![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার। যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী। পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।
দুর্গাপূজা-২০২৫ এর কাউন্টডাউন শুরু হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গ 'ফিশ ইম্পোর্টারস অ্যাসোসিয়েশন' আসন্ন দুর্গাপূজার জন্য ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছে বাংলাদেশ সরকারের কাছে। যেহেতু দুর্গাপূজা বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ হিন্দু সম্প্রদায়ে সবচেয়ে বড় উৎসব সেহেতু ইলিশ রপ্তানীর অনুমতি দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি যাতে করে তারা তাদের উৎসবকে আরো আনন্দঘন করতে পারে।
ইলিশ রপ্তানী করলেও আমাদের দেশে ইলিশের দাম আকাশ ছোঁয়া রপ্তানী না করলেও আকাশ ছোঁয়া অর্থাৎ সিংহভাগ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাহিরে। সেই প্রেক্ষাপটে রাপ্তনী করাই ভালো। তাহলে বৈদেশিক মূদ্রা আয় হবে অন্যদিকে তাদের উৎসবও জমিয়ে উঠবে। আমার দৃষ্টিতে এসব বিষয় রাজনীতির উর্দ্ধে রাখা উচিত।
আপনারদের মতামত কী?
৩১ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:৪৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনার চমৎকার মন্তব্যের কোন অংশেই দ্বিমত পোষন করতে পারছিনা। অনেক সুন্দর মন্তব্যের জন ধন্যবাদ।
২| ৩১ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৮
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সীমিত পরিসরে কিছু রপ্তানী করা যেতে পারে।
৩১ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:৫১
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: হ্যাঁ সেটাই।
৩| ৩১ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:৪৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
ভারতের সাথে দর কষাকষি করতে হবে। তাদেরকে কথা দিতে হবে, আমাদের সাথে আর শত্রুতা করবে না।
৩১ শে জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:৪৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ওরা শত্রুতা করে আমাদের লাভ হয়েছে। আমি চাই ওরা বাংলাদেশের জন্য ভিসা পুরাপুরি বন্ধ করে দিক।
৪| ৩১ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:১৭
কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: আতিথেয়তা, সৌজন্যতা, পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য পুজার সময় ইলিশ পাঁঠানো উচিত।
কলকাতার ডায়মন্ড হারবার, দীঘায় ইলিশ পাওয়া যায়।
কিন্তু ইলিশের উৎপাদন এখন অনেক কম; চাহিদার তুলনায়। যে পরিমাণ ইলিশ ধরা হয় তাতে আমাদের
চাহিদা মিটে না। ডিম ওয়ালা ইলিশ,জাটকা ধরা সহ ইউরোপ আমেরিকাতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করা দরকার।
আমি নিজেই ডিম ইলিশ খাইছি কয়েকবার বিদেশে বসে।
৫| ৩১ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:২৭
এম ডি মুসা বলেছেন: বাংলাদেশ ইলিশ অন্য কোথাও দিলে বেইমানি হবে। আগে নিজে খেয়ে বাঁচতে হবে
৬| ৩১ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:২৯
এম ডি মুসা বলেছেন: ভোলার ইলিশ ভোলার বিক্রি কম হয়, বড় বড় গুলো ঢাকা নিয়ে যায়। এটার বিরুদ্ধে আমাদের ক্ষোভ আছে
৭| ০১ লা আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:০৫
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আগে যারা রপ্তানির বিরোধিতা করত, তারা এখন রপ্তানির পক্ষে বলে কেন? আগে অবশ্যই দেশের মানুষের নাগালের মধ্যে আনতে হবে ইলিশের দাম।
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:৩৪
ইএম সেলিম আহমেদ বলেছেন: যে সময় দুর্গাপূজা হয় - সেটিই আবার ইলিশের প্রজনন মৌসুম, অর্থাৎ অক্টোবরের শুরুতে ‘মা ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ’ থাকে সরকারিভাবে। এই সময় বাজারে ইলিশের সরবরাহ কমে যায় এবং সরকার জেলেদের সহায়তা দিতে বিশেষ ভর্তুকি কার্যক্রম চালায়।
সেই সময় যদি রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই কালোবাজারি, অতিমূল্যায়ন এবং মা ইলিশ নিধনের ঝুঁকি বাড়বে। এতে দেশের মাছের ভবিষ্যত উৎপাদনই হুমকির মুখে পড়বে।
আপনি বলেছেন, "ইলিশ রপ্তানী করলেও আমাদের দেশে ইলিশের দাম আকাশ আকাশ ছোঁয়া রপ্তানী করলেও করলেও আকাশ আকাশ ছোঁয়া"
যদি ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণে না আসে, তাহলে রপ্তানির অনুমতি দিলে তো দাম আরও বাড়বে। যে জনগণ আগে থেকেই কিনতে পারছে না, তারা আরও বঞ্চিত হবে।
হ্যাঁ, রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আসে - কিন্তু খাদ্য নিরাপত্তার প্রশ্নে অর্থনৈতিক লাভ সব সময় প্রাধান্য পায় না। চীন-ভারত-পাকিস্তানসহ বহু দেশ তাদের কিছুকিছু খাদ্যপণ্য কৌশলগত কারণে রপ্তানি করে না।
বাংলাদেশও ইলিশকে সেই দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে। কারণ, আমাদের অর্থনীতিতে এখনো খাদ্যপণ্যের দাম একটি স্পর্শকাতর ইস্যু।
চাল, পেঁয়াজ, ডিম - এসব মৌলিক খাদ্যপণ্যে যখন ভারত আমাদের রপ্তানি বন্ধ করে দেয়, তখন কিন্তু 'উৎসব' বা 'আবেগ' দেখা যায় না। তখন আমাদের মানুষই ভোগে। কাজেই নীতিনির্ধারণে আবেগ নয়, পারস্পরিক সম্মান ও বাস্তবতা বিবেচনায় আসা উচিত।
আপনি বলেছেন, এটা রাজনীতির উর্দ্ধে রাখা উচিত—এতে আমি একমত। কিন্তু রাজনীতির উর্দ্ধে রাখার মানে এই নয় যে, বাস্তবতা উপেক্ষা করে আবেগে সিদ্ধান্ত নেওয়া।
রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব শুধু উৎসবের আনন্দ বাড়ানো নয় - দেশের জনগণের মৌলিক চাহিদা, খাদ্যপণ্যের প্রাপ্যতা, বাজার স্থিতিশীলতা এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য সম্পদ সংরক্ষণ করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ সরকার যদি ভবিষ্যতে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারে, ইলিশের উৎপাদন এতটাই বাড়ে যে অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকট না থাকে - তাহলে সীমিত পরিসরে রপ্তানির কথা ভাবা যেতে পারে।
কিন্তু এখনই, বিশেষ করে প্রজনন মৌসুমে বা বাজার যখন অস্থির, তখন রপ্তানির অনুমতি দেওয়া অনৈতিক, আত্মঘাতী ও জনস্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত হবে।
আমাদের জাতীয় স্বার্থ এবং ভবিষ্যতের দিকেই নজর রাখা উচিৎ, আবেগের নয়।