নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আলহামদুলিল্লাহ। যা চাইনি তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন প্রিয়তম রব। যা পাইনি তার জন্য আফসোস নেই। সিজদাবনত শুকরিয়া। প্রত্যাশার একটি ঘর এখনও ফাঁকা কি না জানা নেই, তাঁর কাছে নি:শর্ত ক্ষমা আশা করেছিলাম। তিনি দয়া করে যদি দিতেন, শুন্য সেই ঘরটিও পূর্নতা পেত!

নতুন নকিব

যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দল-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়্গ কৃপাণ ভীম রণ-ভূমে রণিবে না- বিদ্রোহী রন-ক্লান্ত। আমি সেই দিন হব শান্ত।

নতুন নকিব › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক লম্পট বলে কুরআনের সূরা না কি বিভ্রান্তিমূলক

১২ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৫৬

এক লম্পট বলে কুরআনের সূরা না কি বিভ্রান্তিমূলক

সুদৃশ্য কুরআনের ছবিটি অন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত।

সম্প্রতি সামহোয়্যার ইন ব্লগে চিহ্নিত এক বিকৃতমনস্ক ও চরিত্রহীন ব্যক্তি কুরআনের সূরাকে ‘বিভ্রান্তিমূলক’ বলে মন্তব্য করেছে—যা শুধুমাত্র চরম ধৃষ্টতা নয়, বরং ইসলাম ধর্মের প্রতি পরিকল্পিত বিদ্বেষ ও অবমাননার জঘন্য প্রকাশ। এই দুশ্চরিত্র ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে ব্লগে ইসলাম নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করে যাচ্ছে, যেন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করাই তার একমাত্র উদ্দেশ্য। তার ব্যক্তিজীবন চারিত্রিক অবক্ষয় ও মানসিক বিপর্যয়ে পূর্ণ—এক অন্ধকারে নিমজ্জিত আত্মা, যে কুরআনের নূর মেনে নিতে পারে না।

কুরআনের প্রতি এমন মন্তব্য শুধুই অজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং এটি কুপ্রবৃত্তি ও বিকৃত আত্মার এক আত্মরক্ষা-মূলক প্রতিক্রিয়া। কারণ কুরআন অন্যায়, অসভ্যতা ও অনৈতিকতাকে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে। তাই এ ধরনের লম্পটদের কাছে কুরআন সব সময়ই ‘বিভ্রান্তির উৎস’ বলে মনে হয়—কারণ সত্যের আলো তাদের অন্ধকার কর্মকাণ্ডের মুখোশ খুলে দেয়।

কুরআন কোনো মানুষের ব্যাখ্যার দাস নয়। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিলকৃত এমন এক চিরন্তন হিদায়াত, যাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহের অবকাশ নেই। যারা কুরআনকে বিভ্রান্তিকর বলে আখ্যা দেয়, তারা নিজেরাই আত্মিক ও বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে বিভ্রান্ত, পথহারা। কুরআনের অবমাননা ইসলাম ধর্মে মারাত্মক গোনাহ—এমনকি ঈমান হরণের কারণ পর্যন্ত হতে পারে।

এই প্রেক্ষিতে আমাদের করণীয় হলো: ধৈর্য ও জ্ঞানের সঙ্গে যুক্তিনির্ভর জবাব দেওয়া, এ ধরনের কটূক্তিকারীদের সামাজিকভাবে বর্জন করা এবং কুরআনের সঠিক বার্তা আরও বলিষ্ঠভাবে প্রচার করা। এ ছাড়া আমরা মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করি, তিনি যেন এই বিভ্রান্ত আত্মাটিকে হিদায়াত দান করেন অথবা তার অপপ্রচারকে ব্যর্থ করে দেন। কুরআনের ব্যাপারে আল্লাহ নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন:
“নিশ্চয়ই আমিই কুরআন অবতীর্ণ করেছি এবং আমিই এর সংরক্ষণ করবো।” (সূরা হিজর: ৯)

এ পর্যায়ে আমরা সামহোয়্যার ইন ব্লগ কর্তৃপক্ষের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাই, ধর্ম অবমাননায় লিপ্ত এ ধরনের বিদ্বেষপ্রসূত লেখককে ব্লগনীতিমালার আওতায় এনে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন, যাতে ধর্মীয় অনুভূতিতে বারবার এমনভাবে আঘাত করার সুযোগ আর না থাকে।

অবশেষে, বলতেই হয়—কুরআনের আলো কোনো লম্পটের অন্ধকার মস্তিষ্ক দিয়ে নিভিয়ে ফেলা যায় না। আল্লাহর কালাম চিরন্তন, চিরজীবিত—আর সত্যকে কখনোই মিথ্যার চাপে দমন করা যায় না।

মন্তব্য ৮৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৮৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:১৫

কামাল১৮ বলেছেন: এমন ব্যক্তির কি সাজা ইসলাম অনুমোদন করে।আমার জানা মতে শিরচ্ছেদ।আপনার মতে কি?

১২ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:২২

নতুন নকিব বলেছেন:



এমন অপরাধের সাজা বা শাস্তি কী হবে সেটা নিয়ে একটু পরে আলাপ করি, আগে বলেন আপনি কি কুরআন অবমাননাকে সঠিক মনে করেন কি না।

২| ১২ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:১৭

অগ্নিবাবা বলেছেন: নকীব ভাই, বেয়াদবী নেবেন না, কথাটি যিনি বলেছেন, সঠিক বলেছেন, যজবাতি না হয়ে, যুক্তি দিয়ে খন্ডন করে দিলেই তো অনেকের সংশয় মুক্ত হয়ে যায়। কোরআনে বৈপরীত্য ভরপুর। মাত্র ২টা উদাহরন দিলাম।

১। প্রথম মুসলিম/ বিশ্বাস স্থাপনকারী কে?
মুহাম্মাদ
আপনি বলে দিনঃ আমি কি আল্লাহ ব্যতীত-যিনি নভোমন্ডল ও ভুমন্ডলের স্রষ্টা এবং যিনি সবাইকে আহার্য দানকরেন ও তাঁকে কেউ আহার্য দান করে না অপরকে সাহায্যকারী স্থির করব? আপনি বলে দিনঃ আমি আদিষ্ট হয়েছি যে, সর্বাগ্রে আমিই আজ্ঞাবহ হব। আপনি কদাচ অংশীবাদীদের অন্তর্ভুক্ত হবেন না। কোরআন ৬/১৪
আরও আদিষ্ট হয়েছি, সর্ব প্রথম মুসলিম হওয়ার জন্যে। কোরআন ৩৯/১২

মূসা
তারপর মূসা যখন আমার প্রতিশ্রুত সময় অনুযায়ী এসে হাযির হলেন এবং তাঁর সাথে তার পরওয়ারদেগার কথা বললেন, তখন তিনি বললেন, হে আমার প্রভু, তোমার দীদার আমাকে দাও, যেন আমি তোমাকে দেখতে পাই। তিনি বললেন, তুমি আমাকে কস্মিনকালেও দেখতে পাবে না, তবে তুমি পাহাড়ের দিকে দেখতে থাক, সেটি যদি স্বস্থানে দঁড়িয়ে থাকে তবে তুমিও আমাকে দেখতে পাবে। তারপর যখন তার পরওয়ারদগার পাহাড়ের উপর আপন জ্যোতির বিকিরণ ঘটালেন, সেটিকে বিধ্বস্ত করে দিলেন এবং মূসা অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলেন। অতঃপর যখন তাঁর জ্ঞান ফিরে এল; বললেন, হে প্রভু! তোমার সত্তা পবিত্র, তোমার দরবারে আমি তওবা করছি এবং আমিই সর্বপ্রথম বিশ্বাস স্থাপন করছি। কোরআন ৭/১৪৩

ইব্রাহীম
স্মরণ কর, যখন তাকে তার পালনকর্তা বললেনঃ অনুগত হও। সে বললঃ আমি বিশ্বপালকের অনুগত হলাম। কোরআন ২/১৩১

আদম
অতঃপর আদম তার রবের পক্ষ থেকে কিছু বাণী পেল, ফলে আল্লাহ তার তাওবা কবূল করলেন। নিশ্চয় তিনি তাওবা কবূলকারী, অতি দয়ালু। কোরআন ২/৩৭

মিশরীয়রা
আমরা আশা করি, আমাদের পালনকর্তা আমাদের ক্রটি-বিচ্যুতি মার্জনা করবেন। কারণ, আমরা বিশ্বাস স্থাপনকারীদের মধ্যে অগ্রণী। কোরআন ২৬/৫১

২। আল্লাহর বাণী কি অপরিবর্তনীয়?
হ্যাঁ
তাদের জন্য সুসংবাদ পার্থিব জীবনে ও পরকালীন জীবনে। আল্লাহর কথার কখনো হের-ফের হয় না। এটাই হল মহা সফলতা। কোরআন ১০/৬৪

আপনার প্রতিপালকের বাক্য পূর্ণ সত্য ও সুষম। তাঁর বাক্যের কোন পরিবর্তনকারী নেই। তিনিই শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী। কোরআন ৬/১১৫

আপনার পূর্ববর্তী অনেক পয়গম্বরকে মিথ্যা বলা হয়েছে। তাঁরা এতে ছবর করেছেন। তাদের কাছে আমার সাহায্য পৌঁছে পর্যন্ত তারা নির্যাতিত হয়েছেন। আল্লাহর বানী কেউ পরিবর্তন করতে পারে না। আপনার কাছে পয়গম্বরদের কিছু কাহিনী পৌঁছেছে। কোরআন ৬/৩৪

না
আমি কোন আয়াত রহিত করলে অথবা বিস্মৃত করিয়ে দিলে তদপেক্ষা উত্তম অথবা তার সমপর্যায়ের আয়াত আনয়ন করি। তুমি কি জান না যে, আল্লাহ সব কিছুর উপর শক্তিমান? কোরআন ২/১০৬

এবং যখন আমি এক আয়াতের স্থলে অন্য আয়াত উপস্থিত করি এবং আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেন তিনিই সে সম্পর্কে ভাল জানেন; তখন তারা বলেঃ আপনি তো মনগড়া উক্তি করেন; বরং তাদের অধিকাংশ লোকই জানে না। কোরআন ১৬/১০১

১২ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:২৯

নতুন নকিব বলেছেন:



