নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অত্যন্ত সহজ কিসিমের মানুষ...জীবনটাকে সহজভাবে দেখতেই পছন্দ করি...

ফুয়াদের বাপ

সাদা মনের মানুষ...

ফুয়াদের বাপ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্যানসার চিকিৎসার নতুন থেরাপিতে ‘যুগান্তকারী’ সাফল্য

১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৩

ক্যানসার চিকিৎসার নতুন থেরাপিতে ‘যুগান্তকারী’ সাফল্য
===================================

চিকিৎসা বিজ্ঞানী ড. ডেবিড লিড আবিষ্কৃত ডিএনএ 'বেস ইডিটিং' পদ্ধতি ব্যবহার করে গতকাল যুক্তরাজ্যের গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিট হাসপাতালে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত যুক্তরাজ্যের কিশোরী অ্যালিসাকে সম্পূর্ন সুস্থ্য করে তোলে যার বাঁচার সম্ভ্যাবনা ছিল শূন্য শতাংশ। ক্যান্সার চিকিৎসা সহ অনেক রোগের চিকিৎসা পদ্বতির যোগান্তকরী পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে ড. ডেবিড লিড এর বেস ইডিটিং পদ্বতির হাত ধরে।

একজন শিশু যখন জন্মায় তখন তার "ডিএনএ" তার বাবা-মার উভয়ের ডিএনএর সমন্বয়ে গঠিত হয়। আর এই ডিএনএ-ই নির্ধারন করে সে কতটুকু লম্বা হবে,চোখের রং কেমন হবে, কেমন মেধাবী হবে, ভবিষ্যতে কোন ধরনের রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভ্যাবনা ইত্যাদি। যা পরিবর্তন (এডিট) করার কোন পদ্বতি পৃথিবী জানতো না। ২০১২ সালে ড.ডেবিড লিড CRISPR টেকনোলজি আবিষ্কার করেন। মানুষে ডিএনএ চারটা বেইস উপাদন আছে যাদের সংক্ষেপে A,T,G,C বলা হয়। আমাদের শরীরের প্রত্যেকটি কোষের ডিএনএ তে প্রায় তিন বিলিয়ন বেইস উপাদান জোড়া লেগে আছে অনেকটা এমন ATTGCATCA...এভাবে তিন বিলিয়ন। এই পদ্বতিতে ক্যান্সারে আক্রান্ত উপাদনটি এডিট/পরিবর্তন করে চিকিৎসা করা হয়।(তথ্যর জন্য কৃতজ্ঞতা - ব্লগার-কলাবাগান-১ স্যারকে)

২০২১ সালের মার্চে ১৩ বছর বয়সী অ্যালিসার টি-সেল অ্যাকিউট লাইমফোব্লাস্টিক রক্তের ক্যান্সার ধরা পড়ে। টি-সেল শরীরের রক্ষক হিসেবে কাজ করে। শরীরের মধ্যে থাকা ঝুঁকি দূর করে এটি। কিন্তু অ্যালিসার শরীরে টি-সেল নিয়ন্ত্রণহীনভাবে বাড়তে থাকে। তাকে ক্যান্সার থেকে সারিয়ে তুলতে কেমোথেরাপি এবং পরবর্তী বোন-ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়। তবে এগুলো তার শরীর থেকে ক্যান্সার নির্মূল করতে ব্যর্থ হয়। এরপর 'বেস ইডিটিং' থেরাপি ব্যবহার করেন তাঁরা। একজন দাতার কাছ থেকে সুস্থ টি-সেল নিয়ে তাতে জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে সেগুলো এলিসার শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় যা তার দেহের ক্যান্সার সেলগুলোকে খুঁজে বের করে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। টি-সেলের বেস এডিটিং-এর কারণে এসব সেল এলিসার দেহের সুস্থ কোষেরও কোনো ক্ষতি করবে না।

পৃথিবী বিভিন্ন প্রান্তে থাকা ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী ও তার পরিবারের লোকজন অনুভব করতে পারছে চিকিৎসা বিজ্ঞান কি বিশাল খুশির খবর দিচ্ছে অ্যালিসার চিকিৎসার হাত ধরে। এখনো মনে পড়ে সেই দিনের কথা যেদিন আমার স্ত্রীকে রেডিয়েশান থেরাপী দিতে নিয়ে যাচ্ছে আর আমি অশ্রু মিশ্রিত চোখে চেয়ে অপেক্ষা করছি আর মনে অটো দোয়া আসছে রেডিয়েশান আবিষ্কার মাদাম কুরির জন্য যার আবিষ্কারের সুফল পৃথিবীবাসী পাচ্ছে।

তথ্য-ছবি সংগ্রহ -
- বিবিসি বাংলা
- ব্লগার কলাবাগান-১
- সমকাল

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ৯:১৯

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনার এই জানতে চাওয়ার এবং জানাতে দেওয়ার উৎসাহ টা ব্যাপক আশাব্যান্জক।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৩

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: স্যার, আমি ভুক্তভোগী তাই জানার ও অপরকে সতর্ক করার চেষ্টা করি।

২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:০৭

জুল ভার্ন বলেছেন: বাস্তবতা হচ্ছে- কয়েক যুগ ধরে দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে "ক্যান্সারের যুগান্তকারী ঔষধ আবিস্কার" এর নিউজ আসছে, কিন্তু ক্যান্সার এখনও নিরাময় হয়নি। তবুও চিকিতসা বিজ্ঞানের উপর ভরসা রাখি- নিশ্চই একদিন ক্যান্সার জয়ী ঔষধ আবিস্কার হবে।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪৫

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: আল্লাহর কৃপায় চিকিৎসা বিজ্ঞান আরো উন্নত হোক দোয়া করি। একটা মানুষও যেন আর ক্যান্সারে মারা না যায়। প্রিয় মানুষ চোখের সামনে মারা যাচ্ছে দেখাটা অনেক কষ্টকর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.