![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।
এক ভ্রষ্ট বলে কুরআনের সূরা না কি বিভ্রান্তিমূলক সুদৃশ্য কুরআনের ছবিটি অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।
সম্প্রতি সামহোয়্যার ইন ব্লগে চিহ্নিত এক বিকৃতমনস্ক ও চরিত্রহীন ব্যক্তি কুরআনের সূরাকে ‘বিভ্রান্তিমূলক’ বলে মন্তব্য করেছে—যা শুধুমাত্র চরম ধৃষ্টতা নয়, বরং ইসলাম ধর্মের প্রতি পরিকল্পিত বিদ্বেষ ও অবমাননার জঘন্য প্রকাশ। এই দুশ্চরিত্র ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগে ইসলাম নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করে যাচ্ছে, যেন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করাই তার একমাত্র উদ্দেশ্য। তার ব্যক্তিজীবন চারিত্রিক অবক্ষয় ও মানসিক বিপর্যয়ে পূর্ণ—এক অন্ধকারে নিমজ্জিত আত্মা, যে কুরআনের নূর মেনে নিতে পারে না।
কুরআনের প্রতি এমন মন্তব্য শুধুই অজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং এটি কুপ্রবৃত্তি ও বিকৃত আত্মার এক আত্মরক্ষা-মূলক প্রতিক্রিয়া। কারণ কুরআন অন্যায়, অসভ্যতা ও অনৈতিকতাকে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে। তাই এ ধরনের লম্পটদের কাছে কুরআন সব সময়ই ‘বিভ্রান্তির উৎস’ বলে মনে হয়—কারণ সত্যের আলো তাদের অন্ধকার কর্মকাণ্ডের মুখোশ খুলে দেয়।
কুরআন কোনো মানুষের ব্যাখ্যার দাস নয়। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিলকৃত এমন এক চিরন্তন হিদায়াত, যাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই। যারা কুরআনকে বিভ্রান্তিকর বলে আখ্যা দেয়, তারা নিজেরাই আত্মিক ও বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে বিভ্রান্ত, পথহারা। কুরআনের অবমাননা ইসলাম ধর্মে মারাত্মক গোনাহ—এমনকি ঈমান হরণের কারণ পর্যন্ত হতে পারে।
এই প্রেক্ষিতে আমাদের করণীয় হলো: ধৈর্য ও জ্ঞানের সঙ্গে যুক্তিনির্ভর জবাব দেওয়া, এ ধরনের কটূক্তিকারীদের সামাজিকভাবে বর্জন করা এবং কুরআনের সঠিক বার্তা আরও বলিষ্ঠভাবে প্রচার করা। এ ছাড়া আমরা মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করি, তিনি যেন এই বিভ্রান্ত আত্মাটিকে হিদায়াত দান করেন অথবা তার অপপ্রচারকে ব্যর্থ করে দেন। কুরআনের ব্যাপারে আল্লাহ নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন:
“নিশ্চয়ই আমিই কুরআন অবতীর্ণ করেছি এবং আমিই এর সংরক্ষণ করবো।” (সূরা হিজর: ৯)
এ পর্যায়ে আমরা সামহোয়্যার ইন ব্লগ কর্তৃপক্ষের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাই, ধর্ম অবমাননায় লিপ্ত এ ধরনের বিদ্বেষপ্রসূত লেখককে ব্লগনীতিমালার আওতায় এনে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন, যাতে ধর্মীয় অনুভূতিতে বারবার এমনভাবে আঘাত করার সুযোগ আর না থাকে।
অবশেষে, বলতেই হয়—কুরআনের আলো কোনো লম্পটের অন্ধকার মস্তিষ্ক দিয়ে নিভিয়ে ফেলা যায় না। আল্লাহর কালাম চিরন্তন, চিরজীবিত—আর সত্যকে কখনোই মিথ্যার চাপে দমন করা যায় না।
১২ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:২২
নতুন নকিব বলেছেন:
এমন অপরাধের সাজা বা শাস্তি কী হবে সেটা নিয়ে একটু পরে আলাপ করি, আগে বলেন আপনি কি কুরআন অবমাননাকে সঠিক মনে করেন কি না।
২| ১২ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:১৭
অগ্নিবাবা বলেছেন: নকীব ভাই, বেয়াদবী নেবেন না, কথাটি যিনি বলেছেন, সঠিক বলেছেন, যজবাতি না হয়ে, যুক্তি দিয়ে খন্ডন করে দিলেই তো অনেকের সংশয় মুক্ত হয়ে যায়। কোরআনে বৈপরীত্য ভরপুর। মাত্র ২টা উদাহরন দিলাম।
১। প্রথম মুসলিম/ বিশ্বাস স্থাপনকারী কে?
মুহাম্মাদ
আপনি বলে দিনঃ আমি কি আল্লাহ ব্যতীত-যিনি নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলের স্রষ্টা এবং যিনি সবাইকে আহার্য দানকরেন ও তাঁকে কেউ আহার্য দান করে না অপরকে সাহায্যকারী স্থির করব? আপনি বলে দিনঃ আমি আদিষ্ট হয়েছি যে, সর্বাগ্রে আমিই আজ্ঞাবহ হব। আপনি কদাচ অংশীবাদীদের অন্তর্ভুক্ত হবেন না। কোরআন ৬/১৪
আরও আদিষ্ট হয়েছি, সর্ব প্রথম মুসলিম হওয়ার জন্যে। কোরআন ৩৯/১২
মূসা
তারপর মূসা যখন আমার প্রতিশ্রুত সময় অনুযায়ী এসে হাযির হলেন এবং তাঁর সাথে তার পরওয়ারদেগার কথা বললেন, তখন তিনি বললেন, হে আমার প্রভু, তোমার দীদার আমাকে দাও, যেন আমি তোমাকে দেখতে পাই। তিনি বললেন, তুমি আমাকে কস্মিনকালেও দেখতে পাবে না, তবে তুমি পাহাড়ের দিকে দেখতে থাক, সেটি যদি স্বস্থানে দঁড়িয়ে থাকে তবে তুমিও আমাকে দেখতে পাবে। তারপর যখন তার পরওয়ারদগার পাহাড়ের উপর আপন জ্যোতির বিকিরণ ঘটালেন, সেটিকে বিধ্বস্ত করে দিলেন এবং মূসা অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলেন। অতঃপর যখন তাঁর জ্ঞান ফিরে এল; বললেন, হে প্রভু! তোমার সত্তা পবিত্র, তোমার দরবারে আমি তওবা করছি এবং আমিই সর্বপ্রথম বিশ্বাস স্থাপন করছি। কোরআন ৭/১৪৩
ইব্রাহীম
স্মরণ কর, যখন তাকে তার পালনকর্তা বললেনঃ অনুগত হও। সে বললঃ আমি বিশ্বপালকের অনুগত হলাম। কোরআন ২/১৩১
আদম
অতঃপর আদম তার রবের পক্ষ থেকে কিছু বাণী পেল, ফলে আল্লাহ তার তাওবা কবূল করলেন। নিশ্চয় তিনি তাওবা কবূলকারী, অতি দয়ালু। কোরআন ২/৩৭
মিশরীয়রা
আমরা আশা করি, আমাদের পালনকর্তা আমাদের ক্রটি-বিচ্যুতি মার্জনা করবেন। কারণ, আমরা বিশ্বাস স্থাপনকারীদের মধ্যে অগ্রণী। কোরআন ২৬/৫১
২। আল্লাহর বাণী কি অপরিবর্তনীয়?
হ্যাঁ
তাদের জন্য সুসংবাদ পার্থিব জীবনে ও পরকালীন জীবনে। আল্লাহর কথার কখনো হের-ফের হয় না। এটাই হল মহা সফলতা। কোরআন ১০/৬৪
আপনার প্রতিপালকের বাক্য পূর্ণ সত্য ও সুষম। তাঁর বাক্যের কোন পরিবর্তনকারী নেই। তিনিই শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী। কোরআন ৬/১১৫
আপনার পূর্ববর্তী অনেক পয়গম্বরকে মিথ্যা বলা হয়েছে। তাঁরা এতে ছবর করেছেন। তাদের কাছে আমার সাহায্য পৌঁছে পর্যন্ত তারা নির্যাতিত হয়েছেন। আল্লাহর বানী কেউ পরিবর্তন করতে পারে না। আপনার কাছে পয়গম্বরদের কিছু কাহিনী পৌঁছেছে। কোরআন ৬/৩৪
না
আমি কোন আয়াত রহিত করলে অথবা বিস্মৃত করিয়ে দিলে তদপেক্ষা উত্তম অথবা তার সমপর্যায়ের আয়াত আনয়ন করি। তুমি কি জান না যে, আল্লাহ সব কিছুর উপর শক্তিমান? কোরআন ২/১০৬
এবং যখন আমি এক আয়াতের স্থলে অন্য আয়াত উপস্থিত করি এবং আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেন তিনিই সে সম্পর্কে ভাল জানেন; তখন তারা বলেঃ আপনি তো মনগড়া উক্তি করেন; বরং তাদের অধিকাংশ লোকই জানে না। কোরআন ১৬/১০১
১২ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:২৯
নতুন নকিব বলেছেন:
অগ্নিবাবা, আপনার বক্তব্য বিভ্রান্তিকর ও প্রসঙ্গচ্যুত। সংক্ষেপে যদি বলি,
১. "প্রথম মুসলিম"—প্রত্যেক নবী তাঁর নিজ কালে ও সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রথম আজ্ঞাবহ ও আত্মসমর্পণকারী (মুসলিম) ছিলেন। তাই মূসা (আঃ), ইব্রাহিম (আঃ), ও মুহাম্মদ (সা.) সবাই নিজ নিজ যুগে "প্রথম মুসলিম"—এতে কোনো বিরোধ নেই, বরং প্রেক্ষাপট অনুযায়ী সঠিক।
২. আল্লাহর বাণী পরিবর্তনীয় কি না—আল্লাহর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, আইন ও প্রতিশ্রুতি পরিবর্তন হয় না (১০:৬৪, ৬:১১৫), কিন্তু শিক্ষা ও পরীক্ষার জন্য পূর্ববর্তী শরিয়তের কিছু বিধান রহিত করে নতুন বিধান দেওয়া হয়েছে। এটা বাতিল নয়, বরং প্রজ্ঞাপূর্ণ বিকাশ (abrogation)। এতে কোনো বৈপরীত্য নেই।
কোরআনের আয়াতগুলো আলাদা প্রসঙ্গে, ভিন্ন উদ্দেশ্যে, এবং স্পষ্ট ব্যাখ্যার সঙ্গে নাজিল হয়েছে। কুরআনের মধ্যে কোনো বৈপরীত্য নেই। যারা বিভ্রান্তি খুঁজে বেড়ায়, তারা আয়াতকে প্রেক্ষিত ছাড়া কেটে-ছেঁটে তুলে ধরে। ইসলামিক জ্ঞান ছাড়া ব্যাখ্যা করতে গেলেই ভুল হয়। অতএব, যুক্তির বদলে বিদ্বেষ নয়—তর্ক নয়, সত্যের অনুসন্ধান জরুরি।
"وَإِنَّهُ لَكِتَابٌ عَزِيزٌ • لَا يَأْتِيهِ الْبَاطِلُ مِنۢ بَيْنِ يَدَيْهِ وَلَا مِنْ خَلْفِهِ"
“এটা এক সম্মানিত কিতাব, এতে মিথ্যার কোনো আগমন নেই—না সামনে থেকে, না পেছন থেকে।” (সূরা ফুস্সিলাত ৪১:৪১-৪২)
৩| ১২ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:২১
কামাল১৮ বলেছেন: লম্পট অর্থ কি।তার লাম্পট্টের প্রমান যদি আপনার কাছে না থাকে হবে ইসলামের আলোকে আপনার কি সাজা হতে পারে।দয়া করে সেটাও বলবেন।
১২ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৪২
নতুন নকিব বলেছেন:
যে ব্যক্তি কুরআনের সূরাকে বিভ্রান্তিমূলক বলে, কুরআনের বিপক্ষে নিজের অবস্থানকে স্পষ্ট করে স্বয়ং কুরআনই তাকে "অজ্ঞাতকুলশীল" বলেছে। দেখুন সূরা ক্কলম এর ১০-১৩ নং আয়াত।
"অজ্ঞাতকুলশীল" এর ব্যাখ্যা করে দিতে হলে জানাবেন।
৪| ১২ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৩৪
ইয়া আমিন বলেছেন: এ ধরনের ধর্ম অবমাননামূলক মন্তব্য গভীর উদ্বেগজনক ও চরম অশালীনতা। কুরআন মহান আল্লাহর নাজিলকৃত চিরন্তন হিদায়াত, যার বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য কেবল বিকৃত মানসিকতারই পরিচায়ক। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার এই অপচেষ্টা শুধু অজ্ঞতা নয়, বরং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং ব্লগ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করি, দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে এ ধরনের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। সত্যের আলো কখনোই মুছে ফেলা যায় না—আল্লাহর কালাম অক্ষয় ও অম্লান।
১২ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৪৫
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার প্রজ্ঞাপূর্ণ বক্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। সত্যিই, কুরআনের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য কেবল অজ্ঞতা নয়, বরং ঘৃণার ইন্ধন। আমরা আপনার প্রতিবাদকে সমর্থন করি এবং ব্লগ কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাই। আল্লাহর কালাম চিরন্তন, কেউ তা মুছে ফেলতে পারবে না। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন।
৫| ১২ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৪০
অগ্নিবাবা বলেছেন: নকীব ভাই, আপনি আমাকে খুব ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন, এর জন্য ধন্যবাদ। তবে আপনি সেই লম্পটের ক্থার মানে বুঝতে পারেন নি। লম্পট বলেছেন যে, কুরআনের সূরা বিভ্রান্তিমূলক, আসলে তিনি বলেছেন কুরআনের সূরা বিভ্রান্তিমূলক নয়। আসলে ওনার ক্থা বুঝতে হলে, পরিপ্রেক্ষিত বুঝতে হবে, দিন কি রাত সেটা বুঝতে হবে, রুমের তাপমাত্রা কত সেটা বুঝতে হবে। হ্যানা ত্যানা বুঝতে হবে, দিল থেকে ফিল করতে হবে। উত্তর পেয়েছেন তো? এইবার শান্ত হোন।
১২ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৫১
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার ব্যাখ্যার জন্য ধন্যবাদ। আপনি যে আন্তরিকভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন, তা বোঝা গেছে। তবুও কুরআনের মতো পবিত্র ধর্মগ্রন্থ নিয়ে কথা বলার সময় আমাদের কি উচিত নয় যে আমরা আরো বেশি সংবেদনশীল ও দায়িত্বশীল হই? বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ যেই ধর্মগ্রন্থটিকে শ্রদ্ধা এবং সম্মানের চোখে দেখেনে সেই গ্রন্থের সূরাকে "বিভ্রান্তিমূলক" বলা সুস্থতার লক্ষণ হতে পারে কি?
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা আবারও আপনাকে।
৬| ১২ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:০৩
অগ্নিবাবা বলেছেন: বিশ্বের কোটি কোটি মানুষও যদি মনে করে সুর্য পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে তবুও সত্য মিথ্যা হয় না। পৃথিবীতে জনসংখ্যায় খ্রীস্টান বেশী, তবুও খ্রীস্টান ধর্ম সত্য হয়ে যায় না। যে পুস্তকই হোক না কেনো, যুক্তি দিয়ে ভুল খুজে পেলে তার সমালোচনা করতেই হবে।
এতে আঘাত পাওয়ার কিছু নেই।
১২ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:২৪
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ। যুক্তিভিত্তিক আলোচনা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি সম্মান বজায় রাখাও একটি সভ্য সমাজের চিহ্ন। শুভকামনা রইল।
৭| ১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:২৯
রানার ব্লগ বলেছেন: আচ্ছা এখন আমি যদি বলি গীতা সম্পুর্ন ফালতু ও কাল্পনিক কিছু কথাবার্তা। যার মৌলিক কোন ভিত্তি নাই।
আপনি কি একি রকম রিএকশান দেবেন?
আমার মনে বলে " না" আপনি দেবেন না।
১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৪৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্রত্যেক ধর্মগ্রন্থ বিশ্বাসীদের কাছে শ্রদ্ধার বস্তু—চাই সেটা কুরআন হোক, গীতা হোক বা বাইবেল। অন্যের বিশ্বাসকে সম্মান দেখানোই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পথ।
৮| ১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সেই পোস্টকারী 'সৈয়দ কুতুব' আবার আপনার পোস্টে লাইক দিয়ে আপনাকে ব্যঙ্গ করছে সম্ভবত। তার পোস্টে কোরআন অবমাননা করার মত মন্তব্য থাকা সত্ত্বেও সে কোন প্রতিবাদ করেনি। অথচ সে নাকি মুসলমান। যে বলেছে সেও নিজেকে মুসলমান দাবি করে।
একজন ব্যক্তি যে বলে আমি নামাজ পড়ি আবার সে যদি বলে কোরআনের সুরা বিভ্রান্তিকর তাহলে এর চেয়ে বড় ভণ্ডামি আর কিছু নাই। এটা আল্লাহতায়ালার সাথে ধৃষ্টতা এবং মুনাফেকি। এই ব্লগে এই ধরণের ইসলাম বিদ্বেষীদেরকেই পেলে পুষে রাখা হচ্ছে। এই কারণেই আজকে ব্লগের এই অবস্থা।
পোস্টকারী আরও বড় ধুরন্ধর। তার পোস্টে আমি কোরআনের আয়াত উল্লেখ করে তার মতামত চাইলাম। সে বারবার সেটা এড়িয়ে গিয়ে হাবিজাবি কথা বলে গেছে। আমি তাকে বলেছি, সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত মানসিক রোগী নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা আছে। তারপরেও সে বলে যাচ্ছে আগে সিজোফ্রেনিয়া এবং মানসিক রোগ নিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। এই ধরণের ব্লগার যারা প্রশ্নের সঠিক উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যায় তারা আরও ধুরন্ধর হয়। ধন্যবাদ এই পোস্ট দেয়ার জন্য।
১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৫১
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার পর্যবেক্ষণ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। সত্যের পক্ষে অবস্থান নেওয়া সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হিদায়াত দান করুন—আমিন।
৯| ১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৯
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
কোরআনে সম্পত্তি ভাগ করা নিয়ে যে ভুল আছে সেটা নিয়ে আপনি কী ফতোয়া দিবেন?
১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৫৫
নতুন নকিব বলেছেন:
কুরআন আল্লাহর বানী। সন্দেহাতীতভাবে নির্ভুল। আপনি যেটাকে "ভুল" ভাবছেন, তা আসলে আপনার ভুল বোঝা বা জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা। কুরআনের আয়াতগুলো সব সময় প্রসঙ্গ, হিকমা (জ্ঞান) ও শারঈ ব্যাখ্যার আলোকে বুঝতে হয়। অজ্ঞতাবশত কটূক্তি না করে সত্য জানার চেষ্টা করুন। ধন্যবাদ।
১০| ১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:০৫
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: একজন একটা মন্তব্য করলেই সেটা সত্যি হয়ে যাবে, মিথ্যা হবে; বিষয়টা এমন কি? সুষ্ঠু বিতর্ক হওয়াই ভালো।
১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৫৯
নতুন নকিব বলেছেন:
একজনকে কেউ "শূকর" বলে গালি দিলেই যেমন সে ব্যক্তি শূকর হয়ে যায় না, তেমনি কেউ একটি মন্তব্য করলেই তা সত্য বা মিথ্যা হয়ে যায় না—এটি ঠিক। তবে তাই বলে গালিগালাজকে সমর্থন করা যায় না।
সুস্থ, যুক্তিনির্ভর বিতর্কই সত্য উদঘাটনের পথ। আপনাকে ধন্যবাদ।
১১| ১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:১৮
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: এই ব্লগে এইসব দুধভাত। এড়িয়ে চলেন , তানাহলে মেজাজ আরো খারাপ হবে।
১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:০১
নতুন নকিব বলেছেন:
পরামর্শের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।
১২| ১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৪৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর@আপনি নিজেই ভন্ড। কোনো ঘটনার ডিটেইলস না ঢুকে মনগড়া ধর্মীয় ব্যাখ্যা হাজির করেন।
১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:০৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আমি প্রত্যাশা করব এবং বিনীতভাবে অনুরোধ জানাব—আপনারা দু’জনই মিলেমিশে চলুন। আপনারা দু’জনই আমার আপনজন ও প্রিয়জন।
বিবাদ নয়, বন্ধুত্বই হোক ব্লগজগতের আসল সৌন্দর্য।
আমার অনুমান যদি ভুল না হয়, সৈয়দ কুতুব ভাই সম্ভবত বয়সে সাড়ে চুয়াত্তর ভাইয়ের চেয়ে বেশ ছোট। স্নেহ ও শ্রদ্ধার মাধ্যমে একে অপরকে সম্মান জানালে আন্তরিকতার সাথে পথ চলা সম্ভব হবে - যেটা আমাদের সকলেরই চাওয়া।
১৩| ১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৪৮
রাসেল বলেছেন: কারো ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে অবমাননাকর কথা বলা অন্যায়। যে ব্যক্তি মুসলিম হয়েও ইসলামের বিরুদ্ধে সচেতনভাবে কথা বলে তাকে মুনাফিক হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে।
১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:১০
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার যুক্তিসম্মত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ধর্মীয় বিশ্বাসের অবমাননা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।
১৪| ১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৪৯
রাসেল বলেছেন: কোনো মুসলিম ব্যক্তি যদি ইসলামে ভুল প্রত্যক্ষ করে, তবে সে ইসলাম ত্যাগ করতে পারে।
১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:১১
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ইসলামে ভুল মনে হলে তা জ্ঞান, গবেষণা ও আলিমদের পরামর্শের মাধ্যমে সমাধান করার নির্দেশ আছে, ত্যাগ নয়।
১৫| ১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৫০
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি যদি আমার উপর রাগ থেকে এই পোস্ট লিখে থাকেন প্রথমে উচিত ছিলো আমার পোস্টে কমেন্ট করা। আপনার পক্ষ নিয়ে আমি বেশ কয়েকবার অন্যের সাথে তর্কে জড়িয়েছি। আপনার সাথে আমার তেমন মতের বিরোধ নেই।
গাজীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে আপনি উহাকে মেনশন দিয়ে গালি হতে যা যা করার দরকার সেটা করতে পারতেন। সাধারণত সিনিয়র ব্লগারদের মাঝে প্রবেশ করি না।
১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:১৮
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমার পোস্ট কারো প্রতি রাগ থেকে লেখা নয়। এই পোস্টে উত্থাপিত বিষয়টি নিয়ে আপনার পোস্টে কাউকে মেনশন করে আলোচনা করার চেয়ে একটি স্বতন্ত্র পোস্টে আলোচনা করা আমার কাছে বেশি যুক্তিসংগত মনে হয়েছে। এর পেছনে কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ না করার উদ্দেশ্যটাও ছিল।
আপনার সমর্থন ও মতামতের জন্য কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে যেকোনো ভুল বোঝাবুঝি এড়ানো যাবে। ধন্যবাদ!