অগ্নিবাবা, আপনার বক্তব্য বিভ্রান্তিকর ও প্রসঙ্গচ্যুত। সংক্ষেপে যদি বলি,

১. "প্রথম মুসলিম"—প্রত্যেক নবী তাঁর নিজ কালে ও সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রথম আজ্ঞাবহ ও আত্মসমর্পণকারী (মুসলিম) ছিলেন। তাই মূসা (আঃ), ইব্রাহিম (আঃ), ও মুহাম্মদ (সা.) সবাই নিজ নিজ যুগে "প্রথম মুসলিম"—এতে কোনো বিরোধ নেই, বরং প্রেক্ষাপট অনুযায়ী সঠিক।

২. আল্লাহর বাণী পরিবর্তনীয় কি না—আল্লাহর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, আইন ও প্রতিশ্রুতি পরিবর্তন হয় না (১০:৬৪, ৬:১১৫), কিন্তু শিক্ষা ও পরীক্ষার জন্য পূর্ববর্তী শরিয়তের কিছু বিধান রহিত করে নতুন বিধান দেওয়া হয়েছে। এটা বাতিল নয়, বরং প্রজ্ঞাপূর্ণ বিকাশ (abrogation)। এতে কোনো বৈপরীত্য নেই।

কোরআনের আয়াতগুলো আলাদা প্রসঙ্গে, ভিন্ন উদ্দেশ্যে, এবং স্পষ্ট ব্যাখ্যার সঙ্গে নাজিল হয়েছে। কুরআনের মধ্যে কোনো বৈপরীত্য নেই। যারা বিভ্রান্তি খুঁজে বেড়ায়, তারা আয়াতকে প্রেক্ষিত ছাড়া কেটে-ছেঁটে তুলে ধরে। ইসলামিক জ্ঞান ছাড়া ব্যাখ্যা করতে গেলেই ভুল হয়। অতএব, যুক্তির বদলে বিদ্বেষ নয়—তর্ক নয়, সত্যের অনুসন্ধান জরুরি।

"وَإِنَّهُ لَكِتَابٌ عَزِيزٌ • لَا يَأْتِيهِ الْبَاطِلُ مِنۢ بَيْنِ يَدَيْهِ وَلَا مِنْ خَلْفِهِ"
“এটা এক সম্মানিত কিতাব, এতে মিথ্যার কোনো আগমন নেই—না সামনে থেকে, না পেছন থেকে।” (সূরা ফুস্সিলাত ৪১:৪১-৪২)

৩| ১২ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:২১

কামাল১৮ বলেছেন: লম্পট অর্থ কি।তার লাম্পট্টের প্রমান যদি আপনার কাছে না থাকে হবে ইসলামের আলোকে আপনার কি সাজা হতে পারে।দয়া করে সেটাও বলবেন।

১২ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৪২

নতুন নকিব বলেছেন:



যে ব্যক্তি কুরআনের সূরাকে বিভ্রান্তিমূলক বলে, কুরআনের বিপক্ষে নিজের অবস্থানকে স্পষ্ট করে স্বয়ং কুরআনই তাকে "অজ্ঞাতকুলশীল" বলেছে। দেখুন সূরা ক্কলম এর ১০-১৩ নং আয়াত।

"অজ্ঞাতকুলশীল" এর ব্যাখ্যা করে দিতে হলে জানাবেন।

৪| ১২ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৩৪

ইয়া আমিন বলেছেন: এ ধরনের ধর্ম অবমাননামূলক মন্তব্য গভীর উদ্বেগজনক ও চরম অশালীনতা। কুরআন মহান আল্লাহর নাজিলকৃত চিরন্তন হিদায়াত, যার বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য কেবল বিকৃত মানসিকতারই পরিচায়ক। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার এই অপচেষ্টা শুধু অজ্ঞতা নয়, বরং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং ব্লগ কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করি, দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে এ ধরনের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। সত্যের আলো কখনোই মুছে ফেলা যায় না—আল্লাহর কালাম অক্ষয় ও অম্লান।

১২ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার প্রজ্ঞাপূর্ণ বক্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ। সত্যিই, কুরআনের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য কেবল অজ্ঞতা নয়, বরং ঘৃণার ইন্ধন। আমরা আপনার প্রতিবাদকে সমর্থন করি এবং ব্লগ কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাই। আল্লাহর কালাম চিরন্তন, কেউ তা মুছে ফেলতে পারবে না। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন।

৫| ১২ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৪০

অগ্নিবাবা বলেছেন: নকীব ভাই, আপনি আমাকে খুব ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন, এর জন্য ধন্যবাদ। তবে আপনি সেই লম্পটের ক্থার মানে বুঝতে পারেন নি। লম্পট বলেছেন যে, কুরআনের সূরা বিভ্রান্তিমূলক, আসলে তিনি বলেছেন কুরআনের সূরা বিভ্রান্তিমূলক নয়। আসলে ওনার ক্থা বুঝতে হলে, পরিপ্রেক্ষিত বুঝতে হবে, দিন কি রাত সেটা বুঝতে হবে, রুমের তাপমাত্রা কত সেটা বুঝতে হবে। হ্যানা ত্যানা বুঝতে হবে, দিল থেকে ফিল করতে হবে। উত্তর পেয়েছেন তো? এইবার শান্ত হোন।

১২ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১০:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার ব্যাখ্যার জন্য ধন্যবাদ। আপনি যে আন্তরিকভাবে বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন, তা বোঝা গেছে। তবুও কুরআনের মতো পবিত্র ধর্মগ্রন্থ নিয়ে কথা বলার সময় আমাদের কি উচিত নয় যে আমরা আরো বেশি সংবেদনশীল ও দায়িত্বশীল হই? বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ যেই ধর্মগ্রন্থটিকে শ্রদ্ধা এবং সম্মানের চোখে দেখেনে সেই গ্রন্থের সূরাকে "বিভ্রান্তিমূলক" বলা সুস্থতার লক্ষণ হতে পারে কি?

ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা আবারও আপনাকে।

৬| ১২ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:০৩

অগ্নিবাবা বলেছেন: বিশ্বের কোটি কোটি মানুষও যদি মনে করে সুর্য পৃথিবীর চারিদিকে ঘোরে তবুও সত্য মিথ্যা হয় না। পৃথিবীতে জনসংখ্যায় খ্রীস্টান বেশী, তবুও খ্রীস্টান ধর্ম সত্য হয়ে যায় না। যে পুস্তকই হোক না কেনো, যুক্তি দিয়ে ভুল খুজে পেলে তার সমালোচনা করতেই হবে।
এতে আঘাত পাওয়ার কিছু নেই।

১২ ই জুন, ২০২৫ সকাল ১১:২৪

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ। যুক্তিভিত্তিক আলোচনা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি সম্মান বজায় রাখাও একটি সভ্য সমাজের চিহ্ন। শুভকামনা রইল।

৭| ১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:২৯

রানার ব্লগ বলেছেন: আচ্ছা এখন আমি যদি বলি গীতা সম্পুর্ন ফালতু ও কাল্পনিক কিছু কথাবার্তা। যার মৌলিক কোন ভিত্তি নাই।

আপনি কি একি রকম রিএকশান দেবেন?


আমার মনে বলে " না" আপনি দেবেন না।

১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৪৯

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। প্রত্যেক ধর্মগ্রন্থ বিশ্বাসীদের কাছে শ্রদ্ধার বস্তু—চাই সেটা কুরআন হোক, গীতা হোক বা বাইবেল। অন্যের বিশ্বাসকে সম্মান দেখানোই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পথ।

৮| ১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সেই পোস্টকারী 'সৈয়দ কুতুব' আবার আপনার পোস্টে লাইক দিয়ে আপনাকে ব্যঙ্গ করছে সম্ভবত। তার পোস্টে কোরআন অবমাননা করার মত মন্তব্য থাকা সত্ত্বেও সে কোন প্রতিবাদ করেনি। অথচ সে নাকি মুসলমান। যে বলেছে সেও নিজেকে মুসলমান দাবি করে।

একজন ব্যক্তি যে বলে আমি নামাজ পড়ি আবার সে যদি বলে কোরআনের সুরা বিভ্রান্তিকর তাহলে এর চেয়ে বড় ভণ্ডামি আর কিছু নাই। এটা আল্লাহতায়ালার সাথে ধৃষ্টতা এবং মুনাফেকি। এই ব্লগে এই ধরণের ইসলাম বিদ্বেষীদেরকেই পেলে পুষে রাখা হচ্ছে। এই কারণেই আজকে ব্লগের এই অবস্থা।

পোস্টকারী আরও বড় ধুরন্ধর। তার পোস্টে আমি কোরআনের আয়াত উল্লেখ করে তার মতামত চাইলাম। সে বারবার সেটা এড়িয়ে গিয়ে হাবিজাবি কথা বলে গেছে। আমি তাকে বলেছি, সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত মানসিক রোগী নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা আছে। তারপরেও সে বলে যাচ্ছে আগে সিজোফ্রেনিয়া এবং মানসিক রোগ নিয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। এই ধরণের ব্লগার যারা প্রশ্নের সঠিক উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যায় তারা আরও ধুরন্ধর হয়। ধন্যবাদ এই পোস্ট দেয়ার জন্য।

১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার পর্যবেক্ষণ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। সত্যের পক্ষে অবস্থান নেওয়া সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হিদায়াত দান করুন—আমিন।

৯| ১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৯

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


কোরআনে সম্পত্তি ভাগ করা নিয়ে যে ভুল আছে সেটা নিয়ে আপনি কী ফতোয়া দিবেন?

