চিঠি

১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৪৪

প্রিয় দেবী,
তোমার এলো চুল দেখি না কতদিন
তোমার ক্লান্ত মুখ পরিশ্রমে অসার দেহ কিংবা মিইয়ে যাওয়া একটু হাসি।
কড়া পারফিউমেও ডাকতে পারতে না যে মিষ্টি গন্ধ
দুষ্টুমি ভরা চোখে আহব্বান আর আলতো কামর।
কি পেয়েছি?
জীবনের সবটাই যে তোমার মাঝে লুকিয়ে রেখেছ।
রাবনের রাজ্যে তুমি অসহায় সীতা আর আমি সৈন্য হীন একা রাম।
নাহ রামের মতও তোমাকে পাইনি।
সাত সমুদ্দুর পাড়ি দিয়ে তোমার কাছে পৌছানোর চিন্তাও আজ অলিক মনে হয়।
কত স্বপ্ন একটা ঘর একটা রুম আর আটোসাটো হয়ে থাকার মত একটা খাট।
আচ্ছা আমার জন্য,
না না আমাদের জন্য তোমার হাতে সেলাই করা কাঁথা টাকা জমিয়ে কেনা দুই পট চালের পাতিল দুইটা প্লেট বিছানার চাঁদর গুলো কি নষ্ট করে ফেলেছ?
নাকি সবি চলে গেছে ঐ রাবনের রাক্ষস পুরিতে?
তোমার স্বপ্ন ভরা চোখ আমি নিভে যেতে দেখেছি
চোখের জল শুকাতে দেখেছি
হাতের শিরা কেটে রক্ত ঝরতে দেখেছি
বুক চাপড়িয়ে কাঁদতে দেখেছি
তোমার জ্বলুনি তুমি চোখ দিয়ে বইয়ে দিয়েছ আমার মৃত্যু কি তুমি দেখেছ?
প্রতিটা মিনিটে আমার মৃত্যু হয়
নতুন করে চিতা জ্বলে আর আমি আগুনে পুড়ে কয়লা হই তারপর আবার জ্বলি আবার কয়লা হই।
এতটা ভার আমি বইছি কি হারিয়েছি ভেবে কেঁপে উঠি তারপর আবার মৃত্যু হয়।
এত মৃত্যু এত লাশ আর আমার ভালবাসা?
আজ কবর স্থানকে আমার আপন ভূমি মনে হয় লাশ ঘর আমার আত্বতৃপ্তি দেয়।
বুক ফুলিয়ে বলতে পারিনা
"ঐ যে সুন্দরী মেয়েটা দেখছ?
সে আমার দেবী হয়।
রোজ সকাল সন্ধায় তাকে আমি পূজি"
ভাঙ্গা কুলায় দেবীর ঢালা সাজে না আমিও দেখা পাই না।
রোজ সাহস করি আর ভাবি এবার হয়ত পেরে উঠব এবার হয়ত তাকে আমি পাব॥
মর্ত্যের তুচ্ছ মানব কি আর বক রাক্ষসের সাথে কিংবা মহিষাসুরের সাথে পেড়ে উঠে?
আমিও পারি না আর দেবিও তার রূদ্র রুপ ধারন করে না।
ভালবাসা পরে থাকে বাম পাশে আর বাস্তবতার আগাছায় আঘাতে আর ধুলো বালি জমে আস্তর জমে।
ভালবাসাটা খাটি সোনার মত এতে মরচে পড়ে না লোহার মত।
আমি তুচ্ছ পুরোহিত সেই আশাতেই দিনগুনি।
একদিন হয়ত আমার পাজরের হাড় ভেঙ্গেই তৈরি হবে বজ্রাস্ত্র।
বধ হবে অসুর আর আমার মৃত অসার দেহ হবে দেবীর ভোগ।
আমায় গ্রহন কর দেবী।
ইতি
তোমার পাপিষ্ট
পুরোহিত

১ টি +০/-০