১৬| ১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৫২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ সৈয়দ কুতুব - আমি কোরআনের আয়াত উল্লেখ করেছিলাম, কোন মনগড়া কথা বলিনি। আপনাকে সেই ব্যাপারে কয়েকবার জিজ্ঞেস করা সত্ত্বেও বারবার এড়িয়ে গেছেন। কোরআনের এই আয়াত সম্পর্কে আপনার মতামত জানতে চাই। আপনার পোস্ট এই আয়াতের সাথে যায় নাই। আমাদের রসুলকে (সা) জাদু করা হয়েছিল, জানেন নিশ্চয়ই। কালো জাদু নিয়ে কোরআনে আরও আয়াত আছে। সেই ব্যাপারে আপনার মতামত জানতে চাই। আপনি পণ্ডিত মানুষ এই আয়াতগুলি খুঁজে বের করতে পারবেন আশা করি, তাই এখানে দিলাম না। আমি বলেছি আমার সিজোফ্রেনিয়া রোগীর অভিজ্ঞতা আছে। তারপরও আপনি বারবার বলেছেন আগে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। আপনি বড় বড় গরুর রচনা লেখেন কিন্তু ব্যাসিক অনেক কিছুই জানেন না। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ভারতকে আক্রমন করেছিল। এই বেসিক তথ্য না জেনেই আপনি ১৯৭১ সাল নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। গরুর রচনা লেখার আগে প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন করেন।
১২ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৪
নতুন নকিব বলেছেন:
বিতর্ক এড়িয়ে শান্তিপূর্ণভাবে তথ্যভিত্তিক আলোচনা সবক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করা যায়, এতে ভুল বোঝাবুঝি দূর হবে। ধন্যবাদ!
১৭| ১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:১৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: @সাড়ে চুয়াত্তর, আপনি বারবার একই ভুল করছেন। আপনি যে কুরআনের আয়াত উল্লেখ করেছেন সেটার সাথে সুবহার ঘটনার মিল আছে কিনা আপনি জানেন না। সুবহার ঘটনায় উক্ত আয়াত ব্যবহার করার জন্য সঠিক নয় বলে আমি মনে করি। সুবহা চরম ডিপ্রেশন থাকা একজন নারী। যেহেতু সিজোফ্রেনিয়া নিয়ে আমার পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে তাই সেটার আলোকে মানসিক সুস্থতার ব্যাপারে জোর দিয়েছি।
আপনার মানসিক রোগ নিয়ে জ্ঞান শূন্যের কাছাকাছি। খোনার পেশায় আছেন মনে হয়। । একান্ত অনুরোধ পাশাপাশি সাইকোলজি ও সাইক্রাটিস্ট নিয়ে অধ্যয়ন করেন। তাহলে মানুষের সসত্যিকারের উপকার হবে।
১২ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৭
নতুন নকিব বলেছেন:
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। বিতর্কে জড়ানোর পরিবর্তে শান্তিপূর্ণ আলোচনা সবসময় বেশি ফলপ্রসূ। আশা করি, আপনারা সেইদিকেই এগুবেন।
১৮| ১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৩৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ সৈয়দ কুতুব - আমি সুবহার ব্যাপারে কিছু বলিনি। আমি কোরআনের আয়াতের ব্যাপারে আপনার মতামত জানতে চেয়েছি। আপনি এখনও সেটা এড়িয়ে যাচ্ছেন। আপনার পোস্টে আপনি বলতে চেয়েছেন যে জীনের আছর বলে কিছু নেই যা হয় সবই মানসিক রোগ। আমি বলেছি কিছু ক্ষেত্রে সেটা মানসিক রোগ না। সেই প্রসঙ্গে কোরআনের আয়াত উল্লেখ করেছি। আপনি সেটা বারবার এড়িয়ে যাচ্ছেন।
মানসিক রোগ নিয়ে আমার জ্ঞান শূন্যের কোঠায় সেটা আপনি কীভাবে জানলেন। আমার সম্পর্কে আপনি খুব কমই জানেন। মানসিক রোগী আমার আত্মিয়র মধ্যে আছে। আমার মা একজন ডাক্তার ছিলেন যিনি এগুলি হ্যানডেল করতেন। আমরাও অনেক ক্ষেত্রে জড়িত ছিলাম। ব্লগে এর চেয়ে বেশী বলতে চাচ্ছি না। আপনি না জেনেই আমার ব্যাপারে উপসংহারে চলে এসেছেন। এটার দ্বারা আপনার মানসিক অপরিপক্বতা প্রকাশ পায়। রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন।
১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৭:৫১
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনার মতামত ও ব্যাখ্যার জন্য। আপনি যেটা বলেছেন, তা আমি লক্ষ্য করেছি এবং সম্মান করি। আমার মনে হয়, তার উদ্দেশ্য আপনাকে আঘাত করা ছিল না। যাই হোক, মতভেদ থাকতেই পারে তবে সেটি যেন হয় হৃদ্যতার মিশেলেই। শুভকামনা রইল।
১৯| ১২ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:০১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: @সাড়ে চুয়াত্তর, এই ব্লগ লেখার সময় থেকেই জানতাম আপনি ক্যাচাল করবেন। কোরআনের কোনো বক্তব্য নিয়ে আমার দ্বিমত নেই। আপনি কোন উদ্দেশ্যে কুরআনের সে আয়াত স্পেসিফিক ভাবে লিখেছেন তাও আমি গতকাল রাতেই বুঝে গেছি। ।
১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৭:৫২
নতুন নকিব বলেছেন:
বিষয়টি পরিষ্কার করে বলার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।
২০| ১২ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৪১
শায়মা বলেছেন: আমি এতদিন ভাবতাম কুতুব ভাইয়ু চুয়াত্তর ভাইয়ুর মালটি!!!!!!
আজ একটু সন্দেহের মধ্যে পড়লাম .......
১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৭:৫৩
নতুন নকিব বলেছেন:
হা হা, ধন্যবাদ শায়মা। সন্দেহ থাকাই তো স্বাভাবিক—এটাই ব্লগের মজা!
২১| ১২ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শায়মা আপু যে কত বোকা একটা মেয়ে সেটা আজকে বুঝলাম।
সৈয়দ কুতুবের বয়স হল ২৯ বছর। আমার বয়স আপনার সমান। সৈয়দ কুতুব গরুর রচনা লেখে। আমি লিখি না।
আমি জীনদের নিয়ে লিখি মাঝে মাঝে।
আরও লিখতাম, কিন্তু অনেকে পছন্দ করে না, তাই লিখি না।
১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৭:৫৪
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ চুয়াত্তর ভাই, আপনার হাস্যরসভরা মন্তব্য উপভোগ্য! আপনাদের লেখার ধরণ ভিন্ন হলেও দুটোই ব্লগকে বৈচিত্র্যময় করে তোলে। শুভকামনা রইল।
২২| ১২ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৩
শায়মা বলেছেন: আহা কুতুবভাইয়ু বললো ২৯ আমি মেনে নিলাম !!! তুমি তাকে দেখেছো!!! তার সম্পর্কে যাহা জানো তাহা উনি বলিয়াছেন তাই...... ২৯ না হয়ে ৯২ ও হতে পারে কারন তাকে আমরা চিনিনা দেখিওনি দেখেছি শুধু তার নিকের ছবি....
গরুর রচনা না এই রচনা মানে চ্যাটজিপিটি দিয়ে লেখে। সে তো সার্চে দিলেই তুমিও বুঝতে পারবে। নইলে রোজ রোজ গরুর ছাগলের মানুষের কোনো রচনা লেখা সম্ভব না যদি না সে ১০০% বেকার সমস্যা না হয়ে থাকে।
আমি জ্বীনদের গল্প শুনতে বড়ই পছন্দ করি কিন্তু মেরে ফেললেও বিশ্বাস করি না জ্বীন মানুষকে ধরে..... জ্বীনদের কি খেয়ে দেয়ে কাজ কাম নাই নাকি!!!!!!!!! যারা বলে জ্বীন ধরেছে তারা নিজেদেরকেই নিজেরা ধরেছে .....
১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৭:৫৭
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ শায়মা, তোমার মন্তব্যে যেমন রস আছে, তেমনি বাস্তবধর্মী পর্যবেক্ষণও। জ্বীন নিয়ে বিশ্বাস-অবিশ্বাস অনেকের থাকতেই পারে, আলোচনার মজাটাই সেখানেই। ভালো থেকো সবসময়!
২৩| ১২ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৭
মেঘনা বলেছেন: পৃথিবীর ৬০০ কোটি লোক মনে করে কুরআনের সূরা বিভ্রান্তিমূলক - তাই তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নাই।
তাহলে ওই ৬০০ কোটি লোকই কি লম্পট।
১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:০৬
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ মেঘনা। বিশ্বাসের বিষয়টি ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে, তবে কেউ ভিন্ন মত পোষণ করলেই তাকে লম্পট বলা ঠিক নয়। শিষ্টাচারপূর্ণ আলোচনাই সবসময় কাম্য। তবে এই পোস্টে আলোচিত ব্যক্তির বক্তব্য ও ভাষা বিশ্লেষণ করলে মনে হয় তিনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন, যা দুঃখজনক। কুরআনের আয়াত নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এদের মত মুষ্টিমেয় লোকেরাই নিজেদের লাম্পট্য জাহির করে কুরআনের সূরাকে বিভ্রান্তিমূলক আখ্যায়িত করার ভেতর দিয়ে।
২৪| ১২ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৪১
ফেনিক্স বলেছেন:
কোরানে যা আছে, তা ১৪০০ বছর পুর্বের আরবের বেদুইনদের সংস্কৃতি, সামাজিক সমস্যা, রীতিনীতির প্রতিফলন; সেখানে জ্বীনের রূপকথাও আছে। বিজ্ঞান মতে, জ্বীনের মতো স্পেসিস নেই ও থাকা সম্ভব নয়; এই ধরণের ভুল কিভাবে ধর্মীয় পুস্তকে স্হান পেলো? রূপকথাই যদি ধর্মের অংশ হয়ে থাকে, উহা কি করে ধর্ম হয়?
রূপকথা থাকার ফলে গ্রীক ও রোমান ধর্ম বিলুপ্ত হয়েছে ও হিন্দু ধর্মে রূপকথা থাকার কারণে বাংলাদেশের ৯০ ভাগ মানুষ হিন্দু ধর্ম অনুসরণ করে না।
১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:১০
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ ফেনিক্স। তবে আপনার মন্তব্য কেবল ব্যক্তিগত মত নয়, স্পষ্টভাবে বিদ্বেষপূর্ণ এবং ইসলাম ধর্মকে হেয় করার উদ্দেশ্যপ্রসূত। কুরআনের বাণীকে "রূপকথা" বলার আগে আপনার উচিত এর ভাষাগত গভীরতা, ঐতিহাসিক সত্যতা, এবং মানবজাতির নৈতিক কাঠামো গঠনে এর প্রভাব সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা।
জ্বীন সম্পর্কে কুরআনের আলোচনা রূপক বা কল্পনা নয়, বরং এমন এক বাস্তব সত্তা, যাদের অস্তিত্ব আপনি মানেন না বলেই তারা অদৃশ্য হয়ে যায় না—যেমন আপনি রেডিও ওয়েভ বা ব্ল্যাকহোল দেখেন না, কিন্তু সেগুলো বিদ্যমান।
আপনার তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের জ্ঞান যদি গ্রীক বা রোমান "ধর্ম" পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে, তাহলে আপনাকে আরও পড়াশোনা করতে হবে। ইসলামকে সেইসব বিলুপ্ত ধর্মের সাথে মেলানো আপনার অজ্ঞতা ও হীন মানসিকতার পরিচায়ক।
আপনি কুরআনের বাণীকে অস্বীকার করতেই পারেন, কিন্তু তা উপহাসের যোগ্য নয়। উপহাসের আড়ালে যুক্তিহীনতা ও ঈমানহীন অসহিষ্ণুতা ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ পায় না। তর্কের নামে বিদ্বেষ ছড়ানো শালীনতার লঙ্ঘন—এবং এটি কখনো জ্ঞানীর আচরণ হতে পারে না।
২৫| ১২ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৪১
Sulaiman hossain বলেছেন: শায়মা আপু বলেছেন :আমি জ্বীনদের গল্প শুনতে বড়ই পছন্দ করি কিন্তু মেরে ফেললেও বিশ্বাস করি না জ্বীন মানুষকে ধরে..... জ্বীনদের কি খেয়ে দেয়ে কাজ কাম নাই নাকি!!!!!!!!! যারা বলে জ্বীন ধরেছে তারা নিজেদেরকেই নিজেরা ধরেছে .....
জ্বীনদের মতো অনেক মানুষও রয়েছে যাদের খাওয়া দাওয়া র পরে আর কোনো কর্ম কাজ থাকেনা,তারা পৃথিবীতে অনাচার করে বেড়ায়,এসমস্ত মানুষকে আমি বিষাক্ত উদ্ভিদ মনে করি।আর জ্বীনরা সবাইকে ধরে না,ওদেরও বন্ধু এবং শত্রু রয়েছে।অধিকাংশ ভালো মানুষ জীনদের শত্রু!!!!!
১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:১২
নতুন নকিব বলেছেন:
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনি জ্বীন ও মানুষের আচরণের মাঝে যে তুলনা টেনেছেন, তা ভিন্নধর্মী ও ভাবনার খোরাক জোগায়। সত্যিই, পৃথিবীতে কিছু মানুষের কার্যকলাপও কখনো কখনো অদৃশ্য জীনদের চেয়েও ভয়ানক হয়ে ওঠে। আপনার পর্যবেক্ষণ প্রাসঙ্গিক ও চিন্তাশীল। শুভকামনা রইল।
২৬| ১২ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৫
ফেনিক্স বলেছেন:
ব্লগার শায়মা বলেছেন, "আমি জ্বীনদের গল্প শুনতে বড়ই পছন্দ করি কিন্তু মেরে ফেললেও বিশ্বাস করি না জ্বীন মানুষকে ধরে..... জ্বীনদের কি খেয়ে দেয়ে কাজ কাম নাই নাকি!!!!!!!!! যারা বলে জ্বীন ধরেছে তারা নিজেদেরকেই ধরেছে ..... "
-ব্লগার নকীব কেন বলেন যে, জ্বীন মানুষের উপর আছর করে? তিনি ইসলামিক স্কলার; মোল্লা শফিও ইসলামিক স্কলার ছিলো; মোল্লা শফি ১৯৭১ সালে হাজার হাজার রাজাকার সাপ্লাই দিয়েছিলো।
১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:১৫
নতুন নকিব বলেছেন:
ফেনিক্স, আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, তবে আপনার বক্তব্যে ব্যক্তির নামে কুৎসা রটানো ও ইসলাম ধর্মকে আক্রমণ করার একটি বিদ্বেষমূলক প্রবণতা স্পষ্ট। একজন ইসলামিক স্কলার জ্বীন বিষয়ে কুরআন ও হাদীসের আলোকে যা বলেন, তা মুসলিম বিশ্বাসের অংশ—আপনি তা গ্রহণ না করতেই পারেন, কিন্তু অপমান করার অধিকার আপনার নেই।
আল্লামা আহমাদ শফির ইতিহাস বা রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে, কিন্তু তার মাধ্যমে ইসলাম ধর্মকে আঘাত করার চেষ্টা শুধু কূপমণ্ডূক মানসিকতারই প্রকাশ।
ধর্ম নিয়ে আলোচনা করুন যুক্তির মাধ্যমে, বিদ্বেষ দিয়ে নয়—কারণ বিদ্বেষ কখনও সত্যকে ঢাকতে পারে না।
২৭| ১২ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৫
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: @শায়মা আপু, ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর গ্রাম বাংলার নানীদের মতো পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া বাধায়। নতুন নকীবের পোস্টে নাকি লাইক দিয়ে আমি উহার সাথে তামাশা করেছি। আমি ধুরন্ধর হেন তেন ! সাচুর বিরুদ্ধে যা বলার আমার নিজের ব্লগে লিখেছি উনার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায়। আমার ব্লগে তিনি লিখেছেন আমি খুবই সুন্দর বিষয় নিয়ে লিখেছি। তখন পর্যন্ত আমি উনার মন্তব্যের প্রতি মন্তব্য করি নাই। নতুন নকীবের ব্লগে এসে বলছেন আমি গোরুর রচনা লিখি। । এই কথা আমার ব্লগে তিনি সরাসরি বলতে পারতেন। নাস্তিক ব্লগার কামাল১৮ তো দেখছি সাচুর চেয়ে সৎ। তিনি সরাসরি আমার পোস্টে লিখেন যে আমি গোরুর রচনা লিখি।
নতুন নকীব ও উনার সেই লম্পট ব্লগার নিয়ে আমার কিছু বলার নাই। কখনো তিনি সেই লম্পট ব্লগার কে হেদায়েত দেন।কখনো উহার বিরুদ্ধে পোস্ট লিখেন। সেজন্য সিনিয়র ব্লগার দের কোনো মন্তব্যে আমি প্রবেশ করি না। ব্লগার @মিরর ডল বিষয়টা সবচাইতে ভালো বলতে পারবেন।
কারো সম্পর্কে অভিযোগ থাকলে ব্লগার @ মমহাজাগতিক চিন্তার মতো সেটা বলে ফেলা উচিত। তিনি একজন নাইস পারসন। সরাসরি তিনি বলেছেন যে আমার মন্তব্য উনার পছন্দ না। আমার ব্লগে মন্তব্য করেও সেটা জানিয়েছেন।
১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:১৭
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে।
২৮| ১২ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৭
ফেনিক্স বলেছেন:
নকীব সাহবের চিন্তাধারা মোল্লা শফির মতো; ব্লগার হত্যায় মোল্লা শফির লোকজন ছিলো।
১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:৩৭
নতুন নকিব বলেছেন:
ফেনিক্স, আপনার মত প্রকাশের অধিকার স্বীকার করছি, কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রমণ আর ভিত্তিহীন অভিযোগ ধর্মীয় ও ব্যক্তিগত সম্মানের পরিপন্থী। আল্লামা আহমাদ শফি সাহেবের নামে যেসব কথা বলা হচ্ছে, তা প্রমাণ ছাড়া ছড়ানো অপপ্রচার ছাড়া কিছু নয়। ধর্ম বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে এমন বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য শুধু বিভ্রান্তি ও বিভেদ সৃষ্টি করে। আপনি যদি সত্যিকার বিচার চান, তবে তথ্য ও প্রমাণ ভিত্তিক সংলাপে আসুন, নাহলে এ ধরনের অপপ্রচার নৈতিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিতে অসমর্থনীয়।
২৯| ১২ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০০
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
দেখেন!!! আপনারা যা ভাল মনে করেন!
১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:৪০
নতুন নকিব বলেছেন:
@ফেনিক্স,
আপনার প্রিয় নেত্রীর অসাধারণ অভিনয়ের এই দৃশ্য ভালো করে দেখে নেন। আমি নিশ্চিত, আপনার চোখ জুড়িয়ে যাবে।
৩০| ১২ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০২
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:
দেখেন!!! আপনারা যা ভাল মনে করেন!!!
১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩
নতুন নকিব বলেছেন:
উহার হাতে ওটা কী? পার্স/ মানিব্যাগ, না কি মোবাইল ফোন?
মনে হচ্ছে, পার্স/ মানিব্যাগ খুলছেন তার ভেতর থেকে টাকা বা অন্য কিছু বের করার উদ্দেশ্যে।
৩১| ১২ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৭
ফেনিক্স বলেছেন:
@দফাদার,
শাপলা চত্বরে মাদ্রাসার ছাত্রদের রেখে, মোল্লা শফি টাকার প্যাকেট নিয়ে হেলিক্টারে চিটাগণ চলে গিয়েছিলো।
আপনি শেখ হাসিনার ছবি দিচ্ছেন; কিন্তু নিজের ইন্দোনেশিয়ান স্ত্রীর কথা আর লিখেন না; থাইল্যান্ডের কানাগলিতে ঘুরেন কেন?
১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:৪৫
নতুন নকিব বলেছেন:
ফেনিক্স, আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ। ইতিহাস ও ব্যক্তিগত জীবনের ব্যাপারে আলোচনা হলে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে হওয়া উচিত। তবে ব্যক্তিগত আক্রমণ ও অবমাননা সমাধানের পথ নয়। আলাপচারিতায় শালীনতা বজায় রাখা সকলের জন্যই শ্রেয়।
৩২| ১২ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:০৮
শায়মা বলেছেন: এই রে গেছি!!!!!!!!
সবাই সাবধান!!!!!! একজন জ্বীন আমাকে বলে গেলো সবার আগে কুতুব ভাইয়াকে ধরবে আর তার পরেই ফেনিক্স ভাইয়াকে..... নতুব নকীব ভাইয়ু আল আমাল আদলেল কুটনাবুড়া চুয়াত্তর ভাইয়ুদেরকে ধরবেই না..... ধরবেই না!!!!!!!
আর এই যে সোলাইমান Sulaiman hossain ভাইয়াজান আপনাকে ধরবে কিনা জ্বীন ভূতেরা কিন্তু চিন্তা ভাবনা কত্তেসেেেে !!!!!!!!
১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:৪৮
নতুন নকিব বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ, তোমার রসিকতা ও মজার কথা পড়তে বেশ ভালো লাগলো! জ্বীন-ভূতের কথায় সবাই সাবধান থাকলেই ভালো, আর আমাদের বন্ধুত্ব আর আলোচনা যেন এসব গল্পের থেকেও শক্তিশালী হয়। এমন হাসিখুশিই থেকো সবসময়!
৩৩| ১২ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:২৯
মিরোরডডল বলেছেন:
কামালের প্রশ্ন ছিলো
লম্পট অর্থ কি।তার লাম্পট্টের প্রমান যদি আপনার কাছে না থাকে হবে ইসলামের আলোকে আপনার কি সাজা হতে পারে।দয়া করে সেটাও বলবেন।
নকিবের উত্তর
যে ব্যক্তি কুরআনের সূরাকে বিভ্রান্তিমূলক বলে, কুরআনের বিপক্ষে নিজের অবস্থানকে স্পষ্ট করে স্বয়ং কুরআনই তাকে "অজ্ঞাতকুলশীল" বলেছে। দেখুন সূরা ক্কলম এর ১০-১৩ নং আয়াত।
"অজ্ঞাতকুলশীল" এর ব্যাখ্যা করে দিতে হলে জানাবেন।
নকিবের কাছে আমার প্রশ্ন, অজ্ঞাতকুলশীল আর লম্পট কি এক?
দুটো কমপ্লিটলি ভিন্ন শব্দ, ভিন্ন অর্থ।
নকিব পোষ্ট লিখেছে লম্পট নিয়ে, কামালের প্রশ্নটাও ছিলো লম্পট নিয়ে।
তাহলে উত্তরে অজ্ঞাতকুলশীল নিয়ে রেফারেন্স কেনো?
একজন নন-বিলিভার যদি কোন ধর্ম নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে, তাহলে কি তাকে লম্পট বলা যায়?
If yes, can you please explain why.
Before that, you must know the meaning please.
