নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একবিংশের ইলহাম (সমাজ ধর্ম দর্শন বিষয়ক প্রবন্ধ)

আত্মশুদ্ধি প্রজ্ঞা লাভ মনুষ্যত্বে সিদ্ধি লাভ

ময়না বঙ্গাল

মতলববাজি খতম করি বিবেকদন্ড বহাল করি

ময়না বঙ্গাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আহলে হাদীস- হানাফি ফেরকা প্রসঙ্গ

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:২০

হে মুহাম্মদের অনুসারীগণ ! বল। আফসোস ! হে আল্লা আমরা আজ কতই কুটিল চরিত্রের হয়ে আছি। আমাদের কেউ জোরে আমিন বলে আবার কেউ আস্তে আমিন বলে, কেউ র'ফে ইয়াদিন করে কেউ র'ফে ইয়াদিন করে না, কেউ বিতর এক রাকাত পড়ে কেউ আবার তিন রাকাত পড়ে অথচ সকলেই ফজরের দু'রাকাত ফরজ নামাজই পড়ে, আত্তাহিয়াতু পড়ে দরুদ পড়ে মাসুরা পড়ে এবং দু'রাকাত সুন্নাতের ব্যাপারে ও কোন মতভেদ নাই। আমরা বড় বড় ব্যাপারে সকলেই এক বিন্দুতে আছি অথচ খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে বিভিন্ন বিন্দুতে বিভক্ত হয়ে আছি। বল। রাসুল একদিন পুলসিরাত পারের কথা প্রসঙ্গে মা আয়েশাকে বললেন, যে ব্যক্তিকে আল্লা ধরবে, সে নির্ঘাত মারা পড়বে, তা ভিন্ন ডান হাতে আমলনামা বহনকারী গণ পুলসিরাত পার হয়ে যাবে। আল্লা কোরানের অনেক জায়গায় ফরমাইয়াছেন যে, তোমরা বড় বড় গোনাহ্ সমূহ এড়িয়ে যাও, ছোটখাট গোনাহ্ আল্লা দেখেও না দেখার ভান করবেন।

হে কলমওয়ালা ! বল। তবে কেন আমরা জোরে আমিন আর আস্তে আমিন কিংবা ফাতেহা ইমামের পেছনে পড়া বা না পড়া নিয়ে আল্লার ঘর বাটোয়ারা করছি। হে মুহাম্মদের অনুসারীরা! তোমরা সমস্বরে বল। আল্লা আমাদের এই পাগলামী দুর করে দিন। যখন আমাদের অধিকাংশ ব্যাপারেই বিশ্বাসগত মহান মিল রয়েছে। হে আল্লা। আমাদের অন্তরের ব্যাধিই যে এই জটিলতা আর ফেরকার কারণ-তা আমরা এখন ঝুঝতে পারছি। তুমি আমাদের অন্তরের ব্যাধি দুর করার হেকমত প্রদান কর। বল। আমরা আমাদের পিতামাতার সন্তানেরা কেউ নাক টিকালো পেয়েছি, কেউ গায়ের রঙ চাপা পেয়েছি। কিন্ত আমরা সকলে তো একই পিতামাতার সন্তান। তবে কেন আমরা এক ইসলামের অনুসারী হয়ে ঈদের নামাজে ছয় তাকবীর বা বার তাকবীর নিয়ে ইসলামকে টুকরো করে আছি। যখন আল্লা বলছেন- তোমরা সকলে মিলে আল্লার রজ্জুকে আঁকড়ে ধর।

