![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জন্ম হোক যথা, তথা কর্ম হোক ভাল।
পবিত্র কোরআন মাজিদ শুধুমাত্র আরবদের জন্য তাই আমাদের এটা পড়ার দরকার নাই।
আশেপাশে কান পাতেন নি? ইসলামের দাঈ একেকজন একেক ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক প্রায় ছ'টা অনুবাদ রয়েছে যার প্রত্যেকটিতেই কোথাও না কোথাও ভূল তো আছেই। মোদ্দাকথা, আরববাসী'রা পড়বে নিজের ভাষায়, আর বাকি সবাই কোরআন নিয়ে গবেষণা করতেই জীবন পার, ঈমান আনবে কবে?
আছেন কোনো যুক্তিবাদী মোমিন?
২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩
amitanmoy বলেছেন: ঈমানকে জোরদার করার জন্যই প্রতিদিন কোরআন নিয়ে গবেষনা হচ্ছে । মূল কোরআন ( আরবী ভার্সন ) নিয়ে কোন সমস্যা নাই । অন্যান্য ভাষায় অনুবাদ করতে গিয়েই ভাষাগত কারনে বিভ্রাট ঘটে । আরবী ভাষা অত্যন্ত জটিল ।
৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫০
মা গো ভাত দাও বলেছেন: ভুল যে বলবে তার উচিৎ হবে সঠিক টা বের করে অন্যটাকে ভুল বলা। না হলে তার বলাটা বিভ্রান্ত ছাড়া আর কিছুই নয়।
৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৮
সরল কথা বলেছেন: সরাসরি ভুল আছে এমন নিশ্চয়তা আপনি নিজেও দিতে পারলেন না! তবে এমন মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকাটাই উত্তম নয় কি?? আর অনুবাদে যদি ভুল ধরতে পারেন তহালে তো ঈমান আনাটা আরও সহজতর! যদি প্রকৃত অর্থেই আপনি বুঝে থাকেন! নচেৎ সারাজীবনও ঈমান আনতে পারবেন না! আর আল্লাহ পাক নিজেই বলেছেন, কুরআন শুধুমাত্র মুত্তাকীদের জন্য হেদায়াত স্বরূপ!
৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:০৮
সুনয়না্ বলেছেন: হ্যাঁ কোরআন মানবজাতির জন্য। পবিত্র কোরআন শুধু আরবদের জন্য নয় পুরো মানবদের জন্য। আসলে যে লোক পুরো জীবনটা গবেষণা করতে করেত জীবন পার করল সে আসলে সত্যিকারের ঈমানদার লোক। সে বিশ্বাস করে বলে তাঁর জীবনটা সে গবেষণার কাজে ব্যয় করল। আর আপনার অনুবাদের কথায় বলতে গেলে বলতে হয়। অনুবাদে কিছু ভুল থাকতে পারে সেটি হল বুজার ভুল আসলে ভুল নয়। কারন আরবি এমন একটা ভাষা একটা অর্থ দিয়ে অনেক কিছু বুজাতে পারে। যা অনুবাদে হয়ত ভুল মনে হয়।। সেজন্য আপনাকে আরবি ভাষা ভালো করে শিখতে হবে। আজ আমরা ইংরেজী শিখি কেন। তাহলে তো আপনার কথা বলতে হয় ইংরেজী শুধু ইংরেজ ভাষাদের জন্য। আসলে মানুষ অতি শিক্ষিত হয় ঠিক বই পড়ে। আসলে সে প্রকৃতি পক্ষে মূর্খ থেকে থাকে।
৬| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫০
হানিফঢাকা বলেছেন: শুধু ইংরেজীতেই আমি ২০ এর অধিক অনুবাদ পেয়েছি। বাংলায় আমি ৪ টা পেয়েছি। প্রতিটা অনুবাদেই কিছু ভুল আছে। এর কারন হচ্ছে মুলত তিনটা যা দুইভাগে ভাগ করা যায়।
১। অনিচ্ছাকৃত
২। ইচ্ছাকৃত
১। অনিচ্ছাকৃতঃ
এইটা সাধারণত টাইপিং মিস্টেক বলা যায়। এই ধরনের ভুল খুব কম, নেই বললেই চলে।
২। ইচ্ছাকৃতঃ
এই ইচ্ছাকৃত ভুল অনুবাদ আবার দুইভাগে বিভক্তঃ
ক। দলীয় মতবাদ দ্বারা প্রভাবিত হওয়াঃ