১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:১৫
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ মিরোরডডল, আপনি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল প্রশ্ন তুলেছেন।
আপনার পর্যবেক্ষণ যথার্থ—“লম্পট” এবং “অজ্ঞাতকুলশীল” শব্দ দুটির অর্থ ও প্রয়োগে ভিন্নতা রয়েছে।
লম্পট বলতে বোঝায়: নৈতিকভাবে অবক্ষয়গ্রস্ত ব্যক্তি, যিনি যৌনাচার বা চরিত্রগত বেহায়াপনায় লিপ্ত।
অজ্ঞাতকুলশীল বলতে বোঝায়: যার পিতৃপরিচয় বা বংশপরিচয় স্পষ্ট নয়, অথবা যিনি সমাজে সেই অর্থে বংশগতভাবে স্বীকৃত নন। তবে এই শব্দটির অর্থ নির্ভর করে প্রসঙ্গের ওপর, এবং অনেক সময় এটি চরিত্রগত দুর্বলতাকেও নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়।
আমার পূর্বোক্ত বক্তব্যে সূরা আল-ক্বলম (৬৮:১০–১৩) এর যে আয়াতগুলোর উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে, সেগুলো একজন বিশেষ ব্যক্তি সম্পর্কে নাজিল হয়েছিলেন, যিনি ছিলেন কঠোর, অপবাদদাতা ও কুরআনের বিরোধী। “অজ্ঞাতকুলশীল” (زنيم) শব্দটি এখানে তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও সমাজে তাঁর পরিচিতি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে—শুধু বংশগত কারণে নয়।
আপনার প্রশ্নের সরাসরি উত্তর:
না, শুধু ধর্মীয় সমালোচনা বা দ্বিমত পোষণ করার জন্য কাউকে "লম্পট" বলা উচিত নয়।
বিশেষ করে যখন সমালোচনা ব্যাক্তিগত চরিত্র নয়, মতবাদ বা ব্যাখ্যাগত পর্যায়ে থাকে।
তবে, যদি কেউ বারবার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইসলাম, নবী, কুরআন, হাদীস ইত্যাদিকে কটাক্ষ, বিকৃতি ও অবমাননা করে, এবং এর পেছনে ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক অভিপ্রায় থাকে, তখন তা শালীন মতভেদ নয় বরং একটি অপসংস্কৃতিমূলক আচরণ হিসেবে গণ্য হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাকে "চরিত্রহীন", "অশালীন", "নৈতিকভাবে পতিত", কিংবা, "লম্পট" বলা অনুচিত বলা যায় না।
তবে শব্দ ব্যবহারে সতর্কতা জরুরি। আলোচনা যেন যুক্তি, প্রজ্ঞা ও সম্মানজনক ভাষায় হয়—এটাই কুরআনের নির্দেশ (সূরা নাহল ১৬:১২৫)।
আপনার যুক্তিনিষ্ঠ প্রশ্ন ও বিশ্লেষণের জন্য আবারও আন্তরিক ধন্যবাদ। আলোচনা যেন সর্বদা মর্যাদা ও সৌজন্য বজায় রেখে এগোয়—এটাই প্রত্যাশিত।
৩৪| ১২ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:৪১
মেঠোপথ২৩ বলেছেন: যাক দফাদার সাহেবের ছবির কল্যানে আমরা জানতে পারলাম যে , শাপলা চত্বরে মাদ্রাসার ছাত্রদের রেখে, কওমী জননীর থেকে মোল্লা শফি টাকার প্যাকেট (ছবিতে ব্রাউন প্যকেট) নিয়ে হেলিক্টারে চিটাগণ চলে গিয়েছিলো। জনাব ডটডট মাঝে মাঝে মুখ ফসকে সত্য কথা বলে ফেলেন
১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:১৭
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ মেঠোপথ২৩। ইতিহাস ও সত্যকে বুঝতে চোখ-কান খোলা রাখা প্রয়োজন। মতামত প্রকাশের জন্য কৃতজ্ঞতা।
৩৫| ১২ ই জুন, ২০২৫ রাত ১১:০৪
অপলক বলেছেন: @নতুন নকিব: আমি খুব বিষ্মিত হলাম, মন্তব্যের ঘরে প্রশ্লের বিপরীতে সুন্দর- অসাধারণ প্রত্যুত্তর দেখে। জ্ঞান আর ধৈর্য্যের গভীরতা এভাবেই প্রকাশ পায়।
আমি বেকুবদের ব্লগে লিখি, "দারুন বলেছেন/লিখেছেন", নয়ত শেখার জন্যে আলোচনা সমালোচনায় জড়িয়ে পরি। এখানে দেখলাম, যথেষ্ট হয়েছে এবং সত্যিকার অর্থে প্রশংসা পাবার যোগ্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:২১
নতুন নকিব বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার আন্তরিক মন্তব্য ও মূল্যায়ন অনুপ্রেরণাদায়ক। আপনি যেভাবে খোলামেলা শেখার মানসিকতা ও যুক্তিনিষ্ঠ আলোচনার পরিবেশকে গুরুত্ব দেন, তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। শুভকামনা রইল।
৩৬| ১২ ই জুন, ২০২৫ রাত ১১:৫২
মিরোরডডল বলেছেন:
এই পোষ্টে ১৩নং মন্তব্যে নকিবকে কিছু প্রশ্ন করেছিলাম।
উত্তরে নকিব বলেছে কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না।
এই শিরোনামে নকিব একটা পোষ্টও দিয়েছিলো আগে।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, জানেই যদি কয়লা ধুলে ময়লা যায়না, তাহলে এ জগতে এতোকিছু থাকতে নকিব কেনো শুধু কয়লা ধোয়া নিয়েই ব্যস্ত থাকে? আর কিছু নেই ধোয়ার?
can you please move on with something else.
আমরা যতই প্রত্যাশা রাখি না কেন, হেদায়েত হয়তো সবার জন্য নয়।
কিছু মনে করবে না, একটা কথা বলি।
এই যে সেদিন নকিব শয়তান নিয়ে এক পোষ্ট দিলো, আমি বলবো শয়তান আছে আর সেটা নকিবের মাঝে ভর করেছে।
গত দশ মাস ধরে নকিব একের পর এক পোষ্ট দিয়ে যাচ্ছে কোন একজন ব্লগারকে নিয়ে, তার সমালোচনা করে, কটাক্ষ করে, অন্যদের কাছে তার নামে নালিশ করে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিছুদিন আগে হঠাৎ করেই নকিবের আত্ম-উপলব্ধি থেকে তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে, তার প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে এক পোষ্ট। এতো প্রেম! তখনই আমি বলেছি something must be wrong.
Now look at you.
আবার গত দুদিন ধরে বলছে রগচটা বুড়া শয়তান, আজকে বলছে লম্পট।
নকিবের মন অস্থির। একেক সময় একেক আচরণ করছে, নিজের ওপর কন্ট্রোল নেই।
ধর্মকর্মে মন নেই, অপরের ভুল ধরতেই ব্যস্ত।
এ সবই শয়তানের খেলা নকিব
মানুষকে হেদায়েত না করে, সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করবে নিজের হেদায়েতের জন্য।
মন যেন শান্ত হয়, নন-বিলিভারের আচরণ নিয়ে বিচলিত না হয়ে, নিজে মন দিয়ে যেন প্র্যাকটিস করতে পারে এই দোয়া করবে।
কেমন?
খেলাঘর নিজেই বলে সে মুসলিম পরিবারে জন্ম, মুসলিম কমিউনিটি থেকে অনেক সময় নামাজেও যায় অকেশনালি কিন্তু তার ধর্মে বিশ্বাস নেই। যে নিজে বলছে সে আবার ভণ্ড হয় কি করে! আমিতো বলবো সে ব্লগের অনেক ভণ্ড ধার্মিকদের চেয়ে অনেক বেশি সৎ।
ধর্ম অবমাননায় লিপ্ত এ ধরনের বিদ্বেষপ্রসূত লেখককে ব্লগনীতিমালার আওতায় এনে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন
তাই?
নকিব এতো ইসলাম জানে আর এটা জানে না, যে বা যারা ধর্ম নিয়ে বা প্রফেট নিয়ে নেগেটিভ মন্তব্য করে তাদের সাথে আর্গুমেন্টে যেতে হয়না। যত বেশি করবে, তত বেশি সুযোগ দেয়া হয় নেগেটিভ কমেন্ট করার। অবমাননা করার দায়ভার কিছুটা নকিবের ওপরেও আসে তখন।
এ ব্লগে এমন অনেক ধার্মিক ব্লগার আছে, যাদের প্রতি আমাদের সবার শ্রদ্ধা আছে। আলী ভাই তাদের একজন।
খেলাঘরসহ আরও কিছু ব্লগার যারা নন-বিলিভার, তাদের সাথে সেইসব ধর্মপ্রাণ ব্লগারদের কোন কনফ্লিক্ট নেই।
কেনো?
কারণ তারা ব্লগে ধর্মপ্রচার করে না, বা ধর্ম নিয়ে নন-বিলিভারদের সাথে অহেতুক আর্গুমেন্টে গিয়ে নিজ ধর্মকে অবমাননা করে অন্যকে কথা বলার সুযোগ করে দেয়না।
Religion is based on faith and practice. If you are a believer, then just keep practicing.
You have many flaws. You are not ready to preach to others.
So, please focus on your work and try to correct yourself first.
It will be good for you.
নো মোর কয়লা ধোয়াধুয়ি, ওকে?
ভালো থাকবে নকিব।
১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:২৬
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ মিরোরডডল, আপনি সময় নিয়ে যে দীর্ঘ ও ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণভিত্তিক মন্তব্য করেছেন, তার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। আপনার বক্তব্যের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই কিছু বিষয় স্পষ্ট করা প্রয়োজন:
১. "কয়লা ধোয়া" — এটি একটি রূপক, যা ব্যবহার করা হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে, যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সত্য এড়িয়ে কুরআন-হাদিসকে ব্যঙ্গ ও অবজ্ঞা করে। আপনি হয়তো সেটাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ ভেবে আক্ষেপ করেছেন, কিন্তু এটি একজন নির্দিষ্ট নাস্তিক ব্লগারের দীর্ঘমেয়াদী ইসলাম-বিদ্বেষী বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া।
২. "শয়তান ভর করেছে" — আপনি যেভাবে এই বাক্য লিখেছেন, তাতে আপনি নিজেই একজনকে উদ্দেশ্য করে এমন কিছু বলছেন, যা আপনি অন্যের কাছ থেকে প্রত্যাশা করেন না। আপনি আলোচনায় ভারসাম্য আনতে চেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু ভাষার সীমালঙ্ঘন করে ফেলেছেন—এটা কি আপনি নিজেও লক্ষ্য করেছেন?
৩. “ধর্ম প্রচার” না করে “চুপ থাকুন” বলা — এটা সেই ক্লাসিক নীতিবাক্য যা কেবল ধার্মিকদের মুখ বন্ধ রাখতে ব্যবহার করা হয়। অথচ নাস্তিক ব্লগারদের ধারাবাহিক ইসলামবিরোধী পোস্টকে তখন “মতপ্রকাশের স্বাধীনতা” বলা হয়। এই দ্বিমুখী নীতি কি ন্যায্য?
৪. আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ ও আচরণগত মূল্যায়ন — আপনি যে যুক্তি তুলে ধরেছেন, তা মূলত "যিনি ইসলাম নিয়ে কথা বলেন, তার উচিত নিখুঁত চরিত্রবান হওয়া"—এটা একধরনের অতিমাত্রার শর্তারোপ। একজন মুসলিম তার সীমাবদ্ধতা নিয়ে দ্বীন চর্চা করতেই পারে, তা নিয়ে আপনার এমন ভাষ্য অপ্রয়োজনীয় এবং বিতর্কিত।
৫. "No more কয়লা ধোয়াধুয়ি" — এই তাচ্ছিল্যপূর্ণ বিদ্রূপের মধ্যেই আপনি নিজেই বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন। আমি বা অন্য কেউ কাউকে কয়লা বলেনি, বরং কুরআনের বর্ণনায় যারা ইচ্ছাকৃত সত্য অস্বীকার করে, তাদের ব্যাপারে শক্ত ভাষায় বলা হয়েছে—তা শুধু ধর্মের পক্ষে অবস্থান থেকেই।
সবশেষে বলবো, কেউ যদি ধারাবাহিকভাবে ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ায়, কুরআন-হাদীসকে বিকৃত করে উপস্থাপন করে, প্রিয় নবীকে কটাক্ষ করে, তবে একজন বিশ্বাসী হিসেবে সেটার জবাব দেওয়া অপরাধ নয়, দায়িত্ব।
আপনি ভিন্নমত পোষণ করতেই পারেন। কিন্তু সেটাকে উপহাস, ব্যঙ্গ কিংবা একতরফা মূল্যায়নে রূপ দিলে, আপনার নিজের যুক্তির ভার নষ্ট হয়।
ধন্যবাদ, আপনি ভালো থাকুন।
৩৭| ১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ১২:১৮
ফেনিক্স বলেছেন:
@মিরোরডডল ,
আমি পাকিস্তানের সময়, পাকীদের সাথে পড়ালেখা করেছি; ওরা ভন্ড ছিলো। ওরা চলে গেছে, কিন্তু বাংলাদেশে ওদের মতো লোকজন রেখে গেছে। নবীব ইউনিভার্সিটি গ্রেজুয়েট, কিন্তু এরা আধুনিক বিশ্বের চোঁয়া পায়নি।
১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৩০
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ ফেনিক্স, আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য। তবে এটাও বলবো, জাতি বা দেশের নাম দিয়ে কাউকে সামগ্রিকভাবে ‘ভণ্ড’ বা অবিশ্বাসী বলা অতিমাত্রায় সাধারণীকরণ এবং অন্যায়। এমন দৃষ্টিভঙ্গি শুধু বিভাজন সৃষ্টি করে, যা আজকের বিশ্বে অগ্রগতি ও শান্তির পথে অন্তরায়।
নবীর (সাঃ) শিক্ষা ছিলো সমবেদনা, মৈত্রী আর ন্যায়বিচার—কোনো জাতি কিংবা গোষ্ঠীর প্রতি অবজ্ঞা নয়। আধুনিক বিশ্বের চোঁয়া পাওয়া বা না পাওয়ার বিচার এককভাবে শিক্ষা কিংবা জাতীয় পরিচয়ের উপর সীমাবদ্ধ নয়, বরং চিন্তা-চেতনা ও সহনশীলতার বিষয়।
আপনার মতামত গ্রহণযোগ্য, কিন্তু দয়া করে বিবেক ও মানবতা মাথায় রেখে কথা বলুন। এমন সাধারণীকরণ কখনো কারও উন্নতি আনে না।
আবারও ধন্যবাদ।
৩৮| ১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ১২:৩৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআন অবমাননাকারীর পক্ষে শক্ত হাতে ব্যাট করতে নেমেছে মিরোরডডল। যে ব্যক্তি একদিকে নামাজ পড়ে আবার আরেক দিকে কোরআনের আয়াতকে বলে বিভ্রান্তিকর সেই ব্যক্তি আসলে ভণ্ড ছাড়া আর কিছু না। সেই ভণ্ডের পক্ষে আছে মিরোরডডল। সাবাশ।
১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৪২
নতুন নকিব বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ, আপনার স্পষ্ট ও দৃঢ় মতামতের জন্য। আমি বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেছি যাতে ভদ্রলোকের ভিতরে পরিবর্তন আসে এবং তিনি শালীনভাবে নিজের মতামত প্রকাশ করার প্রতি মনযোগী হন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, তিনি ধারাবাহিকভাবে কুরআন, হাদিস ও ইসলাম সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করে চলেছেন। যদিও মিররডডডলদের চোখে তার এসব আচরণ অমুল্যায়িত থেকে যাবে। বিষয়টা সত্যিই আশ্চর্যজনক। আবারো ধন্যবাদ। সত্যি বলতে মানব চরিত্র বোঝা পৃথিবীর অন্যতম কঠিন কাজ।
৩৯| ১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ১:০৩
আরোগ্য বলেছেন:
লোকে যা বলে, তাতে তুমি ধৈর্য ধারণ কর এবং সৌজন্যে সহকারে এদেরকে পরিহার করে চল।
—আল মুয্যাম্মিল - ১০
১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৪৩
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে, খুব সুন্দর ও প্রজ্ঞাপূর্ণ উপদেশ স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য। ধৈর্য আর সৌজন্যই হলো শক্তির আসল পরিচয়। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সেই ধৈর্য ও সহনশীলতা দান করুন, আমিন।
৪০| ১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ১:১৩
মামুinসামু বলেছেন: মুসলিম কমিউনিটি থেকে অনেক সময় নামাজেও যায় অকেশনালি কিন্তু তার ধর্মে বিশ্বাস নেই..... ??????????????????????????????????????????????? Seriously!!!!?!?!?!?!?!
১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৪৮
নতুন নকিব বলেছেন:
হাহা, ধন্যবাদ মামুinসামু! এটাই তো মজার ব্যাপার — নামাজে যায় কিন্তু বিশ্বাসে হেরফের! অদ্ভুত ব্যাপার সত্যিই, ঈমানের এমনই ফ্যান্সি স্টাইল! চমৎকারভাবে একটি নির্ভেজাল মুনাফিকের পরিচয় তুলে ধরার জন্য মিররডডলকে আরেকবার ধন্যবাদ দিতেই হয়!
৪১| ১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ২:১২
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আল্লাহ পাক বলিয়াছেন- তোমরা ধর্ম নিয়ে ক্যাচাল করিও না।
১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৫০
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ জ্যাক স্মিথ, তবে কুরআনে এমন সরাসরি শব্দে “ধর্ম নিয়ে ক্যাচাল করিও না” বলা হয়নি। বরং বলা হয়েছে—
“ডাক তোমার প্রভুর পথে প্রজ্ঞা ও উত্তম উপদেশের মাধ্যমে। আর তাদের সাথে বিতর্ক করো উত্তম পন্থায়।” —সূরা নাহল: ১২৫
সুতরাং, সত্যের পক্ষে যুক্তি ও সৌজন্য বজায় রেখে অবস্থান নেওয়াই কুরআনের নির্দেশ। অন্যায়ের সামনে চুপ করে থাকাটা কখনোই ইসলাম সমর্থন করে না। কাজেই ধর্ম অবমাননায় নীরবতা নয়, বরং প্রজ্ঞাসম্পন্ন জবাবই প্রকৃত দায়িত্বশীলতার পরিচয়।
৪২| ১৩ ই জুন, ২০২৫ ভোর ৪:৪৮
পারস্যের রাজপুত্র বলেছেন: কিছু লোক এখানে ক্যাচাল করছে। অগ্নিবাবা নামে একজন দেখলাম এখানে বা অন্যকোথাও শয়তানের পক্ষে আরগুমেন্ট দাড় করাচ্ছে। আবার কুরআনে পাকের আয়াত দিয়ে আরগুমেন্ট করছে।
এর মধ্যে একটা আরগুমেন্ট হল, আল্লাহ তায়ালা যাকে ইচ্ছা বেহেশতে দিবেন - যাকে ইচ্ছা দোজখে দিবেন। কাজেই ফ্রি-উইল বলে কোন কিছু থাকল না।
আল্লাহ তায়ালা এবং সৃষ্টি সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় এইভাবে ব্যখ্যা করে কিছু লোক ফালতু নুইসেন্স তৈরী করছে।
আয়াতুল কুরসির ভিতরে একটা অংশ আছে "ইয়ালামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম"। তিনি জানেন মানুষের অতীত (পেছনে যা আছে), বর্তমান ও ভবিষ্যৎ (সামনে যা আছে)।
এই আয়াতের মর্মার্থ হল আল্লাহ তায়ালার উপরে সময় অতিবাহিত হয় না। "সময়" - আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি। তাঁর কাছে অতীত, বর্তমান বা ভবিষ্যত সব একই রকম।
আশআরি-মাতুরিদি-তাহাবি আকিদার কিতাব গুলি ঘাটলে এই কথার স্বপক্ষে অনেক রেফারেন্স পাবেন। ওয়াহাবি-নজদি-ছালাফি এবং কোন কোন ক্ষেত্রে জামাতি ইসলামি ঘরানার লোকজন (যেইগুলিকে আমি বলি ফ্রিম্যাসনিক সাবসিসটেম, কেন সেইটা বলতে গেলে বিরাট ইতিহাস টানতে হবে) এই আকিদা স্বীকার করে না। মুসলিম যুবকদের গনহারে নাস্তিক হওয়ার পিছনে এই ফালতু এবং গোমরাহ গ্রুপগুলি দায়ী।
স্থান এবং কাল (Space & Time) আল্লাহ তায়ালার সৃষ্ট বস্তু।
আমার আপনার কাছে যেইটা ভবিষ্যত। সেইটা আল্লাহ তায়ালার কাছে অলরেডি জানা হয়ে গেছে। কাজেই আল্লাহ তায়ালা যখন বলেন আল্লাহ তায়ালা যাকে ইচ্ছা বেহেশতে দিবেন - যাকে ইচ্ছা দোজখে দিবেন, সেইটা অলরেডি নিয়তের পরীক্ষা হয়ে গেছে এবং রেজাল্টের উপরে কথা হচ্ছে।
এই কথার সাথে ফ্রি-উইল কন্ট্রাডিকটরি না।
শয়তানের কাজ হল যুক্তি দিয়ে বিভ্রান্ত করা। সেইটা শয়তান সারা জীবন ধরে করে আসছে এবং তার অনুসারি, ভক্তরাও করে আসছে।
শয়তান মহাবিশ্ব সৃস্টি করে নাই, আল্লাহ তায়ালা করেছেন।
শয়তান নিজেকেও সৃস্টি করে নাই, আল্লাহ তায়ালা করেছেন।
জ্বিন জাতির মধ্যে সবচেয়ে প্রিভিলেজ পাওয়া এই আহম্মক এইটা দেখলনা যে আদম (আঃ) কে সিজদার হুকুম কে দিয়েছেন। তার কাছে তার ভুয়া যুক্তি - "আগুন মাটি হতে শ্রেষ্ঠ" পছন্দনীয় হল। অথচ এই বেকুব না আগুনের স্রষ্টা না মাটির স্রষ্টা।
আল্লাহ তায়ালা আপনাকে আমাকে সঠিক বুঝ দান করুন।
১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৫২
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ পারস্যের রাজপুত্র, আপনার বিশ্লেষণমূলক মন্তব্য ও প্রাঞ্জল ব্যাখ্যার জন্য।
আপনি যথার্থভাবে তুলে ধরেছেন—আল্লাহর “ইরাদা” (ইচ্ছা) এবং মানুষের “ইখতিয়ার” (স্বাধীন ইচ্ছা) একে অপরের পরিপন্থী নয় বরং, একে অপরের পরিপূরক একটি ধারায় চলে। যিনি সময়ের ঊর্ধ্বে, যাঁর জ্ঞান সর্বজনব্যাপী, তিনি অতীত-ভবিষ্যতের সীমারেখার বাইরে। সুতরাং তিনি কার পরিণতি কোথায় হবে তা জানেন, তবে সেই পরিণতির কারণ নির্ধারিত হয় মানুষ নিজের কাজ দ্বারা। এখানে তাঁর জ্ঞান পূর্বনির্ধারণ নয়—জ্ঞান স্বরূপ।
আপনি সঠিকভাবেই লক্ষ্য করেছেন, কিছু বিভ্রান্তিকর মতাদর্শ ইসলামের গভীর আকীদাগত কাঠামোকে অস্বীকার করে তরুণদের মাঝে সংশয়ের বীজ বপন করছে। আজকের এই জ্ঞানের যুগে আকীদার সঠিক চর্চা এবং যুক্তির ভাষায় তা উপস্থাপন না করলে, মুসলিম সমাজের ভবিষ্যৎ দুর্বল হয়ে পড়বে। আপনার মতো কেউ কেউ সামনে না এলে সেই কাজ অসম্পূর্ণই থেকে যেত।
আর যারা "আল্লাহ যাকে চান হিদায়াত দেন, যাকে চান ভ্রান্ত করেন" আয়াত তুলে ফ্রি-উইল অস্বীকার করতে চায়, তারা কেবল আংশিক পাঠ করে সিদ্ধান্ত টানে। আল্লাহ আরও বলেছেন:
“যারা সৎপথ গ্রহণ করে, আল্লাহ তাদের সৎপথে আরও অগ্রসর করেন এবং তাদেরকে তাদের কর্তব্যবোধ দান করেন।” —সূরা মুহাম্মাদ: ১৭
অতএব, যারা হিদায়াত চায়, আল্লাহ তাদের পথ খুলে দেন। যারা ইচ্ছাকৃত বিদ্বেষ পোষণ করে, আল্লাহ তাদের ছেড়ে দেন তাদের পথেই।
আপনার যুক্তিপূর্ণ, আকীদাভিত্তিক অবস্থান প্রশংসনীয়। আমরা আপনার দোয়ার সাথে একমত—আল্লাহ তায়ালা আমাদের সঠিক বুঝ, দৃঢ় ঈমান এবং ফিতনার যুগে সত্যে অবিচল থাকার তাওফিক দান করুন।
আল্লাহ আপনার কলমকে বরকত দান করুন।
৪৩| ১৩ ই জুন, ২০২৫ ভোর ৫:০৪
পারস্যের রাজপুত্র বলেছেন: এখানে "আমি তাদের জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি" - এই কথার মানে এটা নয় যে, আল্লাহ জোর করে কাউকে জাহান্নামে পাঠান। বরং এর মানে হলো, আল্লাহ জানেন কে কী করবে এবং তিনি তার উপর সেই অনুযায়ী কাজ করার সুযোগ ও পথ সহজ করে দিয়েছেন। অর্থাৎ এটি পূর্বজ্ঞান (علم سابق) ও ব্যবস্থাপনার বিষয়।
মানুষ নিজে ভালো বা মন্দ কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়, এবং আল্লাহ তার ইচ্ছানুযায়ী তাকে সেই পথে চলতে দেন। আল্লাহ কারো উপর অন্যায় করেন না। বরং, যিনি নিজে জাহান্নামের পথ বেছে নেন, আল্লাহ তাকে সেই পথেই চলতে দেন।
মানুষ রোবট বা বাধ্যতামূলকভাবে কোনো কাজ করে না। বরং আল্লাহ তার পূর্বজ্ঞান অনুযায়ী জানেন যে, কে কী পছন্দ করবে ও কী করবে। মানুষ স্বাধীন, তবে তার ভবিষ্যত সিদ্ধান্ত আল্লাহর জ্ঞানের আওতায়।
বান্দা যখন নেক হওয়ার চেষ্টায় থাকে, তখন তিনি তার জন্য তওবা, ইবাদত, নেক কাজ করার রাস্তা সহজ করে দেন। আবার কেউ নিজের খারাপ নফস ও পাপের দিকে ধাবিত হলে, আল্লাহ তার জন্য সেই পথই সহজ করে দেন।
মানুষের ফ্রি-উইল এর দায়, মানুষের ঘাড়েই থাকে। এবং আল্লাহ তায়ালা অতীত বর্তমান ভবিষ্যত সব জানেন।
১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৫৫
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ পারস্যের রাজপুত্র, আপনাকে আবারো আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও সাধুবাদ জানাতে চাই এমন গভীর ও যুক্তিসম্মত ব্যাখ্যার জন্য।
আপনার মন্তব্যের প্রতিটি বাক্যই তথ্যনির্ভর এবং আক্বীদাহর মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়ানো — যা আজকের বিভ্রান্তিময় আলোচনার ভেতরে এক টুকরো স্বচ্ছতার বাতি। আপনি অত্যন্ত সুচিন্তিতভাবে ব্যাখ্যা করেছেন—
“আমি তাদের জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি” — এ আয়াতের তাৎপর্য জোরপূর্বক ফয়সালা নয়, বরং আল্লাহর পূর্বজ্ঞান এবং সৃষ্টির স্বেচ্ছাচারিতার ব্যবস্থাপনা।
মানুষ যেমন ইচ্ছা করে, সেই ইচ্ছার দরজাই আল্লাহ খুলে দেন — ভালো চাইলে ভালো পথ, খারাপ চাইলে শয়তানের রাস্তা।
এখানে যারা ফ্রি-উইল অস্বীকার করে, তারা একদিকে আল্লাহর ‘আলিমুল গাইব’ হওয়ার গুণ অস্বীকার করে, অন্যদিকে নিজের পাপকে ‘বিধি’ বলে চালিয়ে দিতে চায়। অথচ সূরা কাহফে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে:
“যে চায়, সে ঈমান আনুক, আর যে চায়, সে কুফরি করুক।” (সূরা কাহফ ১৮:২৯)
এ আয়াতই যথেষ্ট প্রমাণ যে, নির্বাচন মানুষের এবং জবাবদিহিতাও তার।
আপনার কথা আরও একবার স্মরণ করিয়ে দেয় যে—আল্লাহ কাউকে ‘বাধ্য’ করেন না, তবে তিনি ‘জানেন’ কারা নিজের ইচ্ছায় কোন পথে যাবে। জ্ঞান আর ইচ্ছা এক জিনিস নয়—এটা যে না বোঝে, তারা শুধু বিভ্রান্ত নয়, অন্যকেও বিভ্রান্ত করার জন্য যুক্তির মুখোশ পরে আসে।
আপনার মতো চিন্তাশীল ও প্রজ্ঞাবান ভাইয়ের সরব অবস্থান এই সময়ের জন্য একান্ত প্রয়োজন। যারা সত্য বুঝতে চায়, আপনার যুক্তি তাদের হৃদয়ে গেঁথে যাবে ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ আমাদের অন্তরকে হিদায়াতে সুদৃঢ় রাখুন এবং দ্বীন সম্পর্কে সঠিক বুঝ ও মেহেরবানি দান করুন।
আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন।
জাযাকাল্লাহু খাইরান।
৪৪| ১৩ ই জুন, ২০২৫ ভোর ৬:০৯
অগ্নিবাবা বলেছেন: রাজা মহারাজাকে রসাতলে পাঠিয়েছি? একখন রাজপুত্তুর এসে হাজির হয়েছে।
আমি কোনো আরগুমেন্ট দাড় করাই না, নিজের থেকে কোনো ব্যাখ্যা ট্যাক্ষা করি না, আমার ব্যাখ্যার দুই টাকা দাম নাই।
আমি কোরান হাদিস সিরাতে যা লেখা আছে, যা ব্যাখ্যা করা আছে, হুবহু বাংলাতে তাই কপি পেস্ট করি।
আপনারাই মনে করেন এইগুলো মানুষ জানলে ছিঃ ছিঃ করবে তাই ইসলামের লুঙ্গি বাঁচাইতে ত্যানা প্যাচান।
আবারো বলি ইসলামী আকিদায় মানুষের কোনো ফ্রী উইল নাই। আমি চাইলেও নিজের থেকে হেদায়েত পাবো না,
কারন আল্লাহ আমার দিলে মোহোর মেরে রেখেছে।
১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৫৯
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ অগ্নিবাবা, নিজের অবস্থান সরলভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
আপনি বললেন—“আমি কোনো আরগুমেন্ট দাড় করাই না, হুবহু কপি পেস্ট করি”—এই নিরপেক্ষতার ভানটাই আসলে একধরনের পক্ষপাত। কেননা, প্রেক্ষিতহীনভাবে আয়াত-হাদীস কপি-পেস্ট করা আর তাফসির বা প্রসঙ্গ বুঝে তুলে ধরা এক জিনিস নয়। ইসলামী জ্ঞানের সৌন্দর্য হলো, তা একত্রে প্রজ্ঞা, প্রসঙ্গ ও পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্লেষণ করে বোঝা—শুধু টেক্সট বোমা ফেলে নয়।
আপনার বলা “ফ্রী উইল নাই”—এটা সরাসরি কুরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান। সূরা ইনসান (৭৬:৩) এ আল্লাহ বলেন:
“আমি মানুষকে পথ দেখিয়ে দিয়েছি—সে হয় কৃতজ্ঞ হবে, নয় অকৃতজ্ঞ।”
এ আয়াত কি মানুষের ইচ্ছা ও ফ্রি উইলকেই প্রমাণ করে না?