১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৫৫

নতুন নকিব বলেছেন:



কুরআন আল্লাহর বানী। সন্দেহাতীতভাবে নির্ভুল। আপনি যেটাকে "ভুল" ভাবছেন, তা আসলে আপনার ভুল বোঝা বা জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা। কুরআনের আয়াতগুলো সব সময় প্রসঙ্গ, হিকমা (জ্ঞান) ও শারঈ ব্যাখ্যার আলোকে বুঝতে হয়। অজ্ঞতাবশত কটূক্তি না করে সত্য জানার চেষ্টা করুন। ধন্যবাদ।

১০| ১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:০৫

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: একজন একটা মন্তব্য করলেই সেটা সত্যি হয়ে যাবে, মিথ্যা হবে; বিষয়টা এমন কি? সুষ্ঠু বিতর্ক হওয়াই ভালো।

১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৫৯

নতুন নকিব বলেছেন:



একজনকে কেউ "শূকর" বলে গালি দিলেই যেমন সে ব্যক্তি শূকর হয়ে যায় না, তেমনি কেউ একটি মন্তব্য করলেই তা সত্য বা মিথ্যা হয়ে যায় না—এটি ঠিক। তবে তাই বলে গালিগালাজকে সমর্থন করা যায় না।

সুস্থ, যুক্তিনির্ভর বিতর্কই সত্য উদঘাটনের পথ। আপনাকে ধন্যবাদ।

১১| ১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:১৮

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: এই ব্লগে এইসব দুধভাত। এড়িয়ে চলেন , তানাহলে মেজাজ আরো খারাপ হবে।

১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:০১

নতুন নকিব বলেছেন:



পরামর্শের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ।

১২| ১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৪৩

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর@আপনি নিজেই ভন্ড। কোনো ঘটনার ডিটেইলস না ঢুকে মনগড়া ধর্মীয় ব্যাখ্যা হাজির করেন।


১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:০৯

নতুন নকিব বলেছেন:



আমি প্রত্যাশা করব এবং বিনীতভাবে অনুরোধ জানাব—আপনারা দু’জনই মিলেমিশে চলুন। আপনারা দু’জনই আমার আপনজন ও প্রিয়জন।
বিবাদ নয়, বন্ধুত্বই হোক ব্লগজগতের আসল সৌন্দর্য।

আমার অনুমান যদি ভুল না হয়, সৈয়দ কুতুব ভাই সম্ভবত বয়সে সাড়ে চুয়াত্তর ভাইয়ের চেয়ে বেশ ছোট। স্নেহ ও শ্রদ্ধার মাধ্যমে একে অপরকে সম্মান জানালে আন্তরিকতার সাথে পথ চলা সম্ভব হবে - যেটা আমাদের সকলেরই চাওয়া।

১৩| ১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৪৮

রাসেল বলেছেন: কারো ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে অবমাননাকর কথা বলা অন্যায়। যে ব্যক্তি মুসলিম হয়েও ইসলামের বিরুদ্ধে সচেতনভাবে কথা বলে তাকে মুনাফিক হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে।

১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:১০

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার যুক্তিসম্মত মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ধর্মীয় বিশ্বাসের অবমাননা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।

১৪| ১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৪৯

রাসেল বলেছেন: কোনো মুসলিম ব্যক্তি যদি ইসলামে ভুল প্রত্যক্ষ করে, তবে সে ইসলাম ত্যাগ করতে পারে।

১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:১১

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ইসলামে ভুল মনে হলে তা জ্ঞান, গবেষণা ও আলিমদের পরামর্শের মাধ্যমে সমাধান করার নির্দেশ আছে, ত্যাগ নয়।

১৫| ১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৫০

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনি যদি আমার উপর রাগ থেকে এই পোস্ট লিখে থাকেন প্রথমে উচিত ছিলো আমার পোস্টে কমেন্ট করা। আপনার পক্ষ নিয়ে আমি বেশ কয়েকবার অন্যের সাথে তর্কে জড়িয়েছি। আপনার সাথে আমার তেমন মতের বিরোধ নেই।

গাজীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে আপনি উহাকে মেনশন দিয়ে গালি হতে যা যা করার দরকার সেটা করতে পারতেন। সাধারণত সিনিয়র ব্লগারদের মাঝে প্রবেশ করি না।

১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:১৮

নতুন নকিব বলেছেন:



আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমার পোস্ট কারো প্রতি রাগ থেকে লেখা নয়। এই পোস্টে উত্থাপিত বিষয়টি নিয়ে আপনার পোস্টে কাউকে মেনশন করে আলোচনা করার চেয়ে একটি স্বতন্ত্র পোস্টে আলোচনা করা আমার কাছে বেশি যুক্তিসংগত মনে হয়েছে। এর পেছনে কাউকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ না করার উদ্দেশ্যটাও ছিল।

আপনার সমর্থন ও মতামতের জন্য কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে যেকোনো ভুল বোঝাবুঝি এড়ানো যাবে। ধন্যবাদ!

১৬| ১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ১:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ সৈয়দ কুতুব - আমি কোরআনের আয়াত উল্লেখ করেছিলাম, কোন মনগড়া কথা বলিনি। আপনাকে সেই ব্যাপারে কয়েকবার জিজ্ঞেস করা সত্ত্বেও বারবার এড়িয়ে গেছেন। কোরআনের এই আয়াত সম্পর্কে আপনার মতামত জানতে চাই। আপনার পোস্ট এই আয়াতের সাথে যায় নাই। আমাদের রসুলকে (সা) জাদু করা হয়েছিল, জানেন নিশ্চয়ই। কালো জাদু নিয়ে কোরআনে আরও আয়াত আছে। সেই ব্যাপারে আপনার মতামত জানতে চাই। আপনি পণ্ডিত মানুষ এই আয়াতগুলি খুঁজে বের করতে পারবেন আশা করি, তাই এখানে দিলাম না। আমি বলেছি আমার সিজোফ্রেনিয়া রোগীর অভিজ্ঞতা আছে। তারপরও আপনি বারবার বলেছেন আগে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। আপনি বড় বড় গরুর রচনা লেখেন কিন্তু ব্যাসিক অনেক কিছুই জানেন না। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ভারতকে আক্রমন করেছিল। এই বেসিক তথ্য না জেনেই আপনি ১৯৭১ সাল নিয়ে পোস্ট দিয়েছেন। গরুর রচনা লেখার আগে প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন করেন।

১২ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৪

নতুন নকিব বলেছেন:



বিতর্ক এড়িয়ে শান্তিপূর্ণভাবে তথ্যভিত্তিক আলোচনা সবক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ। আশা করা যায়, এতে ভুল বোঝাবুঝি দূর হবে। ধন্যবাদ!

১৭| ১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:১৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: @সাড়ে চুয়াত্তর, আপনি বারবার একই ভুল করছেন। আপনি যে কুরআনের আয়াত উল্লেখ করেছেন সেটার সাথে সুবহার ঘটনার মিল আছে কিনা আপনি জানেন না। সুবহার ঘটনায় উক্ত আয়াত ব্যবহার করার জন্য সঠিক নয় বলে আমি মনে করি। সুবহা চরম ডিপ্রেশন থাকা একজন নারী। যেহেতু সিজোফ্রেনিয়া নিয়ে আমার পূর্ব অভিজ্ঞতা আছে তাই সেটার আলোকে মানসিক সুস্থতার ব্যাপারে জোর দিয়েছি।

আপনার মানসিক রোগ নিয়ে জ্ঞান শূন্যের কাছাকাছি। খোনার পেশায় আছেন মনে হয়। :-P। একান্ত অনুরোধ পাশাপাশি সাইকোলজি ও সাইক্রাটিস্ট নিয়ে অধ্যয়ন করেন। তাহলে মানুষের সসত্যিকারের উপকার হবে।

১২ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:



মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। বিতর্কে জড়ানোর পরিবর্তে শান্তিপূর্ণ আলোচনা সবসময় বেশি ফলপ্রসূ। আশা করি, আপনারা সেইদিকেই এগুবেন।

১৮| ১২ ই জুন, ২০২৫ দুপুর ২:৩৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ সৈয়দ কুতুব - আমি সুবহার ব্যাপারে কিছু বলিনি। আমি কোরআনের আয়াতের ব্যাপারে আপনার মতামত জানতে চেয়েছি। আপনি এখনও সেটা এড়িয়ে যাচ্ছেন। আপনার পোস্টে আপনি বলতে চেয়েছেন যে জীনের আছর বলে কিছু নেই যা হয় সবই মানসিক রোগ। আমি বলেছি কিছু ক্ষেত্রে সেটা মানসিক রোগ না। সেই প্রসঙ্গে কোরআনের আয়াত উল্লেখ করেছি। আপনি সেটা বারবার এড়িয়ে যাচ্ছেন।

মানসিক রোগ নিয়ে আমার জ্ঞান শূন্যের কোঠায় সেটা আপনি কীভাবে জানলেন। আমার সম্পর্কে আপনি খুব কমই জানেন। মানসিক রোগী আমার আত্মিয়র মধ্যে আছে। আমার মা একজন ডাক্তার ছিলেন যিনি এগুলি হ্যানডেল করতেন। আমরাও অনেক ক্ষেত্রে জড়িত ছিলাম। ব্লগে এর চেয়ে বেশী বলতে চাচ্ছি না। আপনি না জেনেই আমার ব্যাপারে উপসংহারে চলে এসেছেন। এটার দ্বারা আপনার মানসিক অপরিপক্বতা প্রকাশ পায়। রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন।

১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৭:৫১

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ আপনার মতামত ও ব্যাখ্যার জন্য। আপনি যেটা বলেছেন, তা আমি লক্ষ্য করেছি এবং সম্মান করি। আমার মনে হয়, তার উদ্দেশ্য আপনাকে আঘাত করা ছিল না। যাই হোক, মতভেদ থাকতেই পারে তবে সেটি যেন হয় হৃদ্যতার মিশেলেই। শুভকামনা রইল।

১৯| ১২ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:০১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: @সাড়ে চুয়াত্তর, এই ব্লগ লেখার সময় থেকেই জানতাম আপনি ক্যাচাল করবেন। কোরআনের কোনো বক্তব্য নিয়ে আমার দ্বিমত নেই। আপনি কোন উদ্দেশ্যে কুরআনের সে আয়াত স্পেসিফিক ভাবে লিখেছেন তাও আমি গতকাল রাতেই বুঝে গেছি। ;)




১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৭:৫২

নতুন নকিব বলেছেন:



বিষয়টি পরিষ্কার করে বলার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।

২০| ১২ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৪১

শায়মা বলেছেন: আমি এতদিন ভাবতাম কুতুব ভাইয়ু চুয়াত্তর ভাইয়ুর মালটি!!!!!! :||

আজ একটু সন্দেহের মধ্যে পড়লাম .......

১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৭:৫৩

নতুন নকিব বলেছেন:



হা হা, ধন্যবাদ শায়মা। সন্দেহ থাকাই তো স্বাভাবিক—এটাই ব্লগের মজা!