৯৯% অনুবাদক কোন না কোন দলের অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ সুন্নী, কাদিয়ানী, শিয়া, সুফী ইত্যাদি। সেই জন্য সবাই কোরআন অনুবাদ করতে গিয়ে নিজেদের স্ব স্ব দলীয় দৃস্টি কোন থেকে অনুবাদ করেছেন। সেই জন্য অনেক অর্থের পার্থক্য হয়েছে। বাংলা অনুবাদ্গুলি মুলত সুন্নী এবং সুফী ঘরানার (বাংলা অনুবাদে অনেক বেশি সুফী প্রভাব লখ্যনীয়)
খ। হাদিস এবং সুন্নাহ দ্বারা প্রভাবিত হওয়াঃ
এই ক্ষেত্রে অনুবাদকগন কোরআনের অনুবাদ করতে গিয়া প্রচলিত হাদিস এবং সুন্নাহ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন। কোন হদিস বা সুন্নাহ কে প্রতিষ্ঠিত করতে তারা কোরআনের অর্থের তারতম্য করেছেন। উদাহরণ স্বরূপ চুরির শাস্তি, তালাকের বিধান, বউ পিটানো ইত্যাদি আরও অনেক কিছু।
একটা জরুরী বিষয় হচ্ছে সবাই যে চেষ্টাটা করেছেন তা হচ্ছে কোরআনের আক্ষরিক অনুবাদ করার চেষ্টা করেছেন। সত্যিকার অর্থে কোরআনের আক্ষরিক অনুবাদ সম্ভব নয়, অর্থাৎ আক্ষরিক অনুবাদের ফলে কোরআনের মুল ভাব অন্যভাষায় ব্যক্ত করা সম্ভব নয়। সেই জন্য দরকার কোরআনের অর্থবোধক অনুবাদ। এই ধরনের কিছু অনুবাদ পাওয়া যায় ইংরেজীতে। বাংলায় এটা পাওয়া যায়না এবং আমার ব্যক্তিগত মত অনুযায়ী এটা বাংলায় সম্ভব নয় কারন হচ্ছে উগ্রবাদিতা।
পরিশেষে, কোরআন বুঝতে হলে (যদি আরবী না জানেন আর কি) মিনিমাম ১০টা অনুবাদ এবং একটা খুব ভাল ডিকশনারি নিয়ে বসেন এবং পড়েন। ভাষার ব্যবহার লক্ষ্য করেন এবং অর্থের বৈপরীত্য দেখলে ডিকশনারি ঘেটে নিজে অর্থ বের করে পড়েন। আর দয়া করে খোলা মন নিয়ে পড়বেন (যা অনেকেই পারেনা), কোন হাদিস বা গল্প দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কোরআনের অর্থ বুঝার অথবা পড়ার চেষ্টা করলে সম্ভাবনা আছে আপনি কোরআনের মুল মেসেজ টা মিস করবেন।
ধন্যবাদ।
৭| ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৩০
মহা সমন্বয় বলেছেন: হানিফঢাকা @ ভাই এর সাথে একমত।
আমার চোখে কুরআন- কুরআন ততকালীন আরব বাসীদের জন্য ভাল একটা্ আইন গ্রন্থ। যদিও তাতে উল্লেখ আছে ইহা সমগ্র মানব জাতির জন্য। মানলাম তা সমগ্র মানবজাতির জন্য, তাবে তা ততকালীন সময়ের মানব জাতির জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ হতে পারে।
কুরআন হচ্ছে শ্রেষ্ঠ দর্শন, এটা দ্বারা সব ধরণের মানুষকে জবাব দেয়া যায়। আর অবশ্যই এটা মানব রচিত এ ব্যাপারে আমার মধ্যে কোন ধরণের স্বংশয় নেই এবং আমি তা নিশ্চিত ভাবেই বিশ্বাস করি।
যারা এটা রচনা করেছেন তারা অবশ্যই জ্ঞানী লোক ছিলেন এবং নিশ্চিতই তারা মূর্খ ছিলেন না। উপর থেকে কোন গ্রন্থই এই পৃথিবীতে নাজিল হয় নাই এর সবই মানুষের কাজ। শুধু বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করার জন্য উপরওয়ালর বানী বলে প্রচার করা হয়।
এর মধ্যে অনেক ভাল বিষয় রহিয়াছে আর ভাল বিষয় থাকার মানে এই না যে এ স্রষ্টা প্রদত্ত। আর এর মধ্যে যে ভাল বিষয়গুলো রয়েছে মানুষ তা মেনে চলুক আমি সেটাই চাই।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২১
দরবেশমুসাফির বলেছেন: আন্তর্জাতিক প্রায় ছ'টা অনুবাদ রয়েছে যার প্রত্যেকটিতেই কোথাও না কোথাও ভূল তো আছেই।
খুব সোজা। ভুল ছাড়া অনুবাদ করতে হবে (যতটা সম্ভব)। ভুলগুলো সংশোধনের ব্যবস্থা করতে হবে।