এমনকি আপনি যে বলছেন, “আল্লাহ আমার দিল মোহর মেরে রেখেছে”, সেটা কুরআনেরই বক্তব্য, ঠিক, তবে তা কার ওপর প্রযোজ্য তা-ও কুরআনেই ব্যাখ্যা করা হয়েছে—যারা নিজের ইচ্ছায় বারবার সত্য প্রত্যাখ্যান করে, তাদের উপর আল্লাহ এই মোহর দেন (সূরা বাকারা ২:৭)।
নিজে থেকে বুঝতে না চাওয়া আর আল্লাহর পক্ষ থেকে হিদায়েত না আসা—এ দুটি আলাদা।
অতএব, যে ব্যক্তি আল্লাহর নিকট সত্য বোঝার জন্য আন্তরিকভাবে পথ চায়, আল্লাহ কখনও তাকে বঞ্চিত করেন না। এটা কুরআনের বহু আয়াতে স্পষ্টভাবে বলা আছে।
আপনার যুক্তি-উপস্থাপনার ধরণ অনেককে বিভ্রান্ত করতে পারে, তাই কৃতজ্ঞতা জানাই অন্তত আপনি খোলাখুলি নিজের অবস্থান জানিয়েছেন।
আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দান করুন, এবং আমাকেও, যেন আমরা আলোচনায় সত্যকে খুঁজে পেতে পারি—বিদ্বেষ বা বিদ্রূপের মাধ্যমে নয়, জ্ঞান ও বিনয়ের মাধ্যমে।
আবারও ধন্যবাদ।
৪৫| ১৩ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১২
পারস্যের রাজপুত্র বলেছেন: @অগ্নিবাবা
হেদায়েত কোন সহজ ইজি কেক না। এর প্রত্যেক স্তরে বড় বড় কুরবানি থাকে। বান্দা যত হিম্মত করে - আল্লাহ তায়ালা তত রাস্তা খুলেন।
মুমিন নিরাশ হয় না। আল্লাহ তায়ালার রাজত্ব অনেক বড় এবং স্থায়ী।
কাফের নিরাশ হয়। শয়তানের রাজত্ব ক্ষুদ্র এবং অস্থায়ী।
১৪ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:২৭
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার কথায় গভীর সত্য আছে। হেদায়াত সহজ নয়—প্রতিটি ধাপে কুরবানি ও হিম্মতের পরীক্ষা। মুমিন আল্লাহর রহমতে ভরসা রাখে, তাই সে কখনো নিরাশ হয় না। শয়তানের ফাঁদ ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু আল্লাহর রাজত্ব চিরস্থায়ী।
৪৬| ১৩ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্লগার অগ্নিবাবাকে জিজ্ঞেস করেন সে ফ্রি উইলের সাহায্যে নিজের হাত দিয়ে কিছু লিখতে পারে কি না বা অন্য কোন কাজ করতে পারে কি না। কে তাকে বাধা দিচ্ছে। কেউ না। এটাই ফ্রি উইল।
১৪ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৩০
নতুন নকিব বলেছেন:
ভালো বলেছেন। ধন্যবাদ।
৪৭| ১৩ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪
পারস্যের রাজপুত্র বলেছেন: অগ্নিবাবা স্বীকার করেছে যে সে কপিপেস্ট করে।
ওয়াহাবি- নজদি- সালাফি ভন্ডদের এপ্রোচ এইটা। ইবলিশ শয়তানের অনুসারি ফ্রি-ম্যাসনদের হাতে তৈরী হওয়া এই সাবসিসটেম গুলোর আর্কিটেক্ট খোদ শয়তান। কোন গভীর অনুসন্ধান নাই, লিটারেল মিনিংএ কুরআন হাদিসের ব্যখ্যা সীমাবদ্ধ রাখা। অথচ খোদ কুরআনে পাকের নির্দেশনা এর ঠিক বিপরীত।
"তারা কি কুরআনের প্রতি গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করে না? নাকি তাদের অন্তরে তালা মারা হয়েছে?" (৪৭:২৪)
এটা একটা আয়রনি, অগ্নিবাবা দাবি করছে তার অন্তরে তালা দেওয়া, আবার সে নজদি সালাফিদের মত কপিপেষ্ট এ্যপ্রোচে চিন্তা করে। এবং এই দুইটা বিষয়ই প্রত্যক্ষ এবং পরেোক্ষ ভাবে উপরের আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে।
১৪ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৩
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার কথায় গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট আছে। কপিপেস্ট করে শুধু লিটারেল ব্যাখা দিলে কুরআনের গভীরতা ধরা যায় না। কুরআন চিন্তা-ভাবনার জন্যই নাজিল হয়েছে (সূরা মুহাম্মদ ৪৭:২৪)। যারা শুধু মুখস্থ বুলি আউড়ে, অথচ হৃদয়ে উপলব্ধি করে না—আসলে তাদের অন্তরেই তালা। ইসলামের প্রকৃত সৌন্দর্য আসে বুঝে, ভাবনায় ডুবে পথ খোঁজার মাধ্যমে—না যে কেবল "ট্যাগলাইন কপি" করে।
৪৮| ১৪ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৪২
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম বড় ক্যাচালে বিষয়। ক্যাচাল আমার পছন্দ না।
১৪ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৫০
নতুন নকিব বলেছেন:
ধর্ম গভীর ও স্পর্শকাতর বিষয়; ক্যাচালের নয়। ধর্মবিদ্বেষীদের জন্যই ধর্ম ক্যাচালের বিষয়। তবে যে ভাবে বলি না কেন, সত্য কখনও কখনও আলোচনার "ক্যাচাল" ছাড়িয়েও উঠে আসে—যদি উদ্দেশ্য হয় সত্য অন্বেষণ, বিতর্ক নয়।
৪৯| ১৪ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৮
নতুন বলেছেন: কোরানের আয়াত যদি কারুর কাছে বিভ্রান্তিকর মনে হয় তবে কি সেটা বলা যাবে না?
একজনের মত প্রকাশের জন্য আপনি তাকে মিথ্য ভাবে লম্পট দাবী করলেন?
১৫ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯
নতুন নকিব বলেছেন:
দুঃখিত! তার কাছে ইসলাম ধর্মের সবকিছুই বিভ্রান্তিকর। তিনি ইসলামকে প্রাচীন বেদুইনদের আচরণ বলে অপপ্রচার চালাচ্ছেন—এটা স্পষ্টতই ইসলামবিদ্বেষ।
কুরআনের কোনো সূরাহ বা আয়াত কারো কাছে বিভ্রান্তিকর মনে হলে সে সম্মানজনকভাবে জানার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করতে পারে।
কিন্তু কোনো ধর্মকে উপহাস বা অপমান করার অধিকার কেবল একজন ধৃষ্ট ও অসভ্য ব্যক্তি ছাড়া আর কারও নেই।
আপনাকে ধন্যবাদ।
৫০| ১৫ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:০৩
নতুন বলেছেন: দুঃখিত! তার কাছে ইসলাম ধর্মের সবকিছুই বিভ্রান্তিকর। তিনি ইসলামকে প্রাচীন বেদুইনদের আচরণ বলে অপপ্রচার চালাচ্ছেন—এটা স্পষ্টতই ইসলামবিদ্বেষ।
যদি কারুর কথা ইসলামের নিয়মকানুন বিভ্রন্তিকর লাগে তবে সেটা বলা কি ইসলামবিদ্বেষ? তার জন্য কি কেউ লম্পট হয়ে যাবে কিনা?
কুরআনের কোনো সূরাহ বা আয়াত কারো কাছে বিভ্রান্তিকর মনে হলে সে সম্মানজনকভাবে জানার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করতে পারে।
কিন্তু কোনো ধর্মকে উপহাস বা অপমান করার অধিকার কেবল একজন ধৃষ্ট ও অসভ্য ব্যক্তি ছাড়া আর কারও নেই।
আপনাকে ধন্যবাদ।
অবশ্যই অপমান করার অধিকার কারুর নাই, একটা লিমিটে থাকা উচিত। ধর্মের বিদ্বেষী হউয়া উচিত না। আমিও ধর্মকে ভুল আইডিয়া মনে করি। কিন্তু কারুর ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করার চেস্টা কখনো করিনা।
কিন্তু আপনি ব্যক্তিগত ভাবে কারুর লম্পট্যের প্রমান না পেয়ে তাকে লম্পট বলার অধিকার আপনার নাই।
১৫ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৪৯
নতুন নকিব বলেছেন:
যদি কারুর কথা ইসলামের নিয়মকানুন বিভ্রন্তিকর লাগে তবে সেটা বলা কি ইসলামবিদ্বেষ? তার জন্য কি কেউ লম্পট হয়ে যাবে কিনা?
-খুবই ভালো প্রশ্ন করেছেন। ধন্যবাদ। যদি কেউ ইসলামের কোনো বিধান বিভ্রান্তিকর মনে করে, তবে তা জানার উদ্দেশ্যে বিনয়ের সঙ্গে প্রশ্ন করা ইসলামবিদ্বেষ নয়। কিন্তু কেউ বারবার ইসলাম নিয়ে উপহাস, অপমান বা বিকৃত ভাষায় বিষোদগার করে, তাহলে সেটা ইসলামবিদ্বেষ। আর এমন অসভ্য আচরণে লিপ্ত কেউ যদি বিকৃত মানসিকতা প্রদর্শন করে, তখন “লম্পট” শব্দ প্রয়োগ প্রসঙ্গভিত্তিক হতেই পারে।
অবশ্যই অপমান করার অধিকার কারুর নাই, একটা লিমিটে থাকা উচিত। ধর্মের বিদ্বেষী হউয়া উচিত না। আমিও ধর্মকে ভুল আইডিয়া মনে করি। কিন্তু কারুর ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত করার চেস্টা কখনো করিনা।
-এটা আপনার একটা বিশেষ গুণ। আর এই জন্যই আপনি অন্য অনেকের চেয়ে আলাদা।
আপনি ব্যক্তিগত ভাবে কারুর লম্পট্যের প্রমান না পেয়ে তাকে লম্পট বলার অধিকার আপনার নাই।
-ঠিক আছে, ব্যক্তিগতভাবে কোনো প্রমাণ ছাড়াই কাউকে “লম্পট” বলা উচিত নয়। কিন্তু তিনি তো হরহামেশা তার লাম্পট্য জাহির করে চলেছেন। তাকে লম্পট বলা হবে না তো কাকে বলবেন?
আরেকটি কথা, লম্পট বলতে আপনি কাকে বুঝেন? বিষয়টি একটু ক্লিয়ার হওয়া দরকার।
আমি চ্যাটজিপিটিকে প্রশ্ন করেছিলাম, "লম্পট কাকে বলে?"
চ্যাটজিপিটি উত্তরে যা বলেছে, তা এখানে বোল্ড আকারে হুবহু তুলে দিলাম-
“লম্পট” বলতে এমন ব্যক্তিকে বোঝায়, যার আচরণ বা মনোভাব অসভ্য, নীচুস্তরের, এবং বিশেষভাবে যৌনভাবে বেহায়াপনা বা বিকৃত কামনার পরিচায়ক। এরা সাধারণত শালীনতার সীমা অতিক্রম করে কথা বলে বা আচরণ করে। এই শব্দটি একটি নৈতিক ও সামাজিকভাবে তীব্র নেতিবাচক অভিধা, যা শুধু উপযুক্ত প্রমাণ বা আচরণগত ভিত্তিতে ব্যবহারযোগ্য।
সংক্ষেপে:
লম্পট = বেহায়া, চরিত্রহীন, বিকৃত মানসিকতার ব্যক্তি, যিনি অশ্লীল বা অনৈতিক আচরণে লিপ্ত।
অতএব, বুঝতেই পারছেন, লম্পট বলতে শুধু বিশেষ শ্রেণির কাউকে বুঝায় - বিষয়টি এমন নয়। বেহায়া, চরিত্রহীন, বিকৃত মানসিকতার অনৈতিক আচরণে লিপ্ত ব্যক্তিও লম্পট অভিধায় ভূষিত হওয়ার যোগ্য। অসভ্যের মত লাজ-লজ্জা, হায়া-শরম বিসর্জন দিয়ে ইসলাম বিদ্বেষ ছড়াতে থাকলে, কোনো অনুরোধ উপরোধকে পাত্তা না দিলে তিনিও তো নিশ্চিতভাবেই নীতি নৈতিকতা বিবর্জিত একজন বেহায়া। এইসব বেহায়া বেলাজদের বিষয়ে আর কত ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব?
৫১| ১৫ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:১০
হাসান মাহবুব বলেছেন: কারো কাছে যদি কুরআনের সূরা বিভ্রান্তিমূলক মনে হয়, তাহলে আপনি তার বিভ্রান্তি দূর করার চেষ্টা করবেন। তা না করে তাকে লম্পট বলে গালাগালি করছেন। এটা কি একজন মুমিনের মতো আচরণ হচ্ছে? আপনি তো তাকে হেদায়েত থেকে আরো দূরে সরিয়ে দিচ্ছেন।
১৫ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:২৮
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান বক্তব্যের জন্য। কথা হচ্ছে, যখন কেউ বারবার বিদ্বেষমূলক ভাষায় ইসলাম নিয়ে কটাক্ষ করে, তখন কেবল বিভ্রান্ত নয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিদ্বেষের প্রমাণ মেলে। আর কারো হেদায়েত আমার বা অন্য কারও হাতে নয়। এটা একমাত্র আল্লাহ তাআ'লার হাতে। তিনি যাকে ইচ্ছে হেদায়েত দান করেন। লম্পট বলার কারণ ব্লগার নতুন এর ৫০ নং কমেন্টের উত্তরে এবং ব্লগার মিররডডলের কমেন্ট এর প্রত্যুত্তরে বলার চেষ্টা করেছি। দয়া করে দেখে নিলে খুশি হব। ধন্যবাদ।
৫২| ১৫ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:১২
নতুন বলেছেন: আরেকটি কথা, লম্পট বলতে আপনি কাকে বুঝেন? বিষয়টি একটু ক্লিয়ার হওয়া দরকার।
আমি চ্যাটজিপিটিকে প্রশ্ন করেছিলাম, "লম্পট কাকে বলে?"
চ্যাটজিপিটি উত্তরে যা বলেছে, তা এখানে বোল্ড আকারে হুবহু তুলে দিলাম-
ভাই আপনার যদি লম্পট শব্দের অর্থ আমাদের সবাইকে চ্যাটজিপিটির ব্যাক্ষা দিয়ে বোঝাতে হয় তবে তো সমস্যা।
আপনি উনার উপরে ক্ষিপ্ত তাই লম্পট ব্যবহার করেছেন।
আমি লম্পট বলতে inappropeat sexually behaver বলা যায় কিনা জিজ্হাস করেছিলাম। জবাব হলো।
হ্যাঁ, "লম্পট" শব্দটির ইংরেজি ব্যাখ্যা হিসেবে "inappropriate sexual behavior" বলা যেতে পারে, তবে আরও উপযুক্ত এবং স্পষ্ট শব্দ হতে পারে:
১৫ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:০৪
নতুন নকিব বলেছেন:
দুঃখিত! স্পষ্টভাবে আমি বলার পরেও আপনি লম্পট শব্দটি নিয়ে কেন আপত্তি করছেন বোধগম্য নই। আমার জানামতে, লম্পট শব্দটি দিয়ে শুধু সেক্সুয়ালি অপরাধীকেই বুঝায় না। এটি আরও কিছু চারিত্রিক নেগেটিভ অর্থ দেয়। বেহায়া, লজ্জাহীনকেও লম্পট বলা যায়, আমি সেই অর্থে লম্পট শব্দটি ব্যবহার করেছি।
৫৩| ১৫ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:১২
মিরোরডডল বলেছেন:
নতুন বলেছেন: কিন্তু আপনি ব্যক্তিগত ভাবে কারুর লম্পট্যের প্রমান না পেয়ে তাকে লম্পট বলার অধিকার আপনার নাই।
নতুন, কামালও এই কথাটা বলেছে, আমিও প্রশ্ন রেখেছিলাম।
নকিবের যুক্তিহীন উত্তরের পর আর কিছু বলার নেই.
যা বুঝলাম, নো ম্যাটার যেভাবেই নকিবকে বোঝানো হোক, he won't understand.
১৫ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:০৭
নতুন নকিব বলেছেন:
কোন উত্তরটা আমি যুক্তিহীনভাবে দিয়েছি, আমার জানা নেই। যা হোক, আর জানার ইচ্ছেও নেই। আপনাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য দুঃখিত!
আবারও বলি, আমার জানামতে লম্পট শব্দটি দিয়ে শুধু সেক্সুয়ালি অপরাধীকেই বুঝায় না। এটি আরও কিছু চারিত্রিক নেগেটিভ অর্থ দেয়। বেহায়া, লজ্জাহীনকেও লম্পট বলা যায়, আমি সেই অর্থে লম্পট শব্দটি ব্যবহার করেছি।
৫৪| ১৫ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:১৩
নতুন বলেছেন: হ্যাঁ, "লম্পট" শব্দটির ইংরেজি ব্যাখ্যা হিসেবে "inappropriate sexual behavior" বলা যেতে পারে, তবে আরও উপযুক্ত এবং স্পষ্ট শব্দ হতে পারে:
ইংরেজি অনুবাদ বা ব্যাখ্যা:
Lecherous
Lascivious
Sexually predatory
Having inappropriate or immoral sexual behavior
Sexually aggressive/inappropriate man
উদাহরণ:
Bengali: সে একজন লম্পট লোক।
English: He is a lecherous man.