২১| ১২ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৩:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শায়মা আপু যে কত বোকা একটা মেয়ে সেটা আজকে বুঝলাম। :)

সৈয়দ কুতুবের বয়স হল ২৯ বছর। আমার বয়স আপনার সমান। :) সৈয়দ কুতুব গরুর রচনা লেখে। আমি লিখি না। :) আমি জীনদের নিয়ে লিখি মাঝে মাঝে। :) আরও লিখতাম, কিন্তু অনেকে পছন্দ করে না, তাই লিখি না।

১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৭:৫৪

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ চুয়াত্তর ভাই, আপনার হাস্যরসভরা মন্তব্য উপভোগ্য! :(( আপনাদের লেখার ধরণ ভিন্ন হলেও দুটোই ব্লগকে বৈচিত্র্যময় করে তোলে। শুভকামনা রইল।

২২| ১২ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৩

শায়মা বলেছেন: আহা কুতুবভাইয়ু বললো ২৯ আমি মেনে নিলাম !!! তুমি তাকে দেখেছো!!! তার সম্পর্কে যাহা জানো তাহা উনি বলিয়াছেন তাই...... ২৯ না হয়ে ৯২ ও হতে পারে কারন তাকে আমরা চিনিনা দেখিওনি দেখেছি শুধু তার নিকের ছবি....

গরুর রচনা না এই রচনা মানে চ্যাটজিপিটি দিয়ে লেখে। সে তো সার্চে দিলেই তুমিও বুঝতে পারবে। নইলে রোজ রোজ গরুর ছাগলের মানুষের কোনো রচনা লেখা সম্ভব না যদি না সে ১০০% বেকার সমস্যা না হয়ে থাকে।


আমি জ্বীনদের গল্প শুনতে বড়ই পছন্দ করি কিন্তু মেরে ফেললেও বিশ্বাস করি না জ্বীন মানুষকে ধরে..... জ্বীনদের কি খেয়ে দেয়ে কাজ কাম নাই নাকি!!!!!!!!! যারা বলে জ্বীন ধরেছে তারা নিজেদেরকেই নিজেরা ধরেছে .....

১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৭:৫৭

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ শায়মা, তোমার মন্তব্যে যেমন রস আছে, তেমনি বাস্তবধর্মী পর্যবেক্ষণও। জ্বীন নিয়ে বিশ্বাস-অবিশ্বাস অনেকের থাকতেই পারে, আলোচনার মজাটাই সেখানেই। ভালো থেকো সবসময়! :)

২৩| ১২ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৭

মেঘনা বলেছেন: পৃথিবীর ৬০০ কোটি লোক মনে করে কুরআনের সূরা বিভ্রান্তিমূলক - তাই তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে নাই।
তাহলে ওই ৬০০ কোটি লোকই কি লম্পট।

১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:০৬

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ মেঘনা। বিশ্বাসের বিষয়টি ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে, তবে কেউ ভিন্ন মত পোষণ করলেই তাকে লম্পট বলা ঠিক নয়। শিষ্টাচারপূর্ণ আলোচনাই সবসময় কাম্য। তবে এই পোস্টে আলোচিত ব্যক্তির বক্তব্য ও ভাষা বিশ্লেষণ করলে মনে হয় তিনি উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন, যা দুঃখজনক। কুরআনের আয়াত নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এদের মত মুষ্টিমেয় লোকেরাই নিজেদের লাম্পট্য জাহির করে কুরআনের সূরাকে বিভ্রান্তিমূলক আখ্যায়িত করার ভেতর দিয়ে।

২৪| ১২ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৪১

ফেনিক্স বলেছেন:



কোরানে যা আছে, তা ১৪০০ বছর পুর্বের আরবের বেদুইনদের সংস্কৃতি, সামাজিক সমস্যা, রীতিনীতির প্রতিফলন; সেখানে জ্বীনের রূপকথাও আছে। বিজ্ঞান মতে, জ্বীনের মতো স্পেসিস নেই ও থাকা সম্ভব নয়; এই ধরণের ভুল কিভাবে ধর্মীয় পুস্তকে স্হান পেলো? রূপকথাই যদি ধর্মের অংশ হয়ে থাকে, উহা কি করে ধর্ম হয়?

রূপকথা থাকার ফলে গ্রীক ও রোমান ধর্ম বিলুপ্ত হয়েছে ও হিন্দু ধর্মে রূপকথা থাকার কারণে বাংলাদেশের ৯০ ভাগ মানুষ হিন্দু ধর্ম অনুসরণ করে না।

১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:১০

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ ফেনিক্স। তবে আপনার মন্তব্য কেবল ব্যক্তিগত মত নয়, স্পষ্টভাবে বিদ্বেষপূর্ণ এবং ইসলাম ধর্মকে হেয় করার উদ্দেশ্যপ্রসূত। কুরআনের বাণীকে "রূপকথা" বলার আগে আপনার উচিত এর ভাষাগত গভীরতা, ঐতিহাসিক সত্যতা, এবং মানবজাতির নৈতিক কাঠামো গঠনে এর প্রভাব সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা।

জ্বীন সম্পর্কে কুরআনের আলোচনা রূপক বা কল্পনা নয়, বরং এমন এক বাস্তব সত্তা, যাদের অস্তিত্ব আপনি মানেন না বলেই তারা অদৃশ্য হয়ে যায় না—যেমন আপনি রেডিও ওয়েভ বা ব্ল্যাকহোল দেখেন না, কিন্তু সেগুলো বিদ্যমান।

আপনার তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের জ্ঞান যদি গ্রীক বা রোমান "ধর্ম" পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে, তাহলে আপনাকে আরও পড়াশোনা করতে হবে। ইসলামকে সেইসব বিলুপ্ত ধর্মের সাথে মেলানো আপনার অজ্ঞতা ও হীন মানসিকতার পরিচায়ক।

আপনি কুরআনের বাণীকে অস্বীকার করতেই পারেন, কিন্তু তা উপহাসের যোগ্য নয়। উপহাসের আড়ালে যুক্তিহীনতা ও ঈমানহীন অসহিষ্ণুতা ছাড়া আর কিছুই প্রকাশ পায় না। তর্কের নামে বিদ্বেষ ছড়ানো শালীনতার লঙ্ঘন—এবং এটি কখনো জ্ঞানীর আচরণ হতে পারে না।

২৫| ১২ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৪১

Sulaiman hossain বলেছেন: শায়মা আপু বলেছেন :আমি জ্বীনদের গল্প শুনতে বড়ই পছন্দ করি কিন্তু মেরে ফেললেও বিশ্বাস করি না জ্বীন মানুষকে ধরে..... জ্বীনদের কি খেয়ে দেয়ে কাজ কাম নাই নাকি!!!!!!!!! যারা বলে জ্বীন ধরেছে তারা নিজেদেরকেই নিজেরা ধরেছে .....
জ্বীনদের মতো অনেক মানুষও রয়েছে যাদের খাওয়া দাওয়া র পরে আর কোনো কর্ম কাজ থাকেনা,তারা পৃথিবীতে অনাচার করে বেড়ায়,এসমস্ত মানুষকে আমি বিষাক্ত উদ্ভিদ মনে করি।আর জ্বীনরা সবাইকে ধরে না,ওদেরও বন্ধু এবং শত্রু রয়েছে।অধিকাংশ ভালো মানুষ জীনদের শত্রু!!!!!

১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:১২

নতুন নকিব বলেছেন:



অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে, আপনি জ্বীন ও মানুষের আচরণের মাঝে যে তুলনা টেনেছেন, তা ভিন্নধর্মী ও ভাবনার খোরাক জোগায়। সত্যিই, পৃথিবীতে কিছু মানুষের কার্যকলাপও কখনো কখনো অদৃশ্য জীনদের চেয়েও ভয়ানক হয়ে ওঠে। আপনার পর্যবেক্ষণ প্রাসঙ্গিক ও চিন্তাশীল। শুভকামনা রইল।

২৬| ১২ ই জুন, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৫

ফেনিক্স বলেছেন:



ব্লগার শায়মা বলেছেন, "আমি জ্বীনদের গল্প শুনতে বড়ই পছন্দ করি কিন্তু মেরে ফেললেও বিশ্বাস করি না জ্বীন মানুষকে ধরে..... জ্বীনদের কি খেয়ে দেয়ে কাজ কাম নাই নাকি!!!!!!!!! যারা বলে জ্বীন ধরেছে তারা নিজেদেরকেই ধরেছে ..... "

-ব্লগার নকীব কেন বলেন যে, জ্বীন মানুষের উপর আছর করে? তিনি ইসলামিক স্কলার; মোল্লা শফিও ইসলামিক স্কলার ছিলো; মোল্লা শফি ১৯৭১ সালে হাজার হাজার রাজাকার সাপ্লাই দিয়েছিলো।

১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



ফেনিক্স, আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, তবে আপনার বক্তব্যে ব্যক্তির নামে কুৎসা রটানো ও ইসলাম ধর্মকে আক্রমণ করার একটি বিদ্বেষমূলক প্রবণতা স্পষ্ট। একজন ইসলামিক স্কলার জ্বীন বিষয়ে কুরআন ও হাদীসের আলোকে যা বলেন, তা মুসলিম বিশ্বাসের অংশ—আপনি তা গ্রহণ না করতেই পারেন, কিন্তু অপমান করার অধিকার আপনার নেই।

আল্লামা আহমাদ শফির ইতিহাস বা রাজনৈতিক ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে, কিন্তু তার মাধ্যমে ইসলাম ধর্মকে আঘাত করার চেষ্টা শুধু কূপমণ্ডূক মানসিকতারই প্রকাশ।

ধর্ম নিয়ে আলোচনা করুন যুক্তির মাধ্যমে, বিদ্বেষ দিয়ে নয়—কারণ বিদ্বেষ কখনও সত্যকে ঢাকতে পারে না।

২৭| ১২ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৫

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: @শায়মা আপু, ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর গ্রাম বাংলার নানীদের মতো পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া বাধায়। নতুন নকীবের পোস্টে নাকি লাইক দিয়ে আমি উহার সাথে তামাশা করেছি। আমি ধুরন্ধর হেন তেন ! সাচুর বিরুদ্ধে যা বলার আমার নিজের ব্লগে লিখেছি উনার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায়। আমার ব্লগে তিনি লিখেছেন আমি খুবই সুন্দর বিষয় নিয়ে লিখেছি। তখন পর্যন্ত আমি উনার মন্তব্যের প্রতি মন্তব্য করি নাই। নতুন নকীবের ব্লগে এসে বলছেন আমি গোরুর রচনা লিখি। :)। এই কথা আমার ব্লগে তিনি সরাসরি বলতে পারতেন। নাস্তিক ব্লগার কামাল১৮ তো দেখছি সাচুর চেয়ে সৎ। তিনি সরাসরি আমার পোস্টে লিখেন যে আমি গোরুর রচনা লিখি।