হে আহলে হাদিস এবং হানাফি ওলামাগণ! তোমরা সাবধান হয়ে যাও। তোমরা মযহাবি ফেরকা সৃষ্টি করে আপন আপন ফেরকার দলপতি সেজে আত্মতৃপ্তিতে যে মশগুল এ ব্যাপারে কি তোমাদের কোন হুঁস আছে! জীবদ্দশা থাকতে তোমরা মহান ইসলামের স্বার্থে পরষ্পর একীভূত হয়ে যাও। তোমরা ফেরকাবাজরা যেমন উষ্ট্রির যুদ্ধের জন্য দায়ী আবার মধ্যযুগের বাগদাদ নগরী ধ্বংশের পেছনে দায়ী আবার বর্তমান দুনিয়াতে যে হেয়প্রতিপন্ন্ন হয়ে আছ, তার জন্য ও দায়ী। যেখানে মহান আল্লাপাক কিতাবে স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন যে- যারাই আল্লা এবং পরকালে বিশ্বাস করবে এবং সৎ কাজে লিপ্ত থাকবে-তারাই সফল কাম। তারা হোকনা কেন আহলে কিতাবি বা সাবেঈন কিংবা মুহাম্মদের অনুসারি। তোমাদের কি ইয়াদ পড়ছে যে, মহান আল্লাপাক বনী ইসরায়েলদের নাফরমানীর পুনরাবৃত্তিতে অতিষ্ঠ হয়ে একে অপরকে মেরে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তোমরা কি বনী ইসরাইলদের মত আবার ও সে ধরনের কোন নির্দেশ খেতে চাও? লজ্জার যদি তোমাদের মাথা থেকেই থাকে- তবে তোমরা নড়ে চড়ে ওঠো। নিজেদের কে নিজেদের আত্মার বন্ধু করে নাও। আল্লা দয়ার মহাসমুদ্র !

হে শিশুদের সালামকারী ! বল। আল্লা এমনতর গর্দভী সহ্য করবে না। আল্লা যেমন দয়ালু তেমনি শাস্তি দানে পাষাণ। বল। ফেরকাবাজরা ফেরকাবাজী জায়েজের ডকুমেন্ট স্বরুপ রাসুলের সেই বাণীটি স্মরণ করিয়ে দেয়কি? আমার উম্মতগণ পরবর্তী পর্যায়ে বিভিন্ন ফেরকায় নিমজ্জিত হয়ে পড়বে।" তুমি তাদের বলে দাও যে, আমাদের রাসুল কথাটা ফূর্তি নিয়ে বলেন নি। তিনি মনোবেদনা নিয়ে কথাটি বলেছিলেন। তাঁর গোপন আশা ছিল যে, উম্মতরা যেন পরস্পর বিচ্ছিন্ন না থাকে।অথচ কি গর্দভ আমরা যে, আমাদের ফেরকাবাজির ডকুমেন্ট স্বরুপ রাসুলের মহান বাণীটি ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছি। আমরা আপন আপন ফেরকাগণ বলছি যে, তিয়াত্তর ফেরকার মধ্যে আমরাই সেই প্রতিশ্রুত ফেরকা যাদের সৌভাগ্য হবে বেহেস্ত লাভ। বল। বেহেস্ত না ছাই ভষ্ম দেয়া হবে। আসলে বিচার দিনে হিংসার দায়ে গ্রেফতার করা হবে। আল্লার পেয়ারে হাবিব বলেছেন- হিংসা বিদ্বেষ থেকে তোমরা মুক্ত থাকো। কেননা হিংসা নেক বা ভালো আমলকে এমনভাবে খেয়ে ফেলে, যেমন আগুন কাঠ খড়িকে খেয়ে ফেলে।' তিনি আরও বলেছেন- হিংসা বিদ্বেষ চুল ন্যাড়া করে না বরং দ্বীন ইসলামকে ন্যাড়া করে দেয়।' বল। হিংসার ঝাপটাই ইসলামের নূর নিভূ নিভূ করছে। তোমরা মন থেকে হিংসার গ্লাণি দুর কর। উদার চেতনার হও। দেখবে যে, শাশত মহা সত্যের নূর উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে। সুবহানাল্লাহি বিহামদিহি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.