অথবা
He often displays inappropriate sexual behavior.
"Inappropriate sexual behavior" বলাটা বেশি সাধারণ বা ব্যাখ্যামূলক ধাঁচের — ব্যবহার করা যায়, তবে "লম্পট" এর তীব্রতা বা নেতিবাচক অর্থ বোঝাতে "lecherous", "predatory" বা "sexually inappropriate man" বললে বেশি নিখুঁত হয়।
৫৫| ১৫ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:১৬
নতুন বলেছেন: বাংলা:
সে একজন লম্পট। এর বাংলাকে বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করলে কি আসে বোঝার চেস্টা করুন তবে বুঝতে পারবেন আপনি উনাকে লম্পট বলাটা ঠিক হয়েছে কিনা।
১৫ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:২৫
নতুন নকিব বলেছেন:
জ্বি, ধন্যবাদ। আমি দেখেছি। দেখেশুনেই শব্দটি ব্যবহার করেছি। আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।
৫৬| ১৫ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:১৭
নতুন বলেছেন: বাংলা:
সে একজন লম্পট।
৫৭| ১৫ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:২০
নতুন বলেছেন: মিরোরডডল বলেছেন: নতুন বলেছেন: কিন্তু আপনি ব্যক্তিগত ভাবে কারুর লম্পট্যের প্রমান না পেয়ে তাকে লম্পট বলার অধিকার আপনার নাই।
নতুন, কামালও এই কথাটা বলেছে, আমিও প্রশ্ন রেখেছিলাম।
নকিবের যুক্তিহীন উত্তরের পর আর কিছু বলার নেই.
যা বুঝলাম, নো ম্যাটার যেভাবেই নকিবকে বোঝানো হোক, he won't understand.
উনি যদি লম্পট শব্দের অর্থ না বোঝে তাহলে তো বিভ্রান্তিমূলক শব্দের অর্থ উনি কিভাবে বুঝতে পারবেন?
৫৮| ১৫ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:২৫
মিরোরডডল বলেছেন:
নতুন বলেছেন: ভাই আপনার যদি লম্পট শব্দের অর্থ আমাদের সবাইকে চ্যাটজিপিটির ব্যাক্ষা দিয়ে বোঝাতে হয় তবে তো সমস্যা।
এবার বুঝতে পারছে নতুন, লেখক একটা শব্দ ব্যবহারের আগে সেটার প্রপার অর্থটাও জানে না, চ্যাটজিপিটি নির্ভর হয়ে পোষ্ট দেয়, মন্তব্যের উত্তরও লেখে। আমি যদি ভুল করি, সেই ভুল সবাই ধরিয়ে দিলে আমি সেটা স্বীকার করবো কৃতজ্ঞতা জানিয়ে। আর লেখক কোনভাবে সেটা মানতেই রাজী না। যাকে অভিযোগ করে এতো পোষ্ট, তার সাথে লেখকের পার্থক্য কোথায় যদি সেও একইরকম আচরণ করে!
১৫ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:১১
নতুন নকিব বলেছেন:
হাস্যকর কথা বললেন। কোনো একটি শব্দের অর্থ নিয়ে যদি কারো আপত্তি ওঠে, তাহলে সেই শব্দের সঠিক মানে যাচাই করতে চ্যাটজিপিটির সাহায্য নেওয়া সম্পূর্ণ যুক্তিসংগত। এতে আমি কোনো ভুল করেছি বলে মনে করি না, যদিও শব্দটির অর্থ আমি আগেই জানতাম।
ধন্যবাদ।
৫৯| ১৫ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৫
মিরোরডডল বলেছেন:
হাসান মাহবুব বলেছেন: কারো কাছে যদি কুরআনের সূরা বিভ্রান্তিমূলক মনে হয়, তাহলে আপনি তার বিভ্রান্তি দূর করার চেষ্টা করবেন। তা না করে তাকে লম্পট বলে গালাগালি করছেন।
শুধু তাই না, অতীতেও একই ব্যক্তিকে নিয়ে নকিব অনেক নেগেটিভ পোষ্ট দিয়েছে একের পর এক।
দেখছে যখন এই মানুষ মানে না, বিশ্বাস করেনা, let him go.
বার বার ঘুরে ঘুরে তাকে নিয়েই পোষ্ট এবং পোক করা।
তখন যদি সে আবার দুটা খারাপ কথা বলে ফেলে, তখন তার ব্যান চেয়ে সামুটিম কে লিখতে থাকে ধর্ম অবমাননা করেছে।
কিন্তু পেছনে যে সে নিজেই ইন্ধন দিচ্ছে এগুলো সবাই দেখে। মানুষ তো চোখ বন্ধ করে থাকে না।
এটা কি একজন মুমিনের মতো আচরণ হচ্ছে? আপনি তো তাকে হেদায়েত থেকে আরো দূরে সরিয়ে দিচ্ছেন।
আমি এটাই বলতে চেয়েছিলাম আগের মন্তব্যগুলোতে, যে মানুষ চায় না, তাকেই কেনো হেদায়েত করতে হবে। আর কেউ নেই?
এই ব্লগে কয়েকজন ধর্ম নিয়ে যা শুরু করেছে মনে হয় এরা যে কোথাকার কোন বড় আলেম, নিজেকে স্কলার মনে করে এখানে অন্যদের হেদায়েত করতে আসে। কিন্তু তাদের নিজেদের ভুলগুলো বুঝতে পারে না।
আমার বিশ্বাস, যে বা যারা বিলিভার তারা সবাই আপন মনে যার যার মতো প্র্যাকটিস করছে। ব্লগে এসে এটার প্রমাণ দেয়ার কোন প্রয়োজন নেই। আবার যারা নন-বিলিভার তাদের বোঝালেও কোন মানে নেই, তারা তাদের মতোই থাকবে।
এতো বছরে মনে হয়না এই ব্লগে কেউ ধর্ম প্রচার করে কোন নন- বিলিভারকে বিলিভার করেছে বা ধর্মবিদ্বেষ কথা বলে কোন ধার্মিক ব্যক্তিকে বেধর্মী করেছে। দিনশেষে, এগুলো অর্থহীন।
১৫ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:১২
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনাকে।
৬০| ১৫ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:২২
নতুন বলেছেন: হাস্যকর কথা বললেন। কোনো একটি শব্দের অর্থ নিয়ে যদি কারো আপত্তি ওঠে, তাহলে সেই শব্দের সঠিক মানে যাচাই করতে চ্যাটজিপিটির সাহায্য নেওয়া সম্পূর্ণ যুক্তিসংগত। এতে আমি কোনো ভুল করেছি বলে মনে করি না, যদিও শব্দটির অর্থ আমি আগেই জানতাম।
ধন্যবাদ।
ভাই আপনি লম্পট শব্দটির অর্থ না বুঝেই ব্যবহার করেছেন। সেটা যদি এখানে ব্লগারদের মাঝে ভোট নেই সেটাতে সবাই বলবে।
আর আপনি বিভ্রান্তিমূলক শব্দে আপত্তি করছেন?
এখন আমি যদি বলি উনি বিভ্রান্তিমূলক শব্দটি অস্পস্ট বা ধোয়াশে বোঝাতে ব্যবহার করেছেন?
তখন কি তার ঐ কথা আপনার কাছে ধর্ম অবমাননাকর মনে হবে?
১৫ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:২৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনি কার কথা কী বুঝাতে চাচ্ছেন? কী সব বালকসুলভ কথা বলছেন? যে লোকটি প্রতিনিয়ত ধর্ম (অবশ্যই শুধুমাত্র ইসলাম) অবমাননামূলক বাজে উক্তি করতে করতে ব্লগ ভরিয়ে ফেলেছে, তাকে ডিফেন্স করার চেষ্টা করছেন! আচ্ছা, করেন। করেন। ধন্যবাদ।
৬১| ১৫ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বাংলা একাডেমী - আধুনিক বাংলা অভিধান অনুযায়ী লম্পট অর্থ - ১। কামাসক্ত ২। দুশ্চরিত্র ( ছবি দেয়ার চেষ্টা করেছি নীচে)
English & Bengali Online Dictionary and Grammer অনুযায়ী লম্পট অর্থ;
১। চরিত্রহীন ২। কামুক (ছবি দেয়ার চেষ্টা করেছি নীচে)
একটা শব্দের একাধিক অর্থ থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু না। লম্পট বলতে আমরা কামুক লোক যেমন বুঝি আবার চরিত্রহীন বা দুশ্চরিত্র লোককেও বুঝি। যাকে নিয়ে আলাপ হচ্ছে ওনার চারিত্রিক সমস্যা যে আছে এটা আমরা সবাই জানি। আমাদের সমস্যা হল চারিত্রিক সমস্যা বলতে আমরা অনেকে ভুল করে মনে করি এটা নারীঘটিত সমস্যা।
১৬ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:০৫
নতুন নকিব বলেছেন:
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। একেবারে স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন বিষয়টা- "লম্পট বলতে আমরা কামুক লোক যেমন বুঝি আবার চরিত্রহীন বা দুশ্চরিত্র লোককেও বুঝি। যাকে নিয়ে আলাপ হচ্ছে ওনার চারিত্রিক সমস্যা যে আছে এটা আমরা সবাই জানি। আমাদের সমস্যা হল চারিত্রিক সমস্যা বলতে আমরা অনেকে ভুল করে মনে করি এটা নারীঘটিত সমস্যা।"
৬২| ১৫ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯
নতুন বলেছেন: একটা শব্দের একাধিক অর্থ থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু না। লম্পট বলতে আমরা কামুক লোক যেমন বুঝি আবার চরিত্রহীন বা দুশ্চরিত্র লোককেও বুঝি। যাকে নিয়ে আলাপ হচ্ছে ওনার চারিত্রিক সমস্যা যে আছে এটা আমরা সবাই জানি। আমাদের সমস্যা হল চারিত্রিক সমস্যা বলতে আমরা অনেকে ভুল করে মনে করি এটা নারীঘটিত সমস্যা।
অর্থ একাধিক থাকরেই পারে।
আসেন দেখি চরিত্রহীন অর্থ কি:-
চরিত্রহীন (Charitrohin) অর্থ:
নৈতিকতা, শালীনতা বা যৌন আচরণে নিয়ম-নীতির অভাব রয়েছে এমন ব্যক্তি। সাধারণত যিনি অনৈতিক বা অনৈতিকভাবে যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলেন বা শালীন আচরণ করেন না।
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
চরিত্রহীন বলতে বোঝায় এমন একজন ব্যক্তি যিনি সামাজিক ও নৈতিক মানদণ্ড অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য নয়, বিশেষ করে যৌনাচরণে।
উদাহরণ:
সে একজন চরিত্রহীন ব্যক্তি, বারবার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে।
চরিত্রহীন আচরণ সমাজে অপমানজনক।
তো আপনার একাথিক অর্থের ব্যাক্ষানাযায় কি চাদগাজী কোন চরিত্রহীন আচরনের প্রমান আপনার কাছে আছে?
১৬ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:১৪
নতুন নকিব বলেছেন:
আমি একটা বিষয় বুঝতে পারছি না—চরিত্রহীনতা বলতে আপনি কেন শুধুই যৌন অপরাধের প্রসঙ্গ টেনে আনছেন? 'চরিত্র' তো শুধু যৌনতার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটা মানুষের আচার-আচরণ, ব্যবহার, সততা ও মূল্যবোধের প্রতিফলন। কারও আচরণ এবং ব্যবহার যদি ভালো হয়, তাহলে তাকে যেমন আমরা 'উত্তম চরিত্রের মানুষ' বলি, তেমনি কারও আচরণ খারাপ হলে তাকেও নিশ্চয়ই চরিত্রহীন বলা যেতে পারে। তাই চরিত্রহীনতা কেবল যৌনতা-সংক্রান্ত বিষয়েই সীমাবদ্ধ—এমন ধ্যানধারণা খুবই একপেশে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৬৩| ১৫ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫২
নতুন বলেছেন: আপনি কার কথা কী বুঝাতে চাচ্ছেন? কী সব বালকসুলভ কথা বলছেন? যে লোকটি প্রতিনিয়ত ধর্ম (অবশ্যই শুধুমাত্র ইসলাম) অবমাননামূলক বাজে উক্তি করতে করতে ব্লগ ভরিয়ে ফেলেছে, তাকে ডিফেন্স করার চেষ্টা করছেন! আচ্ছা, করেন। করেন। ধন্যবাদ।
উনি যেই শব্দগুলি ব্যবহার করেছেন তার ও অন্য অর্থ আছে যেটা আপনার কাছে অবমাননামূলক সেগুলির তো অন্য আছে।
আপনিই বলছেন যে :- একটা শব্দের একাধিক অর্থ থাকাটা অস্বাভাবিক কিছু না।
১৬ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:১৬
নতুন নকিব বলেছেন:
উনি যেই শব্দগুলি ব্যবহার করেছেন তার ও অন্য অর্থ আছে যেটা আপনার কাছে অবমাননামূলক সেগুলির তো অন্য আছে।
-থাকতেই পারে। তবে উনার অধিকাংশ কথাবার্তাই তো বিদ্বেষ প্রবন। স্পষ্টভাবে ইসলাম বিদ্বেষ, যেগুলোতে ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় না।
৬৪| ১৫ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি কার কথা কী বুঝাতে চাচ্ছেন? কী সব বালকসুলভ কথা বলছেন? যে লোকটি প্রতিনিয়ত ধর্ম (অবশ্যই শুধুমাত্র ইসলাম) অবমাননামূলক বাজে উক্তি করতে করতে ব্লগ ভরিয়ে ফেলেছে, তাকে ডিফেন্স করার চেষ্টা করছেন! আচ্ছা, করেন। করেন। ধন্যবাদ।
আমি উনাকে ডিফেন্ড করছিনা। আমি আপনি যে তার চরিত্র নিয়ে যেই কথা বলেছেন সেটার প্রতিবাদ করছি। আপনার কাছে যেহেতু কোন প্রমান নাই যে তিনি লম্পট বা চরিত্রহীন তাই তার উপরে বিরক্ত হয়ে তাকে নিয়ে এভাবে লেখাটা ঠিক হয় নি।
আর আপনি লম্পটের খুবই হালকা অর্থ উল্লেখ করেছেন আর তিনি যে বিভ্রান্তিমূলক শব্দটা ব্যবহার করেছেন সেটা ধর্মীয়অনুভুতিতে আঘাত করেছে সেটা আপনার ব্যক্তিগত সমস্যা।
১৬ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:১৮
নতুন নকিব বলেছেন:
আমি উনাকে ডিফেন্ড করছিনা। আমি আপনি যে তার চরিত্র নিয়ে যেই কথা বলেছেন সেটার প্রতিবাদ করছি। আপনার কাছে যেহেতু কোন প্রমান নাই যে তিনি লম্পট বা চরিত্রহীন তাই তার উপরে বিরক্ত হয়ে তাকে নিয়ে এভাবে লেখাটা ঠিক হয় নি।
আর আপনি লম্পটের খুবই হালকা অর্থ উল্লেখ করেছেন আর তিনি যে বিভ্রান্তিমূলক শব্দটা ব্যবহার করেছেন সেটা ধর্মীয়অনুভুতিতে আঘাত করেছে সেটা আপনার ব্যক্তিগত সমস্যা।
-আপনি বলছেন যে আমি প্রমাণ ছাড়া তাকে চরিত্রহীন বলেছি—কিন্তু আমি চরিত্র বলতে শুধু যৌন আচরণ বোঝাইনি, বরং তার বিভ্রান্তিকর ভাষা, অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং ধর্ম নিয়ে কটাক্ষকেই চরিত্রগত সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেছি। আপনি যদি লম্পট শব্দের আক্ষরিক অর্থ দেখেন, তবে বুঝবেন এটি শুধু যৌনতা নয়, বরং নীতিহীন আচরণকেও বোঝায়। কাজেই আমার বক্তব্য একপেশে নয়।
৬৫| ১৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:০৫
মিরোরডডল বলেছেন:
নতুন বলেছেন:
আসেন দেখি চরিত্রহীন অর্থ কি:-
চরিত্রহীন (Charitrohin) অর্থ:
নৈতিকতা, শালীনতা বা যৌন আচরণে নিয়ম-নীতির অভাব রয়েছে এমন ব্যক্তি। সাধারণত যিনি অনৈতিক বা অনৈতিকভাবে যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলেন বা শালীন আচরণ করেন না।
বিস্তারিত ব্যাখ্যা:
চরিত্রহীন বলতে বোঝায় এমন একজন ব্যক্তি যিনি সামাজিক ও নৈতিক মানদণ্ড অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য নয়, বিশেষ করে যৌনাচরণে।
উদাহরণ:
সে একজন চরিত্রহীন ব্যক্তি, বারবার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে।
চরিত্রহীন আচরণ সমাজে অপমানজনক।
তো আপনার একাথিক অর্থের ব্যাক্ষানাযায় কি চাদগাজী কোন চরিত্রহীন আচরনের প্রমান আপনার কাছে আছে?
ম্যানি থ্যাংকস নতুন।
'যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা' অর্থাৎ যাকে আমি দু'চোখে দেখতে পারিনা, সে যত সুন্দরই হোক না কেন তার সব কিছুই খারাপ।
কিছু ব্লগার খেলাঘরকে এতোটা অপছন্দ করে, তাই সে অন্যায় করলেও দোষী, ইভেন যা করেনি সেই অপরাধেও তাকে অপরাধী করা হয়। এটা ভীষণ অন্যায় হয় তার সাথে।
খেলাঘর একজন সিনিয়র সিটিজেন। আমি মানছি তার নিজের ওপর কন্ট্রোল নেই, করবে না বলেও একই কাজ বার বার করে, অনেকের সাথে বাজে বিহেভ করে ফেলে, অনেক সময় যা বলা উচিত না এরকম বলে ফেলে। ব্লগের সবাই কমবেশি বোঝে যে এটা যতটুকু না ইচ্ছাকৃত, তারচেয়ে বেশি উনি মানুষটাই ওরকম। তারপরও আশা রাখি উনি চেষ্টা করবেন যতটুকু সম্ভব মেইনটেইন করতে।
কিন্তু তাই বলে ওনাকে কেউ লম্পট, চরিত্রহীন বলবে, এটা গ্রহণযোগ্য না।
এরকম একটা শিরোনামে তাকে নিয়ে পোষ্ট দেয়ার কোন ভিত্তি নেই।
He's not that kind of person at all.
১৬ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:২০
নতুন নকিব বলেছেন:
'যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা' অর্থাৎ যাকে আমি দু'চোখে দেখতে পারিনা, সে যত সুন্দরই হোক না কেন তার সব কিছুই খারাপ।
কিছু ব্লগার খেলাঘরকে এতোটা অপছন্দ করে, তাই সে অন্যায় করলেও দোষী, ইভেন যা করেনি সেই অপরাধেও তাকে অপরাধী করা হয়। এটা ভীষণ অন্যায় হয় তার সাথে।
খেলাঘর একজন সিনিয়র সিটিজেন। আমি মানছি তার নিজের ওপর কন্ট্রোল নেই, করবে না বলেও একই কাজ বার বার করে, অনেকের সাথে বাজে বিহেভ করে ফেলে, অনেক সময় যা বলা উচিত না এরকম বলে ফেলে। ব্লগের সবাই কমবেশি বোঝে যে এটা যতটুকু না ইচ্ছাকৃত, তারচেয়ে বেশি উনি মানুষটাই ওরকম। তারপরও আশা রাখি উনি চেষ্টা করবেন যতটুকু সম্ভব মেইনটেইন করতে।
কিন্তু তাই বলে ওনাকে কেউ লম্পট, চরিত্রহীন বলবে, এটা গ্রহণযোগ্য না।
এরকম একটা শিরোনামে তাকে নিয়ে পোষ্ট দেয়ার কোন ভিত্তি নেই।
He's not that kind of person at all.
-আপনি তার বয়স ও স্বভাবের দিক বিবেচনা করে সহানুভূতিশীল দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছেন, সেটা সম্মানযোগ্য। তবে বয়স বা অভ্যাস যাই হোক, বারবার অসৌজন্যমূলক, বিভ্রান্তিকর ও ধর্মস্পর্শী কথাবার্তা বললে সেটাকে পুরোপুরি অমার্জনীয় বলা না গেলেও সমালোচনার বাইরেও রাখা যায় না। কেউ ব্যক্তিগত অপছন্দ থেকে নয়, তার আচরণ থেকেই প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে।
৬৬| ১৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:১০
নতুন বলেছেন: খেলাঘর একজন সিনিয়র সিটিজেন। আমি মানছি তার নিজের ওপর কন্ট্রোল নেই, করবে না বলেও একই কাজ বার বার করে, অনেকের সাথে বাজে বিহেভ করে ফেলে, অনেক সময় যা বলা উচিত না এরকম বলে ফেলে। ব্লগের সবাই কমবেশি বোঝে যে এটা যতটুকু না ইচ্ছাকৃত, তারচেয়ে বেশি উনি মানুষটাই ওরকম। তারপরও আশা রাখি উনি চেষ্টা করবেন যতটুকু সম্ভব মেইনটেইন করতে।
কিন্তু তাই বলে ওনাকে কেউ লম্পট, চরিত্রহীন বলবে, এটা গ্রহণযোগ্য না।
এরকম একটা শিরোনামে তাকে নিয়ে পোষ্ট দেয়ার কোন ভিত্তি নেই।
He's not that kind of person at all.
