নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"সেকি অন্য তত্ত্ব মানে, মানুষতত্ত্ব যার সত্য হয় মনে\"

আজব লিংকন

শব্দ দাও অথবা মৃত্যু

আজব লিংকন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ফারাবীকে জামিন দিলো হাইকোর্ট

৩১ শে জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৪



হ্যালো ডিয়ার ব্লগাস!
প্লিজ রেসপন্ড
ব্লগে এখনো অনেক অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ ব্লগার রয়েছেন, তাদের কাছে আমি জানতে চাচ্ছি, আচ্ছা উনি (ফারাবী) কি আসলেই জড়িত কিংবা নির্দোষ ছিলেন?

বর্তমান বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায়, তার এই মুহূর্তে জামিন পাওয়াটা কতটুকু যুক্তিসম্মত?

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৯

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি শফিউর রহমান ফারাবীকে **অন্তর্বর্তীকালীন জামিন** দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ৩০ জুলাই, ২০২৫ তারিখে এই আদেশ দেন।

**মামলার প্রেক্ষাপট**

* ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় অভিজিৎ রায়কে। হামলায় তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যাও গুরুতর আহত হন।
* এই ঘটনায় অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায় বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
* ২০২১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল এই মামলার রায় দেন। রায়ে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং শফিউর রহমান ফারাবীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
* ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে ২০২১ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন ফারাবী।

**জামিনের কারণ**

ফারাবীর আইনজীবী মুহাম্মদ হুজ্জাতুল ইসলাম খান জানান, জামিনের আবেদনে প্রধানত এই যুক্তিগুলো তুলে ধরা হয়:

* ফারাবী ২০১৫ সালের ৩ মার্চ থেকে কারাগারে আছেন।
* তিনি ১৬৪ ধারায় কোনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।
* অন্য চার আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ফারাবীর নাম উল্লেখ করা হয়নি।
* তদন্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কোনো সাক্ষীর বক্তব্যেও তার নাম আসেনি।

এসব যুক্তির ভিত্তিতে হাইকোর্ট ফারাবীর জামিন মঞ্জুর করেন।

২| ৩১ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ৮:১৯

জুল ভার্ন বলেছেন: ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের আমলে আমলে আমলে আমি ৪টি৷ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মামলা এবং ১৪টি অগ্নিসংযোগ, নাশতা, জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে বাঁধা প্রদান" এর মতো মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হয়েছি। "অগ্নিসংযোগ, নাশকতা, পুলিশের কাজে বাঁধা প্রদান" এর তিনটি মামলা দিয়েছে একই দিন তিনটা থানায়। থানা তিনটা হচ্ছে- যাত্রাবাড়ী, দারুসসালাম এবং উত্তরা পশ্চিম থানা। মামলার বিবরণ, আসামি সবই এক শুধু স্থান ভিন্ন। দীর্ঘ ৭ বছর মামলা লড়তে গিয়ে আইন সম্পর্কে কিছু ধারণা এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। তারই পরিপ্রেক্ষিতে ফারাবীর বিরুদ্ধে মামলা সম্পর্কে কিছু ধারণা হয়েছে.....

বাংলাদেশে অপরাধ প্রমাণের ক্ষেত্রে মূল আইন হলো "সাক্ষ্য আইন, ১৮৭২" (The Evidence Act, 1872)। এটি এখনো কার্যকর রয়েছে এবং ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার জন্য এটি একটি ভিত্তিমূলক আইন।

অপরাধ প্রমাণে সাক্ষী, দালিলিক প্রমাণ ও পরিস্থিতিগত তথ্য হতে পারে। তবে তদন্তকারী পুলিশের কাছে দেওয়া স্বীকারোক্তি জবানবন্দিও কোর্ট গ্রহণ করতে বাধ্য নয়।৷ পুলিশ ছাড়া ম্যাজিস্ট্রেট এর সামনে জবানবন্দি দিতে হবে। অর্থাৎ সন্দেহাতীতভাবে অপরাধ প্রমাণ করতে হবে। সাক্ষীপ্রমাণ বা দলিল ছাড়া কেবল ধারণার ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। বরং অভিযুক্ত সন্দেহের সুযোগে অব্যাহতি অর্থাৎ 'বেনিফিট অব ডাউট' সুবিধা পাবেন পাবেন।

ফারাবী সহ মামলায় পাঁচ আসামির মধ্যে অন্য চারজনের কেউই ফারাবীর নাম বলেনি। অর্থাৎ একমাত্র তদন্ত কর্মকর্তা ছাড়া কোনো সাক্ষীরও ফারাবীর নাম উল্লেখ করেনি। ফারাবী নিজে কোনো স্বীকারোক্তি দেয়নি। বাংলাদেশ সাক্ষী আইনে "তদন্তকারীর বক্তব্যকে স্বাক্ষী হিসাবে গ্রহণ করা আইন ও বিচারিক আদালতে গ্রহণযোগ্য নয়"- কিন্তু ২০১৪ সালে ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিরোধী দলকে দমন করতেই মৌখিক নির্দেশ দিয়েছলেন- "তদন্তকারী কর্মকর্তার বক্তব্যকে স্বাক্ষী হিসাবে গ্রহণ করতে হবে"- যা আইনের দৃষ্টিতে গ্রহণযোগ্য না হলেও ২০১৪ সাল থেকে অজস্র নিরীহ লোকদের সাজা দিয়েছে।