নতুন নকীব ও উনার সেই লম্পট ব্লগার নিয়ে আমার কিছু বলার নাই। কখনো তিনি সেই লম্পট ব্লগার কে হেদায়েত দেন।কখনো উহার বিরুদ্ধে পোস্ট লিখেন। সেজন্য সিনিয়র ব্লগার দের কোনো মন্তব্যে আমি প্রবেশ করি না। ব্লগার @মিরর ডল বিষয়টা সবচাইতে ভালো বলতে পারবেন।

কারো সম্পর্কে অভিযোগ থাকলে ব্লগার @ মমহাজাগতিক চিন্তার মতো সেটা বলে ফেলা উচিত। তিনি একজন নাইস পারসন। সরাসরি তিনি বলেছেন যে আমার মন্তব্য উনার পছন্দ না। আমার ব্লগে মন্তব্য করেও সেটা জানিয়েছেন।

১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:১৭

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ আপনাকে।

২৮| ১২ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৭

ফেনিক্স বলেছেন:



নকীব সাহবের চিন্তাধারা মোল্লা শফির মতো; ব্লগার হত্যায় মোল্লা শফির লোকজন ছিলো।

১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:



ফেনিক্স, আপনার মত প্রকাশের অধিকার স্বীকার করছি, কিন্তু ব্যক্তিগত আক্রমণ আর ভিত্তিহীন অভিযোগ ধর্মীয় ও ব্যক্তিগত সম্মানের পরিপন্থী। আল্লামা আহমাদ শফি সাহেবের নামে যেসব কথা বলা হচ্ছে, তা প্রমাণ ছাড়া ছড়ানো অপপ্রচার ছাড়া কিছু নয়। ধর্ম বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে এমন বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য শুধু বিভ্রান্তি ও বিভেদ সৃষ্টি করে। আপনি যদি সত্যিকার বিচার চান, তবে তথ্য ও প্রমাণ ভিত্তিক সংলাপে আসুন, নাহলে এ ধরনের অপপ্রচার নৈতিক ও ধর্মীয় দৃষ্টিতে অসমর্থনীয়।

২৯| ১২ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০০

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:



দেখেন!!! আপনারা যা ভাল মনে করেন! 8-|

১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



@ফেনিক্স,

আপনার প্রিয় নেত্রীর অসাধারণ অভিনয়ের এই দৃশ্য ভালো করে দেখে নেন। আমি নিশ্চিত, আপনার চোখ জুড়িয়ে যাবে।

৩০| ১২ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০২

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন:



দেখেন!!! আপনারা যা ভাল মনে করেন!!! #:-S

১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



উহার হাতে ওটা কী? পার্স/ মানিব্যাগ, না কি মোবাইল ফোন?

মনে হচ্ছে, পার্স/ মানিব্যাগ খুলছেন তার ভেতর থেকে টাকা বা অন্য কিছু বের করার উদ্দেশ্যে।

৩১| ১২ ই জুন, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২৭

ফেনিক্স বলেছেন:


@দফাদার,

শাপলা চত্বরে মাদ্রাসার ছাত্রদের রেখে, মোল্লা শফি টাকার প্যাকেট নিয়ে হেলিক্টারে চিটাগণ চলে গিয়েছিলো।

আপনি শেখ হাসিনার ছবি দিচ্ছেন; কিন্তু নিজের ইন্দোনেশিয়ান স্ত্রীর কথা আর লিখেন না; থাইল্যান্ডের কানাগলিতে ঘুরেন কেন?

১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:৪৫

নতুন নকিব বলেছেন:



ফেনিক্স, আপনার মতামতের জন্য ধন্যবাদ। ইতিহাস ও ব্যক্তিগত জীবনের ব্যাপারে আলোচনা হলে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে হওয়া উচিত। তবে ব্যক্তিগত আক্রমণ ও অবমাননা সমাধানের পথ নয়। আলাপচারিতায় শালীনতা বজায় রাখা সকলের জন্যই শ্রেয়।

৩২| ১২ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:০৮

শায়মা বলেছেন: এই রে গেছি!!!!!!!!

সবাই সাবধান!!!!!! একজন জ্বীন আমাকে বলে গেলো সবার আগে কুতুব ভাইয়াকে ধরবে আর তার পরেই ফেনিক্স ভাইয়াকে..... নতুব নকীব ভাইয়ু আল আমাল আদলেল কুটনাবুড়া চুয়াত্তর ভাইয়ুদেরকে ধরবেই না..... ধরবেই না!!!!!!! :)


আর এই যে সোলাইমান Sulaiman hossain ভাইয়াজান আপনাকে ধরবে কিনা জ্বীন ভূতেরা কিন্তু চিন্তা ভাবনা কত্তেসেেেে !!!!!!!! :)

১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৮:৪৮

নতুন নকিব বলেছেন:



অনেক অনেক ধন্যবাদ, তোমার রসিকতা ও মজার কথা পড়তে বেশ ভালো লাগলো! জ্বীন-ভূতের কথায় সবাই সাবধান থাকলেই ভালো, আর আমাদের বন্ধুত্ব আর আলোচনা যেন এসব গল্পের থেকেও শক্তিশালী হয়। এমন হাসিখুশিই থেকো সবসময়! :)

৩৩| ১২ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:২৯

মিরোরডডল বলেছেন:





কামালের প্রশ্ন ছিলো
লম্পট অর্থ কি।তার লাম্পট্টের প্রমান যদি আপনার কাছে না থাকে হবে ইসলামের আলোকে আপনার কি সাজা হতে পারে।দয়া করে সেটাও বলবেন

নকিবের উত্তর
যে ব্যক্তি কুরআনের সূরাকে বিভ্রান্তিমূলক বলে, কুরআনের বিপক্ষে নিজের অবস্থানকে স্পষ্ট করে স্বয়ং কুরআনই তাকে "অজ্ঞাতকুলশীল" বলেছে। দেখুন সূরা ক্কলম এর ১০-১৩ নং আয়াত।

"অজ্ঞাতকুলশীল" এর ব্যাখ্যা করে দিতে হলে জানাবেন।


নকিবের কাছে আমার প্রশ্ন, অজ্ঞাতকুলশীল আর লম্পট কি এক?
দুটো কমপ্লিটলি ভিন্ন শব্দ, ভিন্ন অর্থ।

নকিব পোষ্ট লিখেছে লম্পট নিয়ে, কামালের প্রশ্নটাও ছিলো লম্পট নিয়ে।
তাহলে উত্তরে অজ্ঞাতকুলশীল নিয়ে রেফারেন্স কেনো?

একজন নন-বিলিভার যদি কোন ধর্ম নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে, তাহলে কি তাকে লম্পট বলা যায়?
If yes, can you please explain why.
Before that, you must know the meaning please.


১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:১৫

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ মিরোরডডল, আপনি একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল প্রশ্ন তুলেছেন।

আপনার পর্যবেক্ষণ যথার্থ—“লম্পট” এবং “অজ্ঞাতকুলশীল” শব্দ দুটির অর্থ ও প্রয়োগে ভিন্নতা রয়েছে।

লম্পট বলতে বোঝায়: নৈতিকভাবে অবক্ষয়গ্রস্ত ব্যক্তি, যিনি যৌনাচার বা চরিত্রগত বেহায়াপনায় লিপ্ত।

অজ্ঞাতকুলশীল বলতে বোঝায়: যার পিতৃপরিচয় বা বংশপরিচয় স্পষ্ট নয়, অথবা যিনি সমাজে সেই অর্থে বংশগতভাবে স্বীকৃত নন। তবে এই শব্দটির অর্থ নির্ভর করে প্রসঙ্গের ওপর, এবং অনেক সময় এটি চরিত্রগত দুর্বলতাকেও নির্দেশ করতে ব্যবহৃত হয়।

আমার পূর্বোক্ত বক্তব্যে সূরা আল-ক্বলম (৬৮:১০–১৩) এর যে আয়াতগুলোর উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে, সেগুলো একজন বিশেষ ব্যক্তি সম্পর্কে নাজিল হয়েছিলেন, যিনি ছিলেন কঠোর, অপবাদদাতা ও কুরআনের বিরোধী। “অজ্ঞাতকুলশীল” (زنيم) শব্দটি এখানে তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ও সমাজে তাঁর পরিচিতি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়েছে—শুধু বংশগত কারণে নয়।

আপনার প্রশ্নের সরাসরি উত্তর:
না, শুধু ধর্মীয় সমালোচনা বা দ্বিমত পোষণ করার জন্য কাউকে "লম্পট" বলা উচিত নয়।
বিশেষ করে যখন সমালোচনা ব্যাক্তিগত চরিত্র নয়, মতবাদ বা ব্যাখ্যাগত পর্যায়ে থাকে।

তবে, যদি কেউ বারবার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইসলাম, নবী, কুরআন, হাদীস ইত্যাদিকে কটাক্ষ, বিকৃতি ও অবমাননা করে, এবং এর পেছনে ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক অভিপ্রায় থাকে, তখন তা শালীন মতভেদ নয় বরং একটি অপসংস্কৃতিমূলক আচরণ হিসেবে গণ্য হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাকে "চরিত্রহীন", "অশালীন", "নৈতিকভাবে পতিত", কিংবা, "লম্পট" বলা অনুচিত বলা যায় না।

তবে শব্দ ব্যবহারে সতর্কতা জরুরি। আলোচনা যেন যুক্তি, প্রজ্ঞা ও সম্মানজনক ভাষায় হয়—এটাই কুরআনের নির্দেশ (সূরা নাহল ১৬:১২৫)।

আপনার যুক্তিনিষ্ঠ প্রশ্ন ও বিশ্লেষণের জন্য আবারও আন্তরিক ধন্যবাদ। আলোচনা যেন সর্বদা মর্যাদা ও সৌজন্য বজায় রেখে এগোয়—এটাই প্রত্যাশিত।

৩৪| ১২ ই জুন, ২০২৫ রাত ৯:৪১

মেঠোপথ২৩ বলেছেন: যাক দফাদার সাহেবের ছবির কল্যানে আমরা জানতে পারলাম যে , শাপলা চত্বরে মাদ্রাসার ছাত্রদের রেখে, কওমী জননীর থেকে মোল্লা শফি টাকার প্যাকেট (ছবিতে ব্রাউন প্যকেট) নিয়ে হেলিক্টারে চিটাগণ চলে গিয়েছিলো। জনাব ডটডট মাঝে মাঝে মুখ ফসকে সত্য কথা বলে ফেলেন :-0