এই কারনেই উপরের এই কমেন্টগুলি করছি। উনার অনেক দোষ থাকতে পারে কিন্তু তাই বলে তাকে লম্পট চরিত্রহীন বলা মেনে নেওয়া যায় না।
আর তারপরেও ধর্মের কথা বলতে গেলে নতুননকিব ভাইয়ের কাল্পনিক সৃস্টিকর্তার কথা যেটা এখনো প্রমানিত কিছু না।
ঠিক এই রকমের আবেগের কারনেই অনেকেই কমেন্ট বা কথার জন্য মানুষ পিটিয়ে মেরে ফেলে।
এই পোস্টএ লম্পট শব্দ ব্যবহার সেই একই রকমের অযৌক্তিক ধর্মীয় আবেগ কাজ করেছে।
১৬ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৩৭
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনি সৃষ্টকারীর্তাকে কাল্পনিক বলছেন! একবার চোখ মেলে তাকিয়ে দেখুন, চাঁদ সূর্য, গ্রহ নক্ষত্রের সমন্বয়ে এত জটিল ও সুশৃঙ্খল বিশ্ব কেবল দুর্ঘটনাবশত সৃষ্টি হতে পারে না—নিশ্চয়ই একজন স্রষ্টার নকশা আছে।
তাছাড়া, সব কিছুর একটা কারণ থাকে। মহাবিশ্বেরও প্রথম কারণ আছে—সেটিই সৃষ্টিকর্তা।
সর্বোপরি, মানুষের বিবেক ও নৈতিকতা প্রমাণ করে, একজন সর্বোচ্চ নৈতিক সত্তা আছেন।
তাই সৃষ্টিকর্তা "কাল্পনিক" নয়, বরং যুক্তিসম্মত বাস্তব। তাকে অনুধাবন করতে না পারা জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা।
আর কাউকে পিটিয়ে মারার আহবানের জন্য এই পোস্ট নয়। বেহুদা রংচং দিয়ে লাভ নেই।
৬৭| ১৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:৩১
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ ব্লগার নতুন – আপনার প্রতিমন্তব্যের সংজ্ঞা থেকেই শুরু করি।
চরিত্রহীন (Charitrohin) অর্থ:
নৈতিকতা, শালীনতা বা যৌন আচরণে নিয়ম-নীতির অভাব রয়েছে এমন ব্যক্তি।
এটার যদি ব্যাখ্যা করি তাহলে দাড়ায়, যে ব্যক্তির নৈতিকতার অভাব আছে অথবা শালীনতার অভাব আছে অথবা যৌন আচরণে নিয়ম-নীতির অভাব আছে, তাকে চরিত্রহীন বলে।
উহার (ওনার) শালীনতার অভাব আছে। শালীনতার আভিধানিক (বাংলা একাডেমীর অভিধান) অর্থ হল মার্জিত, নম্র, ভদ্র অথবা সলজ্জ হওয়ার যে গুন তাকে শালীনতা বলে। (শালীন হল বিশেষণ আর শালীনতা হল বিশেষ্য) কারও শালীনতার অভাব থাকলে সে এটার বিপরীত করবে। উহার (ওনার) আচরণ অমার্জিত, অনম্র, অভদ্র এবং অনেক ক্ষেত্রে নির্লজ্জের মত।
আপনার দেয়া অর্থের ব্যাখ্যার সাথে মিল রেখে বলা যায় উনি এমন একজন ব্যক্তি যিনি সামাজিক ও নৈতিক মানদণ্ড অনুযায়ী গ্রহণযোগ্য নয় (ব্লগটাও একটা সমাজ)। কারণ উহার (ওনার) আচরণ অমার্জিত, অনম্র, অভদ্র এবং অনেক ক্ষেত্রে নির্লজ্জের মত।
আমার দৃষ্টিতে উহার (ওনার) কিছু আচরণ অনৈতিক। যেমন উহা অন্য মানুষের নিক ব্যবহার করিয়া মাঝে মাঝে ব্লগিং করে। এটা যে উহা করে তা আমরা সবাই জানি। এই ধরণের কাজ অনৈতিক কাজ আমার দৃষ্টিতে। যে নিক দিচ্ছে এবং যে ব্যবহার করছে উভয়েই অনৈতিক আচরণ করছে।
চরিত্রহীন শব্দের আরও অর্থ হল ভ্রষ্ট এবং বিপথগামী। কাজেই কাউকে চরিত্রহীন বললেই বোঝা যাবে না যে তার আলুর দোষ আছে। আলুর দোষ না থাকলেও একটা লোক ভ্রষ্ট বা চরিত্রহীন হতে পারে। ধর্ম থেকে বিচ্যুত হলেও অতীতে ভ্রষ্ট বলা হত। এছাড়া ভ্রষ্টের আরও অর্থ হল দুষ্ট, দোষযুক্ত, নষ্ট, স্খলিত, চ্যুত, পতিত। এই ব্লগের আলোকেও উহা বিপথগামী। কারণে উহাকে সঠিক পথে আনতে ব্লগ কর্তৃপক্ষের অনেক সমস্যা হয়। আশা করি আপনি চ্যাল চ্যালইয়া বুঝে গেছেন আমি কী বলতে চাচ্ছি।
১৬ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৪২
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার বিশ্লেষণমূলক মন্তব্য ও অভিধানভিত্তিক ব্যাখ্যার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। এভাবেই সমালোচনা হোক যুক্তিনির্ভর ও মর্যাদাসম্মত।
ধন্যবাদ।
৬৮| ১৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:৩৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ ব্লগার নতুন - এই ব্যক্তি (পরবর্তী অংশে 'উহা' হিসাবে বর্ণনা করা হইয়াছে) একদিকে বলে সে নামাজ পড়ে। আবার আরেক দিকে সে ইসলামকে নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক এবং অপমানকর কথা বলে। ইহা এক ধরণের ভণ্ডামি। এই রোগ উহার শাগরেদ রাজিব নুরেরও আছে। অন্য ধর্মের লোক বা নাস্তিক বলতে পারে কোরআনের আয়াত বিভ্রান্তিমূলক। সেটা সমস্যা না। কিন্তু একদিকে নামাজ পড়বে আর আরেকদিকে ইসলামের কুৎসা রচনা করিবে ইহা পরিষ্কার ভণ্ডামি এবং এই ধরণের লোক মুলত চরিত্রহীন(যদিও উহার নারীঘটিত কোন সমস্যা আছে কি না সেটা আমরা জানি না)।
১৬ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৪৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার বক্তব্য ও উদ্বেগের জন্য ধন্যবাদ। এদের দ্বিমুখী আচরণ অনেকেরই চোখে পড়ে না। এরা যখন ধারাবাহিকভাবে ইসলাম ধর্মকে বিদ্বেষের টার্গেটে পরিণত করে তখন উপদেশদাতারা সেগুলো দেখেন না।
আন্তরিক ধন্যবাদ।
৬৯| ১৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:৪০
মিরোরডডল বলেছেন:
যদি ভুল না করে থাকি, নতুনের এক কমেন্টে জেনেছিলাম যে নতুন শারমিনকে ওমরা করতে নিয়ে গেছে।
ইভেন দো নতুন নিজে বিলিভ করেনা কিন্তু আরেকজনের বিলিভ কে শ্রদ্ধা করে এবং তাকে সাপোর্ট করছে সেই কাজ করতে।
হাজব্যান্ড ওয়াইফ দুজন দুই রকমের বিশ্বাস নিয়ে কি সুন্দর মিলেমিশে আছে।
This is the beauty.
অথচ ব্লগার রা নিজের বিশ্বাস আরেকজনের ওপর একরকম জোর করে চাপিয়ে দেবার চেষ্টা করে।
একমত হলে সুইট বিহেব করবে, দ্বিমত হলেই মারমুখী, অশ্রাব্য গালিগালাজ। আজব!!!!
Seems that they have a monopoly on religious beliefs.
১৬ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৫৫
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার মন্তব্যে আন্তরিকতা ও সহনশীলতার প্রশংসা করি। ভিন্ন বিশ্বাস নিয়ে পারস্পরিক সম্মানবোধ–এটাই প্রকৃত সৌন্দর্য।
তবে আমরা কখনও কারও ওপর ধর্ম চাপিয়ে দিই না, আর সেটা পছন্দও করি না। কিন্তু কেউ ধর্ম অবমাননা করলে তার প্রতিবাদ করাটাই তো স্বাভাবিক। সেটিই যদি ‘চাপিয়ে দেওয়া’ মনে হয়—তাহলে প্রশ্ন থেকে যায়, আসলে কার সহনশীলতায় ঘাটতি আছে?
ধন্যবাদ।
৭০| ১৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ৮:৫০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসলাম বিদ্বেষীদেরকে সমর্থন না করার জন্য ব্লগার মিরোরডডলকে সবিনয় অনুরোধ জানানো যাইতেছে। যে শব্দ নিয়ে ঝামেলা, উহার একাধিক অর্থ আছে। আমি উপরে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করিয়াছি। আশা করি ব্লগার মিরোরডডল চ্যাল চ্যালাইয়া বুঝে গেছে ইতিমধ্যে। ইসলাম ধর্ম নিয়ে এই ধরণের ভণ্ডামি আচরণ যারা করে তাদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন।
১৬ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৫৬
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনার সতর্কবার্তার জন্য। ইসলাম বিদ্বেষীদের সমর্থন না করে সতর্ক ও শ্রদ্ধাশীল থাকা সবার কর্তব্য। এমন অশোভন আচরণ থেকে দূরে থাকা বুদ্ধিমানের কাজ।
৭১| ১৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:০৭
মিরোরডডল বলেছেন:
মামুinসামু বলেছেন: মুসলিম কমিউনিটি থেকে অনেক সময় নামাজেও যায় অকেশনালি কিন্তু তার ধর্মে বিশ্বাস নেই..... ??????????????????????????????????????????????? Seriously!!!!?!?!?!?!?!
মামু কেনো বিস্মিত হয়েছে আমি ঠিক জানিনা কিন্তু অনেকেই এই কমেন্ট নিয়ে তার সম্পর্কে আরও নেগেটিভ কথা বলছে।
I need to explain.
আমাদের চারপাশে অনেক মানুষ আছে, বাংলাদেশে দেখেছি, সিডনিতে দেখেছি, হয়তো সামুতেও আছে যারা মাঝে মাঝে কালে ভদ্রে নামাজ পড়লেও সেইভাবে ধর্ম বিলিভও করেনা, প্র্যাকটিসও করেনা। ঈদে সবার সাথে নামাজ পড়াটা একটা সামাজিকতা মনে করে পালন করে। আমি একজনকে চিনি ঢাকায়, সারা বছর কোন নামাজ নেই, ইভেন রোজার মাসেও না কিন্তু ৩০টা রোজা রাখে। প্রশ্ন করেছিলাম কেনো, যতদূর জানি তার একদমই ধর্মে বিশ্বাস নেই। উত্তর ছিলো, চারদিকে সবাই যখন রোজা রাখে, বাসার সবাইও রাখে, তখন না রাখলে খারাপ দেখায়, তাই সে রোজা রাখে।
এরকম অনেক আছে। কিন্তু তাদের সাথে খেলাঘরের পার্থক্য হলো, লোকে খারাপ বলবে বলে অনেকে মুখে স্বীকার করেনা কিন্তু খেলাঘর অনেস্ট। ভনিতা বা ভণ্ডামি নেই বলে সে নিজে মুখেই বলেছে যে অকেশনালি নামাজে গেছে, হতে পারে ঈদে কিন্তু সেটা বিলিফ থেকে না। যাদের সাথে মেলামেশা করে তারা করে, তাই সেও করেছে।
তাকে যারা দেখতে পারেনা, তাদের কাছে ভণ্ডামি। আর আমার কাছে এটা তার সরলতা, সহজ স্বীকারোক্তি।
যার যেমন দৃষ্টিভঙ্গি।
১৬ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৩৩
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার ব্যাখ্যার জন্য ধন্যবাদ। সত্যিই, সমাজে অনেকেই আছেন যারা ধর্মীয় আচরণ করেন সামাজিকতা বা পারিপার্শ্বিকতার কারণে, বিশ্বাস থেকে নয়। তবে এগুলো বলে বেড়ানোর বিষয় নয়। আপনার বলা খেলাঘরের মতো কেউ যদি নিজে ভন্ডামি করার পরে আবার তা স্বীকারও করে বেড়ায়, এটা স্রেফ ডাবল ভণ্ডামি—তা ছাড়া অন্য কিছু নয়। ধন্যবাদ আপনাকে।
৭২| ১৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:২৩
ক্রেটোস বলেছেন: লম্পট বলতে আমরা কামুক লোক যেমন বুঝি আবার চরিত্রহীন বা দুশ্চরিত্র লোককেও বুঝি। যাকে নিয়ে আলাপ হচ্ছে ওনার চারিত্রিক সমস্যা যে আছে এটা আমরা সবাই জানি। আমাদের সমস্যা হল চারিত্রিক সমস্যা বলতে আমরা অনেকে ভুল করে মনে করি এটা নারীঘটিত সমস্যা।
@সাড়ে চুয়াত্তর, আপনি দেখছি ভণ্ডামি করতে করতে এখন বাংলা ভাষাটাকে নিয়েও ভণ্ডামি করে যাচ্ছেন। দুশ্চরিত্র লোক বলতে যে লম্পটকেই বোঝানো হয় সেটা তো বাংলা অভিধানে আছেই। আর লম্পট বিশেষণটা কী বাংলা ভাষাতে কখনও অন্য কোন অর্থে ব্যবহার করতে দেখেছেন? দেখলে প্লিজ জানাবেন।
তবে যদি আপনি নিজেই এর প্রচলন করে থাকেন তবে অসুবিধা নেই। আপনার মতন ভণ্ডের পক্ষে সব করা সম্ভব। অন্যকে ভণ্ড বলবার আগে নিজের দিকে তাকাবেন। যে নিজেই একসময় ফ্যাসিনার সমর্থক ছিল সে এখন অভ্যুত্থানের পক্ষে কথা বলছে। তাও আবার নিজের কাজের জন্য ক্ষমা না চেয়ে। আপনার চেয়ে বড় ভণ্ড সম্ভবত এখানে আর কেউ নেই ! সুতরাং, নিজেকে সংশোধন করুন ও ভাষাশিক্ষা সঠিকভাবে নিন!
১৬ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৩৭
নতুন নকিব বলেছেন:
ক্রেটোস, মতভেদ থাকতে পারে, কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রমণ ও কটূক্তি কোনো সমাধান নয়। ভাষার ব্যবহার সময়, প্রেক্ষাপট ও অভিধান-ভিত্তিক হলেও, বাস্তব জীবনে শব্দের মানে প্রাসঙ্গিকতা অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। তাই কারও মতামত ভিন্ন হলেও, সম্মান রেখে উত্তর দেওয়াই শালীনতার পরিচয়।
আপনাকে ধন্যবাদ।
৭৩| ১৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:৩৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্লগার নতুন ইসলাম বিদ্বেষী না কিন্তু আলোচিত ব্লগার ইসলাম বিদ্বেষীদের নেতা এই ব্লগে। এই কারণে ব্লগার নতুন যতই ইসলাম ধর্মের সমালোচনা করুক না কেন সে কখনও ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ দেখায় না। একই কারণে ব্লগার নতুনকে ইসলাম সংক্রান্ত বিষয়ে কেউ কোন কথা শোনায় না কখনও। পক্ষান্তরে আলোচিত ব্লগারের ১০০ (হাজারও হতে পাড়ে) এর উপরে মন্তব্য আছে যা পরিষ্কার ইসলাম বিদ্বেষ। সে বছরের পর বছর ধরিয়া এই কাজ করিতেছে। কাজেই উহা যে একজন পরিষ্কার ইসলাম বিদ্বেষী এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই। কোন ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা যাবে না। কিন্তু এই ব্লগার সেই কাজটা ক্রমাগত করে যাচ্ছে। ইহার নাম বাক স্বাধীনতা না। কিন্তু উহা ইহা বোঝে না। এই ধরণের একজন ইসলাম বিদ্বেষী এবং সমস্যাপূর্ণ ব্লগারকে (যাকে সামলাতে ব্লগ কর্তৃপক্ষেরও হিমশিম খেতে হয়) যে ব্লগার সমর্থন দিয়ে যায় তার মাথায় গোবরও নাই। আমার ধারণা তার মাথা ভর্তি ঝামা ইট আছে (পুরাপুরি খালিও থাকতে পারে)। সামান্য শব্দগত একটা বিষয়কে বিতর্কের বিষয়বস্তু বানাইয়া উহার (ঐ ব্লগার) সমর্থনে বিতর্ক চালিয়ে যাওয়া ব্লগে ইসলাম বিদ্বেষীদের আশকারা দেয়া ছাড়া আর কিছুই না। সেই ব্লগার ইহা বুঝিলে এতো বড় গরুর রচনা আমার লিখিতে হই তো না। এই ব্লগারকে বুঝিতে হইবে যে নাস্তিকতা আর ইসলাম বিদ্বেষ এক জিনিস না। আল্লাহ ইহাকে সহি বুঝ দান করুন। আমিন।
১৬ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৩৯
নতুন নকিব বলেছেন:
ধন্যবাদ আপনার বিশ্লেষণের জন্য। ইসলাম নিয়ে মতভেদ থাকতে পারে, কিন্তু বিদ্বেষ ছড়ানো ও ধর্ম নিয়ে অবমাননা করা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা মানে এই নয় যে, তা দিয়ে অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করা যাবে। আশা করি, সবাই বিষয়টি বুঝবে এবং দায়িত্বশীল আচরণ করবে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হিদায়াত দিন। আমিন।
৭৪| ১৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ১০:১২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: বেশিদিন আগের কথা না। গত ১৬ই মে জনাবে আলা নতুন নকীব একটা পোষ্ট দিয়েছিলেন, এক প্রবীণ মুক্তিযোদ্ধাকে ইসলামের হৃদয়ছোঁয়া আহ্বান শিরোনামে। সেখানে আমি নিম্নোক্ত মন্তব্য করেছিলাম,
এজ ইয়্যু ক্যান সি, ব্লগার নতুন নকীব বলেছিলেন, পার্থিব জীবন যেহেতু খুবই ক্ষণস্থায়ী। তাই চিন্তা করেছি, বিরুদ্ধমতের সাথেও তিক্ততা না বাড়িয়ে, তাদের কল্যাণের জন্যই আলোর পথে ডেকে যাওয়াই বেটার।। উত্তর দেখে বুঝেছিলাম যে, উনার কাছে মুক্তা খুব দামী কিছু না, মুক্তহস্তে ছড়াইতেই পারেন। তাই আর কথা বাড়াই নাই। কথায় আছে, কাঙ্গালের কথা বাসী হইলে ফলে। তো, এই কাঙ্গালের কথা যে একমাসের মাথায়ই ফলবে, সেইটা বুঝি নাই। নতুন নকীবের মতো একজন ধৈর্যশীল ব্লগার যে এতো তাড়াতাড়ি ''আলোর পথে ডাকা''র মিশন থেকে পিঠটান দিবে, এইটা অভাবনীয়। নতুন নকীবকে অভিনন্দন। আশাকরি, উনি এইবার মুক্তার মুল্য সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল হইবেন!!!
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এছাড়া ভ্রষ্টের আরও অর্থ হল দুষ্ট, দোষযুক্ত, নষ্ট, স্খলিত, চ্যুত, পতিত। আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা......... ভাগ্যিস ''পতিতা'' বলেন নাই!! তাইলে তো সাড়ে সর্বনাশ হয়ে যেতো। আসলে যে কোন ভাষাতেই বেশীরভাগ শব্দের একাধিক মানে থাকে। এখন যে যার সুবিধামতো মানে আকড়ে ধরে, সেখান থেকে হাতি দিয়ে টেনেও সরানো যায় না। তাদের কাছে বাকীসব মানে মুল্যহীন। এই ব্যাপারে আমাদের মডু একবার উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। জ্ঞানী-গুনীদেরকে অনুসরণ করা আমাদের সবারই অবশ্য কর্তব্য!!!!
এখন আপনারা নিশ্চয়ই বুঝবেন, এইখানে যেই তর্ক হচ্ছে এটা মুল্যবান সমেয়ের অপচয় মাত্র!!! সবাইকে এই ব্যাপারে সচেতন হওয়ার জন্য উদাত্ত্ব আহ্বান জানাচ্ছি, যদিও জানি এটা সম্ভবতঃ ''উলুবনে মুক্তা ছড়ানো'' ই হবে!!!
১৬ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৪৭
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় ভুয়া মফিজ ভাই, আপনার রসবোধের জন্য ধন্যবাদ। আমরা কেবল চেষ্টা করতে পারি—ফলাফল আমাদের হাতে নয়। আমি কখনোই ভাবিনি, আমার মতো একজন সাধারণ মানুষের আহ্বানে তার ভেতরে বিশাল কোনো পরিবর্তন আসবে। আমি শুধু আশা করেছিলাম, অন্তত ইসলাম ধর্মের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ সে দেখাবে। কিন্তু যখন সেটাও পেলাম না এবং তাকে বারবার ইসলামবিদ্বেষমূলক কথাবার্তা বলতে দেখলাম—তখন প্রতিবাদ করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। আপনার পরামর্শ অবশ্যই মূল্যবান ছিল।
আবারও ধন্যবাদ।
৭৫| ১৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ১০:২০
শায়মা বলেছেন: তোমরা ঝগড়া করো!! আরও করো !!!! আরও আরও
আমি মুক্তাগুলা কুড়াই ফেলি তাড়াতাড়ি!!!
১৬ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৪৯
নতুন নকিব বলেছেন:
তুমি তো দেখছি ঘর পোড়ার ভেতরে আলু পুড়ে খাওয়া লোকদের দলের! আচ্ছা, কুড়াও, মুক্তাটা ভালো ছিল।
৭৬| ১৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ১০:২৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: শায়মা বলেছেন: তোমরা ঝগড়া করো!! আরও করো !!!! আরও আরও
আমি মুক্তাগুলা কুড়াই ফেলি তাড়াতাড়ি!!!
আমারও কিছু মুক্তা দরকার ছিল। তোমার ভাবী বেশ কিছুদিন ধরে আমার কাছে চাচ্ছে। আমার সময় কম, তাই কুড়াতে পারছি না। তুমি একটু বেশী করে কুড়াও। আমাকে ভাগ দিও। যখন দেশে আসবো, বুঝিয়া লইবো। সাহায্যের জন্য অগ্রীম ধন্যবাদ!!!!
১৬ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৫২
নতুন নকিব বলেছেন:
যখন দেশে আসবো, বুঝিয়া লইবো।
-আপনাকে কি তখন মনে করিয়ে দিতে হবে? এক শর্তে স্মরণ করিয়ে দিতে পারি, ৫০% ভাগ দিতে হবে।
৭৭| ১৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ১০:২৭
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উলু বন থেকে আরেকজন আসছেন মুক্তা কুড়িয়ে। ঝকঝকে তকতকে কিছু দেখলেই নজর লাগায়।
১৬ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৫৩
নতুন নকিব বলেছেন:
মুক্তার প্রতি তাঁর বিশেষ নজর।
৭৮| ১৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ১০:৩৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: উলু বন থেকে আরেকজন আসছেন মুক্তা কুড়িয়ে। ঝকঝকে তকতকে কিছু দেখলেই নজর লাগায়। যে যার ধান্ধায় থাকে। এতে দোষের কিছু নাই। বরং পারলে আপনেও কিছু কুড়ান। দুইজনের কাছ থেকে সাহায্য পেলে আমার খুবই উপকার হবে। বৃটেনের অর্থনীতিতে সমস্যা চলছে, সামনে কমার কোন লক্ষণ দেখছি না!!!!
১৬ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫
নতুন নকিব বলেছেন:
যে যার ধান্ধায় থাকে।
-একেবারেই সত্য বলেছেন। এই যেমন, আপনি দুইজনের উপরে ভাগ বসাতে চাচ্ছেন। আমি আপনার কাছ থেকে নিতে চাচ্ছি।
৭৯| ১৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ১০:৫৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ ভুয়া মফিজ ভাই - মুক্তা কুড়াবো কি, গরুর রচনার জবাবে আমিও গরুর রচনা লিখতে লিখতে রাত পাড় করে দিচ্ছি। যে গরুর রচনা লিখেছে সে এখন নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে। আমি নিজেই মুক্তা কুড়ানোর বদলে মুক্তা ছড়াতে শুরু করেছি। আপনি মনে করাই দিয়ে ভালো করসেন। আসলে নকিব ভাইকে বলতে হবে, পোস্ট পরে দিয়েন। আগে বাংলা অভিধানটা মুখস্থ করেন। এই পোস্টে মন্তব্য দিতে দিতে আমার বাংলা অভিধান প্রায় মুখস্ত হয়ে গেছে।
১৬ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৫৯
নতুন নকিব বলেছেন:
আসলেই অবস্থা জটিল! মনে হচ্ছে, বাংলা অভিধান মুখস্ত করেই এর পরে পোস্ট দিতে হবে। আপনার প্রতি অনিঃশেষ কৃতজ্ঞতা। এই পোস্টে অনেক কমেন্টের যথার্থ উত্তর দিয়ে আপনি বিশেষ দায়িত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
৮০| ১৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ১০:৫৯
শায়মা বলেছেন: ৭৬. ১৫ ই জুন, ২০২৫ রাত ১০:২৬০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: শায়মা বলেছেন: তোমরা ঝগড়া করো!! আরও করো !!!! আরও আরও
আমি মুক্তাগুলা কুড়াই ফেলি তাড়াতাড়ি!!!
আমারও কিছু মুক্তা দরকার ছিল। তোমার ভাবী বেশ কিছুদিন ধরে আমার কাছে চাচ্ছে। আমার সময় কম, তাই কুড়াতে পারছি না। তুমি একটু বেশী করে কুড়াও। আমাকে ভাগ দিও। যখন দেশে আসবো, বুঝিয়া লইবো। সাহায্যের জন্য অগ্রীম ধন্যবাদ!!!!