জামিনের কারণ- অপরাধ প্রমাণে ব্যর্থতা, সাক্ষ্যাদিতে
ফারাবীর বিরুদ্ধে কোনো সুক্ষ্ণতম প্রমাণও নেই যে তিনি অভিজিত হত্যার পরিকল্পনাকারী বা বাস্তবায়নকারী ছিলেন।

বাস্তবতা হচ্ছে, স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা সরকারের আমলে যত গুপ্ত হত্যা, নাশকতা বিশৃঙ্খলা হয়েছে সবাই সরকারের নির্দেশে সরকারের লোকেরাই করেছে.....ব্লগার অভিজিৎ হত্যাও তেমনই....

৩| ৩১ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:১৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: সরকার শিবির কেডার নাসির কেও ছেড়ে দিয়েছে ।

৪| ৩১ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:২৩

কামাল১৮ বলেছেন: আমি অভিজিতের বই এবং ব্লগ পড়েছি।তার মতো চিন্তাবিদ আমাদের দেশে নাই বললেই চলে।আবার কবে হবে এমন মানুষ কে জানে।

৫| ৩১ শে জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:২৭

কামাল১৮ বলেছেন: এমন মানুষ হবে কে জানে।

৬| ০১ লা আগস্ট, ২০২৫ সকাল ১০:১৩

ক্লোন রাফা বলেছেন: জঙ্গি, সন্ত্রাসী , খুনি , দেদারসে মুক্তি দিয়েছে বর্তমান এই অবৈধ দখলদার সন্ত্রাসীরা। কাজেই এখানে আশ্চর্যের কিছু নেই। ব্লগার অভিজিত খুন হয়েছে বই মেলার মত জায়গায় প্রকাশ্যে / তার স্ত্রী মারাত্মকভাবে জখম হয়েছেলে। ঘটনাস্থলে ফারাবীকে সন্দেহাতীত ভাবে দেখা গেছে। পুলিশের সামনে দিয়ে পালিয়ে যায় ফারাবী সহ সকল খুনিরা। এই অবৈধ দখলদারদের কার্যকলাপ পর্যবেক্ষন করলেই বুঝতে পারার কথা। একুশে আগস্টের মত ঘটণায় সকল আসামী বেকসুর খালাস হয়ে যায়। মনে হয় বাংলাদেশে ২১শে আগস্ট ঘটেই নাই।
ব্লগার জুলভার্ণ আটক হয়েছে সন্দেহজনক জঙ্গি সংশ্লিষ্টতের কারনে। পাকিস্তানে অধিকতর ভ্রমণ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। ব্লগেই তার লেখাতেই অনেক সন্দেহ করার উপকরন আছে!

আওয়ামিলীগ যদি ৫০ বছর পরও রাষ্ট্র পরিচালনায় আসে । এদের প্রত্যেকের পুনর্বিচার হবে ঠিক যুদ্ধাপরাধের বিচারের মত। বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে বৈধ, অবৈধ কোন সরকার বিচার করেনি । আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত কাজ করেনি। এমনকি নিজেদের প্রেসিডেন্ট খুনের বিচারও করেনি। বরং আইন করে খুনিদের রক্ষা করা হয়েছে!
ভুল ত্রুটি নিয়ে হোলেও আওয়ামিলীগই বিচার করার নজির স্থাপন করেছে। এমনকি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারও বিশেষ আদালতে না করে সাধারন আদালতে করা হয়েছে। প্রতিহিংসা পরায়ন হোলে বিএনপি/জামাতের সকল নেতৃত্বের ফাসি হয়ে যেতো।

বিপরিতে বার বার আওয়ামিলীগের নেতা কর্মীরা জিবন দিয়ে দায় শোধ করেছে । ১৯৭৫এবং ২০২৪ তার জলজ্যান্ত প্রমাণ। ২০০১ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত আওয়ামিলীগের প্রথম সারির যত নেতা কর্মী নিহত হয়েছে বিগত ৫৪ বছরেও সকল দলের মিলে সেই সংখ্যা হবেনা। ২১ শে আগস্ট তো পুরো আওয়ালীগ নিশ্চিহ্ন করার মিশন ছিলো। শেখ হাসিনার বার বার বেচে যাওয়া সৃষ্টকর্তার মহিমা।

আমার বিশ্বাস আল্লাহ তাকে বাচিয়ে রেখেছেন বাংলাদেশের ইতিহাস সৃষ্টি করার জন্য। আশা করি এর পরে আর কোন ভুল হবেনা ।বাংলাদেশ বিরোধী শক্তির আর কেউ বিন্দুমাত্র অনুকম্পা পাবেনা।

জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু॥

৭| ০১ লা আগস্ট, ২০২৫ দুপুর ২:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: কারাগার থেকে সমস্ত দাগী আসামীকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। ইহা দুঃখজনক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.