১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:১৭

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ মেঠোপথ২৩। ইতিহাস ও সত্যকে বুঝতে চোখ-কান খোলা রাখা প্রয়োজন। মতামত প্রকাশের জন্য কৃতজ্ঞতা।

৩৫| ১২ ই জুন, ২০২৫ রাত ১১:০৪

অপলক বলেছেন: @নতুন নকিব: আমি খুব বিষ্মিত হলাম, মন্তব্যের ঘরে প্রশ্লের বিপরীতে সুন্দর- অসাধারণ প্রত্যুত্তর দেখে। জ্ঞান আর ধৈর্য্যের গভীরতা এভাবেই প্রকাশ পায়।

আমি বেকুবদের ব্লগে লিখি, "দারুন বলেছেন/লিখেছেন", নয়ত শেখার জন্যে আলোচনা সমালোচনায় জড়িয়ে পরি। এখানে দেখলাম, যথেষ্ট হয়েছে এবং সত্যিকার অর্থে প্রশংসা পাবার যোগ্য।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:২১

নতুন নকিব বলেছেন:



অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার আন্তরিক মন্তব্য ও মূল্যায়ন অনুপ্রেরণাদায়ক। আপনি যেভাবে খোলামেলা শেখার মানসিকতা ও যুক্তিনিষ্ঠ আলোচনার পরিবেশকে গুরুত্ব দেন, তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। শুভকামনা রইল।

৩৬| ১২ ই জুন, ২০২৫ রাত ১১:৫২

মিরোরডডল বলেছেন:





এই পোষ্টে ১৩নং মন্তব্যে নকিবকে কিছু প্রশ্ন করেছিলাম।

উত্তরে নকিব বলেছে কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না।
এই শিরোনামে নকিব একটা পোষ্টও দিয়েছিলো আগে।

এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে, জানেই যদি কয়লা ধুলে ময়লা যায়না, তাহলে এ জগতে এতোকিছু থাকতে নকিব কেনো শুধু কয়লা ধোয়া নিয়েই ব্যস্ত থাকে? আর কিছু নেই ধোয়ার?
can you please move on with something else.

আমরা যতই প্রত্যাশা রাখি না কেন, হেদায়েত হয়তো সবার জন্য নয়।

কিছু মনে করবে না, একটা কথা বলি।
এই যে সেদিন নকিব শয়তান নিয়ে এক পোষ্ট দিলো, আমি বলবো শয়তান আছে আর সেটা নকিবের মাঝে ভর করেছে।
গত দশ মাস ধরে নকিব একের পর এক পোষ্ট দিয়ে যাচ্ছে কোন একজন ব্লগারকে নিয়ে, তার সমালোচনা করে, কটাক্ষ করে, অন্যদের কাছে তার নামে নালিশ করে ইত্যাদি ইত্যাদি। কিছুদিন আগে হঠাৎ করেই নকিবের আত্ম-উপলব্ধি থেকে তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে, তার প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে এক পোষ্ট। এতো প্রেম! তখনই আমি বলেছি something must be wrong.

Now look at you.
আবার গত দুদিন ধরে বলছে রগচটা বুড়া শয়তান, আজকে বলছে লম্পট।
নকিবের মন অস্থির। একেক সময় একেক আচরণ করছে, নিজের ওপর কন্ট্রোল নেই।
ধর্মকর্মে মন নেই, অপরের ভুল ধরতেই ব্যস্ত।
এ সবই শয়তানের খেলা নকিব :)

মানুষকে হেদায়েত না করে, সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করবে নিজের হেদায়েতের জন্য।
মন যেন শান্ত হয়, নন-বিলিভারের আচরণ নিয়ে বিচলিত না হয়ে, নিজে মন দিয়ে যেন প্র্যাকটিস করতে পারে এই দোয়া করবে।
কেমন?

খেলাঘর নিজেই বলে সে মুসলিম পরিবারে জন্ম, মুসলিম কমিউনিটি থেকে অনেক সময় নামাজেও যায় অকেশনালি কিন্তু তার ধর্মে বিশ্বাস নেই। যে নিজে বলছে সে আবার ভণ্ড হয় কি করে! আমিতো বলবো সে ব্লগের অনেক ভণ্ড ধার্মিকদের চেয়ে অনেক বেশি সৎ।

ধর্ম অবমাননায় লিপ্ত এ ধরনের বিদ্বেষপ্রসূত লেখককে ব্লগনীতিমালার আওতায় এনে দ্রুত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন

তাই?
নকিব এতো ইসলাম জানে আর এটা জানে না, যে বা যারা ধর্ম নিয়ে বা প্রফেট নিয়ে নেগেটিভ মন্তব্য করে তাদের সাথে আর্গুমেন্টে যেতে হয়না। যত বেশি করবে, তত বেশি সুযোগ দেয়া হয় নেগেটিভ কমেন্ট করার। অবমাননা করার দায়ভার কিছুটা নকিবের ওপরেও আসে তখন।

এ ব্লগে এমন অনেক ধার্মিক ব্লগার আছে, যাদের প্রতি আমাদের সবার শ্রদ্ধা আছে। আলী ভাই তাদের একজন।
খেলাঘরসহ আরও কিছু ব্লগার যারা নন-বিলিভার, তাদের সাথে সেইসব ধর্মপ্রাণ ব্লগারদের কোন কনফ্লিক্ট নেই।
কেনো?
কারণ তারা ব্লগে ধর্মপ্রচার করে না, বা ধর্ম নিয়ে নন-বিলিভারদের সাথে অহেতুক আর্গুমেন্টে গিয়ে নিজ ধর্মকে অবমাননা করে অন্যকে কথা বলার সুযোগ করে দেয়না।

Religion is based on faith and practice. If you are a believer, then just keep practicing.

You have many flaws. You are not ready to preach to others.
So, please focus on your work and try to correct yourself first.
It will be good for you.

নো মোর কয়লা ধোয়াধুয়ি, ওকে? :)

ভালো থাকবে নকিব।

১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:২৬

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ মিরোরডডল, আপনি সময় নিয়ে যে দীর্ঘ ও ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণভিত্তিক মন্তব্য করেছেন, তার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। আপনার বক্তব্যের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই কিছু বিষয় স্পষ্ট করা প্রয়োজন:

১. "কয়লা ধোয়া" — এটি একটি রূপক, যা ব্যবহার করা হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে, যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সত্য এড়িয়ে কুরআন-হাদিসকে ব্যঙ্গ ও অবজ্ঞা করে। আপনি হয়তো সেটাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ ভেবে আক্ষেপ করেছেন, কিন্তু এটি একজন নির্দিষ্ট নাস্তিক ব্লগারের দীর্ঘমেয়াদী ইসলাম-বিদ্বেষী বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া।

২. "শয়তান ভর করেছে" — আপনি যেভাবে এই বাক্য লিখেছেন, তাতে আপনি নিজেই একজনকে উদ্দেশ্য করে এমন কিছু বলছেন, যা আপনি অন্যের কাছ থেকে প্রত্যাশা করেন না। আপনি আলোচনায় ভারসাম্য আনতে চেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু ভাষার সীমালঙ্ঘন করে ফেলেছেন—এটা কি আপনি নিজেও লক্ষ্য করেছেন?

৩. “ধর্ম প্রচার” না করে “চুপ থাকুন” বলা — এটা সেই ক্লাসিক নীতিবাক্য যা কেবল ধার্মিকদের মুখ বন্ধ রাখতে ব্যবহার করা হয়। অথচ নাস্তিক ব্লগারদের ধারাবাহিক ইসলামবিরোধী পোস্টকে তখন “মতপ্রকাশের স্বাধীনতা” বলা হয়। এই দ্বিমুখী নীতি কি ন্যায্য?

৪. আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ ও আচরণগত মূল্যায়ন — আপনি যে যুক্তি তুলে ধরেছেন, তা মূলত "যিনি ইসলাম নিয়ে কথা বলেন, তার উচিত নিখুঁত চরিত্রবান হওয়া"—এটা একধরনের অতিমাত্রার শর্তারোপ। একজন মুসলিম তার সীমাবদ্ধতা নিয়ে দ্বীন চর্চা করতেই পারে, তা নিয়ে আপনার এমন ভাষ্য অপ্রয়োজনীয় এবং বিতর্কিত।

৫. "No more কয়লা ধোয়াধুয়ি" — এই তাচ্ছিল্যপূর্ণ বিদ্রূপের মধ্যেই আপনি নিজেই বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন। আমি বা অন্য কেউ কাউকে কয়লা বলেনি, বরং কুরআনের বর্ণনায় যারা ইচ্ছাকৃত সত্য অস্বীকার করে, তাদের ব্যাপারে শক্ত ভাষায় বলা হয়েছে—তা শুধু ধর্মের পক্ষে অবস্থান থেকেই।

সবশেষে বলবো, কেউ যদি ধারাবাহিকভাবে ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ায়, কুরআন-হাদীসকে বিকৃত করে উপস্থাপন করে, প্রিয় নবীকে কটাক্ষ করে, তবে একজন বিশ্বাসী হিসেবে সেটার জবাব দেওয়া অপরাধ নয়, দায়িত্ব।

আপনি ভিন্নমত পোষণ করতেই পারেন। কিন্তু সেটাকে উপহাস, ব্যঙ্গ কিংবা একতরফা মূল্যায়নে রূপ দিলে, আপনার নিজের যুক্তির ভার নষ্ট হয়।

ধন্যবাদ, আপনি ভালো থাকুন।

৩৭| ১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ১২:১৮

ফেনিক্স বলেছেন:




@মিরোরডডল ,

আমি পাকিস্তানের সময়, পাকীদের সাথে পড়ালেখা করেছি; ওরা ভন্ড ছিলো। ওরা চলে গেছে, কিন্তু বাংলাদেশে ওদের মতো লোকজন রেখে গেছে। নবীব ইউনিভার্সিটি গ্রেজুয়েট, কিন্তু এরা আধুনিক বিশ্বের চোঁয়া পায়নি।