ভূয়া ভাইয়ু
যতগুলা পেয়েছি সব দিয়ে মালা বানাই ফেলছি। আরও ঝগড়া করো সেগুলো থেকে দেবো ভাবীকে...... চুয়াত্তরভাবীকেও দেবো। তবে তাতে ঝগড়ার পরিমান আরও বাড়াতে হবে আর মুক্তাও আরও বেশি বেশি ছড়াতে হবে সবাইকে....
তবে তোমরা যে কি রে ভাই বসে বসে দেখি..... আগে ভাবতাম নিজেরেই দেখি এখন দেখি আমার চাইতেও তোমাদের দিকে বেশি তাকায় থাকা লাগছে...... কোন দিন দিয়ে আবার মুক্তা ছুড়ো...... মিস হয়ে যায় যদি!!!!!!!
১৬ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:০৫
নতুন নকিব বলেছেন:
যতগুলা পেয়েছি সব দিয়ে মালা বানাই ফেলছি। আরও ঝগড়া করো সেগুলো থেকে দেবো ভাবীকে...... চুয়াত্তরভাবীকেও দেবো। তবে তাতে ঝগড়ার পরিমান আরও বাড়াতে হবে আর মুক্তাও আরও বেশি বেশি ছড়াতে হবে সবাইকে....
-জটিল বয়ান! তার মানে, সেয়ানে সেয়ানে লড়াই! মুক্তা যা পাওয়া গেছে সব ইতোমধ্যেই হজম হয়ে গেছে! নতুন করে পেলে তবেই সবাইকে দেওয়া হবে! সর্ব্বনাশ!
৮১| ১৬ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কিচ্ছে এইহানে
আপু কিছু মুক্তা আমারেও দিয়ো
১৬ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:০৭
নতুন নকিব বলেছেন:
মুক্তা যা পাওয়া গেছে সব ইতোমধ্যেই ভাগবাটোয়ারা হয়ে গেছে! নতুন করে পেলে তবেই দেওয়া হতে পারে! মুক্তা সংগ্রাহককে বলে রাখতে পারেন!
৮২| ১৬ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৫৬
নতুন বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্লগার নতুন ইসলাম বিদ্বেষী না কিন্তু আলোচিত ব্লগার ইসলাম বিদ্বেষীদের নেতা এই ব্লগে। এই কারণে ব্লগার নতুন যতই ইসলাম ধর্মের সমালোচনা করুক না কেন সে কখনও ইসলামের প্রতি বিদ্বেষ দেখায় না। একই কারণে ব্লগার নতুনকে ইসলাম সংক্রান্ত বিষয়ে কেউ কোন কথা শোনায় না কখনও। পক্ষান্তরে আলোচিত ব্লগারের ১০০ (হাজারও হতে পাড়ে) এর উপরে মন্তব্য আছে যা পরিষ্কার ইসলাম বিদ্বেষ। সে বছরের পর বছর ধরিয়া এই কাজ করিতেছে। কাজেই উহা যে একজন পরিষ্কার ইসলাম বিদ্বেষী এই ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই। কোন ধর্মের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা যাবে না। কিন্তু এই ব্লগার সেই কাজটা ক্রমাগত করে যাচ্ছে। ইহার নাম বাক স্বাধীনতা না। কিন্তু উহা ইহা বোঝে না। এই ধরণের একজন ইসলাম বিদ্বেষী এবং সমস্যাপূর্ণ ব্লগারকে (যাকে সামলাতে ব্লগ কর্তৃপক্ষেরও হিমশিম খেতে হয়) যে ব্লগার সমর্থন দিয়ে যায় তার মাথায় গোবরও নাই। আমার ধারণা তার মাথা ভর্তি ঝামা ইট আছে (পুরাপুরি খালিও থাকতে পারে)। সামান্য শব্দগত একটা বিষয়কে বিতর্কের বিষয়বস্তু বানাইয়া উহার (ঐ ব্লগার) সমর্থনে বিতর্ক চালিয়ে যাওয়া ব্লগে ইসলাম বিদ্বেষীদের আশকারা দেয়া ছাড়া আর কিছুই না। সেই ব্লগার ইহা বুঝিলে এতো বড় গরুর রচনা আমার লিখিতে হই তো না। এই ব্লগারকে বুঝিতে হইবে যে নাস্তিকতা আর ইসলাম বিদ্বেষ এক জিনিস না। আল্লাহ ইহাকে সহি বুঝ দান করুন। আমিন।
এই ধরণের একজন ইসলাম বিদ্বেষী এবং সমস্যাপূর্ণ ব্লগারকে (যাকে সামলাতে ব্লগ কর্তৃপক্ষেরও হিমশিম খেতে হয়) যে ব্লগার সমর্থন দিয়ে যায় তার মাথায় গোবরও নাই।
যারা সহ ব্লগারকে লম্পট বলায় প্রতিবাদ করেছে তারা কখনোই আলোচিত ব্লগারের কাজকে সর্মথন করছেনা!
আপনি এবং নতুন নকিব ভাই লম্পট শব্দের বাংলা অর্থ বুঝতে পারেন নাই ভেবে ব্লগার সমাজের আক্কেল গুড়ুম হবার অবস্থা।
আমার মনে হয় লম্পট শব্দটি বাংলা ভাষায় কি অর্থ ব্যবহার হয় সেই সম্পর্কে সবাইকে নতুন করে শেখানোর দরকার নাই।
আমি প্রতিবাদ করেছি কারন অন্ধধর্মানুভুতির কারনেই কিন্তু অনেকে ধর্মবিরুধী কথা বলায় মানুষ খুন পযন্ত করেছে। এখানেও সেটাই দেখতে পাচ্ছি একটু সস্ফট স্কেলে।
নতুননকিব ভাই রাগ হয়ে ব্লগার চাদগাজীর চরিত্রহরনের চেস্টা করেছে। সেই একই অন্ধধর্মানুভুতি/ আবেগেই কিন্তু রাসুল সা: বা অন্য কারুর বিরুদ্ধে বলার কারনে অনেকেই মানুষ হত্যা পযন্ত করে।
১৬ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:১২
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার উদ্বেগকে শ্রদ্ধা করি। ‘লম্পট’ শব্দটি সাধারণত বাংলা ভাষায় যৌন বিকৃতি বা নারীঘটিত চারিত্রিক বিচ্যুতির অর্থে বহুল ব্যবহৃত হলেও, এর মাধ্যমে নীতি-নৈতিকতা বা আদর্শহীনতাও বোঝানো হয়—এটা একেবারে অস্বীকার করা যায় না। আমরা কেউই সহব্লগারের ব্যক্তিগত চরিত্র হননের পক্ষে নই। তবে, ধর্ম অবমাননার প্রতিবাদ করলেই তা "অন্ধ ধর্মানুভূতি" হয়ে যায়—এই ধারণাটিও সঠিক নয়। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পাশাপাশি পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখা সকলেরই দায়িত্ব।
ধন্যবাদ।
৮৩| ১৬ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:৩০
নতুন বলেছেন: আপনার উদ্বেগকে শ্রদ্ধা করি। ‘লম্পট’ শব্দটি সাধারণত বাংলা ভাষায় যৌন বিকৃতি বা নারীঘটিত চারিত্রিক বিচ্যুতির অর্থে বহুল ব্যবহৃত হলেও, এর মাধ্যমে নীতি-নৈতিকতা বা আদর্শহীনতাও বোঝানো হয়—এটা একেবারে অস্বীকার করা যায় না। আমরা কেউই সহব্লগারের ব্যক্তিগত চরিত্র হননের পক্ষে নই। তবে, ধর্ম অবমাননার প্রতিবাদ করলেই তা "অন্ধ ধর্মানুভূতি" হয়ে যায়—এই ধারণাটিও সঠিক নয়। মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পাশাপাশি পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখা সকলেরই দায়িত্ব।
ধন্যবাদ।
অন্ধ ধর্মানুভূতি
আপনি যখন লাম্পট শব্দটা নীতি-নৈতিকতা বা আদর্শহীনতা বোঝাতে ব্যাবহার করেন সেটা খুবই স্বজ্ঞানেই করেন। এবং এটা রাগ থেকেই আসে।
এখন ধর্মিয় আইডিয়া প্রমানিত কিছু না। এটা একটা বিশ্বাস মাত্র। সেটার সত্য হবার সম্ভবনা ৫০%-৫০%। কিন্তু আপনি একজন মানুষের ব্যক্তিগত চরিত্র হননের উদ্দেশ্যেই লম্পট শব্দ ব্যবহার করেছেন।
আপনি ব্যক্তিগত ভাবে একজন ঘুষ খোর বা কেউ আপনার টাকা আত্বস্বাত করেছে তাকে লম্পট বলবেন না। কারন আপনার ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত লাগেনাই এবং আপনি তাকে বাটপার, অনৈতিক, আদর্শহীন বলবেন।
এই জন্যই ধর্মীয় অনুভুতি নিয়ে যখন মানুষ চিন্তা করে তখন সে যৌক্তিক ভাবনায় থাকেনা। তাই আমি সেটাকে অন্ধ ধর্মানুভুতী বলেছি।
১৬ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৫৬
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার যুক্তি ও ভাষ্যের পেছনে চিন্তাভাবনা আছে, তা অনস্বীকার্য। তবে ধর্ম কারো কাছে কেবল বিশ্বাস নয়, জীবনের মূল চালিকাশক্তিও। তাই ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ অনেকের কাছে গভীর আঘাত। কারও আচরণে যদি ইচ্ছাকৃত ধর্ম বিদ্বেষ থাকে, সেটা প্রতিবাদ পেতে বাধ্য।
আমি একজন ধর্ম বিদ্বেষীকে কেন লম্পট বলেছি, এটাতেই আপনি, ব্লগার মিররডডল এবং ব্লগার হাসান মাহবুবসহ কয়েকজনের আপত্তি। এইক্ষেত্রে আমার বক্তব্য স্পষ্ট, ধর্ম বিদ্বেষী ব্যক্তি যে সচ্চরিত্রের অধিকারী নন এটা তো নিশ্চিতভাবেই স্বীকার করবেন। তাই নয় কি? তিনি যদি সচ্চরিত্রের অধিকারী হতেনই তাহলে কখনোই ধর্ম বিদ্বেষী আচরণ করতেন না, বা ধর্ম বিদ্বেষ ছড়াতেন না। সুতরাং, ধরেই নিতে পারি, তিনি একজন দুশ্চরিত্রবিশিষ্ট লোক। এহেন একজন অসচ্চরিত্রের লোককে লম্পট বলা কি অযৌক্তিক? মোটেই অযৌক্তিক নয়। তারপরেও আপনাদের অব্যাহত আপত্তির প্রতি সম্মান দেখিয়ে এবং একইসাথে ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর ভাইয়ের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে শব্দটি পাল্টে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ভালো থাকুন। ধন্যবাদ।
৮৪| ১৬ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:০২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ ব্লগার নতুন- নকিব ভাই তার মন্তব্যে কয়েকবার পরিষ্কার করেছেন যে উনি লম্পট বলতে আলুর দোষ বুঝাননি। তারপরেও এই শব্দের অর্থ এবং এই পোস্টে তার প্রয়োগ নিয়ে বিতর্ক করার কোন মানে হয় না। অভিধান অনুযায়ী লম্পট শব্দ চারিত্রিক সমস্যার ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়। তারপরেও যেহেতু অনেকের সমস্যা হচ্ছে তাই উনি কয়েকবার ব্যাপারটা পরিষ্কার করেছেন যে উনি 'লম্পট' শব্দ দ্বারা নারী ঘটিত ব্যাপার বুঝাননি। এটা নিয়ে অযথা বিতর্ক করার দরকার দেখি না। অভিধান অনুযায়ী উনি ভুল বলেননি। আরেকটা ব্যাপার হল যার স্বভাব চরিত্রেই সমস্যা আছে তার চরিত্র হনন করার দরকার পরে না। নকিব ভাই ওনার ইসলাম নিয়ে ভণ্ডামির প্রতিবাদ করেছেন শুধু।
ধর্ম বিরোধী কথা আপনিও বলেন। সেটা সমস্যা না। কিন্তু আপনার কথায় ধর্ম বিদ্বেষ থাকে না। কিন্তু আলোচিত ব্লগার একজন সুপরিচিত ইসলাম বিদ্বেষী। উনি ধর্ম বিরোধী কথা না বরং ধর্ম বিদ্বেষপূর্ণ কথা বলে থাকেন। ধর্ম বিদ্বেষী কথা আমাদের দেশের প্রচলিত আইনেও একটা অপরাধ। আপনি আশা করি সেটা জানেন। ধর্মের সমালোচনা আর ধর্ম বিদ্বেষ এক জিনিস না। দায়িত্ব জ্ঞানহীন কাজ যে করবে সেটার দায়িত্ব আরেকজন নিবে না।
১৬ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:০১
নতুন নকিব বলেছেন:
উনাদের আপত্তির যেহেতু শেষই হচ্ছে না, এত এত বার ব্যাখ্যা দেওয়ার পরেও তারা যেহেতু শব্দটিকে মেনে নিতেই পারছেন না, তাদের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ানো শব্দটি শেষমেষ সরিয়ে দিলাম।
আপনার এই মন্তব্যটিতেও চমৎকারভাবে আপনি আবারও বিষয়টি তুলে ধরেছেন। অনিঃশেষ কৃতজ্ঞতা ভাই। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা আপনাকে সর্বাঙ্গীন কল্যান করুন। জাজাকুমুল্লাহু খাইরান।
৮৫| ১৬ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:২৮
নতুন বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ ব্লগার নতুন- নকিব ভাই তার মন্তব্যে কয়েকবার পরিষ্কার করেছেন যে উনি লম্পট বলতে আলুর দোষ বুঝাননি। তারপরেও এই শব্দের অর্থ এবং এই পোস্টে তার প্রয়োগ নিয়ে বিতর্ক করার কোন মানে হয় না। অভিধান অনুযায়ী লম্পট শব্দ চারিত্রিক সমস্যার ক্ষেত্রেও ব্যবহৃত হয়। তারপরেও যেহেতু অনেকের সমস্যা হচ্ছে তাই উনি কয়েকবার ব্যাপারটা পরিষ্কার করেছেন যে উনি 'লম্পট' শব্দ দ্বারা নারী ঘটিত ব্যাপার বুঝাননি। এটা নিয়ে অযথা বিতর্ক করার দরকার দেখি না। অভিধান অনুযায়ী উনি ভুল বলেননি। আরেকটা ব্যাপার হল যার স্বভাব চরিত্রেই সমস্যা আছে তার চরিত্র হনন করার দরকার পরে না। নকিব ভাই ওনার ইসলাম নিয়ে ভণ্ডামির প্রতিবাদ করেছেন শুধু।
সাচু ভাই। নতুন-নকিব ভাই যদি বিভ্রান্তিমূলক শব্দটার আরো কয়েকটা অর্থ আছে " ধোয়াশা, দূর্বদ্ধ, কঠিন," এগুলি অর্থ হিসেবে দেখতেন তবেও তার কাছে এটা শব্দ ধর্মঅবমাননা কর লাগতো না।
১৬ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:০৩
নতুন নকিব বলেছেন:
আশা করি, এখন আনন্দিত হবেন। ধন্যবাদ।
৮৬| ১৬ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:১০
নতুন বলেছেন: ঠিক আছে। খুশি। আপনাকে ধন্যবাদ।
আমি ব্যক্তিগত আক্রমনের সমর্থন করি না।
আমি অবশ্যই উনার ধর্মবিদ্বেষী বক্তব্যের প্রতিবার করি।
আলোচনা যৌক্তিক এবং সন্মান বজায় রেখেই হওয়া উচিত।
১৬ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:১৫
নতুন নকিব বলেছেন:
আমি ব্যক্তিগত আক্রমনের সমর্থন করি না।
-ঠিক আছে। এটা আপনার ভালো গুণ। কিন্তু উনার ধর্মবিদ্বেষমূলক বক্তব্যগুলো আপনি পছন্দ/ সমর্থন করেন?
৮৭| ১৬ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৩০
নতুন বলেছেন: কিন্তু উনার ধর্মবিদ্বেষমূলক বক্তব্যগুলো আপনি পছন্দ/ সমর্থন করেন?
আমার মনে হয়না আমি কারুর ধর্মবিদ্বেষমুলক বক্তব্যগুলিকে সমর্থন করি। সেটা আমার কাছে ধর্মবিদ্বেষমুলক মনে হয় সেটার প্রতিবাদ আমি করবো।
তবে যেটা আপনার কাছে বিদ্বেষ মুলক মনে হবে সেটা অন্যের কাছে তেমন মনে কঠিন সমালোচনা মনে হবে।
ধর্ম আর রাজনিতি একটা গ্রে এরিয়া।
১৬ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৩২
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার বক্তব্য যুক্তিসংগত। আপনি ধর্মবিদ্বেষ সমর্থন করেন না, কিন্তু মতভেদ থাকতে পারে—কারও কাছে কঠিন সমালোচনা, আরেকজনের কাছে বিদ্বেষ মনে হতে পারে। ধর্ম ও রাজনীতি সত্যিই এক ধরণের গ্রে এরিয়া, যেখানে আবেগ ও যুক্তির সীমারেখা মিলে মিশে যায়।
৮৮| ১৬ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:২৪
আরোগ্য বলেছেন: এই পোস্টে কি গুপ্তধনের সন্ধান পাওয়া গেছে। হঠাৎ মণিমুক্তার আলোচনা শুরু হয়ে গেলো।
১৬ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৮
নতুন নকিব বলেছেন:
ব্লগের চিহ্ণিত এক ভ্রষ্টকে লম্পট বলায় কারও কারও তীব্র আপত্তিকে কেন্দ্র করে একপর্যায়ে এই পোস্টে গুপ্তধনের আবির্ভাব। মনি মানিক্য কুড়াতে আপনাকেও স্বাগত।
৮৯| ১৬ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৩
আরোগ্য বলেছেন: থাক মণিমাণিক্য আপনাদেরই মোবারক। আমি ঝোলা খালি রাখি। সিরিজ পোস্ট দিলে তো আবার গালির বর্ষণ হবে। তালাকের পোস্টের প্রস্তুতি নেই। যত গালি পড়বে সব ঝোলায় আটকাবো, গায়ে যাতে না লাগে।
১৬ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:০৫
নতুন নকিব বলেছেন:
আমি ঝোলা খালি রাখি। সিরিজ পোস্ট দিলে তো আবার গালির বর্ষণ হবে। তালাকের পোস্টের প্রস্তুতি নেই। যত গালি পড়বে সব ঝোলায় আটকাবো, গায়ে যাতে না লাগে।
-কী নিঃসীম অন্ধকারে ডুবে আছে আমাদের এই প্রিয় ব্লগ—আপনার মন্তব্যেই তার কিছুটা আভাস মেলে। অভিজ্ঞতার আলোকে আপনি ইতোমধ্যেই জানেন যে, সিরিজ পোস্ট দিলেই সেখানে নেমে আসতে পারে গালির ঝড়! কী ভয়াবহ বাস্তবতা!
আল্লাহ তাআ'লা হকের পথে আপনার ধৈর্য ও স্থিরতা আরও বৃদ্ধি করুন, দ্বীনের ওপর ইস্তিকামাত থাকার তাওফিক দিন। আমিন।
৯০| ১৬ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:৪৮
ক্রেটোস বলেছেন: ক্রেটোস, মতভেদ থাকতে পারে, কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রমণ ও কটূক্তি কোনো সমাধান নয়। ভাষার ব্যবহার সময়, প্রেক্ষাপট ও অভিধান-ভিত্তিক হলেও, বাস্তব জীবনে শব্দের মানে প্রাসঙ্গিকতা অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। তাই কারও মতামত ভিন্ন হলেও, সম্মান রেখে উত্তর দেওয়াই শালীনতার পরিচয়।
আপনি আমাকে যে উপদেশ দিলেন তা আপনি নিজে মানেন কি? মানলে তো এই পোস্ট প্রসব করতেন না। নাকি কেবল নিজেদের গায়ে লাগলেই তখন নীতি-নৈতিকতার বিষয়টা মাথায় আসে?
আমি যাকে উদ্দেশ্য করে বলেছি তিনি তাই। তার প্রমাণ তার লিখাতেই পাওয়া যায়। আমি তো আর আপনার মতন তাকে "লম্পট" বলতে যাইনি। তিনি নিজেই ভণ্ডামি করেছেন ও করে যাচ্ছেন তাই তাকে আমি ভণ্ড বলেছি। এখানে অশালীনতার কিছু নেই। বরং শালীনতার ব্যাপারটা আপনার শেখা উচিত। আশা করি আমাকে যা যা উপদেশ দিয়েছেন তা আগে নিজে মেনে চলবেন।
১৮ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:২২
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনার মন্তব্যের ভঙ্গি থেকেই স্পষ্ট—আপনি যুক্তির চেয়ে ব্যক্তিপর্যায়ের আক্রমণে বেশি আগ্রহী। কাউকে “ভণ্ড” বলা যে শালীনতা নয়, তা বোঝার মতো শালীনতাই যদি আপনার মধ্যে থাকত, তাহলে এতটা উত্তেজক ও আত্মম্ভরিতার ভঙ্গিতে প্রতিক্রিয়া দিতেন না। আর আপনি যদি নৈতিকতার কথা কেবল অন্যের জন্য মনে করেন, তবে সেটাই এক ধরনের ভণ্ডামি।
উপদেশ তখনই মূল্য পায়, যখন গ্রহণ করার মতো মন-মানসিকতা থাকে। আপনার বক্তব্যে সেটা অনুপস্থিত—তাই আপনার এই প্রতিক্রিয়া শুধু প্রতিহিংসার বহিঃপ্রকাশ, যুক্তির নয়।
শালীনতার পাঠ আগে নিজে শিখুন, তারপর অন্যকে শেখানোর চেষ্টা করুন। ধন্যবাদ।
৯১| ১৯ শে জুন, ২০২৫ রাত ১০:০৮
ক্রেটোস বলেছেন: @নতুন নকিব, আপনি কি শোভনীয় পর্যায়ে আক্রমণ করেছেন? জনাব সাড়ে চুয়াত্তর কী এমন যুক্তি দিলেন? উনি তো এটাই প্রমাণ করতে পারেননি যে দুশ্চরিত্র বিশেষণটা "কামুক" অর্থ বাদে বাংলা সাহিত্যে কোথাও ব্যবহৃত হয়েছে। আপনিও কী পারবেন? তিনি নিজেই প্রমাণ ছাড়া আপনি যে একজনকে লম্পট ডাকলেন তার সাফাই গাইলেন তার পেছনে কোন যুক্তিও তিনি দেখাননি খালি আবোল-তাবোল বলে গেছেন। তো এটা স্পষ্ট ভণ্ডামি নয়? এখন আপনি যদি এটাকে ভন্ডামি না মনে করেন তবে আপনি নিজেই তো যৌক্তিক চিন্তা করেন না আমাকে কেন সবক দিচ্ছেন?
আর জনাব আপনি আমাকে উপদেশ দিচ্ছেন কিন্তু নিজেই সেটা মানছেন না তো আপনার মত করাপ্টেড লোকের থেকে উপদেশ কেন নেব ভাই? না এটা ধর্ম সমর্থন করে আর না এটা যুক্তি সমর্থন করে আর না বিবেক সর্থন করে!
আপনিই বলেছেন আর আপনি যদি নৈতিকতার কথা কেবল অন্যের জন্য মনে করেন, তবে সেটাই এক ধরনের ভণ্ডামি। তো ভাই আপনি নিজেই তো নৈতিকতা মানেন না যেমন সাড়ে চুয়াত্তর মানেনি। তবে অন্যকে নৈতিকতার সবক দিচ্ছেন তো এবার আপনিই বলুন আপনার মতে আপনি কি? নাকি এখন এটা বলবেন, "ঝুনা খাইলে গুনাহ নাই!"
