফিক দান করুন তাঁর একত্ববাদে পরিপূর্ণ ও খাঁটি রূপে বিশ্বাস স্থাপন করার, জীবনকে সে আলোকে, সে আদর্শে গঠন করে নশ্বর জীবনকে সুন্দর ও সাফল্যমণ্ডিত করে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করার এবং আখেরাতে মুক্তি ও সর্বোচ্চ সফলতা অর্জন করার। আমীন।