১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৩০

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ ফেনিক্স, আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য। তবে এটাও বলবো, জাতি বা দেশের নাম দিয়ে কাউকে সামগ্রিকভাবে ‘ভণ্ড’ বা অবিশ্বাসী বলা অতিমাত্রায় সাধারণীকরণ এবং অন্যায়। এমন দৃষ্টিভঙ্গি শুধু বিভাজন সৃষ্টি করে, যা আজকের বিশ্বে অগ্রগতি ও শান্তির পথে অন্তরায়।

নবীর (সাঃ) শিক্ষা ছিলো সমবেদনা, মৈত্রী আর ন্যায়বিচার—কোনো জাতি কিংবা গোষ্ঠীর প্রতি অবজ্ঞা নয়। আধুনিক বিশ্বের চোঁয়া পাওয়া বা না পাওয়ার বিচার এককভাবে শিক্ষা কিংবা জাতীয় পরিচয়ের উপর সীমাবদ্ধ নয়, বরং চিন্তা-চেতনা ও সহনশীলতার বিষয়।

আপনার মতামত গ্রহণযোগ্য, কিন্তু দয়া করে বিবেক ও মানবতা মাথায় রেখে কথা বলুন। এমন সাধারণীকরণ কখনো কারও উন্নতি আনে না।

আবারও ধন্যবাদ।

৩৮| ১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ১২:৩৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কোরআন অবমাননাকারীর পক্ষে শক্ত হাতে ব্যাট করতে নেমেছে মিরোরডডল। যে ব্যক্তি একদিকে নামাজ পড়ে আবার আরেক দিকে কোরআনের আয়াতকে বলে বিভ্রান্তিকর সেই ব্যক্তি আসলে ভণ্ড ছাড়া আর কিছু না। সেই ভণ্ডের পক্ষে আছে মিরোরডডল। সাবাশ।

১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৪২

নতুন নকিব বলেছেন:



অনেক অনেক ধন্যবাদ, আপনার স্পষ্ট ও দৃঢ় মতামতের জন্য। আমি বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেছি যাতে ভদ্রলোকের ভিতরে পরিবর্তন আসে এবং তিনি শালীনভাবে নিজের মতামত প্রকাশ করার প্রতি মনযোগী হন। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, তিনি ধারাবাহিকভাবে কুরআন, হাদিস ও ইসলাম সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করে চলেছেন। যদিও মিররডডডলদের চোখে তার এসব আচরণ অমুল্যায়িত থেকে যাবে। বিষয়টা সত্যিই আশ্চর্যজনক। আবারো ধন্যবাদ। সত্যি বলতে মানব চরিত্র বোঝা পৃথিবীর অন্যতম কঠিন কাজ।

৩৯| ১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ১:০৩

আরোগ্য বলেছেন:

লোকে যা বলে, তাতে তুমি ধৈর্য ধারণ কর এবং সৌজন্যে সহকারে এদেরকে পরিহার করে চল।
—আল মুয্‌যাম্মিল - ১০

১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ আপনাকে, খুব সুন্দর ও প্রজ্ঞাপূর্ণ উপদেশ স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য। ধৈর্য আর সৌজন্যই হলো শক্তির আসল পরিচয়। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সেই ধৈর্য ও সহনশীলতা দান করুন, আমিন।

৪০| ১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ১:১৩

মামুinসামু বলেছেন: মুসলিম কমিউনিটি থেকে অনেক সময় নামাজেও যায় অকেশনালি কিন্তু তার ধর্মে বিশ্বাস নেই..... ??????????????????????????????????????????????? Seriously!!!!?!?!?!?!?!

১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৪৮

নতুন নকিব বলেছেন:



হাহা, ধন্যবাদ মামুinসামু! এটাই তো মজার ব্যাপার — নামাজে যায় কিন্তু বিশ্বাসে হেরফের! অদ্ভুত ব্যাপার সত্যিই, ঈমানের এমনই ফ্যান্সি স্টাইল! চমৎকারভাবে একটি নির্ভেজাল মুনাফিকের পরিচয় তুলে ধরার জন্য মিররডডলকে আরেকবার ধন্যবাদ দিতেই হয়!

৪১| ১৩ ই জুন, ২০২৫ রাত ২:১২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আল্লাহ পাক বলিয়াছেন- তোমরা ধর্ম নিয়ে ক্যাচাল করিও না।

১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৫০

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ জ্যাক স্মিথ, তবে কুরআনে এমন সরাসরি শব্দে “ধর্ম নিয়ে ক্যাচাল করিও না” বলা হয়নি। বরং বলা হয়েছে—
“ডাক তোমার প্রভুর পথে প্রজ্ঞা ও উত্তম উপদেশের মাধ্যমে। আর তাদের সাথে বিতর্ক করো উত্তম পন্থায়।” —সূরা নাহল: ১২৫

সুতরাং, সত্যের পক্ষে যুক্তি ও সৌজন্য বজায় রেখে অবস্থান নেওয়াই কুরআনের নির্দেশ। অন্যায়ের সামনে চুপ করে থাকাটা কখনোই ইসলাম সমর্থন করে না। কাজেই ধর্ম অবমাননায় নীরবতা নয়, বরং প্রজ্ঞাসম্পন্ন জবাবই প্রকৃত দায়িত্বশীলতার পরিচয়।

৪২| ১৩ ই জুন, ২০২৫ ভোর ৪:৪৮

পারস্যের রাজপুত্র বলেছেন: কিছু লোক এখানে ক্যাচাল করছে। অগ্নিবাবা নামে একজন দেখলাম এখানে বা অন্যকোথাও শয়তানের পক্ষে আরগুমেন্ট দাড় করাচ্ছে। আবার কুরআনে পাকের আয়াত দিয়ে আরগুমেন্ট করছে।

এর মধ্যে একটা আরগুমেন্ট হল, আল্লাহ তায়ালা যাকে ইচ্ছা বেহেশতে দিবেন - যাকে ইচ্ছা দোজখে দিবেন। কাজেই ফ্রি-উইল বলে কোন কিছু থাকল না।

আল্লাহ তায়ালা এবং সৃষ্টি সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় এইভাবে ব্যখ্যা করে কিছু লোক ফালতু নুইসেন্স তৈরী করছে।

আয়াতুল কুরসির ভিতরে একটা অংশ আছে "ইয়ালামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম"। তিনি জানেন মানুষের অতীত (পেছনে যা আছে), বর্তমান ও ভবিষ্যৎ (সামনে যা আছে)।

এই আয়াতের মর্মার্থ হল আল্লাহ তায়ালার উপরে সময় অতিবাহিত হয় না। "সময়" - আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি। তাঁর কাছে অতীত, বর্তমান বা ভবিষ্যত সব একই রকম।

আশআরি-মাতুরিদি-তাহাবি আকিদার কিতাব গুলি ঘাটলে এই কথার স্বপক্ষে অনেক রেফারেন্স পাবেন। ওয়াহাবি-নজদি-ছালাফি এবং কোন কোন ক্ষেত্রে জামাতি ইসলামি ঘরানার লোকজন (যেইগুলিকে আমি বলি ফ্রিম্যাসনিক সাবসিসটেম, কেন সেইটা বলতে গেলে বিরাট ইতিহাস টানতে হবে) এই আকিদা স্বীকার করে না। মুসলিম যুবকদের গনহারে নাস্তিক হওয়ার পিছনে এই ফালতু এবং গোমরাহ গ্রুপগুলি দায়ী।

স্থান এবং কাল (Space & Time) আল্লাহ তায়ালার সৃষ্ট বস্তু।

আমার আপনার কাছে যেইটা ভবিষ্যত। সেইটা আল্লাহ তায়ালার কাছে অলরেডি জানা হয়ে গেছে। কাজেই আল্লাহ তায়ালা যখন বলেন আল্লাহ তায়ালা যাকে ইচ্ছা বেহেশতে দিবেন - যাকে ইচ্ছা দোজখে দিবেন, সেইটা অলরেডি নিয়তের পরীক্ষা হয়ে গেছে এবং রেজাল্টের উপরে কথা হচ্ছে।

এই কথার সাথে ফ্রি-উইল কন্ট্রাডিকটরি না।

শয়তানের কাজ হল যুক্তি দিয়ে বিভ্রান্ত করা। সেইটা শয়তান সারা জীবন ধরে করে আসছে এবং তার অনুসারি, ভক্তরাও করে আসছে।

শয়তান মহাবিশ্ব সৃস্টি করে নাই, আল্লাহ তায়ালা করেছেন।
শয়তান নিজেকেও সৃস্টি করে নাই, আল্লাহ তায়ালা করেছেন।
জ্বিন জাতির মধ্যে সবচেয়ে প্রিভিলেজ পাওয়া এই আহম্মক এইটা দেখলনা যে আদম (আঃ) কে সিজদার হুকুম কে দিয়েছেন। তার কাছে তার ভুয়া যুক্তি - "আগুন মাটি হতে শ্রেষ্ঠ" পছন্দনীয় হল। অথচ এই বেকুব না আগুনের স্রষ্টা না মাটির স্রষ্টা।

আল্লাহ তায়ালা আপনাকে আমাকে সঠিক বুঝ দান করুন।

১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৫২

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ পারস্যের রাজপুত্র, আপনার বিশ্লেষণমূলক মন্তব্য ও প্রাঞ্জল ব্যাখ্যার জন্য।

আপনি যথার্থভাবে তুলে ধরেছেন—আল্লাহর “ইরাদা” (ইচ্ছা) এবং মানুষের “ইখতিয়ার” (স্বাধীন ইচ্ছা) একে অপরের পরিপন্থী নয় বরং, একে অপরের পরিপূরক একটি ধারায় চলে। যিনি সময়ের ঊর্ধ্বে, যাঁর জ্ঞান সর্বজনব্যাপী, তিনি অতীত-ভবিষ্যতের সীমারেখার বাইরে। সুতরাং তিনি কার পরিণতি কোথায় হবে তা জানেন, তবে সেই পরিণতির কারণ নির্ধারিত হয় মানুষ নিজের কাজ দ্বারা। এখানে তাঁর জ্ঞান পূর্বনির্ধারণ নয়—জ্ঞান স্বরূপ।

আপনি সঠিকভাবেই লক্ষ্য করেছেন, কিছু বিভ্রান্তিকর মতাদর্শ ইসলামের গভীর আকীদাগত কাঠামোকে অস্বীকার করে তরুণদের মাঝে সংশয়ের বীজ বপন করছে। আজকের এই জ্ঞানের যুগে আকীদার সঠিক চর্চা এবং যুক্তির ভাষায় তা উপস্থাপন না করলে, মুসলিম সমাজের ভবিষ্যৎ দুর্বল হয়ে পড়বে। আপনার মতো কেউ কেউ সামনে না এলে সেই কাজ অসম্পূর্ণই থেকে যেত।