২০ শে জুন, ২০২৫ সকাল ৮:৩৭
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় ক্রেটোস,
আপনাকে নিয়ে এই এক যন্ত্রণা! একই জিনিষ আপনি ঘুরিয়ে প্যাচিয়ে বারবার আওড়াচ্ছেন!
যদিও আপনার বক্তব্যে আবেগ আছে, তবে যুক্তির জায়গাটাতে কিছুটা অসঙ্গতিও স্পষ্ট—তা আপনাকে বিনয়ের সাথে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।
প্রথমত, "দুশ্চরিত্র" শব্দটি বাংলা সাহিত্যে শুধুমাত্র "কামুক" অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে—এমন দাবিটি নিজেই একটি নির্মিত পূর্বধারণা, যার পক্ষে আপনি এখনও প্রমাণ হাজির করেননি। বাংলা ভাষায় "দুশ্চরিত্র" বলতে যে কোনও রকম চারিত্রিক বিচ্যুতি বোঝানো হয়—তা হোক তা লোভ, প্রতারণা, দুর্নীতি বা কামে পতন। শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ এবং প্রয়োগের পরিধি আপনি সংকীর্ণভাবে ব্যাখ্যা করতে পারেন না।
দ্বিতীয়ত, আপনি বলছেন, "আমি একজনকে লম্পট ডেকেছি, আর ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর ভাই তার সাফাই গেয়েছেন।" অথচ, আপনি নিজেই 'ভণ্ড', 'করাপ্টেড', 'ঝুনা খাওয়া' প্রভৃতি ব্যঙ্গ ও অবমাননাকর শব্দে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন। আপনার বক্তব্য যদি সত্য ও যুক্তিসম্মত হয়, তবে ব্যক্তিগত বিষোদ্গার আপনার যুক্তিকে দুর্বলই করে, শক্তিশালী করে না। বরং এতে আপনার বক্তব্য একধরনের প্রতিশোধস্পৃহার বহিঃপ্রকাশ হয়ে পড়ে।
তৃতীয়ত, আপনি বলছেন, "অন্যের নৈতিকতা মানা উচিত, কিন্তু আপনি নিজে মানছেন না।" – এখানে 'Tu quoque' fallacy রয়েছে, অর্থাৎ আপনি নিজের দোষ ঢাকতে অন্যের দোষ টেনে আনছেন। কিন্তু প্রকৃত যুক্তি হলো, কারও ভণ্ডামি আরেকজনের ভণ্ডামিকে বৈধতা দেয় না। কেউ যদি আদর্শচ্যুতি করে থাকে, তার মানে এই নয় যে আপনার পক্ষেও অনৈতিক হওয়া বৈধ হয়ে যায়।
সবশেষে বলি—নৈতিকতা ও যুক্তি কখনোই প্রতিশোধের হাতিয়ার নয়। নৈতিকতার কথা অন্যকে বলতে হলে নিজেকেও তার মাপকাঠিতে দাঁড়াতে হয়—এটা যেমন আমার জন্য সত্য, তেমনি আপনার জন্যও।
আপনি যদি সত্যিই ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে চান, তবে রাগ নয়, শান্ত মন ও বিশুদ্ধ যুক্তি দিয়েই তা করুন। শালীনতা ও যুক্তি দিয়ে বলা প্রতিটি সত্য শক্তিশালী হয়; কিন্তু গালাগাল ও বিদ্বেষে সত্যও দুর্বল হয়ে পড়ে।
অহেতুক বিতর্ক নয়, শুভবুদ্ধির জাগরণ কামনা করি।
৯২| ২০ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৪১
ক্রেটোস বলেছেন: জনাব নকিব।
আমার দাবিটি ছিল এখানে যে বাংলা সাহিত্যে এমন কোন উদাহরণ দেখানো হোক যেখানে দুশ্চরিত্র বিশেষণটি কামুক অর্থবাদে অন্য অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। তো সেটা দেখানো হোক। কিন্তু না সাড়ে চুয়াত্তর আর না আপনি এই উদাহরণ দেখাতে পেরেছেন। আমি কিন্তু এই বাদে আর কোন দাবি করিনি। কিন্তু আপনি কি উত্তর দিলেন ? ব্যবহৃত হতে পারে বলেছেন কিন্তু কোনভাবে আপনি উদাহরণ দিতে পারছেন না। স্ত্রী শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হলো নারী। তো সাহিত্যে আমরা স্ত্রী শব্দটিকে পত্নী অর্থেই তো ব্যবহার করি। আপনি আমাকে উদাহরণ দেখাতে পারবেন না কিন্তু বলবেন আমি শব্দের প্রায়োগিক পরিধিকে সংকীর্ণভাবে ব্যাখ্যা করতে পারবো না। কিন্তু আপনি নিজেই শব্দের আভিধানিক অর্থকে এড়িয়ে যাচ্ছেন যেমনটা এড়িয়ে গেছে সাড়ে চুয়াত্তর। এখানে আপনারা কেউই পোক্ত উত্তর দিতে পারছেন না কিন্তু ইনিয়ে বিনিয়ে যাচ্ছেন এটাকে বলে Vagueness Fallacy, যেখানে প্রশ্নের সোজাসুজি উত্তর না দিয়ে এটা হতে পারে ওটা হতে পারে বলে সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়!
দ্বিতীয় প্যারাতে আপনি আমার প্রতি যে দাবি তুলেছেন সেটা আপনি নিজেও তুলেছেন। আপনাকে যখন আমি প্রশ্ন রাখছি আপনি তখন আমাকে দেখিয়ে দিচ্ছেন আমি ব্যক্তি আক্রমণ করছি। এটাও একটা ফ্যালাসি , Ad Hominem ফ্যালাসি। সেটা আপনি প্রথমেই করেছেন আমার প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে। আবার আপনি পোস্টেও করেছেন কোন প্রকার যুক্তি না দিয়ে একজনকে ব্যক্তি আক্রমণ করেছেন ।
তৃতীয় প্যারাতে আপনি আমাকে অভিযুক্ত করেছেন যে আমি ফ্যালাসি করেছি । বেশ , তবে এর আগে আপনিই তো Moralistic ফ্যালাসি করেছেন। আপনি আমার উত্তর না দিয়ে আপনি নৈতিকতা শেখাতে এসেছেন। এটা কী ঠিক হলো ?
আপনি একটা সুন্দর কথা বলেছেন “নৈতিকতার কথা অন্যকে বলতে হলে নিজেকেও তার মাপকাঠিতে দাঁড়াতে হয়—এটা যেমন আমার জন্য সত্য, তেমনি আপনার জন্যও।” একদম নিরেট সত্য বলেছেন । এখন বলুন তো, আপনি এই যে একজনকে গালমন্দ করলেন এতে করে কী আপনি প্রথমেই নৈতিকতার বরখেলাপ করলেন না? কিন্তু আপনি নিজেকে সেখানে দাঁড় না করিয়ে অন্যকেই অভিযুক্ত করে গেছেন এটা কী ঠিক হলো? আপনি নিজেই অনেক ফ্যালাসি করলেন কিন্তু অন্যকে অভিযুক্ত করছেন ফ্যালাসি নিয়ে । নিজের ফ্যালাসিকে এড়িয়ে আপনি অন্যজনকে ফ্যালাসির অভিযুক্ত করাটাও কিন্তু একপ্রকারের আনৈতিকতা । আপনি যখন ধার্মিক তখন আপনি জানবেন যে ইসলামের নবী নিজেই শিক্ষা দিয়ে গেছেন অন্যকে উপদেশ দেবার আগে নিজেকে সেটা মেনে চলতে হয়। আপনি কিন্তু সেখানেও বরখেলাপ করেছেন।
আপনাকে আমি বলেছি, “ঝুনা খাইলে গুনাহ নাই।” এর দ্বারা আমি এটাই বোঝাতে চেয়েছি যে নিজে যে নৈতিকতা মানছেন না এর ক্ষেত্রে কী আপনি Special Pleading ফ্যালাসিকে প্রদর্শন করবেন? আপনি সরাসরি করেননি তবে নিজের বিষয়টা এড়িয়ে গেছেন।
সাড়ে চুয়াত্তর শব্দের আক্ষরিক অর্থকে বাদ দিয়ে আভিধানিক অর্থের দিকে এগিয়ে গেছেন ভালো কথা । কিন্তু তিনি সেই আভিধানিক অর্থের বাস্তবিক উদাহরণ টেনে আনতে পারেননি যেমনটা আপনিও পারেননি । তো এবার বলুন নতুন নকীব আপনি ও তিনি নিজেই প্রতারণা করেননি?
আপনার শেষ কথাটা সুন্দর আশা করবো নিজেও সেটা মেনে চলবেন অন্যকে লম্পট না বলে সত্য নিয়ে সুন্দর ভাবে বিতর্ক করবেন । শুভকামনা রইল !
২০ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় ক্রেটোস,
আপনার বক্তব্য সুস্পষ্ট ও বিশ্লেষণধর্মী, তবে কয়েকটি জায়গায় যুক্তির ভারসাম্য রক্ষা হয়নি।
১. “দুশ্চরিত্র” শব্দটি সাহিত্যে কেবল “কামুক” অর্থে ব্যবহৃত—এটা দাবি করলে তার প্রমাণ আপনাকেই দিতে হয়। অন্যেরা প্রমাণ না দিতে পারলে আপনার দাবিও প্রমাণিত হয় না। এটি Argument from Silence ফ্যালাসি।
২. ব্যক্তি আক্রমণ ও সমালোচনা এক জিনিস নয়। কেউ যখন বিতর্কের কেন্দ্রে থাকে, তার কথাবার্তা বা অবস্থান নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এটি সবসময় Ad Hominem হয় না।
৩. আপনি অন্যের নৈতিকতার প্রশ্ন তুলেছেন, অথচ নিজেই বিদ্রূপ, ব্যঙ্গ এবং খণ্ডিত যুক্তির আশ্রয় নিয়েছেন—এটা Double Standard। আপনি যদি নৈতিক অবস্থান জোর দিয়ে তুলে ধরেন, তবে নিজেকেও তার আওতায় আনতেই হয়।
৪. “ঝুনা খাইলে গুনাহ নাই” – এ ধরনের কটূক্তি আপনাকে তর্কে এগিয়ে দেয় না, বরং আপনার যুক্তির গ্রহণযোগ্যতা খর্ব করে।
সবশেষে বলি, ফ্যালাসি খোঁজার চেষ্টা তখনই সফল হয় যখন তা নিজেকেও প্রয়োগ করা হয়, কেবল প্রতিপক্ষকে কোণঠাসা করার জন্য নয়।
আসুন, আমরা তর্কে নয়, যুক্তিতে বিজয়ী হই।
শুভকামনা রইল।
৯৩| ২০ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:১৬
ক্রেটোস বলেছেন:
এবার কিন্তু আপনি কথা ঘোরাচ্ছেন নকীব।
১/ আমি দাবি তুলেছি দুশ্চরিত্র বিশেষণটি কামুক অর্থে নয় অন্য অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে তার উদাহরণ দিতে। আপনি হয় এর উত্তর দেবেন নয়তো নয় উল্টো আপনি আমাকে বলছেন আমি আপনার উত্তর দিতে বাধ্য এটা তো ভাই Burden of Proof Shift
ফ্যালাসি হয়ে গেল তাই না? আমি তো আমার বক্তব্যে একটা প্রশ্ন রেখে আর কোন দাবি করিনি তো আপনি এই নতুন দাবি কেন আনলেন? এটা তো মিথ্যাচার !
২/ আমি নিজেই তো সাড়ে চুয়াত্তরের অবস্থান নিয়ে তার সমালোচনা করেছি যে তিনি ভণ্ডামি করেছেন তবে আপনি সেখানে নৈতিকতার প্রশ্ন তুলে আমাকে অভিযুক্ত করলেন কেন? এটা অবশ্যই Ad Hominem ফ্যালাসি এবং এখন আপনি যথার্থই Special Pleading ফ্যালাসি দেখাচ্ছেন !
৩/ আমি নৈতিকতার প্রশ্ন তুলতাম না যদি না আপনি নিজেই আমাকে Ad Hominem ফ্যালাসি নিয়ে আক্রমণ না করতেন ও Moralistic ফ্যালাসি না করতেন। আবার এটা দেখুন আপনি নিজেই অন্যকে ব্যক্তি আক্রমণ করছেন লম্পট ডাকছেন আবার এই আপনিই ব্যক্তিআক্রমণের বিরুদ্ধে কথা বলছেন এবং অন্যকে অভিযুক্ত করছেন। আপনি নিজেও তো ভাই যা অভিযোগ তুলেছেন সেই দোষে দুষ্ট। আপনিই বলেছেন, "আপনি যদি নৈতিক অবস্থান জোর দিয়ে তুলে ধরেন, তবে নিজেকেও তার আওতায় আনতেই হয়।" এখন কী আমাকে এটা মেনে নিতে হবে যে নকীব ভাই নিজেই নিজের কথা মানেন না! অথবা উনি অন্যকে নৈতিকতার সবক দেন কিন্তু নিজে নৈতিকতার ওপর দাঁড়িয়ে থাকেন না!
৪/ সেটা তো আপনি করেই যাচ্ছেন। আপনি স্পষ্টত Special Pleading করে যাচ্ছেন। তো সেখানে আমার এই বক্তব্য কেন ভিত্তি পাবে না ?
আপনি এখনও আপনার প্রতি তোলা কোন অভিযোগের খণ্ডন না করে উল্টো আমাকে আক্রমণ করছেন Special Pleading,Moralistic এবং Tu quoque ফ্যালাসি করে। আপনি বরাবর Inconsistency ফ্যালাসি করেই যাচ্ছেন ।
বিতর্কে একজন পক্ষের এত বেশি ফ্যালাসি করাটা এটাই প্রমাণ করে যে তিনি তর্কের ক্ষেত্রে নৈতিক নন। আপনি যদি তর্কের ক্ষেত্রে নৈতিক থাকতেন তবে আপনি এতগুলো ফ্যালাসি করতেন না। আপনি যুক্তিতে বিজয়ী হতে চাইছেন না আপনি আমাকে দমন করতে চাইছেন ফ্যালাসির পথ ধরে এবং আপনি মিথ্যাচার করছেন এমন দাবি নিয়ে যে দাবি আমি তুলিনি! নতুন নকীব েতটাই যদি অনৈতিক হন কী করে আপনি যুক্তিতে বিজয়ী হবেন !
২০ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:২২
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় ক্রেটোস,
আপনার বিস্তারিত মন্তব্য পড়লাম। আপনি প্রশ্ন তুলেছেন এবং কিছু ফ্যালাসির অভিযোগ এনেছেন। তার উত্তর বিনীতভাবে দিচ্ছি:
১. Burden of Proof প্রসঙ্গে:
আপনি দাবি করেছেন—“দুশ্চরিত্র” শব্দটি সাহিত্যে কামুক অর্থ ছাড়া অন্য কোনো অর্থে ব্যবহৃত হয়নি। এই সরল ও চূড়ান্ত দাবি করলে প্রমাণের দায় আপনাকেই বহন করতে হয়।
আমি যদি বলি—এটি বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হতে পারে, তাহলে সেটি সম্ভাব্য ব্যাখ্যা, চূড়ান্ত দাবি নয়।
অতএব, আমি Burden of Proof সরাচ্ছি না—বরং আপনিই Absolute Claim করার ফলে প্রমাণচাপ নিচ্ছেন।
২. Ad Hominem প্রসঙ্গে:
আপনি বলেছেন, আমি আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেছি।
কিন্তু দয়া করে স্মরণ করুন—আপনি নিজেই বলেছিলেন, “আপনি করাপ্টেড”, “আপনার কাছ থেকে উপদেশ নেব না”, “ভণ্ডামি” ইত্যাদি ভাষা।
আমি কেবল এই বক্তব্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করে নৈতিক দ্বৈততা তুলে ধরেছি, আক্রমণ নয়।
৩. Special Pleading প্রসঙ্গে:
আপনি বলছেন আমি নিজের ব্যতিক্রম চেয়েছি, অথচ আমি কোথাও বলিনি যে “আমার জন্য আলাদা নিয়ম, আর আপনার জন্য আলাদা।”
বরং আমি শুরু থেকেই বলেছি, নৈতিকতার মানদণ্ড সবার জন্য এক—আপনার জন্য যেমন, আমার জন্যও তেমন।
তাই, এই ফ্যালাসির অভিযোগও খাটে না।
৪. Moralistic Fallacy প্রসঙ্গে:
নৈতিকতা এখানে প্রসঙ্গভিত্তিক এসেছে, অহেতুক জুড়ে দেওয়া হয়নি। যখন কেউ “ভণ্ডামি” ও “নৈতিকতা” শব্দ বারবার ব্যবহার করেন, তখন সে আলোচনায় নৈতিকতার প্রসঙ্গ ওঠা স্বাভাবিক। এটিকে ফ্যালাসি বলাটা একটি Overgeneralization।
৫. মিথ্যাচার প্রসঙ্গে:
আমি আপনার বক্তব্য বিকৃত করে নতুন দাবি চাপিয়ে দিইনি।
বরং আপনি যে যুক্তি উপস্থাপন করেছেন, তার সীমাবদ্ধতা এবং ভাষাগত কাঠামো বিশ্লেষণ করেছি। এটা যুক্তির খণ্ডন, ব্যক্তির নয়।
শেষ কথা:
আপনি বিতর্ককে যুক্তিভিত্তিক রাখতে চাচ্ছেন, যা প্রশংসনীয়। তবে যদি বারবার ফ্যালাসির অভিযোগ তুলে আপনি নিজেই তর্কের কেন্দ্রবিন্দু থেকে সরে যান এবং অন্যের বক্তব্যকে “মিথ্যাচার”, “ভণ্ডামি”, “করাপ্টেড” ইত্যাদি বলতেই থাকেন—তবে আপনার যুক্তির ভারসাম্য নষ্ট হবে।
আমি আপনাকে দমন নয়, বরং আলোচনায় স্পষ্টতা আনতে চেয়েছি, কারণ সত্য ও যুক্তি—কেউ ধারণ করে না, বরং অনুসন্ধানে প্রকাশ পায়।
আসুন, তর্ক নয়, যুক্তিকে সম্মান করি। শুভকামনা আপনার জন্য।
৯৪| ২০ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৫
ক্রেটোস বলেছেন: আপনি দাবি করেছেন—“দুশ্চরিত্র” শব্দটি সাহিত্যে কামুক অর্থ ছাড়া অন্য কোনো অর্থে ব্যবহৃত হয়নি। এই সরল ও চূড়ান্ত দাবি করলে প্রমাণের দায় আপনাকেই বহন করতে হয়। আপনি তো আবার মিথ্যাচার করলেন ভাই। আমি কখন এই দাবি করলাম? আমি যা দাবি করেছি আপনি তাকে এড়িয়ে যাচ্ছেন আপনি স্পষ্টতই Burden of Proof ফ্যালাসি করছেন এবং মিথ্যাচার করেই যাচ্ছেন। এবং এখানে কোথাও আমি Absolute Claim করিনি করছেন আপনি ও সাড়ে চুয়াত্তর!
আমি কিন্তু বলেছি আমি কেন ব্যক্তি আক্রমণ করেছি। কারণটা আপনার মোরালিস্টিক ফ্যালাসির কারণে! আপনি নিজেই নৈতিক নন এবং অনৈতিকভাবে আরেকজনকে আক্রমণ করছেন ও করেই যাচ্ছেন সেখানে কেন আমি ব্যক্তি আক্রমণ করবো না?
আপনি নিজেই একজনকে লম্পট বলছেন কোন কারণ ছাড়াই আবার আপনার সমর্থনকারীকে বাঁচাতে আপনি ব্যক্তিআক্রমণের সাফাই গাইছেন কিন্তু প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন না উল্টো নৈতিকতার বিষয় টেনে আনছেন এটা আলবাত মোরালিস্টিক ফ্যালাসি।
আমি আসলে অবাক হচ্ছি নতুন নকীব যে আপনি একের পর এক ফ্যালাসি করেই যাচ্ছেন ও আমার নামে মিথ্যাচার করছেন। আপাতত আপনার এই অনৈতিকতাই এটা প্রমাণ করে যে আপনি আসলেই হিপোক্রেট! আপনার জন্য এটাই বলার থাকলো ধর্ম নিয়ে যখন আলোচনা করেন তখন আগে নৈতিকতা মেনে চলবেন। বিতর্কে অন্যের নামে মিথ্যাচার করবেন না। আর হ্যাঁ নিজে নীতিহীন হয়ে অন্যকে গালাগাল দেবেন না!
ইশ্বর আপনার মতন নীতিভ্রষ্টকে সুপথ দিক!
২০ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:০১
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রিয় ক্রেটোস,
আপনি বারবার বলছেন আমি মিথ্যাচার করেছি, অথচ আপনি নিজেই আমার বক্তব্য বিকৃত করছেন।
১. আপনি বলেছেন, “দুশ্চরিত্র শব্দটি কামুক অর্থ ছাড়া সাহিত্যে ব্যবহারের উদাহরণ দিন”—এটা সরাসরি exclusive claim, প্রমাণের দায়িত্ব আপনারই। এটাকে এড়িয়ে যাওয়া Burden of Proof নয়।
কেউ অনৈতিক আচরণ করলেই তাকে গালি দেওয়া ন্যায্য হয় না—এটা Reciprocal Fallacy।
৩. "মোরালিস্টিক ফ্যালাসি" বললেও আপনি নিজেই বারবার নৈতিকতা প্রশ্নে তুলছেন, আবার আমাকে দোষারোপ করছেন—এটা Inconsistency।
৪. ব্যক্তি আক্রমণ করে, গালি দিয়ে কেউ নৈতিক অবস্থান ধরে রাখতে পারে না।
আশা করি আপনি যুক্তিকে আবেগের চেয়ে অগ্রাধিকার দেবেন।
শুভবুদ্ধির উদয় হোক। শুভকামনা আপনার জন্য।
৯৫| ২০ শে জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:১৭
ক্রেটোস বলেছেন: প্রশ্ন করেছি আমি আপনাকে কিন্তু উত্তর দিতে হবে আমাকে এবং আপনি এটাই দাবি করছেন তবে কী আপনি Burden of Proof ফ্যালাসি করছেন না? আর এখানে প্রশ্নটা কোনভাবেই exclusive claim নয়। আপনি আমার প্রশ্ন এড়াতেই বারবার মিথ্যাচার করছেন।
আমি আশা করবো আপনিও ধারাবাহিকতা বজায় রাখবেন, আগে নিজে নৈতিক হবেন এবং অন্যকে মোরালিস্টিক ফ্যালাসি দিয়ে আক্রমণ করবেন!
আশা করি আপনি এইসব মিথ্যাচার ত্যাগ করে এগোবেন! যাইহোক আর সময় নষ্ট করতে চাই না। আপনি একাধারে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন এবং হিপোক্রেসি করছেন আপনার মতন নীতিহীনের সাথে তর্কটা স্বাভাবিক হবে না। তাই আমি এখানেই ইতি টানছি। আপনার শুভ বুদ্ধির উদয় হোক!
২০ শে জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১২
নতুন নকিব বলেছেন:
আপনি বিতর্ক বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেটা সম্মানজনক। তবে আপনি যেসব অভিযোগ এনেছেন (মিথ্যাচার, হিপোক্রিসি, ফ্যালাসি), সেগুলোর প্রমাণ ছাড়া শুধুই দাবি করায় আপনার বক্তব্যও আত্মপরিচালিত হয়ে পড়ে। যুক্তিবাদী আলোচনা আবেগ নয়, প্রমাণনির্ভর হওয়া উচিত। শুভকামনা রইলো।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:১৫
কামাল১৮ বলেছেন: এমন ব্যক্তির কি সাজা ইসলাম অনুমোদন করে।আমার জানা মতে শিরচ্ছেদ।আপনার মতে কি?