আর যারা "আল্লাহ যাকে চান হিদায়াত দেন, যাকে চান ভ্রান্ত করেন" আয়াত তুলে ফ্রি-উইল অস্বীকার করতে চায়, তারা কেবল আংশিক পাঠ করে সিদ্ধান্ত টানে। আল্লাহ আরও বলেছেন:

“যারা সৎপথ গ্রহণ করে, আল্লাহ তাদের সৎপথে আরও অগ্রসর করেন এবং তাদেরকে তাদের কর্তব্যবোধ দান করেন।” —সূরা মুহাম্মাদ: ১৭

অতএব, যারা হিদায়াত চায়, আল্লাহ তাদের পথ খুলে দেন। যারা ইচ্ছাকৃত বিদ্বেষ পোষণ করে, আল্লাহ তাদের ছেড়ে দেন তাদের পথেই।

আপনার যুক্তিপূর্ণ, আকীদাভিত্তিক অবস্থান প্রশংসনীয়। আমরা আপনার দোয়ার সাথে একমত—আল্লাহ তায়ালা আমাদের সঠিক বুঝ, দৃঢ় ঈমান এবং ফিতনার যুগে সত্যে অবিচল থাকার তাওফিক দান করুন।

আল্লাহ আপনার কলমকে বরকত দান করুন।

৪৩| ১৩ ই জুন, ২০২৫ ভোর ৫:০৪

পারস্যের রাজপুত্র বলেছেন: এখানে "আমি তাদের জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি" - এই কথার মানে এটা নয় যে, আল্লাহ জোর করে কাউকে জাহান্নামে পাঠান। বরং এর মানে হলো, আল্লাহ জানেন কে কী করবে এবং তিনি তার উপর সেই অনুযায়ী কাজ করার সুযোগ ও পথ সহজ করে দিয়েছেন। অর্থাৎ এটি পূর্বজ্ঞান (علم سابق) ও ব্যবস্থাপনার বিষয়।

মানুষ নিজে ভালো বা মন্দ কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়, এবং আল্লাহ তার ইচ্ছানুযায়ী তাকে সেই পথে চলতে দেন। আল্লাহ কারো উপর অন্যায় করেন না। বরং, যিনি নিজে জাহান্নামের পথ বেছে নেন, আল্লাহ তাকে সেই পথেই চলতে দেন।

মানুষ রোবট বা বাধ্যতামূলকভাবে কোনো কাজ করে না। বরং আল্লাহ তার পূর্বজ্ঞান অনুযায়ী জানেন যে, কে কী পছন্দ করবে ও কী করবে। মানুষ স্বাধীন, তবে তার ভবিষ্যত সিদ্ধান্ত আল্লাহর জ্ঞানের আওতায়।

বান্দা যখন নেক হওয়ার চেষ্টায় থাকে, তখন তিনি তার জন্য তওবা, ইবাদত, নেক কাজ করার রাস্তা সহজ করে দেন। আবার কেউ নিজের খারাপ নফস ও পাপের দিকে ধাবিত হলে, আল্লাহ তার জন্য সেই পথই সহজ করে দেন।

মানুষের ফ্রি-উইল এর দায়, মানুষের ঘাড়েই থাকে। এবং আল্লাহ তায়ালা অতীত বর্তমান ভবিষ্যত সব জানেন।

১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৫৫

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ পারস্যের রাজপুত্র, আপনাকে আবারো আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও সাধুবাদ জানাতে চাই এমন গভীর ও যুক্তিসম্মত ব্যাখ্যার জন্য।

আপনার মন্তব্যের প্রতিটি বাক্যই তথ্যনির্ভর এবং আক্বীদাহর মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়ানো — যা আজকের বিভ্রান্তিময় আলোচনার ভেতরে এক টুকরো স্বচ্ছতার বাতি। আপনি অত্যন্ত সুচিন্তিতভাবে ব্যাখ্যা করেছেন—

“আমি তাদের জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি” — এ আয়াতের তাৎপর্য জোরপূর্বক ফয়সালা নয়, বরং আল্লাহর পূর্বজ্ঞান এবং সৃষ্টির স্বেচ্ছাচারিতার ব্যবস্থাপনা।
মানুষ যেমন ইচ্ছা করে, সেই ইচ্ছার দরজাই আল্লাহ খুলে দেন — ভালো চাইলে ভালো পথ, খারাপ চাইলে শয়তানের রাস্তা।

এখানে যারা ফ্রি-উইল অস্বীকার করে, তারা একদিকে আল্লাহর ‘আলিমুল গাইব’ হওয়ার গুণ অস্বীকার করে, অন্যদিকে নিজের পাপকে ‘বিধি’ বলে চালিয়ে দিতে চায়। অথচ সূরা কাহফে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে:

“যে চায়, সে ঈমান আনুক, আর যে চায়, সে কুফরি করুক।” (সূরা কাহফ ১৮:২৯)

এ আয়াতই যথেষ্ট প্রমাণ যে, নির্বাচন মানুষের এবং জবাবদিহিতাও তার।

আপনার কথা আরও একবার স্মরণ করিয়ে দেয় যে—আল্লাহ কাউকে ‘বাধ্য’ করেন না, তবে তিনি ‘জানেন’ কারা নিজের ইচ্ছায় কোন পথে যাবে। জ্ঞান আর ইচ্ছা এক জিনিস নয়—এটা যে না বোঝে, তারা শুধু বিভ্রান্ত নয়, অন্যকেও বিভ্রান্ত করার জন্য যুক্তির মুখোশ পরে আসে।

আপনার মতো চিন্তাশীল ও প্রজ্ঞাবান ভাইয়ের সরব অবস্থান এই সময়ের জন্য একান্ত প্রয়োজন। যারা সত্য বুঝতে চায়, আপনার যুক্তি তাদের হৃদয়ে গেঁথে যাবে ইনশাআল্লাহ।

আল্লাহ আমাদের অন্তরকে হিদায়াতে সুদৃঢ় রাখুন এবং দ্বীন সম্পর্কে সঠিক বুঝ ও মেহেরবানি দান করুন।
আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন।
জাযাকাল্লাহু খাইরান।

৪৪| ১৩ ই জুন, ২০২৫ ভোর ৬:০৯

অগ্নিবাবা বলেছেন: রাজা মহারাজাকে রসাতলে পাঠিয়েছি? একখন রাজপুত্তুর এসে হাজির হয়েছে।
আমি কোনো আরগুমেন্ট দাড় করাই না, নিজের থেকে কোনো ব্যাখ্যা ট্যাক্ষা করি না, আমার ব্যাখ্যার দুই টাকা দাম নাই।
আমি কোরান হাদিস সিরাতে যা লেখা আছে, যা ব্যাখ্যা করা আছে, হুবহু বাংলাতে তাই কপি পেস্ট করি।
আপনারাই মনে করেন এইগুলো মানুষ জানলে ছিঃ ছিঃ করবে তাই ইসলামের লুঙ্গি বাঁচাইতে ত্যানা প্যাচান।
আবারো বলি ইসলামী আকিদায় মানুষের কোনো ফ্রী উইল নাই। আমি চাইলেও নিজের থেকে হেদায়েত পাবো না,
কারন আল্লাহ আমার দিলে মোহোর মেরে রেখেছে।

১৩ ই জুন, ২০২৫ সকাল ৯:৫৯

নতুন নকিব বলেছেন:



ধন্যবাদ অগ্নিবাবা, নিজের অবস্থান সরলভাবে উপস্থাপন করার জন্য।

আপনি বললেন—“আমি কোনো আরগুমেন্ট দাড় করাই না, হুবহু কপি পেস্ট করি”—এই নিরপেক্ষতার ভানটাই আসলে একধরনের পক্ষপাত। কেননা, প্রেক্ষিতহীনভাবে আয়াত-হাদীস কপি-পেস্ট করা আর তাফসির বা প্রসঙ্গ বুঝে তুলে ধরা এক জিনিস নয়। ইসলামী জ্ঞানের সৌন্দর্য হলো, তা একত্রে প্রজ্ঞা, প্রসঙ্গ ও পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্লেষণ করে বোঝা—শুধু টেক্সট বোমা ফেলে নয়।

আপনার বলা “ফ্রী উইল নাই”—এটা সরাসরি কুরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান। সূরা ইনসান (৭৬:৩) এ আল্লাহ বলেন:

“আমি মানুষকে পথ দেখিয়ে দিয়েছি—সে হয় কৃতজ্ঞ হবে, নয় অকৃতজ্ঞ।”

এ আয়াত কি মানুষের ইচ্ছা ও ফ্রি উইলকেই প্রমাণ করে না?

এমনকি আপনি যে বলছেন, “আল্লাহ আমার দিল মোহর মেরে রেখেছে”, সেটা কুরআনেরই বক্তব্য, ঠিক, তবে তা কার ওপর প্রযোজ্য তা-ও কুরআনেই ব্যাখ্যা করা হয়েছে—যারা নিজের ইচ্ছায় বারবার সত্য প্রত্যাখ্যান করে, তাদের উপর আল্লাহ এই মোহর দেন (সূরা বাকারা ২:৭)।

নিজে থেকে বুঝতে না চাওয়া আর আল্লাহর পক্ষ থেকে হিদায়েত না আসা—এ দুটি আলাদা।

অতএব, যে ব্যক্তি আল্লাহর নিকট সত্য বোঝার জন্য আন্তরিকভাবে পথ চায়, আল্লাহ কখনও তাকে বঞ্চিত করেন না। এটা কুরআনের বহু আয়াতে স্পষ্টভাবে বলা আছে।

আপনার যুক্তি-উপস্থাপনার ধরণ অনেককে বিভ্রান্ত করতে পারে, তাই কৃতজ্ঞতা জানাই অন্তত আপনি খোলাখুলি নিজের অবস্থান জানিয়েছেন।

আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দান করুন, এবং আমাকেও, যেন আমরা আলোচনায় সত্যকে খুঁজে পেতে পারি—বিদ্বেষ বা বিদ্রূপের মাধ্যমে নয়, জ্ঞান ও বিনয়ের মাধ্যমে।

আবারও ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.